![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুমাতে অত্যন্ত ভালোবাসি। আর ভালোবাসি পড়তে। স্বপ্ন দেখি একটি স্বপ্নীল পৃথিবীর। সত্যকে ভালোবাসি, হোক তা নিজের মতের বিপরীত।
মানুষ যত উপরের দিকে উঠতে থাকে ততই বুঝি সে একা হতে থাকে?! কর্তব্যের চাপে, ব্যস্ততার কোলাহলে বুঝি বা একে একে হারিয়ে যেতে থাএক সব চেনা চেনা মুখ! শ্বাশত এই কথাই যেন "পুতুল নাচের ইতিকথা"য় বলে দিয়েছেন অমর কথাশিল্পী মানিক বন্ধ্যোপাধ্যায়।
আমাদের প্রজন্মের বেশীরভাগেরই মানিকের সাথে পরিচয় উচ্চ মাধ্যমিকে "পদ্মা নদীর মাঝি" দিয়ে। আর সাহিত্যকে বড়-ছোট প্রশ্ন আর ব্যাখ্যা-টীকা-টিপ্পনীর যাঁতাকলে ফেলে এর মূল মজা নষ্ট করে দিয়ে পাঠক সত্ত্বাটিকে মেরে ফেলতে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার কোন জুড়ি নেই (অবশ্য নটরডেমের মুখতার স্যারের ছাত্রদের কথা আলাদা) । আমার সৌভাগ্য পদ্মা নদীর মাঝির আগেই আমি পুতুল নাচের ইতিকথা পড়তে পেরেছিলাম। আর মানিকের অসাধারণত্বকে তখনই ধরতে পেরেছিলাম।
সেই টিনএজ বয়সে শশীডাক্তার আর বন্ধু পত্নীর মাঝে গড়ে ওঠা ঘরভাঙা প্রেমের অমন পরিণতি মনের উপরে সত্যিই কেমন একটা ছাপ ফেলেছিল। মানিকের প্রায় সব উপন্যাসেই যে প্রেমগুলো উঠে আসে সেগুলো কেন যেন সামাজিকভাবে সমর্থনযোগ্য হয় না। অথচ, মানবপ্রেমের গহীন প্রদেশের কোণায় কোণায় আলো ফেলে এত দারুনভাবে চিত্রকল্প তৈরী করেন মানিক যে, সে প্রেমগুলোকেও অস্বাভাবিক বলে মনে হয় না। এখানেই বোধ করি মানিকের সাফল্য!
পুতুল নাচের ইতিকথার গল্প আবর্তিত হয়েছে গাওদিয়া গ্রাম ও এর আশেপাশের জনপদকে ঘিরে। গ্রামের সুদী মহাজন গোপালের একমাত্র ছেলে শশী কোলকাতা থেকে পাশ করা ডাক্তার। পিতার কাজে অসন্তুষ্ট শশী যেন পিতৃপাপের প্রায়শ্চিত্য করতেই যেন গ্রামের গরীব-দুঃখীর সেবায় আত্ননিয়োগ করে। অন্যদিকে, পরান ঘোষের স্ত্রী কুসুম। সুখে-অসুখে শশী পরানের পারিবারিক পরামর্শদাতা-বন্ধু। এভাবেই কখন যে কুসুমের মন জুড়ে শশীর রাজত্ব শুরু হয়ে গেল কুসুম নিজেই টের পেল না। গাঁয়ের মেয়ে হিসেবে যথেষ্ট সাহসী কুসুম। তাই, নিজের ভালোলাগাটুকু জানিয়ে দিতে কুসুমের কোন জড়তা নেই। বাড়ির পাশে তালবন; সেখানেই তাদের গোপ্ন অভিসার। কখনো আকারে-ইঙ্গিতে, কখনো সরাসরি, কখনো বা মান-অভিমানের ছলে শশীর বাগানের চারা গাছটাকে মাড়িয়ে আবার কখনো চরম মমতায় দীর্ঘ নয় বছর সে শশীর ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করে। এদিকে, সামাজিক দায়ভার আর সিদ্ধান্তহীনতায় শশী বুঝেও না বোঝার ভা করে এড়িয়ে চলে। কুসুমের আত্ননিবেদন যখন "সইতে পারি না ছোটবাবু", -এই সংলাপ আকারে বেরিয়ে আসে, তখন শশীই তাকে বাস্তবে ফেরায়। বলে, "আমরা ছেলেমানুষ নই। ইচ্ছে হলেই একটা কাজ কি আমরা করতে পারি? বুঝে-সুঝে কাজ করা দরকার।" এ দীর্ঘ সময়ে সে যে কতভাবে শশীকে জাগিয়ে তুলতে চায়! বলে, "এমনি চাঁদনী রাতে আপনার সাথে কোথাও চলে যেতে সাধ হয় ছোটবাবু।.......আপনার কাছে দাঁড়ালে আমার শশীর এমন করে কেন ছোটবাবু?"। কিন্তু, শশী অবিচল। ভাবে, "শরীর! শরীর! তোমার মন নাই কুসুম?"
