নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একশত সিপাহী ঢাল-তলোয়ার লইয়া যে ক্ষমতা না রাখে, অনুতাপের হাত তাহার চেয়ে অধিক ক্ষমতা রাখে।
নীলু প্রচন্ড রেগে আছে, কিন্তু একটা ঘুমন্ত মানুষের সাথে রাগ করে থাকার কি কোন মানে আছে? রাগটা আজ নীলু নিজের উপরেই উঠছে, কেন যে এই মানুষটাকে বিয়ে করতে গেল। ফুল শয্যার রাতে কোন ছেলে এমন করে ঘুমিয়ে থাকে এই জীবনের প্রথম শুনতে পেল, এইটা নীলুর দুর্ভাগ্য যে এমন ছেলেটা আবার নীলুর ভাগ্যেই জোটেছে।
পারিবারিক ভাবেই নীলু আর নীলয়ের বিয়ে হয়, বলতে গেলে একটা আকস্মিক ভাবে।
নীলয় ভালবাসত নীলুর এক কাজিন নিশিকে, সেই অনেক দিন থেকেই। কিন্তু নীলয়ের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে নিশি কেমন জানি একটু একটু দূরে চলে যেতে থাকে, দূরে যাওয়ার কারনটা জানতে না পরলেও অনূভব করতে পারে এই মূহুর্তে নীলয়দের পরিবারে একটা অভাব সৃষ্টি হচ্ছে তাই নিশি নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যাচ্ছে।
নীলয় সব সময় তাকিয়ে থাকে মায়ের মলিন মুখের দিকে, কি যেন একটা বলতে চাই কিন্তু ছেলের সামনে বলতে পারছেনা। ছোটভাই বোন সবাই কেমন যেন একটা আচরন করে, না পারে বলতে না পারে চুপ করে থাকতে।
দেখতে দেখতে নীলয়ের ছোট ভাইয়ের কোচিং বন্ধ হয়ে গেছে, ছোটবোনও প্রায় লেখা পড়া ছেড়ে দেবে দেবে একটা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাতে বাসায় এসে নীলয় দেখল আজকে বাসায় রান্না হয়নি বলতে গেলে সবাই উপুস করেছে।
কথায় বলে "অভাব যখন দরজার সামনে এসে দাড়ায়, ভালবাসা তখন জানালা দিয়ে পালাই" নীলয়ের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে, নীলুটা একেবারে দূরে চলে গেছে প্রায় ৬ বছর কোন যোগাযোগ নেই।
এরি মধ্যে নীলয় একা চাকরিতে জয়েন করে, যদিও খুব ভাল একটা পোষ্ট না তারপরও মা ভাই বোন সবার দিকে তাকিয়ে সে এই চাকরিটাই করে চলে। আস্তে আস্তে নিজের যোগ্যতায় ভাল একটা অনস্থান তৈরী করে, অনেক কষ্টে এমবিএ শেষ করে। এই লেখাপড়াটা চালিয়ে যেতে নীলয়ের বস অনেক সাহায্য করেছে, কখনো টাকা দিয়ে কখনো অফিস থেকে একটু আগে ছুটি দিয়ে। বসের এমন আচরনে নীলয় মাঝে মাঝে আবেগপ্লুত হয়ে পরত, কিন্তু বসের সামনে কখনো তা প্রকাশ করেনি। এমবিএ করার সাথে সাথে অন্য কোম্পানি থেকে অনেক বেশি বেতনের একটা অফার পেয়েছিল কিন্তু বসের প্রতি ভালবাসায় সে জবটা ছেড়ে যায়নি।
নীলু অনেকটা রাগে ক্ষোভে বিছানা থেকে নেমে পাশের সোফাতে গিয়ে বসে, অনেকক্ষন হিসাব করছে আসলে কি সে ভুল করেছে নীলয়কে বিয়ে করে। বারবার এই প্রশ্নটা মাথায় আসছে কিন্তু কিছুতেই উত্তর পাচ্ছেনা, আবার এই প্রশ্নটা ভুলতেও পারছেনা।
নীলুর খুব ইচ্ছে করছে নীলয়ের গালে একটা চুমু খেতে কিন্তু নীলয় যদি ঘুমথেকে জেগে যায় তাখলে হয়তো রাগ করতে পারে, নীলুর চোখে জল টলমল টলমল করছে হয়তো আর একটু হলেই ঘরিয়ে পরবে................
