নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারিদিকে নাগিণীরা ফেলিছে নিঃশ্বাস.......

সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসৃত...............।

তায়েফ আহমাদ

ঘুমাতে অত্যন্ত ভালোবাসি। আর ভালোবাসি পড়তে। স্বপ্ন দেখি একটি স্বপ্নীল পৃথিবীর। সত্যকে ভালোবাসি, হোক তা নিজের মতের বিপরীত।

তায়েফ আহমাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনে যা পড়েছি-৬ (শীর্ষেন্দুর দূরবীন)

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:২৬

ক্লাস টেনে পড়বার সময় উপন্যাসটা কীভাবে যেন হাতে আসে। পরের চারদিন এটির উপর দিয়েই গিয়েছিল। স্রেফ গোগ্রাসে গিলেছি। সমরেশের "কালপুরুষ" পড়বার পরে এটিই ছিল ওপার বাঙলার কোন সাহিত্যিকের লেখা দ্বিতীয় বই। পরবর্তীতে এটি আরো বার দুয়েক পড়েছি বোধ হয়!



একই মলাটে দুইটি আলাদা উপন্যাস পড়ার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। কিন্তু, "দূরবীন" এই অভিজ্ঞতার মাঝে এক নতুন সংযোজন। দুইটি আলাদা কাহিনী; একটির বিস্তৃতি বিগত শতকের বিশের দশকের শেষভাগ হতে ত্রিশের দশক আর অপরটির বিস্তৃতি আশির দশক। পাঁচ শতাধিক পৃষ্ঠা আর শ'খানেক পরিচ্ছদ নিয়ে এ উপন্যাসের ব্যাপ্তী।



১৯২৯ সালের শীতকালের এক ভোরে মধ্য চল্লিশের বিপত্নীক আত্মভোলা জমিদার হেমকান্তের হাত হতে কুয়োর বালতি পড়ে যাওয়া এবং তা হতে উদ্ভূত মৃত্যুচিন্তার মধ্য দিয়ে প্রথম কাহিনীর যাত্রা শুরু। দ্বিতীয় পরিচ্ছদেই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় কাহিনীটি। ধ্রুবর বোহেমিয়ান জীবনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রেমীর অতীত রোমন্থনের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে এই গল্প। এভাবে এক পরিচ্ছদে ত্রিশের দশক আর পরের পরিচ্ছদেই আশির দশক- অর্ধ শতক আগুপিছু করে করে এগিয়েছে এ উপন্যাস, যা এক কথায় অভিনব। আর এই দুই পর্বের মাঝেই সেতুবন্ধ একজনই- কৃষ্ণকান্ত চৌধুরী।



পূর্ববঙ্গের বিপত্নীক জমিদার হেমকান্ত আত্মভোলা সংসারবিরাগী মানুষ। স্ত্রী সুনয়নীর মৃত্যুর পর হতে এ বিরাগ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ছোট দুই সন্তান বিশাখা আর কৃষ্ণকান্ত ছাড়া বাকী সন্তানেরা বিবাহিত, পারিবারিক কিংবা জীবিকার তাগিদে বিদেশ-বিভুঁইয়ে। এমন পরিস্থিতিতেও সংসারটা যে ভেসে যায় নি তার কৃতিত্ব এককভাবে রঙ্গময়ীর পাওনা। ত্রিশের দশকের তুলনায় এই স্বল্প শিক্ষিত পুরোহিত কন্যা অনেক বেশী আধুনিক। বালিকা বয়স থেকেই হেমচন্দ্রের প্রতি বিশেষ অনুরক্ত বাড়ির পুরোহিত বিনোদচন্দ্রের এই কুমারী/ অনূঢ়া কন্যাটি বয়সে হেমচন্দ্রের প্রায় পনের বছরের ছোট! হেমকান্তও দিনে দিনে যেন বেশী করে রঙ্গময়ীর উপর নির্ভর করতে থাকেন। এর মাঝে একদিন এ বাড়িতে স্বদেশী হাওয়া লাগে। ফেরারী স্বদেশী শশীভুষন অসুস্থ হয়ে ক'দিনের জন্য আশ্রয় নেয় এ বাড়িতে। শশীভুষনের প্রভাবে আর রঙ্গময়ীর প্রশ্রয়ে কিশোর কৃষ্ণকান্ত স্বদেশী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে। দারোগা রামকান্ত রায়কে হত্যা করে ফেরারী হয়ে যায়।



প্রিয় পুত্র কৃষ্ণকান্তের অন্তর্ধানে একেবারে ভেঙ্গে পড়েন হেমকান্ত। এ সময়ে তাঁর সার্বক্ষনিক সেবা-সাহচর্যে থাকবার জন্য পরিবারের সবার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তিনি অবশেষে রঙ্গময়ীর প্রণয়কে পরিণয়েরর দিকে নিয়ে যান। বিশাখার বিয়ে দিয়ে জমিদারীর সমস্ত কিছু কনিষ্ঠ পুত্র কৃষ্ণকান্তের নামে লিখে জামাই শচীনের হাতে ভার বুঝিয়ে দিয়ে হেমকান্ত-রঙ্গময়ী কাশী চলে যান। চার বছর বছর জেল খেটে কৃষ্ণকান্ত সেখানে পিতাকে দেখতে যান। এর কদিন পর কাশীতেই মারা যান হেমকান্ত। প্রিয় পুত্রকে এক নজর দেখবার জন্যই যেন এতদিন এই নশ্বর জীবন বয়ে চলছিলেন তিনি। শেষ হয় এক অধ্যায়।



