নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহকারি শিক্ষক, সানারপাড় শেখ মোরতোজা আলী উচ্চ বিদ্যালয়। সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। এবং মাস্টার ট্রেইনারঃ টি কিউ আই-সেফ-২, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ।

সৈয়দ আনোয়ারুল হক

সহকারি শিক্ষক, সানারপাড় শেখ মোরতোজা আলী উচ্চ বিদ্যালয়। সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। এবং মাস্টার ট্রেইনারঃ টি কিউ আই-সেফ-২, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ।

সৈয়দ আনোয়ারুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিঙ্গাপোতার হাওড় ভ্রমণ

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪১

আমার ছোট ভায়রা এবং শ্যালক অর্থাৎ খুকীর(আমার স্ত্রী) খালাত ভাই এবং ছোট ভগ্নিপতি পল্লী বিদ্যুতের অফিসার শাহিন। তানিম-নাহিদ-সজিব গ্রুপকে আগেই বলে গিয়েছে তাদের বাড়িতে ঈদের পরে বেড়াতে। তাদের বাড়ি মোহনগঞ্জ হতে ৬ কিলোমিটার কুরশিমুল বাজারের সাথে শিয়াদার গ্রামে। এ গ্রামটি ঐতিহাসিক ‘ডিঙ্গাগাপোতা হাওড়’–এর পাড়ে। এই হাওড়টি বাংলাদেশের কয়েকটি বড় হাওড়ের মধ্যে অন্যতম। এখানে ১২ মাসেই প্রচুর মাছ ধরা হয়। এখান থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ঢাকায় রপ্তানি করা হয়। এছাড়া বরো ধান চাষের অন্যতম ক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত। হাওড়ে বেড়ানোর জন্য একটি বড় নৌকাসহ যা যা লাগবে তা শাহিন প্রস্তুত করে রেখেছে। হাওড়ে যাওয়ার কথাটা খুকী আমাকে আগের দিন জানিয়েছে । সে বলল, “ নাবিলা-নাদিয়(আমার দুই মেয়ে) ওদের সাথে হাওড়ে যেতে চায়।” আনি শুনেই থমকে উঠলাম এবং বললাম, “ওরা সাঁতার জানেনা, হাওড়ে যাওয়ার দরকার নেই।” এ কথা শুনে আমার দুই কন্যা খুব মন খারাপ করল। আমি চিন্তায় পরে গেলাম, কী করব বুঝতে পারছিলাম না। কিছুক্ষণ পর সবাই মিলে আমাকে ধরল, আমাদের সাথে আপনারা সবাই চলেন। পরে চিন্তা করলাম আমরাসহ ছোট-বড় মিলে ২৫ জন যাবে । অর্ধেকেই সাঁতার জানেনা, যে কোন ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি যাবো বলে মতামত দেয়ার পর সবাই খুশি হলো। সিদ্ধান্ত হলো ট্রেনে যাবো মোহনগঞ্জ। পরের ৬ মাইল যাবো রিক্সা,অটোরিক্সা অথবা টমটমে।
পরের দিন সকাল ৭টায় নেত্রকোণা বড় স্টেশনে গেলাম সবাই । আমি এবং মুকুল ভাই(আমার স্ত্রীর বড় ভাই) ৮টাকা করে সবার জন্য টিকেট করলাম। ট্রেন আসতে আধা ঘণ্টা দেরি, এর মধ্যে চা-বিস্কুট খেয়ে সবাই হাল্কা নাস্তা সেরে নিলাম । ট্রেনের শব্দ শুনে প্রচন্ড ভির ঠেলে লাইনের পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম।

অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই হাওড় এক্সপ্রেস(ঢাকা-মোহনগঞ্জ)
দেখে অবাক হলাম, মনে হল বন্যার পানিতে যেমন খড়কুটু ধরে পিঁপড়ার চাক্কা ভেসে আসে, ঠিক তেমনি অসংখ্য মানুষ ঝুলে থাকা একটি মানুষের চাক্কা প্লাটফরমের দিকে ধীর গতিতে এগিয়ে আসছে। যারা ট্রেন থেকে নামছে তাদের ধাক্কায় আমরা প্রায় ১০ ফুট পিছনে চলে গিয়েছি। এর পর আমার দুই কন্যাকে সেভ করে প্রচণ্ড ভীর ঠেলে উঠতে দম প্রায় যায় যায়। অন্যরা কে কোথায় উঠেছে কিছুই বলতে পারিনা। কোনমতে একপায়ে দাঁড়িয়ে রইলাম । ফোন করে জানতে পারলাম সবাই ট্রেনে উঠেছে। হঠাৎ করে দেখি দরজার পাশে এক ফকির বেটী মুকুল ভাইকে লাঠি দিয়ে পিঠের মধ্যে পিঠাছে আর চিৎকার করছে। আমি কিছুই বুঝতে না পেরে মুকুল ভাইকে এদিকে আসতে বললাম। তিনি প্রচণ্ড ভীর ঠেলে আমার কাছে আসলেন।
ঘটনাটি জানতে পারলাম ফকির বেটীর পায়ে পারা দেয়াতে তাঁকে লাঠী দিয়ে পিঠিয়েছে। ঘটনাটি শুনে কিছুক্ষণ হাসলাম। একটু পরে মুকুল ভাই বলল, “অদিত(মুকুল ভাইয়ের ছেলে) কোথায়? ওকে তো পাওয়া যাচ্ছে না।” আমি পাওয়া যাবে বলে শান্তনা দিলাম। পরে ভাবী ফোন দিয়ে বলল, অদিতকে পাওয়া গেছে, অন্য বগীতে তার ফুফাতো ভাইয়ের সাথে উঠেছে।
অন্য দিকে প্রচণ্ড ভীরে ও গরমে তানিমসহ ৫ জন ঠাকুরাকোণা স্টেশনে নেমে বেবিটেক্সি দিয়ে মোহনগঞ্জ চলে গেছে। বারহাট্টা স্টেশনে প্রায় অর্ধেক যাত্রী নেমে যাওয়ায় সবাই বসার সুযোগ পেয়েছি। নাদিয়া আমার পাশে বসেছে। গান গেয়ে ভিক্ষা করছে এক অন্ধ,গান শুনে নাদিয়া লোকটিকে ডাকতে বলল, আমি অন্ধকে ডেকে কাছে আনলাম । এখানে দাঁড়িয়ে দরদভরা কণ্ঠে দুটি গান গাইল। আমি খুশি হয়ে অন্ধটিকে চার টাকা দিলাম,নাদিয়া আরও দু’টাকা দিল,আরও অনেকেই টাকা দিল। গান শুনতে শুনতে গাড়ি মোহনগঞ্জ স্টেশনে চলে আসল।
ট্রেনে থেকে নামতে গিয়ে একটা বড় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যে সকল যাত্রী ট্রেনে উঠবে তারা সীট দখলের মারাত্মক প্রতিযোগিতা শুরু করে দিয়েছে। পুরুষ মহিলাসহ বানরের মত জানালা দিয়ে লাফিয়ে উঠতে শুরু করেছে । আর দরজা দিয়ে বাঁধভাঙ্গা স্রোতের মত মানুষ ভিতরে ঢুকছে । আমি অবশ্য দুই কন্যাকে নিয়ে আগে থেকেই নামার জন্য দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। আর কোন যাত্রী নামতে পারছেনা শুধু চিৎকার করছে। হঠাৎ দেখি দুইজন জিআরপি ফ্ল্যাটফর্মে হাঁটছে । আমি বললাম, “ভাই প্লিজ হেলপ করেন, মহিলা ও বাচ্চারা আটকা পড়েছে, নামতে পারছে না।” বলার সাথে সাথে ওরা এলোপাতাড়ি কয়েকটা বেত মারলো মুহূর্তের মধ্যে ফাঁকা হয়ে গেল দরজা । পুলিশের অভিযান দেখে এ দরজা দিয়ে আর কেউ উঠছে না সবাই আরামে নেমে গেল।
আমরা সবাই এক জায়গায় জড় হয়ার পর গুনে দেখলাম ২৫ জন আছে। একটু সামনে গিয়ে অটো রিক্সা পেলাম। চারটি অটো রিক্সা নিয়ে ২৫ জন চড়লাম । বাজারে গিয়ে চালককে বললাম,“ভাল মিষ্টির দোকানে রিক্সা থামাবে।” একটু যাওয়ার পর মিষ্টির দোকানে রিক্সা থামল, ৪ কেজি মিষ্টি ও এক কেজি নিমকি নিলাম। নাহিদ আগেই বলেছিল সে ফল নিবে, তাই আমি আর ফল কিনলাম না। রাস্তা তেমন ভাল ছিল না , প্রচন্ড ঝাঁকির মধ্যেও আধা ঘণ্টায় চলে গেলাম শিয়াদার । তখন ঘরিতে বাজে সকাল ১০টা। শাহিনের বাড়িতে ১০ মিনিট বিশ্রাম নেয়ার পর আপ্যায়ন করলঃ সরবত, গ্রামের পিঠা-পুলি,মিষ্টি ও আম।
শাহিনের ছোট ভাই আকিক এসে বলল, “দুলাভাই সব রেডি,চলেন নৌকায় উঠি।” তখন ছিল প্রচণ্ড রোদ। আকিককে জিজ্ঞাসা করলাম, “নৌকায় ছই আছে?” সে বলল,“না দুলাভাই,তবে আমি ত্রিপল দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম,কিন্তু বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে যায়।” রোদের কথা চিন্তা করে আকিকের কাছ থেকে একটি ছাতা নিলাম। এ সময় হাওড়ে পানি কম থাকায় নৌকা অনেকটা দূরে ছিল। নোঙ্গর ফেলেছে পানিতেই । হাঁটু পানির উপরে গিয়ে নৌকায় উঠতে হয়েছে। ছোটদেরকে কোলে করে এবং মহিলাদেরকে হাত ধরে টেনে নৌকায় উঠাতে হয়েছে।