মৃত যাদবকাকার উইল করে যাওয়া সম্পত্তি দিয়ে হাসপাতাল তৈরীর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে শশী। যামিণী কবিরাজের অল্পবয়স্কা শ্ত্রী সেন্দিদির বসন্ত রোগের সময় দিনরাত সেবা করে শশী। এভাবে গাঁয়ের লোকের মাঝে তৈরী হয় তাঁর একটি বিশিষ্ট স্থান। ঠিক তখনি যেন সে আবিষ্কার করে যে, অনেক লোকের ভীড়ে থেকেও আসলে সে বড়ো একা। সকলের চোখে সম্মানিত; সকলেই ভাল-মন্দ সব বিষয়ে তার মতামত প্রত্যাশী। তবু সে একা।
তাইতো, এতদিন যে শশী নিঠুর পায়ে দলেছিল প্রেমের অর্ঘ্য, একদিন সেই শশীই কাঙালের মত ছুটে যায় কুসুমের কাছে। বলে, "যেখানে হোক। যেখানে হোক চলে যাই, চল আজ রাত্রে।" কিন্তু, এবার কুসুমই তাকে ফিরিয়ে দেয়! বলে, "কেন যাব?...... আপনি বুঝি ভেবেছিলেন যেদিন আপনার সুবিধে হবে ডাকবেন, আমি অমনি সুড়সুড় করে আপনার সঙ্গে চলে যাব? কেউ তা যায়?"। শশীর রক্তাক্ত হৃদয় যখন অনুযোগে শুধোয়, "একদিন কিন্তু যেতে.", তখন আহত বাঘিনীর মত কুসুম বলে ওঠে, "স্পষ্ট করে ডাকা দূরে থাক, ইশারা করে ডাকলে ছুটে যেতাম।....আজ হাত ধরে টানলে ও আমি যাব না।" নিজেকে কুসুম সেই তাতানো লোহার সাথে তুলনা করে যা অবহেলায় ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে! তারপর, গাওদিয়ার পাঠ চুকিয়ে কুসুম স্বামীসহ চলে যায় বাপের বাড়ি।
মন ভাঙা শশীও ছেড়ে দিতে চায় গাওদিয়া। প্রথমে কোলকাতা, সেখান হতে বিলেত- এই চিন্তায় সবকিছু গুছিয়ে নিতে থাকে সে। কিন্তু, এবার, খেল দেখায় তার পিতা গোপাল। আজন্ম সংসারী-অর্থগৃধু গোপাল সবকিছু ছেড়েছুঁড়ে নিরুদ্দেশ যাত্রা করে। সাথে করে নিয়ে যায় সেন্দিদির মা’হারা সন্তান্টিকে যার পিতৃত্বের ব্যাপারে শশীর সন্দেহের আঙুল সবসময়ই তাক করা ছিল পিতা গোপালের দিকেই! অতএব, শশী আর কী করে! "এ ভার তো ফেলিবার নয়"।
শশী-কুসুম ছাড়াও উপন্যাসে কুমুদ-মতির ছন্নছাড়া জীবন আর বিন্দু-নন্দলালের অস্বাভাবিক দাম্পত্যজীবনের কথকতাও উঠে এসেছে পুরোপুরি। এছাড়া উপন্যাস জুড়ে নির্বিকারভাবে ছড়িয়ে আছে অনেকগুলো মৃত্যু-বর্ণনা। আকাশের দেবতার কটাক্ষে (বজ্রপাতে) হারু ঘোষের মৃত্যু দিয়ে শুরু। গাছ হতে পড়ে ভুতো, সন্তান জন্মাতে গিয়ে সেনদিদি আর রথের দিন মরবেন এই কথা রাখতে গিয়ে যাদব-পাগলাদিদি- সবারই মৃত্যু যেন নিয়তির খেল। সবই যেন কোন এক বিরাট শিশুর পুতুল খেলা!