দ্বিতীয় অধ্যায়ে কৃষ্ণকান্ত বৃদ্ধ হয়েছেন। দেশভাগ হয়েছে। পূর্ববঙ্গের পাঠ চুকিয়ে পুরো পরিবার সহ চলে এসেছেন কোলকাতা। স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদানের জন্য নাম হয়েছে, যশ-খ্যাতি সবই পেয়েছেন। প্রবল প্রতাপে মন্ত্রিত্ব করে যাচ্ছেন প্রাদেশিক পর্যায়ে। শত শত গুনগ্রাহী অনুচর তার। পিতার সম্পত্তি একাই পেয়ে যাওয়ায় অন্য ভাইরা ঝামেলা করতে চাইলেও দেশভাগের পর তাদের প্রতিষ্ঠা করতে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য আর বেশী কিছু বলতে পারে নি তারা। প্রবল প্রতাপশালী আর প্রচন্ডভাবে গোষ্ঠী অন্তপ্রান এই অহংকারী ব্যক্তিটিকে পুরো পরিবার মেনে চলে, ভয় পায়। শুধু সন্তানেরাই তাঁকে ভালবাসে না। বিশেষকরে সন্তানদের মাঝে উজ্জ্বলতম এওং প্রিয় মেঝ পুত্র ধ্রুব সচেতনভাবেই পিতা কৃষ্ণকান্তকে আঘাত করে চলে অবিরাম। রাজনীতির ব্যস্ততায় পরিবারের প্রতি অবেচেতনভাবে যে অবহেলা কৃষ্ণকান্ত দেখিয়েছেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে স্ত্রীর (ধ্রুবর মা) আগুনে পুড়ে আত্মহত্যার ঘটনা, শিশু ধ্রুবর মনে যে ঘৃনার আগুন জ্বালিয়ে দেয় তার দাবদাহে সে পিতার সম্রাজ্য পুড়িয়ে দিতে চায়। ধ্রুব দেখে, স্বাধীনতা পূর্ববর্তী নীতিবান কৃষ্ণকান্ত সময়ের সাথে সাথে সিস্টেমের বেড়াজালে আটকে একে একে বিসর্জন দিচ্ছেন নীতিবোধ, অথচ এর পরেও দেশের মানুষের প্রতি তাঁর রয়েছে এ অপরিসীম ভালবাসা। এই অসম সমীকরণ মিলাতে গিয়ে ধ্রুব যেন আরো ভারসাম্যহীন হয়ে ওঠে। পিতার প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য ছুঁড়ে দেয়া, মদের প্রতি কোন আসক্তি না থাকা সত্ত্বেও মাতাল হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা; একের পর এক চাকরি ছাড়া; নারীসংসর্গ -হেন কর্ম নেই যা ধ্রুব করে না আর সবই করে কৃষ্ণকান্তকে অপমান করবার জন্য।



উপায়ান্তর না দেখে কৃষ্ণকান্ত ধ্রুবকে বিয়ে দেন মিষ্টি মেয়ে রেমীর সাথে। অসম্ভব মমতাময়ী রেমীর মাঝে কৃষ্ণকান্ত যেন নিজের মৃত মায়ের সন্ধান পেয়ে যান আর এভাবে ধ্রুব পেয়ে যায় কৃষ্ণকান্তকে আঘাত করার আরেক মোক্ষম অস্ত্র। অবহেলা-অনাদরে সে ক্ষত-বিক্ষত করতে থাকে রেমীকে। অসীম ভালবাসা দিয়ে রেমী তাকে যতই ঘিরে ধরতে যায়, ততই দূরে সরে যায় সে। কখনো কখনো একটুক্ষনের জন্য কাছে টেনে আবার দূরে ঠেলে দেয়া হতে শুরু করে রেমীর অনুরাগী রাজার সাথে রেমীকে বিয়ে দিয়ে দেবার চেষ্টা পর্যন্ত যতরকমভাবে রেমীকে আঘাত করা যায়, তার কোনকিছুই বাকী রাখে না ধ্রুব। রেমী তবু অবিচল।



এ যেন বদ্ধঘরে উড়তে থাকা দিকভ্রান্ত একটি পতঙ্গের কাহিনী। প্রদীপের আলো ছাড়িয়ে যতই দূরে যেতে চায়, ততই বদ্ধ ঘরের নির্মম দেয়াল তাকে আটকে দেয়। নাছোড়বান্দা বোকা পতঙ্গ এবার আগুনে ঝাপ দিয়ে আলোটাকে নিভিয়ে দিয়ে চায়। এতে নিজে পুড়ে যাওয়া ছাড়া প্রদীপের কোনই ক্ষতি করতে পারে না সে। একগুঁয়ে পতঙ্গের তবু বিরাম নেই। এদিকে, প্রদীপের তেলও ফুরিয়ে আসে, পতঙ্গেরও জীবনীশক্তি নিঃশেষ হবার পথে। তবু, কেউ কারো কাছে হারতে চায় না! বছরের পর বছর ধ্রুবর এই আত্মপীড়নে এ পক্ষ- ও পক্ষ উভয়েই ক্ষয়ে যেতে থাকে। একদিকে, চরম উচ্ছৃংখলতা আর জোরপূর্বক মদ্যপানের প্রভাবে ভেঙ্গে যেতে থাকে ধ্রুবর শরীর ও মন। ধারার মত ধারাল মেয়ে পর্যন্ত যে ধ্রুবকে কাছে টানতে পারে নি, সেই ধ্রুবই শেষমেষ নোটনের মত খেলো মেয়ের আঁচলে ধরা পড়ে যায়। যদিও ঠিকই ফিরে আসে। অন্যদিকে, পুত্রস্নেহে বিহবল কৃষ্ণকান্তের হৃদয় ভালবাসাহীনতার হাহাকারে ক্রমশঃ শূন্যতায় ডুবে যেতে থাকে। তিনি বুঝতে পারেন মাথার উপরে পিতার বিশাল ছায়াই ধ্রুবর মনোবেদনার কারন।



অবশেষে, সকলের সুখের কথা চিন্তা করে কৃষ্ণকান্ত বেছে নেন ইচ্ছামৃত্যুর পথ। দিল্লীতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের লোভ ছেড়ে দিয়ে সংসারের ভার সুকৌশলে ধ্রুবর হাতে তুলে দিয়ে তিনি পাড়ি দেন অজানার দেশে। যাবার আগে ধ্রুবকে লিখা চিঠিতে তিনি তাঁর পাওয়া-না পাওয়ার কথা, দুঃখ-বেদনার কথা জানিয়ে যান, যা তাঁর মৃত্যুর পর ধ্রুবর হস্তগত হয়। এত বছরের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্রোহের মাধ্যমে যে ধ্রুব পিতার পরিচয় পায় নি, তার কাছে এক নিমিষে সে পরিচয় ষ্পষ্ট হয়ে ওঠে! কিন্তু, ততদিনে অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে। ঠাকুর্দা হেমকান্ত যে দূরবীন চোখে দিয়ে দুরের কৃষ্ণকান্তকে কাছে টেনে এনেছিলেন, সেই দূরবীনই যেন উলটো করে চোখে তুলে ধ্রুব কাছের কৃষ্ণোকান্তকে দূরে ঠেলে দিয়েছিল।