সবাই নৌকায় উঠছে

নৌকা ছাড়ার প্রস্তুতি চলছে
নৌকাটি বেশ বড়, প্রায় আশি জনের মত লোক উঠতে পারবে। আমরা ২৫ জন ও শাহিন সহ তাদের বাড়ির আরও ছিল ৮ জন, মোট ৩৩ জন লোক,তাই ভয়ের কোন কারণ ছিল না । শাহিনের চাচাত ভাই কেরুল ও ঋষি আমাদের সাথে ছিল। কেরুল তার গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক । সে এলাকার জনপ্রিয় নেতাও বটে। অভিজ্ঞ লোক হিসাবে সে হাওড়ে বেড়ানোর নেতৃত্বের দায়িত্ব নিয়েছে।

দায়িত্বে যারা ছিল। কেরুল,শাহীন, ঋষি ও সারেং।
আমরা হাওড়ের উত্তর কিনারা থেকে নৌকায় উঠলাম। দক্ষিণ কিনারার দিকে তাকিয়ে ধুধু পানি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলাম না।
ইঞ্জিন চালু দিয়ে নৌকা দক্ষিণ দিকে ছাড়ল। সারেং আমাদেরকে হাওড়ে যাওয়ার নিয়ম-কানুন বুঝিয়ে দিল। দেড় ঘণ্টা ট্রলারে যাওয়ার

হাওড়ের একেবারে মাঝখানে।
পর হাওড়ের মাঝখানে গেলাম । এর মাঝখানের দৃশ্য ছিল অত্যন্ত মনোরম। চতুর্দিকের দেখে মনে হচ্ছিল গ্রামগুলো পানির মধ্য ভাসছে। উত্তর দিকে তাকিয়ে দেখি আরো চমৎকার দৃশ্য। পানিতে ভাসমান গ্রাম, তার পাশে ভারতের নীল পাহাড়ের গায়ে ভাসছে সাদা মেঘ,আকাশে উড়ছে অসংখ্য গাংচিল, মাঝে মাঝে পানি থেকে ছোঁ মেরে মাছ ধরে নিয়ে যাছে গাংচিল । এমন মনকাড়া দৃশ্য বর্ণনা করার ভাষা আমার নেই।