এই দীর্ঘ ৬ বছর পর অনেকেই ভেবেছিল নীলয় হয়তো নিশিকে ভুলে গেছে, কিন্তু সবার ধারনা ভুল প্রমাণ করে নীলয় দেখা করতে গেল নিশির সঙ্গে। এতদিন পর নীলয়কে দেখে নিশি কিছুটা চমকিয়ে গেলেও আশ্চর্য হয়নি, হয়তো সে জানতো নীলয় আসবে।
আজকের নীলয় আর ছয় বছর আগের নীলয়ের মাঝে আকাশ জমির তফাৎ, ওকে দেখতে কেমন জানি মনে হচ্ছে। অনেক চেষ্টা করেও নিশি সেই নীলয়কে খুজে পেলনা এই নীলয়ের মাঝে।
নীলয়ের চোখের নিচে কালো হয়ে গেছে, ফোল হাতা একটা শার্ট পরলেও টেনে কনোই পর্যন্ত উঠিয়ে রেখেছে। ইন করেছে কিন্তু কোন বেল্ট নেই, চোলগুলি এলোমেল কেমন জানি অগুছালো একটা মানুষ সামনে দাড়িয়ে আছে। কালফ্রেমের একটা চশমা পরে আছে এতে মনে হয় নীলয়ের বয়স আরো ১০ বছর বেরে গেছে,
নিশি সবচেয়ে অবাক হল নীলয়ের পায়ে চামড়ার জুতা জোড়া দেখে, এমন অফিসে একটা ক্ষ্যাত মার্কা ছেলে কি করে কাজ করে।
সেইদিন অনেক কটু কথা শুনে নীলয় ফিরে ছিল নিশিদের বাসা থেকে, কেমন যেন একটা চাপা কষ্ট বারবার নীলয়কে থামিয়ে দিচ্ছে বারবার। নিশির শুরুহল নীলয়কে একের পর এক কঠিক কথা বলা, এইটা সেইটা শেষ পর্যন্ত টাকা পয়সার তোলনাটা সামনে নিয়ে আসল। নীলয় যেন একটা ছেড়া কাগজের মত যার কোন মূল্যনেই, অথচ নীলয়ের বাবা বেচে থাকতে কতভাবেই সহযোগিতা করেছে নিশিদের।
অপমান অপদস্থ হয়ে নিশিদের বাসা থেকে বেড়িয়ে যাবে এমন সময় দেখাহয় নীলুর সাথে, যখন নিশির সাথে ভাল সম্পর্ক ছিল তখন থেকেই লীলুকে চেনে। মাঝে মাঝে হাই হ্যালো হত, তবে খুব বেশি একটা মাখামাখি সম্পর্ক ছিলনা। নীলু সম্পর্কে নিশির চাচাতো বোন।
রাত্রটা যেন নীলুর কাছে এক যুগের চেও বেশি বড় মনে হচ্ছে, কেন ভোর হচ্ছেনা বারবার জানালা দিয়ে বাহির দেখছে মনে হয় এতো ভোর হচ্ছে। অনেক ভেবে চিন্তে নীলু সিদ্ধান্ত নিল, আজ অথবা কালকের মধ্যেই সম্পর্কটা শেষ করে দেবে। এইভাবে একটা অসহ্য সম্পর্ক খুব বেশিদূর নিয়ে যাওয়া যায়না, তারচেয়ে শুরুতে শেষ করেদিলে দুজনের অনেক ভাল হবে। নীলু জানে সম্পর্কটা ছিন্ন করতে চাইলে নীলয় খুশিই হবে কিন্তু নীলুর বাবা মা কি মেনে নেবে, তাছাড়া একটা মেয়ের বিয়ে হয়েগেলে সমাজ তাকে আর স্বাভাবীক ভাবে মেনে নেইনা। এইটা সেইটা কত চিন্তা করছে, আর বার বার জানালা দিয়ে বাহিরে তাকাচ্ছে।
কত স্বপ্ন ছিল ফুল শয্যার রাতে স্বামীর সাথে কত গল্প করবে, কতকি শেয়ার করবে। জীবনটা সাজাতে কতইনা ভালবাসবে দুজন দুজনকে, কিন্তু সবকিছুতেই ছাই এসে পরল প্রথম রাত্রেই স্বামী বেচারা ঘুমাচ্ছে নাক ডেকে।
