নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ৈসয়দ আিমন

তুমি আর নেই.... সেই তুমি........

ৈসয়দ আিমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্ঞান পাগল এক বুড়ো ..................................

৩০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮

জ্ঞান পাগল এক বুড়ো বাড়ি থেকে বের হয়েছেন সকালে।সোজা চলে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের

গ্রন্থাগারে। এখন

যেটা ঢাকা মেডিকেল কলেজের

জরুরী বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের

শুরুর দিকে সেটিকেই

লাইব্রেরী হিসেবে ব্যবহার

করা হতো।





বই পাগল,

দাড়িওয়ালা,ছোটোখাটো বুড়ো লোকটি মোটা ফ্রেমের

চশমা পরে ধ্যানমগ্ন ঋষির

মতো ডুবে গেছেন মোটা মোটা সব বইয়ের

মধ্যে।সন্ধ্যা হয়ে গেছে অনেক আগে। লাইব্রেরীর কোণায় তখনো একমনে বই পড়ে চলেছেন বুড়ো। কখন যে বেলা শেষে দারোয়ান

তালা লাগিয়ে চলে গেছে!

তিনি তা খেয়ালই করেন নি! এদিকে বুড়োর বাড়িতে সবাই চিন্তায় অস্থির। চারদিকে অনেক খোঁজাখুজির পর রাত তিনটায় দারোয়ানকে সাথে নিয়ে লাইব্রেরির তালা খুলে বের করে আনা হলো বুড়োকে। বুড়োর তখনো সে কি আফসোস! "তোমাদের জন্য ঠিকমতো পড়তেও পারলাম না! আর একটুক্ষণ পড়লে কি এমন হতো? "

বুঝুন অবস্থা !

আত্মভোলা আর বইপাগল ঋষির

মতো লম্বা দাঁড়িওয়ালা এই

মানুষটি যতই আত্মভোলা হন না কেন,দেশ আর মাতৃভাষার সম্মানের দিকে ছিলো তাঁর তীক্ষ্ণ নজর। আর তাই তো পাকিস্তানিরা যখন চেয়েছিলো ভাষাকে রুদ্ধ

করে রেখে বাঙালীদের সবদিক

থেকেই পরাধীন করে রাখতে তিনি সাহসের সাথে বলে বসলেন, " আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন

সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য

আমরা বাঙালী।

এটি কোনো আদর্শের কথা নয়;

এটি একটি বাস্তব কথা।" শুধু তাই নয়, ১৯৫২ সালের

একুশে ফেব্রুয়ারি ছাত্রজনতার

মাঝে সশরীরে উপস্থিত

থেকে সবাইকে উদ্বুদ্ধও করেছিলেন

তিনি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়

অঙ্গনে পুলিশের হামলায় টিয়ার

গ্যাসের আঘাতে আহতও হয়েছিলেন।

বাংলা ভাষার প্রতি মমতা থেকে ১৯৪৮

সালে ঢাকার কার্জন হলে অনুষ্ঠিত

পূর্ববঙ্গ সম্মেলনে সেই বুড়োই প্রস্তাব করেছিলেন ‘বাংলা একাডেমী’ নামটির। সেই বুড়ো আরো বুড়ো হলেন, হাসপাতালে ভর্তি হলেন,

তখন ডান হাতের লেখার

শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। খুব

দুঃখের সঙ্গে বললেন,

‘ভালো হয়ে নিই, বাম হাতে লেখার

অভ্যাস করবো’। ডান হাতের শক্তি তিনি ফিরে পাননি কিন্তু কিছুটা ভালো হতেই মৃত্যুর আগের কয়েকটি দিন বাম হাতেই লিখে গেছেন তাঁর লেখালেখি। দেশপ্রেমিক আর

মনেপ্রাণে বাঙালী

আজীবন উদ্যমী এই

মানুষটি আর কেউ নন,তিনি হলেন বহুভাষাবিদ ড.

মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি ভাষা জানতেন মোট ২২ টি,কিন্তু কেউ যদি তাকে প্রশ্ন করতো ,আপনি কয়টি ভাষা জানেন? তিনি হাসতে হাসতেই উত্তর দিতেন, আমি কেবল বাংলা ভাষাটাই জানি!



স্ট্যাটাসটি সকল রেডিও জকি ভাই -বোনদের উৎসর্গ করতে গিয়েও করলাম না। তারচেয়ে সবার প্রতি অনুরোধ,আসুন বাংলাকে নিয়ে গর্ব করি,বাংলাতে বাঁচি,বাংলাকে ভালোবাসি ...

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সবার প্রতি অনুরোধ,আসুন বাংলাকে নিয়ে গর্ব করি,বাংলাতে বাঁচি,বাংলাকে ভালোবাসি ...

++++

২| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২

আিম এক যাযাবর বলেছেন: আসুন বাংলাকে নিয়ে গর্ব করি,বাংলাতে বাঁচি,বাংলাকে ভালোবাসি ...পোস্টে +++, আর এই মানুষটির প্রতি হাজার সালাম।

৩| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

কালোপরী বলেছেন: +++++++

৪| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

বটের ফল বলেছেন: ++++++++++++++++

স্ট্যাটাসটি সকল রেডিও জকি ভাই -বোনদের উৎসর্গ করতে গিয়েও করলাম না। তারচেয়ে সবার প্রতি অনুরোধ,আসুন বাংলাকে নিয়ে গর্ব করি,বাংলাতে বাঁচি,বাংলাকে ভালোবাসি ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.