প্রাসঙ্গিক তথ্যঃ ১৯৩৬ সালে প্রথম বাজারে আসার পর এই অসাধারণ উপন্যাস ইংরেজী(১৯৬৮), হিন্দী, কানাড়ি, চেক, সুইডিশ, গুজরাটি(১৯৫৩), তেলেগু প্রভৃতি ভাষায় রুপান্তরিত হয়। এছাড়া ১৯৪৯ সালে এটি অসিত বন্ধ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় চলচ্চিত্রে রুপায়িত হয়। একমাসও চলেনি! ভাল জিনিসের কদর বোধহয় চিরকালই কম।
মানিক এবং পুতুল নাচের ইতিকথা নিয়ে আরো কয়েকটি লেখার লিঙ্ক।
১. সুমন আজাদের সামহ্যোয়ারইনব্লগ
২. দরিদ্রের মানিক, মানিকের দারিদ্র
৩. মানিকের পুত্র সুকান্ত বন্ধ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার
৪. গাওদিয়া নিয়ে একটি রিপোর্ট
……………………………………………………………………………………………..
আগের লেখা।
জীবনে যা পড়েছি-৪ (তারাশংকরের কবি)
জীবনে যা পড়েছি-৩ (পথের পাঁচালী)
জীবনে যা পড়েছি-২ (লোটাকম্বল)
জীবনে যা পড়েছি-১ (লা মিজারেবল)
................................................
পুতুলের ছবিটা অপ্সরার ব্লগ থেকে বিনা অনুমতিতে নেয়া হয়েছে!
১১ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৪১
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ভাল বইয়ের উপর লিখাটা কষ্টকর হলেও কেমন একটা আনন্দ আছে।
ধন্যবাদ।
২| ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:০৬
মো. লুৎফর রহমান বলেছেন: আপনার প্রথম লিঙ্কে ক্লিক করে এই পাতাটি পাওয়া গেছে।
১১ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:১৩
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: এবার দেখবেন?
উইকিপিডিয়ার লিঙ্কটা ঠিক করে দিয়েছি।
ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:১১
ভেবে ভেবে বলি বলেছেন: ওরে পুস্ট সিরাম হৈচে রে ! তালিয়া তালিয়া তালিয়া !!!
১১ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:৩৪
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: থ্যাঙ্কু! থ্যাঙ্কু! থ্যাঙ্কু!
৪| ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৪৬
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: দিলেন তো প্যাঁচ লাগিয়ে। আমি এখন পড়ছি তারাশংকরের গণদেবতা ---- কত বার যে পড়েছি তাও মনের স্বাধ মেটে না।
সেই কবে পুতুলনাচের ইতিকথা পড়েছি।
আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে সব বাদ এখন হাতে থাকবে শুধু পুতুলনাচের ইতিকথা ।
এমন লোভনীয় ভাবে উপস্থাপন করেছেন যেন মানিক বন্ধ্যোপাধ্যায় আপনাকে বিজ্ঞাপনের দায়িত্ব দিয়েছেন।
খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। +++++
১১ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৪৫
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: প্যাঁচ লাগানোর জন্য দুঃখিত।
গণদেবতা পড়ি নি।
হাঁসুলী বাঁকের উপকথা পড়ার চেষ্টা করছি এক মাস ধরে। মন বসাতে পারছি না!
৫| ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৫৫
সুবীর বোস বলেছেন: অসাধারণ উপস্থাপনা...এমন আরো কিছু আসুক...