শরতের আকাশের সাথে হাওড়ের মিতালি।

পানির উপরে চিল উড়ছে।
পানির মধ্যে পানককৌড়ি সহ নাম না জানা অন্যান্য হাঁস জাতীয় পাখির মাছ ধরার দৃশ্য এখনো স্মৃতিপটে আঁকা আছে। আরো একঘণ্টা যাওয়ার পর প্রায় হাওড়ের দক্ষিণ কিনারে চলে আসলাম। এখন সাঁতারের পালা , কেরুল বলল, “কম পানি যেখানে আছে সেখানে সাঁতার কাটতে হবে।” তার কথামত সারেং নোঙ্গর ফেলল। যে জায়গাটিতে আমরা নামলাম সেখানে কোমর পানি, হাঁটু পানি,বুক পানি। আমরা যারা সাঁতার জানি তারা একটু গভীরে গিয়ে সাঁতার কেটেছি। পরিষ্কার পানিতে হাল্কা স্রোত এবং পানি কুসুম গরম থাকায় সাঁতরনোর মজাই ছিল অন্য রকম। তবে শাহিন,আকিক,কেরুল,ঋষি ও সারেং সারাক্ষণ সতর্ক দৃষ্টি রাখছিল আমাদের দিকে যাতে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে না পারে। এর মধ্যেও অদিত একটু গভীরে যাওয়ায় ডুবে যাচ্ছিল, তার বাবা দেখে তাকে ধরে ফেলল। আমরা কিন্তু যার যার সন্তানদের চোখে চোখে রাখছিলাম। এতক্ষণ যে বর্ণনা দিয়েছি তার অধিকাংশই ক্যামেরা বন্দী হয়েছে ভিডিও এবং ছবিতে । প্রায় আধা ঘণ্টা সাঁতরানোর পর নেতার কথামত সবাই ট্রলারে উঠে পরলাম।

প্রথম সাঁতারের দৃশ্য
এখন সিদ্ধান্ত হলো আরও দক্ষিণে লেইপসা বাজার পর্যন্ত যাবো। এটি মোহনগঞ্জ থানা ছাড়িয়ে খালিয়াজুড়ি থানায় পড়েছে। আমরা এখন ডিঙ্গাপতার হাওড় ছাড়িয়ে সুরমা ও মেঘনা নদীর দুটি শাখা নদীর মিলিত শাখা নদী মেঘনা নদী দিয়ে দক্ষিণ দিকে ল্যাইপসা বাজারে পৌছেছি। নদীটি দেখে মনে হলো এটি একটি বড় বাণিজ্যিক নৌপথ ।

মেঘনা নদীতে কার্গু চলে যাচ্ছে সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে।
কিছুক্ষণের মধ্যে দেখতে পেলাম কয়েকটি বড় বড় মাল বোঝাই কার্গো আসা-যাওয়া করেছে। বাজার পর্যন্ত আসতে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগল। এখন প্রচণ্ড ক্ষুধা লেগেছে। আমার শ্যালিকা লাকী বলল, “দুলাভাই পিঠা খান।” গোগ্রাসে দুটি পোয়াপিঠা খেলাম।

নদীর পাড়ে লেইফসা বাজার।
নাদিয়া বাজারে যেতে চাইলো।তাকে বাজারে নিয়ে তার পছন্দমত ১০টি চিপস কিনে দিলাম। ট্রলারে গিয়ে নিজে একটি রেখে বাকীগুলো অন্য বাচ্চাদের দিয়ে দিল। একটু পরে সজিব বাজার থেকে দৌড়ে এসে বলল, “দুইশ টাকা দেন ফুফা,আমার কাছে এক হাজার টাকার নোট, ভাঙ্গানো যাচ্ছে না।” আমি পকেটে হাত দিয়ে খুচরা একশ টাকার একটি নোট পেলাম তাই দিলাম। এর পর দেখি আকীক এক ছড়ি পাকা চাম্পা কলা ও অনেকগুলো বাটারবন, পাউরুটি,বিস্কুটের প্যাকেট নিয়ে আসল । শিশু ও মহিলারা এগুলো দিয়ে নাস্তা করে বাকীগুলো রেখে দিল মাঝিদের জন্য।
এখানে দুপুর দু’টা বেজে গেল। সবাইকে গুণে গুণে ৩৩ জন ট্রলারে উঠলাম। আগের চেয়ে ইঞ্জিনের গতি আরও বাড়িয়ে বাড়ির দিকে রওনা করলাম । সবাই আবদার করলো আবার সাঁতরাবে । নেতা অনুমতি দিল এবং আগের জায়গায় আবার সবাই সাঁতরালাম । এখন মাত্র ১৫ মিনিট সাঁতার চলল।

