নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কালো রুমাল দু\'চোখে বেঁধে জীবনের রেলগাড়ির কামরায় বসা অস্থির এক রেলযাত্রী...

তাহ্ফীর সাকিন

আমি বিধাতার রঙে আঁকা এক স্পষ্ট ছবি,আমি তাঁরই কবিতা।

তাহ্ফীর সাকিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্যা ওয়ে আই লুক এট লাইফ !

০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩




ফ্যামিলিঃ
- ফ্যামিলিটা একটা মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন জায়গা । আজকে আমি যদি মারা যাই,সবার আগে কারা আসবে ? ফ্যামিলি । হয়তবা আমার যেই কাছের কোন আত্মীয়ের সাথে আমি কখনোই ঠিক মত কথা বলি না, যেই আত্মীয়টা হয়তবা গরীব-যেখানে সোসাইটিতে সম্মানে বাঁধে “ ওমুক কি বলবে,তমুক কি বলবে ? এটা ভেবে “ কথা বলি নাই কখনোই। সেই গরীব লোকটাই কিন্তু সবার আগে আসতে পারে আমাকে দেখতে ! সেই লোকটাই আমার লাশের পাশে বসে হয়তবা কান্না করতে পারে,যেখানে আমার প্রতি তার গভীর ভালোবাসা ছিল ! যেটা আমি কখনোই বোঝার চেষ্টা করিনি আর শেষমেশ হয়েও ঊঠেনি। সেটা আমার ব্যর্থতা । ফ্যামিলির সেই ভালোবাসাটার মূল্যায়ন করা আমার উচিত।

বন্ধুত্বঃ
- আমি মারা যাবার পর খবর পেয়ে হয়তবা আমার কিছু কাছের বন্ধুরা আসবে ! নাও আসতে পারে ! যদি রাতে মারা যাই হয়তবা চিন্তা করতে পারে থাক কাল সকালে গিয়ে দেখে আসব, না থাক আর যাবই না-“ এমনিতেই বাবুর স্কুলে কাল পরীক্ষা, আমাদের কাল বিবাহ বার্ষিকী- একটু সকাল সকাল বের হব, ওকে নিয়ে কত্ত কাজ,আরো কত কাজ “ । অন্যদিকে আসতেও পারে ! একটা সাংসারিক জীবনে গেলে বন্ধুত্বটার ভালোবাসাগুলো একেক জনের বেলায় একেক ভাবে বদলায়। সেটা আমার থিংকিং । মরে যাবার পরে আমাকে দেখতে আসবে বলে নয়-জীবনের খুশির মুহুর্ত, কষ্টের মুহুর্ত, মোটিভেশন হবার মূহুর্তগুলোতে কিছু কাছের বন্ধুর প্রয়োজন। একটা সময় কিছু বন্ধু হারিয়ে যায়,কিছু রয়ে যায় আর কিছু মরে যায়-এটাই স্বাভাবিক।