নীলয় অনেকটা কষ্টনিয়ে নিশিদের বাসা থেকে বেরিয়ে আসল, রাস্তাদিয়ে হাটছে আর ভাবছে সে কি করবে। মায়ের বয়স হয়ছে এখন একটা বউ এই মূহুর্তে দরকার কিন্তু নিশি যেভাবে ফিরিয়ে দিয়েছে তাতে মেয়েদের প্রতি আর কোন ভালবাসাই থাকলনা। রাতে বাসায় যায়নি বন্ধু লিমন এর বাসায় চলে আসে, নীলয় এর বাবা মারা যাওয়ার পর লিমন এর পরিবার তাদের পাশে ছায়ার মত লেগে ছিল। যা কিছু প্রয়োজন সব কিছুই দিয়েছে এমনকি ঐ বিপদের দিনে নীলয়ের চাকরিটাও লিমন এর বাবা দিয়েছিল।
সারা রাত লিমনের সাথে গল্প করে কাটাল, কিছুতেই কোন স্বীদ্ধান্তে পৌছাতে পারলনা। পরদিন অফিসে যায়নি, তারপর দিনও।
শান্ত নম্রভদ্র সবসময় হাসিখুশি নীলয়টা কেমন জানি একধম চুপ মেরে বসে আছে কারো সাথে তেমন কথা বলেনা, হাসেনা মানুষের সাথে মিশেনা বিশেষ করে কোন মেয়ের সাথে কথাও বলেনা। এমন করে দুই তিন মাস কেটে গেল, ঐদিক দিয়ে নিশিও হাজবেন্ড এর সাথে আমেরিকায় পারি দিয়েছে। দিনদিন নীলয় নিজেকে বুঝাতে চেষ্টা করছে কিন্তু কখনো পারছে কখনো পারছেনা।
নীলু এবার বিছানায় এসে বসল, অপলক নয়নে নীলয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।
কি নিষ্পাপ একটা মুখ নিশি কি করে এমন কষ্টা দিতে পারল?
এতক্ষন যদিও নীলু নিজের উপর রাগ করছিল কিন্তু এই মুহুর্তে নিশির উপর খুব রাগটা চাপছে, ঐ মেয়েটার এমন একটা ছেলেমানুষির জন্য দুইটা জীবন একেবারে শেষ হয়ে যাচ্ছে। নীলুর কেমন জানি একটা ভালবাসার সন্ধান খুজে ফিরল নীলয়ের মাঝে, কেমন জানি মনে হচ্ছে নীলয় যত খারাপ ব্যবহার করোক তার সাথেই থেকে যাবে। আলতো করে নীলয়ের মাথায় হাতদিল চোলগুলি নিয়ে কেমন ছেলে খেলা করতে থাকল, কিযেন কি মনে করে হঠাৎ করেই নীলয়ের গালে একটা চুমু খেল। সেযে কি এক অনুভূতি নীলু কাওকে বুঝাতে পারবেনা, মনে হচ্ছে ঘুমের ঘরে মাঝে মাঝে এমন চুমু খেলেও সে সারা জীবন নীলয়ের সাথে থাকতে পারবে।
লিমনের পরিবার আজ নীলয়দের বাসায় বেড়াতে এসেছে, সাথে নীলু এসেছে। নীলয় কিছুটা আশ্চর্য হয় নীলুকে দেখে, লিমনদের সাথে নীলুর কি সম্পর্ক? আলাপ চারিতায় জানতে পারে নীলু আর লিমন খালাতু ভাই বোন, আজকে লিমনদের বাসায় বেড়াতে আসছে তাই এক সাথেই নীলয়দের বাসায় চলে আসে।
অনেক রাত্র নীলয় নীলু আর লিমন বাসার ছাদে বসে গল্প করছে, কিছুটা ঠান্ডা হাওয়া তারউপর চাদের উজ্জল আলো গল্পটা কেমন জমিয়ে উঠল। কেমন জানি গম্ভীর হয়ে যাওয়া নীলয়টা আজ অনেকটা হাসি খুশি হয়ে নীলুর সাথে গল্প করল, লিমনেরও অনেক ভাল লাগছিল দৃশ্যটা দেখতে।
