নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবসরে বই পড়তে পছন্দ করি, মুভি দেখতেও ভালো লাগে। ঘোরাঘুরিও পছন্দ তবে সেটা খুব একটা হয়ে উঠে না। বাকেট লিস্ট আছে অনেক লম্বা। হয়তো কোন একদিন সম্ভব হবে, হয়তো কোনদিন হবে না। কিন্তু স্বপ্ন দেখতে জানি, প্রত্যাশা করতে জানি। তাই সেটাই করে যাচ্ছি।

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী

প্রত্যাশাদের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা আর প্রত্যাশা পূরণ হয় না... তাও তারা স্বপ্নচারিণী নামে পরিচিতি পেয়ে গেল... ইন্সটাগ্রাম ― @swarochita

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ল্যাসিক দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা (পর্ব - ১)

১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:০২




পুরানো মালায়ালাম ফিল্ম নিয়ে আমি মাঝে মাঝে লিখি। কিন্তু দক্ষিণ ভারতের পুরানো অন্য ভাষার ফিল্ম গুলো নিয়ে কখনও লেখা হয়নি। তামিল, তেলুগু, কান্নাড়া - এই ইন্ডাস্ট্রির ফিল্ম গুলো আমার মালায়ালাম ফিল্মের তুলনায় অনেক কম দেখা হয়। আমার কাছে মনে হয় শুধু মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রি তে যত ভালো ফিল্ম হয় এই তিনটা ইন্ডাস্ট্রি মিলিয়ে একই পরিমাণ ভালো মুভি হয়। এই ইন্ডাস্ট্রি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গতানুগতিক মাস মুভি বানায় যেখানে অ্যাকশন অনেক বেশি প্রাধান্য পায়। আমি এই ধরণের ফিল্ম বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এভয়েড করে যাই। কিন্তু এদের অন্য জনরার ভালো ভালো কিছু ফিল্ম আছে। আজ এমন কিছু ফিল্ম নিয়ে লেখার চেষ্টা করছি।


১) Michael Madana Kama Rajan:

এটি হল ষাট আর সত্তরের দশকের ফর্মুলায় তৈরি বাবা-মা আর সন্তান হারিয়ে যাওয়ার কাহিনী। তবে এখানে পার্থক্য হল এখানে হারিয়ে যাওয়া চার জন ছেলেই জমজ। আর কমল হাসান সেই চারটি রোলে অনবদ্য অভিনয় করেছেন। চারজনের কথার ধরণ, আচার-ব্যবহার চার রকম। আর চার জনের মধ্যে কনফিউশান গুলোই দারুণ কমেডির ক্রিয়েট করেছে।

ভেনুগোপাল আর সুশীলার জমজ চারটি ছেলেদের নিয়ে এই ফিল্মের কাহিনী। সুশীলা যখন প্রেগনেন্ট থাকে ভেনুগোপালের ভাই নন্দগোপাল সম্পত্তির লোভে সুশীলাকে খুন করার ষড়যন্ত্র করে। এটা সুশীলা জানতে পেরে পালিয়ে যায়। কিন্তু নন্দগোপালের ভাড়া করা গুন্ডারা তার ঠিকানা বের করে ফেলে। ভেনুগোপালের ছেলেদের কিডন্যাপ করে তাদের মেরে ফেলার হুকুম দেওয়া হয়। তাদের জন্ম হওয়া মাত্রই গুন্ডাদের সর্দার অ্যালেক্স তাদের কিডন্যাপ করে ঠিকই কিন্তু তাদের মারে না। একজনকে সে নিজে দত্তক নেয় আর নাম রাখে মাইকেল। একজনকে একটি গাড়িতে রেখে আসে আর ভাগ্যক্রমে সেই গাড়িটি থাকে ভেনুগোপালেরই। ভেনুগোপাল নিজের ছেলেকে না জেনেই দত্তক নেয় আর নাম রাখে মদনগোপাল। একজনকে মন্দিরে রেখে আসে আর সেখান থেকে একজন ব্রাহ্মণ বাবুর্চি তাকে দত্তক নেয়, সে তার নাম দেয় কামেশ্বর। আর সর্বশেষ বাচ্চাটাকে এতিম খানায় রেখে আসে অ্যালেক্স, সুবরামানিয়াম রাজু নাম নিয়ে সে বড় হয়।

