নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে কী বলা যেতে পারে? এ তো বড় চিন্তার বিষয়।

দ্য ইলিউশনিস্ট

তা্হসিন কামাল। ফেসবুক প্রোফাইলঃ https://www.facebook.com/tahsin4444

দ্য ইলিউশনিস্ট › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্পঃ শেষ ঠিকানা

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২




টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ। সাথে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে রয়েছে মৃদু বজ্রপাত। কালো মিশমিশে মেঘে ছেয়ে গেছে আকাশ। কেমন যেন একটা বিষাদের ছায়া পুরো শহরে। চারপাশে আলো আধারের খেলা।

আমি প্রকৃতির লীলাখেলা দেখছিলাম বারান্দায় দাঁড়িয়ে। এমন সময় আসমানি এসে চা দিয়ে গেল। কাপে ছোট ছোট চুমুক দিতে শুরু করলাম। ক্রমশই আমার ভেতরের অনুভূতি এবং বাহিরের এই অসাধারণ পরিবেশ এক সুতই বেধে বন্দী হচ্ছে। এক ঝাক মাতাল হাওয়া কড়া নেড়ে চলছে স্মৃতির জানালায়।

সবকিছু অনুভবের এতই গভীরে স্পর্শ করছিল, মনে হয় যেন কেউ একজন অত্যন্ত যত্নসহকারে রঙ তুলি দিয়ে জোছনার ফুল আঁকছে মনের ক্যানভাসে। একটা হালকা ধাচের রোমান্টিক গান ভূমিষ্ঠ করতে এর চেয়ে নিখুঁত সময় বোধহয় আমরা ৪ জনের ৪ টা জীবনে পাওয়া হবে না। আমার উদাসীন মন ডুব দিল কল্পনার সাগরে। আফসোস লাগতে শুরু করলো এমন চমৎকার মুহূর্তেও।



মাঝেমাঝে কিছু কনসার্টের ভিডিওতে দেখা যায় লক্ষ্য কোটি মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে একজন গীটারিস্ট সোলো বাজাচ্ছেন। ঠিক এরকম কিছু একটা করার স্বপ্ন আমার অনেক আগে থেকেই ছিল। আজকে ফিজিক্স বইটা নিয়ে কেবল পড়তে বসলাম। আমার আবার কিছু সমস্যা আছে। গান না শুনলে পড়ায় মন বসে না। পড়ছিলাম, গান শুনছিলাম। হঠাৎ একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটলো। আমি পড়ার টেবিল থেকে উঠে বারান্দায় চলে গেলাম গীটারটা নিয়ে। পড়তে ইচ্ছে করছে না।

যেই বাজাতে শুরু করবো, তখনই মা এসে ঠাস করে চড় মেরে বসলেন। সাথে সাথে আমি কিছু বুঝে উঠার আগে গীটারটা নিয়ে নিলেন। চিৎকার করে বাসায় রীতিমতো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করে দিলেন।

"কইদিন পর পরীক্ষা, আর হারামজাদা আছে সারাদিন রঙ তামাশায় ব্যস্ত। তোর গিটার যদি না ভাঙ্গি আমি শেখ আলির মেয়ে না। তোর আব্বা আজকে বাসায় আসুক!"

আমার মন খারাপ হলো একটু। হওয়ারই কথা। আবার কোন অঘটন ঘটিয়ে ফেলবে এই ভয়ে নিঃশব্দে পড়ার টেবিলে চলে গেলাম।

পড়ায় মনোযোগ বসছে না। যা জোর করে করতে হয়, যেখানে নিজের ইচ্ছের স্বাধীনতা থাকে না, তা করে কি লাভ আজও বুঝে উঠতে পারলাম না। পড়ালেখার সিস্টেমটা কি এমন হওয়া উচিৎ ছিল না, যার মাধ্যমে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানো যায়?


তারা আমার চোখের সামনে পুড়িয়ে ফেললো আমার লিরিক্স লেখার খাতা আর আমার স্বপ্নের কেন্দ্রবিন্দু,গীটারটা। আগুন জ্বলছে। আগুনের আলোয় আবছা দেখা যাচ্ছে বাবার হিংস্র চেহারা।

নির্বাক দাড়িয়ে আমার স্বপ্নের পুড়ে যাওয়া দেখতে দেখতে হঠাৎ স্থবির হয়ে গেল বুকের ভেতরটা। নিস্তব্ধতা। হাহাকার। কি যেন চিরতরে হারিয়ে ফেলার বেদনা।