নীলুর বাবা কোন একটা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে জব করে, আর মা একটা বেসরকারি কলেজে। দুই ভাই একবোনের সংসারে নীলু সবার বড়, এই বছর বিবিএ শেষ করেছে ইচ্ছে ছিল এমবিএ করবে কিন্তু পরিবার থেকে খুব বেশি একটা সাপোর্ট পাইনি তাই এখন চাকরি খুজছে। তবে পরিবারের প্রতিটা মানুষ এখন নীলুর বিয়ের বিষয়ে খুব বেশি সিরিয়াস হয়ে উঠেছে।
নীলুর জন্য পাত্র খুজছে শুনে নীলয়ের মা হঠাৎ করেই বলে ফেল্ল আমার ছেলেটার জন্যও একটা মেয়ে খুজছি তাখলে দেখেন একটু খুজ করে উরা কি আমাদের কাছে বিয়ে দেবে?
লিমনের মা কেমনটা হাসি দিয়ে বল্লা, আপনার ছেলের জন্য নিলে কারো কোন আপত্তি থাকবেনা আমি এখনি নীলুর বাবা মাকে ফোন করছি। যেই কথা সেই কাজ, সাথে সাথেই ফোন রাতেই নীলুর বাবা মা এসে হাজির, অনেক আলাপচারিতার পর দুই পক্ষই রাজি হয়ে গেছে। এর মধ্যে নীলয় আর নিশির সম্পর্কের কথাটাও শেয়ার করলো। কোন পক্ষই এই বিষয়ে তেমন কোন কথা না বলে সবাই এরা দুজনের বিয়ে নিয়ে কথা বল্ল।
নীলু জানালার গ্রীলে হাত দিয়ে বাহিরে তকিয়ে আছে, কি সুন্দর একটা মিষ্টি গ্রান এসে নাকে লাগছে। নীলুর ইচ্ছে করছে বাসার নিচে নেমে ফুলটার সন্ধান করতে, কিন্তু এত রাতে একা একা বাসার বাহিরে গেলে যে কেও অনেক কিছু মনে করতে পারে। তাই মনযোগ দিয়ে খুজতে লাগল কি ফুল এটা, এত মিষ্টি একটা ঘ্রান যেন পাগল করে দেবে। অনেকক্ষন সময় পর নীলু বুঝতে পারল এই ফুলগাছটা সম্ভবত ছাদে লাগানো, ইস্য যদি নীলয়টা না ঘুমাতো তাখলে এখনই ছাদে গিয়ে বসে থাকতাম। কিন্তু যে ছেলে প্রথম রাত্রেই বউ ছেড়ে ঘুমিয়ে পরে সে আর যায় হোক বউকে নিয়ে চাদের আলোতে ছাদে বসে গল্প করবেনা।
বিয়ের কথা শুনে নীলয় এক প্রকার চিৎকার চেচামেচি করে উঠল, কিছুতেই সে বিয়ে করবেনা। হয়তো নিশিকে বউ করবে নতুবা কখনো কোন মেয়েকে বিয়ে করবেনা। লিমন অনেকটা সময় নিয়ে বুঝাতে চেষ্টা কর কিন্তু নীলয় এই বিষয়টা নিয়ে কোন কথা শুনতে ইচ্ছুক না, তখনই লিমন অন্য একটা খেলা শুরু করল। বল্ল - তুই নিশিকে ভালবাসতি কিন্তু সে তকে কষ্ট দিয়েছে কিন্তু তুই তাকে না পারিস পরিবারের অন্য কোন মেয়েকে কষ্ট দে, আর সুযোগটা কাজে লাগেতে হলে নীলু হতে পারে তর প্রথম হাতিয়ার।
নীলয় কিছুটা চিন্তায় পরে গেল কি করবে তেমন বুছে পাচ্ছেনা, কেমন যানি একটা প্রতিশোধের নেশায় তাকে পাগল করে তুল্ল। সবাইকে এক প্রকার অবাক করে দিয়ে বিয়েতে রাজি হয়ে গেল, এক সপ্তাহের মধ্যেই এক প্রকার চুপিশারি দরনের বিয়ের অনুষ্ঠান করে দুজনকে বিয়ে দেয়া হল।
আজ নীলু আর নীলয়ের বাসর রাত..............................