রাগঃ
- ছোটবেলার রাগগুলো কেমন ছিল ? একটু আবদার মেশানো । মা হাত বুলিয়ে আদর করে দিলেই রাগ শেষ। কৈশোরে কেমন ছিল ? সেটাতেও ইচ্ছের আবদার। ইচ্ছে পূরণ করে মা হাত বুলিয়ে দিলেই রাগ শেষ । মানুষগুলো যখন ম্যাচিউর হতে শিখে তখন কেমন ? তখন মা মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে কখনোই সেই রাগ চলে যায় না। নিজের সম্মানবোধে আঘাত করে, জীবনে কিছুই পেলাম না থিংকিং গ্রো আপ করে, আমার সাথেই কেন এমন হবে-এই ধারণা গ্রো আপ করে ? হয়তবা! সেই রাগটা ভয়ানক হয়। একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক হোক, ভালোবাসার সম্পর্ক হোক বা অন্য কিছু হোক সবকিছু পায়ের তলায় পিষে ফেলে সেই রাগ। পজেটিভ থিংকিং খুব কম আসে সেসময় । কোন এক সময়, আমার এক বন্ধুর কাছে আমি ১০ মিনিট সময় চেয়েছিলাম কিছু কথা সামনাসামনি শেয়ার করব বলে! হ্যাঁ, কিছু কথা সামনাসামনি শেয়ার করলে হয়তবা অন্য রকম এক প্রশান্তি নিজের মধ্যে কাজ করে। কিন্তু আমার বন্ধু আমাকে সময় দেই নি। সে বলেছিল, আমি তার কাছে আবদার করছি ! দয়া চাচ্ছি , আমার ব্যথার জায়গাটা শেয়ার করার জন্য। আমার আর বন্ধুর থিংকিংটা পুরোই আলাদা ছিল। এখানে থিংকির ব্যাপারে হয়তবা ওর রাগ ছিল। হয়তবা ছিল না! যেটাই হোক,তখন হয়তবা আমারো রাগ হয়েছিল। তবে এটা নরমাল –পাকানোর কিছু নেই। আমি শুধু থিংকিং এর কথা বলছি। আমার কাছে সেসময় আমার বন্ধু পাশে থাকবে আমার কষ্টের সময়গুলোতে এরকমই থিংকিং ছিল। অন্যদিকে ওর হয়তবা কাজের চাপ ছিল তাই আর শেয়ার করা হয়নি । আমার কষ্টের মুহুর্তগুলো তখন আমার একাই স্বাভাবিক করতে হয়েছিল। একটু মনমালিন্য হতে পারে থিংকিং এর অমিল হবার অভাবে। তাই বলে রাগ চেপে বসে যাব সেটা উচিত নয়। সেটা হয়তবা হাস্যকর ! তাই রাগের উপশমের জন্য পজিটিভ থিংকিং দরকার ।

আইসিইউঃ
- ডাক্তার বলে দিল, আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যাব, আমার অবস্থা বেসম্ভব খারাপ। তখন কোন মুহুর্তগুলো আমি মনে করব ? জীবনের সেই মূহুর্তগুলোই যখন আমার কারণে,আমার একটু সেক্রিফাইসের কারনে আমার প্রিয় বন্ধু বা কোন অসহায় মানুষ হেসেছিল। আমি একটা মানুষের হাসি কিনতে পেরেছিলাম –সেটা টাকার বিনিময়ে নয় । একটা মানুষের হাসি কেনার সফল স্মৃতি মনে করে আমি পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে চাই...

বি-দ্রঃ বয়স বেশি হয়নি ঠিক তবে এতটুকু থিংকিং আমার । হয়তবা হাস্যকর,হয়তবা মোটিভেশনাল তবুও নিজের । আগামীতে হয়তবা আরো শিখব,ফেইস করার চেষ্টা করব। তবে পজিটিভ চিন্তা যেন সাথেই থাকে…

০২.০৭.১৬

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

রনি শেখ বলেছেন: ভাবনা

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১৩

অশ্রুকারিগর বলেছেন: জীবন নিয়ে মাঝে মধ্যে নিজের মত করে কিছু চিন্তা ভাবনা করা উচিত। এপ্রিশিয়েট করলাম।

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৭

বিপরীত বাক বলেছেন: হুমম।ঠিক।

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩০

তাহ্ফীর সাকিন বলেছেন: ধন্যবাদ..

৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: তবে পজিটিভ চিন্তা যেন সাথেই থাকে… - ভালো কথা। পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী, আত্মীয়- এদের সবার প্রতি যথাসাধ্য সদয় থাকা উচিত, এদেরপ প্রতি সহনশীল ও ক্ষমাশীল থাকা উচিত। নিজে ক্ষমা করতে জানলে অপরের কাছ থেকেও ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি লাভ করা যায়।

৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

তাহ্ফীর সাকিন বলেছেন: আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.