মানবমনের গহীন প্রদেশের আলো-আঁধারির খেলা আর সামাজিক সম্পর্কের নানা ঘাত-প্রতিঘাত সুক্ষ্ম কলমের আঁচড়ে তুলে আনতে শীর্ষেন্দু অনবদ্য। অনেক অনেক প্রধান-অপ্রধান চরিত্রের সমাবেশ আর তাদের মাঝে অবিরত ক্রীয়াশীল আন্তঃসম্পর্কের রসায়নে শীর্ষেন্দুর উপন্যাসগুলো একই সঙ্গে হয়ে ওঠে জটিল এবং উপভোগ্য। দুরবীন উপন্যাসেও এর ব্যতয় ঘটেনি। আর বর্ণনাশৈলী তো এককথায় অভিনব। অসংখ্য চরিত্রের মাঝে অল্প কয়টি প্রধান চরিত্রকেই এখানে সামনে আনা গিয়েছে। অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে শচীন-বিশাখা অনেক উজ্জ্বল আর তাদের প্রেমের শুরুর বিরাগ, পরবর্তীতে নাটকীয়ভাবে সৃষ্ট অনুরাগ আর সবশেষে মিষ্টি পরিণয় বেশ উপভোগ্য। আর একজন আছেন কোলকাতাবাসী উকিল সচ্চিদানন্দ, হেমকান্তের বাল্যবন্ধু এবং কংগ্রেসী। হেমকান্ত নিজের মনের সকল কথা চিঠিপত্রের মাধ্যমে তাঁকে জানান আর সচ্চিদানন্দও জবাব দেন, পরামর্শ দেন; কিন্তু পুরো কাহিনীর কোথাও তাঁকে সামনে দেখা যায় না। এছাড়া, গল্পের ফাঁকে ফাঁকে এ সুবৃহৎ উপন্যাসে অবধারিতভাবেই উঠে এসেছে ইংরেজ শাসন, স্বদেশী আন্দোলন, দেশভাগ সহ নানান প্রসংগ।



প্রাসঙ্গিক তথ্যঃ দেশ পত্রিকায় সুদীর্ঘ ২ বছর ধরে এ অনবদ্য উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের পর গ্রন্থাকারে বাজারে আসে ১৯৮৬ সালে। প্রকাশের পর হতেই অসামান্য জনপ্রিয়তা অর্জন করে এই বই। "মানবজমিন", "যাও পাখি", "পার্থিব", "পারাপার" এর মত অনন্য সৃষ্টি থাকা সত্ত্বেও "দূরবীন"ই সম্ভবতঃ শীর্ষেন্দুর শ্রেষ্ঠতম কীর্তি। অবশ্য এর মধ্যে কোন একটা পড়তে মিস করা মানে অনেক কিছু মিসিং নিঃসন্দেহে।



কোন বই নিয়ে কিছু লিখতে গেলে আমি নেটে একটু ঘুরাঘুরি করি। যদি ঐ বই সম্পর্কে কিছু পাওয়া যায়! (কৃতজ্ঞতা স্বীকারে আমি বড়ই সিদ্ধহস্ত)। সত্যি কথা হলো, এতে রিভিউ লেখাটা তুলনামূলক সহজ হয়ে যায়। কিন্তু, "দূরবীন" নিয়ে লিখতে গিয়ে বিপদেই পড়েছিলাম। তেমন কিছুই পাই নি। কেবলমাত্র এই আর্টিকেলটা পেলাম। শীর্ষেন্দুর লেখক সত্ত্বার একটি ভাল বিশ্লেষন। ভালই লিখেছে। পড়ে দেখতে পারেন।





……………………………………………………………………………………………..

আগের লেখা।



জীবনে যা পড়েছি-৫ (মানিকের পুতুল নাচের ইতিকথা)

জীবনে যা পড়েছি-৪ (তারাশংকরের কবি)



জীবনে যা পড়েছি-৩ (পথের পাঁচালী)



জীবনে যা পড়েছি-২ (লোটাকম্বল)



জীবনে যা পড়েছি-১ (লা মিজারেবল)

মন্তব্য ১১৭ টি রেটিং +৩২/-০

মন্তব্য (১১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৩

অপ্‌সরা বলেছেন: আর কিছু লাগবেনা। পুরো পোস্ট টাও পড়া লাগবেনা। শিরোনাম ই যথেষ্ঠ।

এক কথায় চোখ বন্ধ করে বলা যায় দূরবীন সবচাইতে প্রিয় উপন্যাসের মধ্যে সর্বপ্রথম!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:২২

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: সর্বপ্রথম!?
কন কি?
:D

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৩

অপ্‌সরা বলেছেন: আর ধ্রুব এর কথা কি আর বলবো। রবীঠাকুরের পরেই .........:P

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৫০

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: প্রথমবার পড়বার পর থেকেই আমি ধ্রুবর ফ্যান।
রেমীর প্রতি, কৃষ্ণকান্তের প্রতি, পুরো পরিবারের প্রতি তার নির্মম ঔদাসীন্য যেন ওর প্রতি মায়াটাকে বাড়িয়ে দিয়েছিল।

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৪

কঁাকন বলেছেন: এই বইটা আমিও গ্রোগ্রাসে গিলেছিলাম
আমি অবশ্য ১,২,৩ এভাবে পড়তে গিয়ে তাল রাখতে না পেরে প্রথমে ১,৩, ...এর সিরিজ শেষ করে ২,৪ এর সিরিজ শুরু করেছিলাম

কৃষ্ণকান্তের চরিত্রাটাই আমাকে টেনেছে দ্রুবকে স্রেফ আধপাগল রোমান্টিক গতানুগতিক বাংলা উপন্যাসের নায়ক ই মনে হয়েছে এবং পুরো বই এ অসংখ্যবার তাকে একটা থাবরা দিতে মন চাইছে

ভালো থাকুন

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:২৪

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: "দ্রুবকে স্রেফ আধপাগল রোমান্টিক গতানুগতিক বাংলা উপন্যাসের নায়ক ই মনে হয়েছে এবং পুরো বই এ অসংখ্যবার তাকে একটা থাবরা দিতে মন চাইছে"

:((

৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৭

এস বাসার বলেছেন: আমার পড়া উপন্যাসের মধ্যে সেরাদের সেরা।

টিওটোরিয়াল ড্রপ দিয়েছিলাম শুধুমাএ সারারাত ঐটা গিলে।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪১

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আপনি তো দেখি আরো বড় বই খোর! :)

৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৪৩

অপ্‌সরা বলেছেন: কঁাকন বলেছেন: এই বইটা আমিও গ্রোগ্রাসে গিলেছিলাম
আমি অবশ্য ১,২,৩ এভাবে পড়তে গিয়ে তাল রাখতে না পেরে প্রথমে ১,৩, ...এর সিরিজ শেষ করে ২,৪ এর সিরিজ শুরু করেছিলাম

কৃষ্ণকান্তের চরিত্রাটাই আমাকে টেনেছে দ্রুবকে স্রেফ আধপাগল রোমান্টিক গতানুগতিক বাংলা উপন্যাসের নায়ক ই মনে হয়েছে এবং পুরো বই এ অসংখ্যবার তাকে একটা থাবরা দিতে মন চাইছে

ভালো থাকুন


হায় হায় কাঁকনমনি বলে কি ????????
ধ্রুবকে থাবরা???????????