বেশ কিছুদিন কেটে গেল সেদিনের পর। মা বাবার সাথে প্রয়োজনের বাইরে কোন কথাবার্তা বলা হয়নি এরপর থেকে। তারা প্রশ্ন করেছে, আমি উত্তর দিয়েছি এটুকুই। মাথায় এলোমেলো সব চিন্তাভাবনার ঘুড়তে থাকে আজকাল। ঠিক গুছিয়ে নেয়া হচ্ছে না খন্ড খন্ড ভাবনা গুলো কোথায় এসে দাঁড়াতে পারে, শেষ ফলাফলটা কি। এতটুক বুঝতে পারছিলাম, খুব বড় কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যে। শুধুই একটু সময়ের প্রয়োজন।

জীবনে পেছনের অধ্যায়ে পড়ে থাকলে, সামনে আগানো হবে না। আমার স্বপ্ন পূরণ হবে না। অন্যান্য দশ বিশটা ছেলের মতো আমারও একজন ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হয়েই কাটিয়ে দিতে সময়টা। মানুষ চিনবে না আমাকে। মৃত্যুর পর কেউ মনেও রাখবে না আমার কথা। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হলে হয়তো জীবনটা খুব একটা দুঃখে কাটবে না। কিন্তু আমি তো এমন কিছু হতে চাই যে কাজে আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করতে হবে না। এমন কিছু সৃষ্টি করে যেতে চাই যা প্রতিটি মুহূর্তে পৃথিবীর কোন না কোন প্রান্তের একজন মানুষকে হলেও আমার কথা মনে করিয়ে দেবে তখনও, যখন আমার অস্তিত্ব এই পৃথিবী থাকবে না। আফসোস করতে করতে তারা হইতো ভাববে, "মানুষটার আরো কিছুদিন বেঁচে থাকা দরকার ছিল।"

এভাবে আমার স্বপ্নকে কারো হাতে নিজের চোখের সামনে গলা টিপে হত্যা করতে দিতে পারি না আমি। মনস্থির করলাম অবশেষে। বন্দী থেকে পোলাও বিরিয়ানি খাওয়ার দরকার নেই। স্বাধীন থেকে সাদা ভাত, ডাল পেলেই চলবে।



ছোট ভাইয়ের রুমে গেলাম। কেমন অসহায় দৃষ্টিতে দেখছে সে আমাকে। ছোট বোনটাও ছিল তার পাশে। পিচ্চিটা বেশ আদর হচ্ছে দিন দিন। আমাকে দেখা মাত্র অদ্ভুত মায়াভরা কন্ঠে বললো, "ভাইয়া তুমার মন ভাল হইশে?"

রুমে চলে এলাম। ব্যাগে সবকিছু ঢোকানো শেষ। তবু কেবল মনে হচ্ছে কি যেন বাকি থেকে গেল। কি যেন নেয়া হয়নি।

নতুন এবং ভিন্ন এক জীবনের পথে পা দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত নাকি জানি না। যা হওয়ার হবে। সমস্যা নেই।

জিনিসপত্র বেশি কিছু না। একটা ব্যাগ শুধুই। ব্যাগে কাপড়চোপড় আর কিছু টাকা পয়শা। নিচে নামলান। দারোয়ান বসে বসে ঝিমুচ্ছে। গেইট থেকে বেড় হয়ে হেটে চললাম ধীরগতিতে। একটু সামনে যেতেই, দিলাম দৌড়। যতক্ষণ পর্যন্ত পারা যায়, দৌড়ে গেলাম নিজের সবটুকু দিয়ে। তারপর থামলাম হাপাতে হাপাতে।

অদ্ভুত সব অনুভূতি। যেন প্রথমবার এমন অনুভূতি অনুভবের সংস্পর্শে এলো। ভাবতেও অবাক লাগছে জীবনে এখন আর কোন বাধা নেই। আমি কি আসলেই বাস্তবতায় আছি নাকি এসবকিছুই স্বপ্ন? একটু পরে কি ঘুম ভেঙ্গে আবার সেই নিত্যদিনের যান্ত্রিক রুটিনে আবদ্ধ হতে হবে? এই একটা সিদ্ধান্ত না নিতে পারায়, এতদিন বন্দী ছিলাম বাবা মার গড়া নিয়ম নীতির কারাগারে? শুধু এই একটা সিদ্ধান্তের জন্য ধ্বংস হতে যাচ্ছিলো আমার স্বপ্ন?