এরপরে ত্রিশ বছর পর ভেনুগোপাল তার সমস্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারী করে তার ছেলে মদনগোপালকে। দত্তক নেওয়া ছেলেকে পুরো সম্পত্তিই দিয়ে দিবে চিন্তা করে নন্দগোপাল আর তার ছেলে রামগোপাল অনেক ক্ষেপে যায়। তারা ভেনুগোপালকে খুন করার ষড়যন্ত্র করে। আর রোড অ্যাক্সিডেন্ট হিসেবে তারা সেটা করতে আপাতদৃষ্টিতে সফলও হয়। তারা ভেনুগোপালের কোম্পানির ক্ষমতা নিতে গেলে মদনগোপাল লন্ডন থেকে এসে সেটা বন্ধ করে দেয়। ভেনুগোপাল আগের থেকেই উইল করে রাখে মদনের নামে যেটা তারা জানতো না। তাই সেই উইলের জোরে কোম্পানির দায়িত্ব নেয় মদন। কিছুদিন পরে ব্যাঙ্গালোর থেকে মদনের কাছে একটি মহিলার ফোন আসে। মহিলাটি জানায় ভেনুগোপাল রোড অ্যাক্সিডেন্টে মারা যায়নি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য মদন মাদ্রাজ থেকে ব্যাঙ্গালোরে আসে। এদিকে নন্দগোপাল আর রামগোপাল মদনকে মারার জন্য আবারও অ্যালেক্সকে ঠিক করে। অ্যালেক্সের সাথে মাইকেল যোগ দেয়। কিন্তু আরও নানারকম কনফিউশান ক্রিয়েট হয় কামেশ্বর আর রাজুর কারণে। কামেশ্বর একজন ভোলাভালা বাবুর্চি আর অন্যদিকে রাজু একজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং অভিনেতা। একই লোক এত বার কিভাবে দেখা যায় কেউ ভেবে পায় না। সব মিলিয়ে দারণ উপভোগ্য ছিল।

মুক্তির তারিখ ― ১৭ অক্টোবর ১৯৯০
ইন্ডাস্ট্রি ― তামিল
আইএমডিবি রেটিং ― ৮.৫ /১০
ব্যক্তিগত রেটিং ― ৯/১০
এইন্থুসান লিংক ― Michael Madana Kama Rajan






২) Ninne Pelladata:

নব্বইয়ের দশকে বলিউডে Hum Aapke Hain Koun এবং Dilwale Dulhania Le Jayenge যখন অল টাইম ব্লকবাস্টার খেতাব পেয়ে গিয়েছে সেই সময় নতুন একজন তেলুগু পরিচালক এই দুটো মুভি থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে একটি ফিল্ম বানানোর পরিকল্পনা করেন। যেখানে এই দুটো ফিল্মের মত সুন্দর হাসিখুশি একটি পরিবারের গল্প বলা হবে আবার রোমান্টিক কাহিনীও থাকবে। লীড রোলে পরিচালক কাস্ট করেন টাবু এবং নাগার্জুনা কে।