রাগ করলাম কিন্তু।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:০৮

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আমিও রাগ করছি।
:((

৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৪৬

কঁাকন বলেছেন: রাগ কর আর যাই কর কিছু করার নাই
ঐ বই পইড়া মনে হইছিলো ধ্রুবোর ব্যাপারে মাইরের ওপর ওষুধ নাই

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৫

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: লেখক যখন মাইর দ্যান নাই, তখন আমরা মাইরের চিন্তা জইরা কী লাভ? :P

৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৪৯

আহমেদ রাকিব বলেছেন: একটু বের হতে হচ্ছে। তাই কমেন্টটা পরে দিব।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৬

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: কোথায় এখন?

৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৫৮

কাঠগোলাপ বলেছেন: আমি পড়েছিলাম ক্লাস এইটে থাকতে। আম্মুর ভয়ে রাতের বেলা ডিমলাইট জ্বালিয়ে :P

'পার্থিব'ও একইভাবে পড়া :D

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৮

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: দুনিয়াতে বইখোরের তো দেখি কোন অভাব নাই! :)

৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:০২

শূন্য আরণ্যক বলেছেন: +

ভালো রিভিউ ।

দূরবীনের ব্যাপারে কিছুই বলার নাই । শীর্ষেন্দু এট হিজ বেষ্ট ।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৯

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: থ্যাংক ইউ।

১০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:১০

জেরী বলেছেন:
কৃষ্ণকান্ত চৌধুরীর জন্য অনেক মায়া লাগতো।ধ্রুবের কাজ দেখে মাঝে মাঝে মজা লাগতো আবার কখনো থাপরাইতে মন চাইত......শচীন-বিশাখার বিয়েটা হয়ে ভালো হয়েছেছে,বিশাখার এটিচ্যুড পছন্দ হয়েছে। আর রেমীর কথা কি আর বলবো......!!!

পছন্দের পড়া উপন্যাস কিন্তু যতবার পড়ি ততবার মন খারাপ লাগে:(

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১৮

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: শচীন-বিশাখা কাহিনীর একটা বড় অংশ জুড়ে আছে।
কৃষ্ণকান্তের জন্য মায়া লাগাটাই স্বাভাবিক।
পছন্দের উপন্যাস- এ ব্যাপারে তো কোন দো-কথা হবে না।

১১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:১২

জেরী বলেছেন: ধ্রুবরে থাপড়ানোর জন্য একটা গ্রুপ খোলা দরকার........ব্যাটা সেয়ানা শয়তান,বদের শেষX(

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৬

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: মাইন্ড খাইছি কৈলাম! :((

১২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২৩

ভেবে ভেবে বলি বলেছেন: আমি প্রথমে শুধু ধ্রুব অংশটা পড়তাম, হেমকান্ত অংশটা পড়তে আমার অনেক সময় লেগেছে... কিন্তু পরে পড়তে গিয়ে দেখি ঐ কাহিনীটাও খুবই চমৎকার, বিশেষ করে হেমকান্ত-রঙ্গময়ী কেমিস্ট্রিটা তো মারাত্মক! :P

রিভিউ খুবই ভালো হয়েছে (এ আর নতুন কি!)। :D কিন্তু তুমি লিখেছো- 'বিশেষকরে সন্তানদের মাঝে উজ্জ্বলতম এওং প্রিয় মেঝ পুত্র ধ্রুব সচেতনভাবেই পিতা কৃষ্ণকান্তকে আঘাত করে চলে অবিরাম'--- আচ্ছা, ধ্রুব তো মেজো পুত্র ছিলো না, ও ছিলো সবচেয়ে ছোট পুত্র, ওর বড় ২ ভাই ছিল আর একটা বোন ছিল, তাই না?

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:২৬

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ধ্রুব মেঝ পুত্রই। :) ওর ছোট একটা ভাই আর একটা বোন লতু।

তুমি যে প্রেম সংক্রান্ত কেমিষ্ট্রি বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছ, তা আর নতুন করে বলতে চাই না।:P

১৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৩৩

কঁাকন বলেছেন: @জেরী দি আমি হাত তুললাম গ্রুপে যোগ দেয়ার জন্য

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২২

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: কুভ কাড়াফ!

১৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৩৮

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
দূরবীন নামটা শুনলেই সেইসব দিন ফিরে পাই.........
বইটা হাতে পেয়ে বন্ধুরা কাড়াকাড়ি করে পড়া।এক একজন এক এক সময়ে পড়তাম..........
প্রিয় বই এর একটা।
যাও পাখী।
পার্থিব
মানবজমিন
তো রয়েছেই। এছাড়া হৃদয় বৃত্তান্ত নামে ছোট একটা বই পড়েছিলাম। ভালো লেগেছিলো।

ভালো লাগলো নতুন করে বইটার রিভ্যিউ।
শুভকামনা

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪১

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
আমার কপাল ভাল, জীবনেও কাড়াকাড়ি করে বই পড়তে হয় নি। :)
হৃদয় বৃত্তান্ত বইটার কথা মনে করতে পারছি না।

১৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৩৯

ভাবের অভাব বলেছেন: প্রথমেই বলি বিষয়বস্তু খুব ভালো লাগলো। আমি নিজেও বইয়ের অসম্ভব রকমের ভক্ত। তবে বলতে লজ্জা লাগছে আমার এই বইগুলো এখনো পড়া হয়ে ওঠেনি। আমার বড় বোনদের দেখতাম তারা সমরেশের, শীর্ষেন্দু, সুনীল এদের যে কোন বই খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ত।
আমার আগ্রহটা ছিল একটু অন্য দিকে সেটা আর বলছিনা, বললে হয়ত সমালোচিত হয়ে যাব।
ছোটবেলায় পড়েছিলাম "বনি" এবং "পাগলা সাহেবের কবর" যা এখনো মনে দাগ কেটে আছে।
সেবার যে কোন অনুবাদ তো এখনো ভালোবাসি। ভালোবাসি বাচ্চাদের রুপকথা পড়তেও। সেবার অনুবাদের প্রায় অনেক সংগ্রহই আছে আমার দখলে। অল্পদিনের ব্যবধানে দুইটা বই পড়লাম। ড্যান ব্রাউনের ডিসেপসান পয়েন্ট এবং হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের "পার্ল মেইডেন"। আপনি তো অনেক মোটা মোটা বই পড়েন (আমি আবার পাতলা পাতলা বই খুঁজি) কখনও সময় করতে পারলে "পার্ল মেইডেন" বইটা একবার পড়ে দেখতে পারেন।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৮

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: প্রথমেই সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
পার্ল মেইডেন পড়ার ইচ্ছে রাখলাম।
মোটা মোটা বই পড়ার অপবাদ দেবেন না।:D:P
যে বইগুলোর নাম বললে সমালোচিত হবেন সেগুলোর নাম জানতে ইচ্ছে হচ্ছে। :)

১৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৩

শাওন৩৫০৪ বলেছেন: এত্ত আগে পড়ছি, বইটার কিছুই মনে নাই...:((

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৫৪

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: কুভ কাড়াফ!
আবার পড়তে বসেন!
:P

১৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার পড়া উপন্যাসের মধ্যে অন্যতম সেরা উপন্যাস। যতবার পড়ি মন খারাপ হয়ে যায়!

