![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সহকারি শিক্ষক, সানারপাড় শেখ মোরতোজা আলী উচ্চ বিদ্যালয়। সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। এবং মাস্টার ট্রেইনারঃ টি কিউ আই-সেফ-২, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ।
শিক্ষার প্রকৃত অর্থ কি? জানিনা অনেকেই আমরা।
শিক্ষার মানে আসলে কি? প্রথমেই জেনে নিন তা,
পরে আসেন জ্ঞান বিতরণে, তাহলেই সফল শিক্ষা।
পরীক্ষায় ভাল নম্বর, ভাল ফলাফল নয় সফলতা।
পাখির মত মুখস্ত বিদ্যা, জোয়ারের পানির মত।
ক্ষণিকের জন্য মুখস্ত কথা অনুর্বর করে মাথা।
শিক্ষার্থী হারিয়ে ফেলে জ্ঞান অর্জনের দক্ষতা,
শিক্ষকের করা উচিত সুপ্ত গুণাবলী বিকাশে সহায়তা।
গুরুর আসল কাজ শিক্ষায় উৎসাহ জাগিয়ে তোলা,
তাঁর কাজ নয় শিক্ষা বিতরণ করা।
সক্রেটিসের ভাষায়,
“শিক্ষা হল মিথ্যার অপনোদন ও সত্যের বিকাশ।”
এরিস্টটল বলেন,
“সুস্থ দেহে সুস্থ মন তৈরি করাই হল আসল শিক্ষা।”
রবী ঠাকুরের কথায়, “মনুষ্যত্বের শিক্ষাটাই চরম শিক্ষা
আর সমস্তই তার অধীন।” এ ছাড়াও বলেছেন,
“শিক্ষা হল তাই যা কেবল তথ্য পরিবেশনই করে না
বিশ্বসত্তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে জীবনকে গড়ে তোলে।
পৃথিবীর বিখ্যাত শিক্ষাবিদরা যে সব সংজ্ঞা দিয়েছেন
তার আলোকে বলা যায়,
শিক্ষার প্রথম কাজ হলো কৌতূহল জাগিয়ে তোলা,
আর হলো ভাবনার জগতের সাথে একাত্ম করে দেয়া।
এর পর বলা যায় সুখের জন্য বুদ্ধির বিকাশ ঘটানো
শিক্ষা দানের কথা বলতে গেলে বলা যায় যে,
“মাঝারি মানের শিক্ষক বলেন, ভাল শিক্ষক বুঝিয়ে দেন,
শ্রেষ্ঠ শিক্ষক করে দেখান। মহান শিক্ষক অনুপ্রাণিত করেন।”
মুখস্ত শিক্ষা সহজেই ভুলে যায়, কৌতুহল জাগিয়ে তুললে
যতদিন বাঁচবে ততদিন শিক্ষা চালিয়েই যাবে এটাই সত্য।
জাতিসংঘের ভাষায় শিক্ষা হল-
ব্যক্তিত্ব,মেধা, মানসিক শক্তি, শারীরিক সামর্থের বিকাশ।
এ ছাড়া মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার, পিতা-মাতার প্রতি
শ্রদ্ধাবোধের বিকাশ ।
নিজস্ব সাংস্কৃতিক সত্তা, ভাষা, মূল্যবোধ, মাতৃভূমির প্রতি
শ্রদ্ধাবোধের বিকাশ।
অপরাপর সভ্যতা, প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ,
সমঝোতা, শান্তি, সহিষ্ণুতা, নারী-পুরুষের সমানাধিকার,
জাতি,ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে মৈত্রীর চেতনা গড়া,
তার আলোকে দায়িত্বশীল জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা ।
এত নিয়মের তোয়াক্কা না করে আমাদের কাজ হল-
বেশি নম্বর কীভাবে পাওয়া যায় তার পিছনে দৌড়া।
শিক্ষার্থীকে দিতে হবে প্রচুর গাইড বই, কোচিং, প্রাইভেট পড়া।
ফলাফলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে এখন সরকার ও প্রতিষ্ঠান।
কেন্দ্র সচিব নির্দেশ দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান গণকে,
পরীক্ষার হলে এমন শিক্ষক পাঠাবেন না যে পাহারা দেন কড়া,
পাঠাবেন এমন শিক্ষক গণিত, ইংরেজি বলে দিতে পারেন যারা,
কিছু শিক্ষক তৈরী রাখবেন বিষয় ভিত্তিক সমাধানের তরে।
কমিটির নির্দেশে সকলকে পাস করাতে হবে যাতে বেতন বাড়ে।
শিক্ষার্থীরা ভাবে, সহজে এ প্লাস পেলে কী দরকার এত বেশি পড়ে,
চিন্তা নাই যদি স্যারেরা দিয়ে যান নৈর্ব্যক্তিকের সমাধান করে।
এভাবে চলতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে দেশ, জাতি, সমাজ
মেধাশূন্য হয়ে ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাবে।
সময় থাকতে সবাইকে আসতে হবে এগিয়ে এ সমস্যার সমাধানে।
জাতির মেরুদন্ড শক্তিশালী করতে বদলাতে হবে এসব কুকর্ম।
আলোকিত দেশ গড়তে সঠিক শিক্ষায় আলোকিত করতে হবে জাতিকে।
এর আগে গড়তে হবে নীতিবান, আদর্শ, দেশ প্রেমিক আলোকিত শিক্ষক।
দেশের সকল স্তরের শিক্ষাকে করতে হবে জাতীয়করণ।
শিক্ষায় থাকবে না অন্য কোন ধরণ, একই নিয়ম একই নীতি সর্বস্তরে।
তাহলেই শিক্ষিত দেশ প্রেমিক সৃষ্টি হবে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে।
থাকবে না নেশাখোর, সন্ত্রাস, দুর্নীতিবাজ, জঙ্গীবাদ বাংলার কোন ঘরে।
তবেই শান্তি পাবে বঙ্গমাতা, শান্তি ফিরে আসবে বাংলার প্রতিটি সংসারে।
©somewhere in net ltd.