মহালক্ষ্মী ফ্লাইট ট্রেইনিং এর জন্য হায়াদ্রাবাদ যেতে চায় কিন্তু তার মা কিছুটা আপত্তি তুলে তাকে একা একা হোস্টেলে থাকতে হবে বলে। মহালক্ষ্মীর বাবার বন্ধু জানায় তার একজন বন্ধু আছে হায়াদ্রাবাদে। তার বাসায় মহালক্ষ্মী থাকতে পারবে। মহালক্ষ্মী হায়াদ্রাবাদে এসে পরিচিত হয় অনেক সুন্দর একটি পরিবারের সাথে। মহালক্ষ্মী যে বাসায় এসে উঠে তার ঠিক পাশের বাড়িতে থাকে এই গল্পের নায়ক সীনু। দুই পরিবারের মাঝে অসম্ভব ভালো সম্পর্ক, যেন দুটো বাড়ি মিলে অনেক বড় একটা জয়েন্ট ফ্যামিলি। মহালক্ষ্মীর দুই পরিবারের সব সদস্যের সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিন্তু অবশ্যই প্রবলেম ছাড়া ফিল্মের কাহিনী আগাবে না। সীনুর বাবার ছোট বোন হচ্ছে মহালক্ষ্মীর মা ভবানী। সীনুর মায়ের নামও মহালক্ষ্মী। তার ননদ ভবানীর সাথে তার অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। সেই জন্য ভবানী তার ভাবীর নামে তার বড় মেয়ের নাম রাখেন মহালক্ষ্মী। মহালক্ষ্মীর বাবা আর মা যখন পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন তখন সীনুর বাবা-চাচারা অনেক বিরোধিতা করেছিলেন। সেই অপমান মহালক্ষ্মীর বাবা আজও ভুলতে পারেন নি। তাই সেই পরিবারের সাথে তাদের কোনোরকম যোগাযোগ ছিল না। আর তাছাড়া সীনুর বাবা-চাচারা পরে অন্য জায়গায় বাড়ি করাতে মহালক্ষ্মীর মা-বাবা প্রথম অবস্থায় বুঝতে পারেন নি হায়দ্রাবাদের গিয়ে সে কোথায় উঠেছে। সীনু আর মহালক্ষ্মীর দুই পরিবারের মাঝে যখন দেখা-সাক্ষাৎ হয় তখন সেই গতানুগতিক ঝামেলা শুরু হয়।

এই ফিল্ম সেই সময়ে ইন্ডাস্ট্রি হিট হয়েছিল। 'ইন্ডাস্ট্রি হিট' হল সেই ফিল্ম যেটা কোনো ইন্ডাস্ট্রি তে বক্স অফিসের আগের সব ফিল্মের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলে। যেমন তেলুগু ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান ইন্ডাস্ট্রি হিট ফিল্ম হল বাহুবলী ২। যারা আমার মত দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে এবং হাম আপকে হে কৌনের অনেক বড় ফ্যান তারা এটি দেখতে পারেন, যেহেতু এই দুটো ফিল্ম থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে এই ফিল্ম বানানো। তবে এই দুটো ফিল্মের মত অত এক্সপেকটেশান রাখবেন না, তাহলে আশা করছি ভালো লাগবে। কাহিনী তো এই দুটোর সাথে কোনো মিল নেই বলেই দিয়েছি তবে এই দুটো ফিল্মের দুটো গানের থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে এই ফিল্মে দুটো গানের ভিডিও শ্যুট করা হয়েছে। একটা হল 'মেরে খাবোমে যো আয়ে' এর আদলে করা Greeku Veerudu এবং অন্যটি 'দিদি তেরা দেভার দিওয়ানা' এর আদলে করা Chup Chup Thara । এই দুটো গানের ভিডিও অনেকটা একই। তবে এই ফিল্মের সব থেকে যে গানটা আমার প্রিয় তা হল Yeto Vellipoyindi Manasu । এই ফিল্মটা প্রথম বার যখন দেখেছিলাম তখন থেকে অনেক দিন পর্যন্ত এটা আমার প্লে লিস্টে ছিল। এখনও মাঝে মাঝে শুনি। এই গানটা এতই ফেমাস যে ২০১২ সালে তেলুগুতে এই গানের নামে একটি ফিল্ম বানিয়েছিল।

এই ফিল্ম বেশ কতগুলো পুরস্কার পেয়েছিল। টাবুর জন্য এই বছরটা এসেছিল আশীর্বাদ হয়ে। এই বছর তার অভিনীত এই ফিল্মটি এবং Maachis দুটোই জাতীয় পুরস্কার পায়। আর নিন্নে পেলাদাতার জন্য সে প্রথমবার ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পায় এবং ম্যাচিস এর জন্য পায় শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার।