আপনার উপস্থাপনা এককথায় অপুর্ব!!! +

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৪

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: প্রশংসার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৮

এলোমেলো বলেছেন: এক কথায় দারুন বই ....বস িনমাই এর েমম সােহব িনযা একটা েপাষ্ট েদন

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২৯

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি, মেমসাহেব আমার তেমন একটা ভাল লাগে নি।
তারপরেও আপনার অনুরোধ মাথায় রাকখলাম।

১৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১৯

জনৈক আরাফাত বলেছেন: ক্লাস টেনে স্কুল থেকে পুরষ্কার হিসাবে বইটা পেয়েছিলাম। এটির গঠনশৈলী সত্যিই অন্য উপন্যাস গুলোর চেয়ে অনেক আলাদা। রিভিউ এ চোখ বুলিয়ে গেলাম! ধন্যবাদ।

[অফটপিকঃ বিখ্যাত লেখকদের মনে হয় বাড়িতে দাওয়াত দেয়া লাগে, তাইনা? ]

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৬

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: পুরষ্কার হিসেবে আমি আমার জীবনেও কোন বই পাই নি।
:((

"বিখ্যাত লেখকদের মনে হয় বাড়িতে দাওয়াত দেয়া লাগে, তাইনা? "
বুঝলাম না!

২০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৪২

রুদমী বলেছেন: দূরবীন!!! প্রিয় বই গুলোর মধ্যে সবার প্রথমেই আসবে।২,৪,৬...এটা দিয়েই শুরু করেছিলাম।মনে আছে একটানা তিন দিনে বইটা শেষ করেছিলাম।

ভাল লাগলো আপনার লেখা রিভিউটা পড়ে।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৮

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: সেই ১৩৫, ২৪৬ এর কাহিনী!
আমি কিন্তু ডাইরেক্ট পড়ে শেষ করেছি।

২১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৪৫

আবু নাসের মোহম্মদ রেজা বলেছেন: ৯৮ তে পরপর দুবার পড়েছিলাম..আসলে পড়ছিলাম বললে ভুল হবে, "গিলছিলাম".. সেই শুরু। তারপর কতবার যে রিভিশন দিলাম! :)এখন পর্যন্ত আমার প্রিয় বইয়ের তালিকায় প্রথম অবস্থানে "দূরবীন"।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৪

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: শুনে খুবই ভাল লাগল।

২২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৪৭

সামী মিয়াদাদ বলেছেন: বাহ !!! অনেকেই দেখি আমার মতো করে পড়ছেন। প্রথমে জোড়, পরে বেজোড় :)

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:২০

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আমার কোন জোড়-বিজোড় নাই।
ডাইরেক্ট পড়েছি। মজাটাই অন্যরকম।
একবার ১৯৩০ এ , পরক্ষনেই ১৯৮০ তে। :)

২৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৩৩

অপ্‌সরা বলেছেন: জেরী বলেছেন: ধ্রুবরে থাপড়ানোর জন্য একটা গ্রুপ খোলা দরকার........ব্যাটা সেয়ানা শয়তান,বদের শেষ


আবার কিন্তু রাগ করলাম।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:০০

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আপনি শুধু রাগ করেছেন।
আমার তো মাথার চুল ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে হচ্ছে।
আমার না। :) যারা ধ্রুব সম্পর্কে বাজে কথা বলে তাদের চুল।

২৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫৮

জেরী বলেছেন: ধ্রুব শয়তানের চেলা,খাড়া একটা শয়তান ও

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২০

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ছিঃ জেরী এভাবে বলে না।
টম রে তুমার পিছনে লেলাইয়া দেওনের হুমকি দিলাম! P

২৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:০৭

অরণ্যচারী বলেছেন: কৃষ্ণকান্তের চরিত্রটা অসাধারণ লেগেছিল... বেজোড় অংশটুকুই বেশি ভালো।

@ধ্রুবকে থাপড়ানোর গ্রুপ - count me in.

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২১

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: :((

থ্যাংক ইউ।

২৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:০৯

ভেবে ভেবে বলি বলেছেন: আরাফাত ভাইয়ের "বিখ্যাত লেখকদের মনে হয় বাড়িতে দাওয়াত দেয়া লাগে, তাইনা?"--- কথার মানে বোঝোনি? মানে তুমি কি এতই বিখ্যাত লেখক হয়ে গেছো যে উনি সাধাসাধি না করলে উনার ব্লগবাড়িতে আর পা দেয়ার দরকার মনে করো না?

তা একবার গেলে তো পারো, নাকি? :P

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২৫

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: এত বুদ্ধি নিয়ে আফা, আপ্নে রাইতে ঘুমান ক্যাম্নে? :D

আমি তো এইভাবে ভাইব্যা দেখি নাই!

আইজকাই যাইতে হবে।

২৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১৪

অরণ্যচারী বলেছেন: On topic : আমি প্রথমে পড়েছিলাম ২,৪,৬। তারপরে লাইব্রেরীতে বই ফেরত দিতে হয়েছিল। অনেক দিন পরে আবার যখন পড়েছি তখন দুটো কাহিনী একসাথেই পড়েছি। B-)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৩৪

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: একসাথে পড়ে যে মজাটা পেয়েছেন, সেটা কী ১৩৫, ২৪৬ করে পেতেন?

২৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:১৯

সব্যসাচী প্রসূন বলেছেন: দূরবীন আমার অসম্ভব প্রিয় একটা বই... কলেজের প্রথম বছরটি আমার বই পড়ার স্বর্ণ যুগ বলা যায়.. ঐ সময় উত্তরাধিকার দিয়ে শুরু করেছিলাম ... অনিমেষের ছোটবেলার জলপাইগুড়িতে ঘুরে ... কালবেলায় এসে পড়লাম... আর মাধবীলতা ছিল আমার প্রথম প্রেম :) .... তারপর কালপুরুষ ... কেন জানি অত ভাল লাগেনি ... প্রিয় অনির পরাজয়টাই বুঝি বেশি বুকে বেজেছে... এভাবেও মানুষ জীবনযুদ্ধে হেরে যায়!!! ... তারপরই দূরবীন ... আহা... তারপর থেকে তো শীর্ষেন্দুতে মজে গেছি... ওর যে কোন উপন্যাস পড়লেই আমার পাশাপাশি বয়ে চলা রেল লাইনের কথা মনে পড়ে... একই সমন্তরালে বয়ে চলে ... যা কি না স্টেশনে গিয়ে ঠিকই মিলে যায়... ওর প্রায় উপন্যাসে এক সাথে অনেকগুলো চরিত্র পথ চলা শুরু করে ... তারপর অন্তে কি সুন্দর একে অপরের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে যায়... এক কথা মুগ্ধ করে রাখে ... :) ... তোমার বিশ্লেষণ ক্ষমতাতো জটিল... লিখে চল ... :)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৩

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: তোমার তো দেখি বিশাল এক্সপেরিয়েন্স।

"ওর যে কোন উপন্যাস পড়লেই আমার পাশাপাশি বয়ে চলা রেল লাইনের কথা মনে পড়ে... একই সমন্তরালে বয়ে চলে ... যা কি না স্টেশনে গিয়ে ঠিকই মিলে যায়... "

দারুন বলেছো তো।
এই সিরিজটা তোমার কাছে হ্যান্ডওভার করে দিই?
আমার চাইতেও ভাল লিখবে -কনফার্ম।

২৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১২

অলস ছেলে বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:২৫

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: এ আর নতুন কী! :P

(একটু ভাব নেয়া ইমো হবে:))

৩০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২৮

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: কতবার যে পড়েছি বইটা। কেন ভালো লাগতো জানি না। এখন বুঝি কেন ভালো লাগতো তবে এখন একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে পড়ার ধৈর্য কমে গেছে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪০

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: পড়ার ধৈর্য্য কারোই আর আগের মত নাইরে, বইন!
তারপরেও দাঁত-মুখ কামড়াইয়া পড়ার চেষ্টা করি।
:D

৩১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৩০

মমমম১২ বলেছেন: বইটা আসলেই চমৎকার।
ভাল লাগা নষ্ট হওয়ার ভয়ে যারা ভাল লাগার বই দুবার পড়তে চায় না(আমিও সেই দলে) ,এই বইটার ব্যাপারে মনে হয় তারা সিদ্ধান্ত বদলাইতে পারে:)


সবাই ধ্রুবকে মারতে চায় কেন!!একি কথা!!
খবরদার!!!!!!!!!!!!!!!!!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৫

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আরেকজন পাওয়া গেল, আমার দলে!
আমরা ধ্রুবর পক্ষে।:)

৩২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:১৩

|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
তায়েফ তোমার এই বই রিভিউ সিরিজের তো ভক্ত হয়ে যাচ্ছি। নিজে লিখার ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলাম, তাই জানি কি রকম ঝামেলার কাজ সংক্ষিপ্ত পরিসরে রিভিউ লেখা।

রিভিউ পোষ্টের কমেন্টগুলো পড়তে আরো ভালো লাগে। পড়া বই বা দেখা মুভিটা অন্যদের চোখে আবার দেখা / বোঝার অভিজ্ঞতাটা দারুণ।


দূরবীন আসলেই অনন্য, সেরা কীর্তি ও বটে। তবে আমার ফেভারিট 'মানবজমিন'। কারণ হতে পারে চরিত্রগুলোর নিস্পৃহতা আর নির্মোকতা, যেটা আমাকে খুব টানে।



প্রিয়তে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৯

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: প্রিয়তে নিয়া তো লজ্জায় ফালায়া দিলেন!
আর কী কমু?

৩৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:১৪

|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
মানবজমিন আপাতত থাক, পার্থিব নিয়ে কিছু লিখবে?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:০২

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: রিভিউ লেখার আগে একবার বইটা পড়তে হয়। তার উপর বাসার পিসি ইন্তেকাল করেছেন। অফিসে বসেই প্রতিদিন একটু একটু করে লিখি। মাথার ভিতরে যে কয়টা বই এখন গিজগিজ করছে, সেগুলো আগে নামাই? পরে ওটা ও আসবে ইনশাআল্লাহ। :)

৩৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:২২

হেমায়েতপুরী বলেছেন: ভাল

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৪

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: থ্যাংকু।

৩৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫২

কালপুরুষ বলেছেন: চমৎকার রিভিয়্যু। আমার পড়া অন্যতম সেরা উপন্যাস।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৭

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগে দেখে সত্যি ভাল লাগছে।
এমন কিছু ছাইপাশ লিখি না যে, নিয়মিত এখানে আসার আমন্ত্রন জানাতে পারি। তবু, বলছি, ধন্যবাদ।

৩৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৭

নুশেরা বলেছেন: কাহিনীর বর্ণনা ভালো দিয়েছো। রিভিউতে কিন্তু আরও বিস্তারিত আশা করেছিলাম। দূরবীণের কৃষ্ণকান্ত অংশটা দারুণ লেগেছিলো, তবে শীর্ষেন্দুর লেখার মধ্যে আমার কাছে পারাপারকেই সেরা মনে হয়।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২০

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আমি খুব বেশী কথা লিখতে ভালবাসি না (আসলে, পারিই না:() । তারউপর, ব্লগে বড় লেখা দিলে অনেকেই বিরক্ত হন। কী দরকার। এখানে রিভিউ লেখার মূল প্রতিপাদ্য হল, নিজের ভালোলাগাটা জানানো প্লাস আরেকজনের ভালো লাগাটাকে উস্কে দেয়া। এদিক হতে চিন্তা করলে বেশী বড় লেখা না দিলেও চলে। :P

ফাঁকিবাজি , আর কী!

৩৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৫

ম্যাভেরিক বলেছেন: দূরবীণ একটানে পড়েছিলাম। জলপ্রবাহের মতো উপন্যাস। রিভিউয়ের জন্য ধন্যবাদ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১৬

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার ব্লগে আসবার কথা।

৩৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:০৮

পাথুরে বলেছেন:
প্রথম পড়সিলাম টেন এ,
এরপর অনেকবার .....

লাস্ট আবার গত মাসে....

শীর্ষেন্দু'র ধারটাই অন্যরকম।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:২০

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: শীর্ষেন্দু'র ধারটাই অন্যরকম।- ঠিক বলেছেন, জনাব।

৩৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:০৭

সরকার সেলিম বলেছেন: পিলাস। সুন্দুর লিখেছেন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১০

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ধইন্যা.....