হাপাতে হাপাতেই দৌড়াতে শুরু করলাম আবার। যতটা পারি দূরে সরে যেতে চাই মা বাবার কাছ থেকে। কি অদ্ভুত। এতিম শিশুরা মা বাবার জন্য সারাটা জীবন বেদনায় ভুগে। আর আমি কিনা তাদেরকে ফেলে দূরে সরে যাচ্ছি।



জীবন যেমন হবে ভেবেছিলাম ঠিক তেমন হল না। গ্রীষ্মের ঠা ঠা রোদ নিভিয়ে দেয়া বর্ষার প্রথম বৃষ্টির মত কিছু বুঝে উঠার আগেই হঠাৎ বদলে গেল জীবনের প্রেক্ষাপট।

কষ্ট হয়তো হবে। তবু আমি সুখে আছি আগের চেয়ে। জীবনের ধূসর রং গুলো স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। বহুদিন পর খাঁচায় বন্দী থাকা পাখির মুক্তি পেলে যেমন হয়।

প্রথম পদক্ষেপ জীবনকে যেভাবে চেয়েছিলাম, সেভাবে পাওয়ার পথে। এক এক করে গ্রহন করা জীবনে নিত্যনতুন ফুটে যাওয়া সব ফুল। মুক্তির ছোঁয়া, প্রতিটি স্পন্দনে। বেঁচে থাকা যত কষ্টই হোক না কেন, মনে হয় যেন জীবনে যা পাওয়ার ছিল সব পেয়ে গেলাম।

হ্যা, মুক্তির আনন্দটাই আসল। বাকি সব বিলাসিতা। না পেলেও খুব একটা সমস্যা বোধহয় হবে না। মুক্তির স্বাদ যখন একবার পেতে শুরু করেছি পরে সময় করে সবকিছু গুছিয়ে নেয়া যাবে নিজ হাতে। নিজের মতো করে বাঁচার সময়টা বোধহয় এসেই গেল। দিনশেষে কোন নদীর তীরে কিংবা কাক ডাকা ভোরে কোন মসজিদের মেঝেতে কিংবা ভয়ানক একা মনটায় বৃষ্টির স্পর্শে, রাস্তার ধারে অথবা নিতান্তই সাধারণ, তুচ্ছ অথচ আমার দৃষ্টিতে আমার জগতের কোন অংশে স্বপ্নবিষ্টের মতো দাঁড়িয়ে ভাবি, কিভাবে মাত্র একটা সিদ্ধান্ত বদলে দিল আমার জীবন!

আসলেই, সেইফ জোন থেকে বেড়িয়ে না আসতে পারলে জীবন কি জিনিস তা বোঝা যায় না। যাদের সেইফ জোন থেকে রিস্ক জোনে পা দেয়ার সাহস আছে তারাই কেবল জীবনের সৌন্দর্যের গভীরতম রূপ দেখার সুযোগ পায়। জীবন টা তো আমারই। তবে কেন অন্যজনের গড়া শিকলে বন্দী থাকতে হবে? কেন আরেকজন আমার জীবন পরিচালনা করবে?

আমিই আমার জীবনের নির্মাতা। আমিই সাজিয়ে নিব আমার জগতের গঠন। আমিই আমার জীবনের লেখক। আমিই লিখবো আমার জীবনের গল্প। আমিই আমার বাস্তবতার রচয়িতা। আমিই বানিয়ে নিবো আমার অজস্র স্বপ্নে গড়া পার্থিব মুহূর্ত।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

আলম দীপ্র বলেছেন: মোটামোটি লাগল !
আরেকটু এগিয়ে চললে হত । কিন্তু শব্দ বুনন সুন্দর !
আরও ভালো লিখে চলুন । শুভকামনা ।
সুতই , শিথলতা , বিড়ানি , গ্রিষ্মের
প্রিন্টিং মিস্টেকগুলা ঠিক করে নিয়েন ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৩

সকাল রয় বলেছেন:

গল্পটা ভালোলাগলো।
ভাবনা বেশ!
তবে আরেকটু এডিট করে নিলে আরো ভালো হবে।
শুভকামনা

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১২

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৯

আলম দীপ্র বলেছেন: সকাল রয় বলেছেন:আরেকটু এডিট করে নিলে আরো ভালো হবে।
এই কথাটাই বলেছিলাম । আরেকটু লিখলে এবং গুছিয়ে উঠলে বেশ হত ! ভাবনাটা বেশ !

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৩

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ।

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৮

ডি মুন বলেছেন:
হ্যা, মুক্তির আনন্দটাই আসল। বাকি সব বিলাসিতা।


ভালো লেগেছে +++++

শুভেচ্ছা সতত।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৪

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ ডি মুন ভাই!

৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৭

তুষার কাব্য বলেছেন: সবাই আমরা নিজের স্বপ্ন কারিগর,নিজের উপর আত্মবিশ্বাস থাকাটা খুব জরুরি...ভালো লিখেছেন...

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ তুষার ভাই।

৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আগের গল্পটার চেয়ে এটা ভালো হয়েছে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমার লেখালেখি থেকে একটা ছোট গ্যাপ নেয়া দরকার। কি বলেন হাসান ভাই? আপাতত কিছুদিন না লিখে কেবল গল্প পড়তে থাকলে বোধহয় একটা ধারণা পেয়ে যাবো।

৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

কলমের কালি শেষ বলেছেন: সুন্দর গল্প। বেশ লাগলো ।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ কলম সাহেব।

৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪০

অদৃশ্য বলেছেন:





খুব চমৎকার লিখাটা... খুবই ভালো লেগেছে আমার... তবে কথা হলো প্রকৃত স্বাধীনতা ভোগ করবারও একটি উপযুক্ত সময় থাকে... সেই সময়ের আগেই যদি কেউ স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করতে চায় সে আসলে সেটা পায়না...