মুক্তির তারিখ ― ৪ অক্টোবর ১৯৯৬
ইন্ডাস্ট্রি ― তেলুগু
আইএমডিবি রেটিং ― ৭.৫/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ― ৭.৫/১০
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ― জাতীয় পুরস্কার (১টি), নন্দী পুরস্কার (২টি), ফিল্মফেয়ার (৩টি)
এইন্থুসান লিংক ― Ninne Pelladata







৩) Kadhal Kottai:

এই ফিল্মটি দেখে না থাকলেও অনেকে এর কাহিনী জানেন। সুরিয়া নামের একজন যুবক মাদ্রাজ থেকে রাজস্থানের জয়পুরে যাবার ট্রেনে কমলি নামের একটি মেয়ের হ্যান্ড ব্যাগ পায়। ব্যাগটিতে মেয়েটির সার্টিফিকেট এবং ঠিকানা থাকে। সে ব্যাগটি কুরিয়ার করে দেয় ওটি তে অর্থ্যাৎ মেয়েটির ঠিকানায়। অন্যদিকে কমলি এমনিতে বেকার জীবন নিয়ে অনেক ত্যক্ত-বিরক্ত। আর ব্যাগ ছিনতাইয়ের পর তার অনেক মন খারাপ। এমন অবস্থায় ব্যাগটি পেয়ে তার একটা বড় সমস্যার সমাধান চলে আসে। সুরিয়া আর কমলির মাঝে এরপরে অনেক চিঠির আদান-প্রদান হয়, কিন্তু তাদের দেখা হয় না। কমলি তাই সুরিয়াকে একটি সোয়েটার গিফট করে। তাদের যখন দেখা হবে সুরিয়া সোয়েটারটি পরে আসবে সেই জন্য। সেই সোয়েটারে কমলি একটি পদ্মফুল সেলাই করে দেয়। কমলি অর্থ পদ্ম কিনা।

বলেছিলাম না অনেকের পরিচিত এই কাহিনী। হ্যাঁ, হঠাৎ বৃষ্টি ছিল জাতীয় পুরষ্কার পাওয়া কাধাল কোট্টাই এর রিমেক। শুধু বাংলা তে নয় পরিচালক এটাকে হিন্দিতেও রিমেক করেন। এছাড়া কান্নাড়া রিমেকও আছে। পরিচালক আগাথিয়ান এই ফিল্মের গল্পটা নিজে লিখেছিলেন। তিনি পরে এই গল্পের একটি উপন্যাসও লিখেন যেটা ২০১০ সালে প্রকাশ পায়। এই ফিল্মের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজিত এবং দেবযানী। পরিচালক বসু চ্যাটার্জী তাদের নামের সাথে মিল রেখে হঠাৎ বৃষ্টির মূল চরিত্রের নাম রাখেন অজিত এবং দীপা। যাদের হঠাৎ বৃষ্টি অনেক পছন্দের তারা দেখতে পারেন অরিজিনাল ফিল্মটি কেমন ছিল।

মুক্তির তারিখ ― ১২ জুলাই ১৯৯৬
ইন্ডাস্ট্রি ― তামিল
আইএমডিবি রেটিং ― ৭.৬/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ― ৯/১০
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ― জাতীয় পুরস্কার (৩টি), তামিল নাড়ু স্টেট পুরস্কার (৫টি), ফিল্মফেয়ার (১টি)
ইউটিউব লিংক ― Kadhal Kottai




৪) Alaypayuthey:

কার্তিকের স্ত্রী শক্তি মিসিং হলে কার্তিক আর তার ফ্রেন্ডরা বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজ করে। অবশেষে তারা একটি হাসপাতালে তার খোঁজ পায়। রোড অ্যাক্সিডেন্টে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সে ভর্তি হয়। এরপরে ফ্ল্যাশব্যাকে পুরানো কাহিনী দেখাতে থাকে। শক্তি আর পুর্নি দুই বোন। কার্তিক একটি বিয়েতে শক্তিকে দেখে তাকে পছন্দ করতে শুরু করে। কিন্তু শক্তি আর কার্তিকের বাবা-মার মাঝে বনিবনা হয়না। তাই তারা এই সম্পর্ক আর আগায় না। কিন্তু পরে শক্তি আর কার্তিক মত পরিবর্তন করে। তারা গোপনে বিয়ে করে। শক্তির বড় বোন পুর্নি ছাড়া আর কেউ জানে না। সমস্যা শুরু হয় যখন শক্তি আর কার্তিকের ফ্যামিলি এই বিয়ে সম্পর্কে জেনে যায়। তাদের দুইজনকেই বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। শক্তি আর কার্তিক আলাদা নতুন জীবন শুরু করে। কিন্তু বিবাহিতে জীবনে তাদের নানা ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।