৪০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫২

তারার হাসি বলেছেন:
আমার কাছে ধ্রুবকে খুব আকর্ষনীয় মনে হত আর বেচারী রেমি... এত মায়া লাগত ওর জন্য ...যেন খুব চেনা কেউ।
অনেক দিন পর আবার মনে পড়ে গেল। শীর্ষেন্দু আমারো খুব প্রিয় লেখক।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:২১

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: রেমী আসলেই বেচারী।:(
মনে করিয়ে দিতে পেরে ভাল লাগল।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৫৪

অপ্‌সরা বলেছেন: জেরী বলেছেন: ধ্রুব শয়তানের চেলা,খাড়া একটা শয়তান ও
কাল জেরীর জন্য টম মার্কা জামা খুঁজে আনবো।:P

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:০৯

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: জেরীর জন্য একটা ঈদী মাইরের ব্যবস্থা কর!

৪২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৩

রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: পোষ্ট পড়ি নাই। খালি শিরোনাম পড়ছি।

আপনের সাথে আমার ভালো মিল আছে প্রিয় কিছু বইয়ের ক্ষেত্রে।

দূরবীনের কথা আর কইয়েন না। আমার প্রায় মুখস্ত এইটা। প্রথম পড়ছিলাম ক্লাস নাইনে থাকতে। প্রথম পড়ার সময় মনে করছিলাম প্রিন্টিং মিসটেক করা বই কিনলাম নাকি। কাহিনীর এই রকম অবস্থা কেন। পরেরটা আগে দেহা যায়। এরপরো আরো তিন চার পাচ বার পড়ছি। শেষ পড়ছিলাম ইন্টারের ফিজিক্স ফার্ষ্ট পেপারের পরীক্ষার আগের দিন। সকালে শুরু করছি পড়া, শেষ করতে করতে বিকাল সাড়ে পাচটা বাইজা গেছিলগা। আমি খুব দ্রুত বই পড়তে পারি। নয়তো খবর আছিল। সন্ধ্যা ছয়টার সময় ফিজিক্স নিয়া বসছি। সারাটা দিন দূরবীন নিয়া কাটাইছি। নেশারে ভাই নেশা। খুব খারাপ নেশা। ধ্রুবর পচা শামুকে পা কাটার কথা আর মঙ্গলার নতুন মা হওয়া, বিশাখার চড় খাওয়া কৃষ্ণকান্তের লালুরে আদর করা, গোষ্ঠাধিপতি হওয়া, রেমির অহংকারে উজ্জ্বল হওয়া মুখ তার শ্বশুরের মন্ত্রীত্ব প্রাপ্তিতে, রাধার নাম উল্টাইয়া ধারা রাখা, ধ্রুবর রেমিরে ব্যাঙ্গ করা যে তোমার শ্বশুর দরজায় বইসা থাকে তোমার সতীত্ব রক্ষার জন্য, ছেলের নাম বাছাই, দিব্য...... কি জিগাইবেন। চ্যালেঞ্জ করতে পারি আমার থিকা বেশী মুখস্ত এই বই আর কারো নাই। শেষ পড়ছি প্রায় তিন বছর হইতে চলল। কিন্তু এখনো মাথায় প্রতিটা লাইন গেথে আছে। আপনেরা বেশী হয়ে যাচ্ছে বলতে পারেন কিন্তু আমি বলব, নোবেল পাওয়ার যোগ্য এই বইটা। নোবেল পাওয়া অন্যান্য বইও তো পড়লাম কম না। এই বইটা অবশ্যই সেইগুলার সমতুল্য, অন্তত আমার কাছে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৩

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আপনার বিরাট মন্তব্যের জবাবে অনেক কিছুই লেখা যেত।
শুধু বলছি, একজন সমমনা পাওয়া গেল।
:)

দুরবীন আসলেই সেই রকম।

৪৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:১৪

মুনশিয়ানা বলেছেন: বহু আগে ধারাবাহিক পড়েছিলাম... আবার পড়তে হবে। শীর্ষেন্দু সবসময়ই প্রিয়...

২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১২

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৯

পোলাপান বলেছেন: আবার জিগায়... গোগ্রাসে

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৮

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: থ্যাংক ইউ, ভেরী মাচ্‌।

৪৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১০

সুবিদ্ বলেছেন: আমি পড়েছি জোড়-বেজোড়......সবশেষে ধ্রুব ডেকে ওঠে "বাবা".......অসাধারণ

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২২

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: দুরবীনের তুলনা নেই।
মন্তব্যগুলোতে তাই প্রকাশ পাচ্ছে।

৪৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১০

রাজিব খান০০৭ বলেছেন: অসাধারন বই

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১৪

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: নিঃসন্দেহে।
:#)

৪৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩২

অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: কি বলি, ছেলে হয়েও আমি ধ্রুব'র প্রেমে পড়েছিলাম।আর একদম শেষে যখন
ধ্রুব'র বাবার জন্য যখন অনুভূতি জন্ম নেয়, তখন আমারো বুকের মধ্যে কৃষ্ণকান্তের জন্য টনটন করে ঊঠেছিলো।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১৫

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: প্রথমবার পড়বার পর, বইটা সম্পর্কে সবার অনুভূতি একইরকম দেখা যাচ্ছে।
:#) মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:১০

বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: আমিও পরেছি। ধ্রুব কে আমার একটুও ভাল লাগেনি। কিন্তু পুরা বই টা পড়ে আমার খুবই ভাল লেগেছে!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩৫

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ধ্রুবকে ভাল লাগে নি, ঠিক আছে।
কৃষ্ণকান্তকে কেমন লেগেছে?
আর উপন্যাস ভাল না লাগার কোনই কারন নেই!
:#)

৪৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩৬

এস আই সাব্বির বলেছেন: ''ঠাকুর্দা হেমকান্ত যে দূরবীন চোখে দিয়ে দুরের কৃষ্ণকান্তকে কাছে টেনে এনেছিলেন, সেই দূরবীনই যেন উলটো করে চোখে তুলে ধ্রুব কাছের কৃষ্ণোকান্তকে দূরে ঠেলে দিয়েছিল।"

নামকরণের চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমার পড়া সেরা রিভিউ

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:১৭

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। সম্মানিত বোধ করছি।

৫০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৫৮

চাঙ্কু বলেছেন: জেডা @ এখনতো দেখি তুমার ভ্যান না চেয়ে কোন উপায় নাই । তুমি এডি কিতা শুরু করলা? ছুড বেলার সবডি প্রিয় বই আর প্রেমে পড়া নায়িকাগুলার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছ । আফসুস ।

দূরবীন পড়ার সময় একবার হঠাৎ করে প্ল্যান হইল ইন্ডিয়া যাপ কিন্তু আমি তখনও বইয়ের মাঝখানে, পরে শেষ করতে আরো কয়েকদিন লাগপে । শেষপর্যন্ত ওই বই ইন্ডিয়াতে নিয়ে গিয়ে পড়া শেষ করছি :D