১১ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৫৭
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আরো!?
চারমাসে মাত্র পাঁচটা। আর এই পাঁচটা আনতেই কালোঘাম ছুটে গেছে!
হা হা হা; ধন্যবাদ।
৬| ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:০১
আফসার নিজাম বলেছেন: ভালো বই ভালো মানুষ গড়ে।
১১ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৫
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৫
অদ্রোহ বলেছেন: মানিকের বোহেমিয়ান সমাজমনস্কতার আরেকটি চিত্র পুতুল নাচের ইতিকথা।
মানিকের চতুষ্কোণ পড়েছেন? সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকা একটি উপন্যাস এটি।
১১ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৭
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: চতুষ্কোণ পড়েছি। ভাল।
তবে, সকল বিচারে পুতুল নাচের ইতিকথাই সবার উপরে এমনকি পদ্মা নদীর মাঝিরও উপরে!
৮| ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৯
সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: +
১১ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২২
অপ্সরা বলেছেন: মোটেই রাগ করিনি । খুশী হয়েছি অনেক অনেক । এইগুলা সব আমার পুতুল আর চামচ পুতুলটাতো নিজে হাতে বানানো।
১২ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৩৬
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: থ্যাঙ্কু! থ্যাঙ্কু!
আপ্নে যে বহুত কামের পাব্লিক হেইটা হগলতেই জানে!
১০| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:০৭
পাথুরে বলেছেন: "আমারে নিবা মাঝি লগে"..?
১২ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৪৬
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আহারে কপিলা.............
১১| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:১৩
গৌতম রায় বলেছেন: অফটপিক: মানিক বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে আলোচনার টেবিলে অনেককেই বলতে শোনা যায়- লেখায় রাজনৈতিক চেতনা না থাকলে মানিক বন্দোপাধ্যায় আরও গৃহীত হতেন। আমি একমত হতে পারি না। মানুষের কিছু অন্তর্গত মূল্যবোধ ধারণ করতেন বলেই মানিক পুতুল নাচের ইতিকথা, প্রাগৈতিহাসিক, পদ্মা নদীর মাঝি ইত্যাদি লেখা লিখতে পেরেছেন।
লেখকের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা থাকলেই লেখককে খারিজ করে দেওয়ার যে টেনডেন্সি, আপনার লেখাটা তার বিপরীতে।
***
এই মুহূর্তে বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত উত্তরাধিকারের মানিক বন্দোপাধ্যায় সংখ্যাটা উল্টাচ্ছিলাম। আর তখনই এই লেখাটা চোখে আসলো। উপকারী কাকতালীয় ঘটনা।
১২ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৫০
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আমার কাছে রাজনৈতিক চেতনার ব্যাপারটা ক্লীয়ার না। মানবিকতা মূখ্য হয়ে উঠলেই আমার ভাল লাগে।
উপকারী কীনা জানি না, তবে কাকতালীয় ত বটেই!
ধন্যবাদ।
১২| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:১৪
আহমেদ রাকিব বলেছেন: বইটা আমার অন্যতম প্রিয় বই। আর মানিক হচ্ছে সবচেয়ে পছন্দের। তাই দেরি না করে পোষ্টটাকেও প্রিয়তে রাখলাম।
১২ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৪৭
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ধন্যবাদিত করিয়া তোমাকে ছোট করিতে চাহি না!
১৩| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৫৮
ভাঙ্গন বলেছেন: প্রিয় বইটির রিভিউ পড়ে অনেক ভাল লাগলো!
আর আপনার বিশ্লেষনী হাতের কথা কী আর বলবো!
যথার্থ এবং যথাযথ!
১২ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:১৫
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আর লজ্জা দেবেন না, জনাব!