নীলয় রুমে এসেই প্রথমে বল্ল আমি খুব ক্লান্ত ঘুমিয়ে পরছি, তোমার ইচ্ছে হলে পাশে শুয়ে পরতে পার। মেয়েটা কিছুটা অবাক হয়ে ভাবছিল এমন ছেলেও কি পৃথিবীতে আছে যে কিনা বাসর ঘরে এসে প্রথম ঘুমের কথা বলে।
নীলয় যদিও শুয়ে আছে তারপরও সে নীলুর সব ছেলে মানুষি আর রাগ ঠিকই বুঝতে পারছে, হঠাৎ করেই বিছানা থেকে উঠে নীলুর পিছনে দাড়িয়ে বলছে "চল ছাদে যায়, অনেক সুন্দর কিছু ফুলগাছ আছে সাথে জোৎসানাটাও অনেক সুন্দর"
নীলু চমকিয়ে উঠল, বিশ্বাসই করতে পারছিলনা নীলয় এমন কথা বলছে। নীলুর এখন কিযে খুশি লাগছে বলতে পারছেনা, দৌড়ে এসে নীলয়ের বুকে মাথা রেখে ফুফিয়ে কেদে উঠল। নীলয় ভাবলেশহীন হয়ে গেল, শুধু ভাবছে নিশির অপরাধের জন্য এমন একটা নিষ্পাপ মেয়েকে কেন কষ্ট দিতে চাইছে? নীলু কতক্ষন নীলয়ের বুকে মাথা রেখেছিল তার কোন হিসাব নেই হঠাৎ করেই নীলয় বলে উঠল "এইভাবেই থাকবে নাকি ছাদে যাবে?"
নীলু আস্তে করে মাথা উঠিয়ে বলছে "চল"
দুজন দুজনের হাতে হাত রেখে ছাদের কিনারে দাড়িয়ে আছে, পাশেই হাসনাহেনা ফুল গাছ থেকে অশ্বরীয় ফুলের সুবাশ আসছে দুজনই মুগ্ধ হয়ে আছে। চারদিকে জোৎসা টলমল করছে, দূর থেকে মনে হচ্ছে বেল গাছের পাতা থেকে জোৎসা বেয়ে বেয়ে মাটিতে পরছে। রাতের আধারে জোৎসনা পসরে দুজন মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে, চারি পাশের জগৎটা জোৎসা স্নান করছে।
একেই হয়তো বলে অসহ্য সুন্দর........................
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আশা করি কোন একদিন ভাল কিছু হয়ে যাবে
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: অসহ্য সুন্দর গল্পের কাহিনী হয়তো সাধারন কিছু তবে লেখায় বৈচিত্র আনাটা দরকার ছিল। ব্লগে ঘুরুন। লেখাগুলি পড়ুন। ভাললাগা গল্পগুলো থেকে নিজের কল্পনার রঙ মিশিয়ে অসাধারন কিছু বানিয়ে ফেলুন।