প্রকৃত স্বাধীনতা ভোগের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সবারই অপেক্ষা করা উচিৎ... আর সেই সময়ের মাঝে জীবনটা কিভাবে চালাতে হয় তা শিখে ফেলা উচিৎ... প্রথমত পরিবারই আমাদের পথ প্রদর্শক... তারপর সামাজিক অন্যান্ন...

হ্যাঁ এখানে কারো প্রতিভার বিকাশে সাহায্য করবার জন্য পরিবারের ভূমিকা অনেক... তারা চেষ্টা করলেই প্রতিভাধরের অগ্রগতি হবে আর না করলে সে ক্ষয়ে যাবে বা অনেকের মতো পালিয়ে যাবে...

শুভকামনা...

২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ভাই সামুতে আমি আপনার মন্তব্য পড়েই নতুন কিছু লিখতে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ পাই। ভাবতেও ভাল লাগে। আপনার এত সুন্দর মন্তব্য কতটুকু অনুপ্রেরণা দেয় তা বোধহয় আর আলাদা ভাবে বলার প্রয়োজন নেই। সবাইকে ধন্যবাদ দিলেও আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না।

হ্যা, আপনার কথাগুলোর সাথে একমত। এই গল্পের চরিত্রটাও টিনএইজার। বোঝেনই তো এই বয়সে বিবেকের চেয়ে আবেগ বেশি কাজ করে। আপনি যা বললেন তা বোঝার ম্যাচুরিটি তার এখনো আসেনি বলতে পারেন :) । তাছাড়া এতে ক্রোধটাও বেশি কাজ করেছে।

৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫২

সুমন কর বলেছেন: শুরুটা চমৎকার হয়েছিল। মাঝেরটুকুও খারাপ না। অার ব্লগার অদৃশ্য অামার কথাটাই যেন বলে দিয়েছেন।

কিছু লাইন ছিল দারুণ। গল্পটা শেষে আরো একটু গোছানো যেত।

বলার ধরনটা কিন্তু ভাল লেগেছে। ;)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৩৫

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন ভাই। খুশি হলাম আপনার মন্তব্য পেয়ে। খুব ব্যস্ত আছি। সামুতে আসার সময় পাই না। তাই রিপ্লাই দিতে দেরী হয়ে গেল।

১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২

বৃতি বলেছেন: আমাদের দেশের আস্পেক্টে "সেইফ যোন" থেকে বেরিয়ে আসতে পারাটা খুব সহজ নয়। তবে আত্মবিশ্বাসটা তৈরি হওয়া জরুরি। ভালো লাগলো গল্প। অনেক শুভকামনা :)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৪০

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বৃতি আপু।

১১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
আত্মকথন ভঙ্গিমায় লেখায় প্রথম দিকটি পড়তে ভাল লাগল ৷

শুভককামনা রইল আপনার জন্য ৷

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৪১

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।

১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬

জুন বলেছেন: ভালোলাগলো আপনার বাস্তবধর্মী গল্প দ্য ইলিউশনিস্ট । অনেক বাবা মা ই তাদের নিজের ইচ্ছেটুকু সন্তানদের উপর চাপিয়ে দিতে চায়। যা অনেক সময় সন্তানদের জন্য দুঃসহ ।
+

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪০

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভবঘূরে জীবনে স্বাগতম ;)

বাড়ী পালানো খুবই মজার অভিজ্ঞতা! কষ্টতো থাকবেই- সবখানেই...
স্বাধীনতা হীনতায় কে থাকিতে চায় হে :)

যাদের সেইফ জোন থেকে রিস্ক জোনে পা দেয়ার সাহস আছে তারাই কেবল জীবনের সৌন্দর্যের গভীরতম রূপ দেখার সুযোগ পায়। ++++

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪০

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৪২

তানজীব তন্ময় বলেছেন: শেষ লাইন গুলো খুব ভাল লাগলো । মনে হচ্ছে আমার মনের কথা গুলোই যেন বললেন........"আমিই আমার জীবনের আরকিটেকচার। আমিই ডিজাইন করবো আমার জগতের স্ট্রাকচার। আমিই আমার জীবনের লেখক। আমিই লিখবো আমার জীবনের গল্প। আমিই আমার বাস্তবতার স্রষ্টা। আমিই বানিয়ে নিবো আমার অজস্র স্বপ্নে গড়া পার্থিব মুহূর্ত!"

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.