ভাল লাগাতে পেরে ভাল লেগেছে।
১৪| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:০২
শূন্য আরণ্যক বলেছেন: +
১২ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৫৫
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকে, পড়ার জন্য।
১৫| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৫
গৌতম রায় বলেছেন: মানবতা (কিছু মনে করবেন না, মানবিকতা শব্দটা ভুল) কখনও কখনও রাজনৈতিক চেতনার সমর্থক। লেখক যখন নিম্নস্তরের (!) মানুষদের বঞ্চনাটা সমাজ পরিবর্তনের দৃষ্টিকোণ দিয়ে দেখেন, তখন তার লেখায় বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠে, যেটা মানিক, সুকান্ত বা সৌমেন চন্দের লেখায় দেখা যায়। আর ঠিক এই কারণে অনেকে তাদের বড় সাহিত্যিক মনে করতে চান না।
১২ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:০৩
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
যদিও আমি মানবতা অর্থে ঐ শব্দ ব্যবহার করি নি!
মানব মনের অন্তর্নিহিত রহস্যকেই মানবিকতা বলেছি; সম্ভবতঃ সে অর্থে ভুল হয় নি! যাই হোক, এটা কোন জরুরী বিষয় নয়।
/*মানুষদের বঞ্চনাটা সমাজ পরিবর্তনের দৃষ্টিকোণ দিয়ে দেখেন, তখন তার লেখায় বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠে, যেটা মানিক, সুকান্ত বা সৌমেন চন্দের লেখায় দেখা যায়। */- কথা সত্য।
তাদের কে বড় সাহিত্যিক মনে করল না করল- তাতে কী এসে যায়? ভাল লেখা এবং লেখক এসব সমালোচনার কাটাছেড়া অগ্রাহ্য করেই মানুষের হৃদয়ে স্থান নিয়ে নেয়।
ধন্যবাদ।
১৬| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৪৮
গৌতম রায় বলেছেন: সেটাই। আমার কথাগুলো বুঝাতে পারলাম বলে ভালো লাগছে।
আর মানব শব্দ থেকে দুটো বিশেষণ হতে পারে- মানবতা ও মানবিক। মানবিক থেকে আবার মানবিকতা হতে পারে না। এটা ভুল। এটা আমাকে বলেছিলেন ভাষাবিদ হায়াৎ মামুদ।
আবারও ধন্যবাদ।
১২ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:০৯
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ভাষাবিদ হায়াৎ মামুদ?
তাহলে তো আর কোন কথা নেই। ভুল সংশোধন হয়ে গেল।
১৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:৫৮
কঁাকন বলেছেন: "মানিকের প্রায় সব উপন্যাসেই যে প্রেমগুলো উঠে আসে সেগুলো কেন যেন সামাজিকভাবে সমর্থনযোগ্য হয় না। অথচ, মানবপ্রেমের গহীন প্রদেশের কোণায় কোণায় আলো ফেলে এত দারুনভাবে চিত্রকল্প তৈরী করেন মানিক যে, সে প্রেমগুলোকেও অস্বাভাবিক বলে মনে হয় না। এখানেই বোধ করি মানিকের সাফল্য!"
ধন্যবাদ রিভিউ লিখার জন্য
বইটা তো এখন হাতের কাছে নেই, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাই
ভালো থাকুন
১৫ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:৫০
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: হাতের কাছে নেই?
বলেন, পাঠিয়ে দিই!
রিভিউটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৩৭
নুশেরা বলেছেন: এই বইটার প্রচ্ছদ দেখে আমার বর্ণপরিচয়ের শুরু (মায়ের মাস্টার্সের পাঠ্য ছিলো )।
অসামান্য কাজ করে চলেছো। আরও আসুক।
১৭ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:১০
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: অসামান্য!
দিলেন তো লজ্জা!?
১৯| ০৯ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৬
এস এম সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দুর্দান্ত পোষ্ট + ও প্রিয়তে ।
এমন আরো লেখা চাই।
তায়েফ সাহেব কে ধন্যবাদ।
১৪ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৪৭
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
এই সিরিজে মোট নয়টি পোষ্ট এসেছে।
এটি হচ্ছে, পাঁচ নাম্বার।
অন্যগুলোও পড়েছেন নিশ্চয়ই, এতদিনে?
২০| ০১ লা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫
মাথাল বলেছেন: আমি বইটা খোজতেছিলাম। কোথাও পাইনি, PDF হবে কারো কাছে?
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক পরিশ্রমী লেখা! +