দ্বিতীয়বার সাঁতারের দৃশ্য।
আবার কাউন্ট করে সবাই ট্রলারে উঠালাম । এখন অনুভুতি,অভিজ্ঞতা,কার কেমন লাগল,ফটোসেশন,ভিডিও ইত্যাদি করতে করতে হাওড়ের উত্তর পাড়ে চলে গেলাম। নৌকা নোঙ্গর ফেলল।
সবাই বাড়িতে গিয়ে দেখি মহা আয়োজনে খাবার প্রস্তুত। খাবার শেষে দেখি প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এলো। প্রচণ্ড গরমে এতগুলো মানুষ নিয়ে থাকা সম্ভব হবেনা । আমার ও শাহিনের পরিবার ছাড়া বাকী সবাই তাড়াহুড়ো করে চলে গেল। তারা কেউ গেলো বাসে এবং কেউ গেলো অটো রিক্সায় । শাহিন আমাকে বলল, “আমিও চলে যাবো দুলাভাই।” শুনে ভালই লাগল,আমরাও বেরিয়ে পরলাম। বাজারে গিয়ে দেখি টমটম ছাড়া আর কিছুই নেই। আমরা ৮ জন,একটি টমটম রিজার্ভ করে নিলাম। ৪০ মিনিটের মধ্যে মোহনগঞ্জ চলে এলাম।
আমরা জানি সন্ধ্যা ৭টার পর মোহনগঞ্জ থেকে নেত্রকোণা কোন ট্রেন যায় না। সারাসরি বাসস্ট্যান্ড চলে গেলাম। টিকেট কাউন্টারে গিয়ে জানলাম গাড়ি ছাড়তে ২৫ মিনিট বাকী। এর মধ্যে হালকা চা-নাস্তা সেরে নিলাম। বাস ছাড়ার সময় হলে বাসে উঠে পরলাম । বাসে যাত্রী কম থাকায়, অর্ধেক সীট খালি ছিল।
গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছিল।হিমেল হাওয়া জানালা দিয়ে ঢুকছে। দূরের গ্রামগুলো দেখা যাচ্ছে,টিমটিম বাতি জ্বলছে। রাতের এ মনোরম দৃশ্য অবলোকন করে কিছুক্ষণের জন্য স্মৃতির পাতায় চলে গিয়েছিলাম। প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে নেত্রকোণা চলে গেলাম।বাসায় গিয়ে খুঁজ-খবর নিলাম,ঠিকমত সবাই এসেছে কি না।কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে গোসল করে ফ্রেস হয়ে আসলাম। রাতের খাবার সেরে হাওড় বিলাসের অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করলাম।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ট্রেনের যে ছবিটি দিয়েছেন তা কি আপনার তোলা? মানে যেদিনের কথা বলছেন, সেদিনেরই ??

২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৩১

সৈয়দ আনোয়ারুল হক বলেছেন: না ভাই, এটি গুগল থেকে নেয়া। বাকী ছবিগুলো আমাদের তোলা। বুঝতে পারার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুন অভিজ্ঞতা :)

৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

সৈয়দ আনোয়ারুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ, মনিরা সুলতানা।

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:৫৭

মাদিহা মৌ বলেছেন: চমৎকার

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

সৈয়দ আনোয়ারুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ, মাদিহা মৌ। মন্তব্যের জন্য।

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

আপনার আপন বলেছেন: 3pl like

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.