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২৩

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: জ্যাডা,
এইটা আমি ঠিক বুঝলাম না!
:(
এই সিরিজের সবগুলা পোষ্টের লিংকু প্রতিটা পোষ্টের শ্যাষে দেয়া আছে। হেইটা না দেইখা কয় দিন পর পর আমার ভ্যান দাবী করলে আমিও কিন্তু উলটা ভ্যান দাবী করবার পারি। এইটা আমার গনতান্ত্রিক অধিকার।
:#)

৫১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৫০

ফারহা শারিমন বলেছেন: এক সময় ধ্রুবর জন্য পাগল ছিলাম, এখনও হয়তো আছি............. কলেজে পড়ার সময় প্রায় দুবছরের বেশী সময় আমার বালিশের নিচে থাকত "দূরবীন"। প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার করে পড়তাম।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৫৯

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: এই পোষ্টে দুরবীনের অনেকরকম ভক্তের দেখা মিলল।
;)
অনেকদিন পরে এসে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

৫২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৫৮

কায়কোবাদ বলেছেন: অসাধারণ উপন্যাস............অসাধারণ রিভিউ..........++++

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:২৪

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: উপন্যাসের অসাধারণত্বের গুনেই রিভিউটা যা হওয়ার হয়েছে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৫৩| ১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১:০৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: এটা আমার খুব প্রিয় একটা বই।
বারবার পড়তেও ভাল লাগে।
আমার কাছে ধ্রুবর চাইতে হেমকান্ত অংশটাই বেশি ভাল লেগেছে।
বিশেষ রঙ্গময়ীর ব্যক্তিত্ব দারুন লেগেছে।
আপনার রিভিউ ভাল লাগলো, এরকম আরোও আছে নাকি?

১৫ ই জুন, ২০১০ রাত ৮:৪২

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আমার মনে হয়, বাঙলা ভাষাভাষী যে কেউই এই উপন্যাসের ভক্ত হতে বাধ্য.....:):)

৫৪| ১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১:১৫

গানচিল বলেছেন: আসলে এভাবে তুলনা করা যায়না। কারন প্রত্যেকটি বইয়ের প্লটই আলাদা আলাদা ।শীর্ষেন্দুর 'মানব জমিন', যাও পাখী,দুরবীন ৩টি বই-ই অসাধারণ। কোনটা ছেড়ে কোনটা ভাল বলি। পারাপার, ফজল আলী আসছে , ওগুলাও তো দারুন !

১৫ ই জুন, ২০১০ রাত ৮:৪৪

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আমি আসলে সম্ভবতঃ শ্রেষ্ঠতম বই বলেছি। অন্যগুলোও দারুন-সন্দেহ নেই।

৫৫| ১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১:১৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: ওহ সরি, নীচের লিংক গুলো খেয়াল করিনি.......

১৫ ই জুন, ২০১০ রাত ৮:৪৬

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: এখনতো খেয়াল করেছেন!!:):)

৫৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১৫

ইচ্ছে বলেছেন: রিভিওটা ভাল লাগলো, তবে যারা ধ্রুবকে চড় মারতে গ্রুপ খুলতে উৎসাহী (কঁাকন, জেরী...) তারা মনে হয় উপন্যাসের কোন একটা চরীত্রে (আমার মনে হয় রেমী ;) ) এত বেশি ঢুকে গিয়েছিলেন যে ধ্রুবর পয়েন্ট থেকে অবস্থাটা চিন্তা করে দেখেন নাই...

তবে আমি দুরবীন কে এত উপরে রাখতে রাজি না

আমার হিসেবে ভাল লাগার ক্রমটা নিচের মত

১. উৎরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ সিরিজ
২. গর্ভধারিণী
৩. সাতকাহন ১,২
৪. দুরবীন
৫. সেই সময়
৬. প্রথম আলো
৭. পূর্ব - পষ্চিম
৮. মানবজমিন
(আরো অনেক, সবগুলোর নাম দিতে গেলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে)


সুনীলের আরেকটা বই কেও পড়েছেন কিনা জানি না, একটা স্মৃতীকথা, নামটা খেয়াল নেই ওর ফ্রান্স আর আমেরিকায় থাকার সময়টা নিয়ে, যতবার পড়ি ফরাসী মেয়েটার করুন পরিনতিতে মনটা বিষন্যতায় ভরে যায়...

০৩ রা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৩১

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: প্রায় বছর খানেক আগের লেখা খুঁজে বের করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার দেয়া ক্রমের ব্যাপারে, আমার কথা নেই। প্রত্যেকের রুচিই ভিন্ন। তবে, আপনি বোধ হয় লক্ষ্য করেন নি যে, আমি একজনের সাহিত্যিকের কেবলমাত্র একটি বইয়ের রিভিউ দিচ্ছি। কালপুরুষ আর প্রথম আলো নিয়ে রিভিউ লেখার ইচ্ছে অনেকদিনের। এ জীবনে আর সময় পাবো কীনা জানি না!:(

আর সুনীলের যে বইটার কথা বলছেন, সেটি সম্ভবতঃ 'ছবির দেশে কবিতার দেশে'...

৫৭| ২২ শে মার্চ, ২০১১ রাত ২:০৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: দূরবীন আমার সবচেয়ে প্রিয় উপন্যাস। ধ্রুবকে বেশীর ভাগই পছন্দ করে না জানি, কিন্তু পুরো স্কুল-কলেজ লাইফে ধ্রুবর প্রেমে পাগল ছি্লাম! ;) :P

১৫ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:৫৭

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আবার জিগায়!
:)

৫৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:১১

বিনিদ্র রজনী বলেছেন: "অবশেষে, সকলের সুখের কথা চিন্তা করে কৃষ্ণকান্ত বেছে নেন ইচ্ছামৃত্যুর পথ। দিল্লীতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের লোভ ছেড়ে দিয়ে সংসারের ভার সুকৌশলে ধ্রুবর হাতে তুলে দিয়ে তিনি পাড়ি দেন অজানার দেশে।"

আমার যতদূর মনে পড়ে, কৃষ্ণকান্তকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব দিয়ে দিল্লী নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করে দিল্লীতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে হঠাত করেই অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি। কেন্দ্রিয় মন্ত্রিত্বের লোভ কী উনি ছেড়েছিলেন?
আর বেশিরভাগ উল্লেখ্যযোগ্য চরিত্রকে আপনার রিভিউতে স্মরণ করলেও কৃষ্ণকান্তের ভৃত্যটিকে মনে করেননি। আমিও এই মূহূর্তে নাম মনে করতে পারছি না।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০০

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: এই মূহুর্তে আমারও মনে পড়ছে না। পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪৮

আমি সুফিয়ান বলেছেন: দুরবীণ চমৎকার একটা বই,অনেকের মতেই এটা তার সেরা বই তবু আমার মানবজমিন ই সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল..
তবে আপনি নিজেই বলেছেন একেজনের রুচি একেকরকম :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.