মনি রত্নমের ফিল্ম বরাবরই সুন্দর হয়। এই ফিল্মটি দুই বছর পর হিন্দিতে রিমেক করা হয় সাথিয়া নামে। সাথিয়াও ভালো তবে আমার কাছে অরিজিনাল তামিল ভার্সন বেশি ভালো লেগেছে। মিউজিক ডিরেক্টার ছিলেন এ আর রহমান। সেম গানের কম্পোজিশন আবার সাথিয়া তেও ব্যবহার করা হয়েছে। মাধবনের এটা প্রথম ফিল্ম ছিল, আর এই ফিল্মের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার বেস্ট ডেব্যু পুরস্কার পান। অন্যদিকে মূল অভিনেত্রী ছিলেন শালিনী। আমার অনেক পছন্দের একজন অভিনেত্রী তিনি। হাতে গোনা অল্প কয়েকটি ফিল্ম করেছেন শালিনী এবং তামিল অভিনেতা আজিত কুমারকে বিয়ে করার পর অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন। এই ফিল্মে অভিনয়ের জন্য তিনি তামিল নাড়ু স্টেট অ্যাওয়ার্ডে বিশেষ পুরস্কার লাভ করেন।

মুক্তির তারিখ ― ১৪ এপ্রিল ২০০০
ইন্ডাস্ট্রি - তামিল
আইএমডিবি রেটিং ― ৮.৩/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ― ৯/১০
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ― তামিল নাড়ু স্টেট পুরস্কার (২টি), ফিল্মফেয়ার (৩টি)
এইন্থুসান লিংক ― Alaypayuthey



*** এইন্থুসান থেকে ফিল্ম এমনিতে দেখা যায় আবার ডাউনলোডও করা যায়। এইন্থুসান থেকে ফিল্ম ডাউনলোড করে দেখতে চাইলে এই লিংকে ডাউনলোড করার টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন।


ছবি ঋণ - ইন্টারনেট

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:১১

শাহ আজিজ বলেছেন: ওয়েল ডান । ব্লগে বৈচিত্র্যতা আসুক ।




ভাল্লাগছে । শুধু কমল হাসানকে নিয়ে লিখুন ।

১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:২৩

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। :)
আপনার কমেন্ট মাথায় রাখবো। শুধু কমল হাসানের ফিল্ম নিয়ে লেখার চেষ্টা করবো।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:১৬

দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: ধন্যবাদ! einthusan এ অনেক গুলা হাইরেটেড দক্ষিণ ভারতীয় ছবি দেখা হয়েছে। তবে এই ক্লাসিকগুলার কথা জানা ছিলো না। দেখা জানাবো কেমন লেগেছে।

১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:২৫

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আচ্ছা দেখে জানাবেন কেমন লেগেছে। আপনিও কিছু পুরানো মুভি সাজেস্ট করতে পারেন আমাকে।
ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। :)

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:০২

অপু তানভীর বলেছেন: কমল হাসান আর নাগার্জুনের মুভি দুটো ছাত্র জীবনে দেখা । পোস্টে পুরানো দিনের কথা মনে করিয়ে দিল !
চমৎকার পোস্ট ।

১৪ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:১৭

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আমার পোস্ট আপনাকে পুরানো দিনের কথা মনে করিয়ে দিল জেনে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন। :)

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: সাউথ ইন্ডিয়ান মুভির ভক্ত আমি।

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৩১

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আমি সাউথের মালায়ালাম মুভির ভক্ত। তবে পুরানো তামিল, তেলুগু এবং কান্নাড়া ফিল্ম গুলোও ভালো আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.