![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একসময় ব্লগ দিয়ে দুনিয়া বদলানোর স্বপ্ন দেখতাম। এখন সাংবাদিকতায় সেই স্বপ্ন দেখি। ফেসবুক প্রোফাইলঃ https://www.facebook.com/ItsTajul
পূর্বে কবে চুল কাটাইয়াছি তাহা ঠিক স্বরণ করিতে পারিতেছি না। তবে আমার চুলের যে অবস্থা হয়েছিল তাহা বলিবার অপেক্ষা রাখেনা। সাক্ষাৎ সুন্দরবনের সবচেয়ে ঘন ঝোপ।
*********************************
সাধু ভাষায় এইটুকু বলতেই জানটা বাহির হইবার উপক্রম হইলো। আসলেই, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়ের লেখকদের মাথা ছিল। তারা অনর্গল সাধু ভাষায় লিখিয়া যাইতে পারিতেন। এখন আমি যাহা লিখিব তাহা আমার চুল কাটা বিষয়ে।
চুল কাটিব কাটিব করিতেছিলাম কিন্তু কাটা হইয়া উঠিতেছিল না। ২ সপ্তাহ ধরিয়াই কাটিবার চেষ্টা করিতেছিলাম। কিন্তু সময় হইয়া উঠিতেছিল না। আজকেও হইতো না। দুপুরে চুল কাটিতে যাবো ভাবিয়া যেই উঠিয়াছি দেখিলাম আমার চুল কাটিবার সাথী আমার মেজোভাই বিছানায় চিৎপটাং হইয়া আছেন। খুবই কষ্ট পাহিলাম মনে মনে। তাহার ঘুম ভাঙ্গিলো নামায শুরু হইবার ঠিক ৩০ মিনিট আগে। সেই সময় চুল কাটিতে যাবার কোন উপায় ছিলনা।
বিকালে তিনি আমাকে কহিলেন, তাহার চুল কাটিবার প্রয়োজন হইয়াছে। তাহাকে লইয়া আমি গেলাম চুল কাটিতে। মায়ের কাছে টাকা চাইতেই তিনি একটা একশত টাকার নোট ধরাইয়া দিলেন। চুল কাটিয়া যে টাকা বাচিবে তাতে খাতা এবং কলম-ও কিনিতে হইবে। যাই হোক, আমরা দুই ভাই চুল কাটিবার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ঘর প্রস্থান করিলাম।
আমার ভাই সেলুনে যাইতে যাইতেই তার গার্লফ্রেন্ড (ইহার সাধুভাষা আমার বোধগম্য নয়)-এর সাথে কথা কহিয়াই আমার মোবাইলের ৩ খানা টাকা গিলিয়া ফেলিলেন। তারপর মোবাইলের দোকানে গিয়া আরোও ৪টাকার কথা কহিলেন। এতটুকু আসিয়াও আমার কোন সমস্যা ছিলনা। তাহার কারণ এগুলো ছিল তার অর্থ। মায়ের দেয়া অর্থ নহে।
চুল কাটিতে আমাকে বসাইতে দিয়া আমার মেজ ভাই উধাও হইয়া গেলেন। যখন ফিরিলেন তখন আমার চুল কাটা চলছে। তিনিও বসিয়া পড়িলেন। আমার চুল বেশি বড় দেখিয়া নাপিত মহোদয় খুবই উৎসাহের সাথে আমার চুলকে বিভিন্নভাবে নরম করিবার চেষ্টা করিতেছিলেন। আমি তাহা দেখিয়া বলিলাম, "মহোদয়, আপনি কি কোন ক্ষুর কাচি ছাড়াই আমার চুল গুলোকে কাটিয়া দিবেন?" তিনি হাসিলেন। কিছু কহিলেন না। চুল কাটা পুনরায় শুরু করিলেন।
তিনি যে কতকিছু ব্যবহার করিলেন তাহা আমি অন্তরদ্বারা উপলব্ধি করিলুম। কারণ তখন আমার পক্ষে দেখা সম্ভব ছিল না। পাছে না আমার চোখে চুল ঢুকিয়া যায়। আমি আমার মাথায় মেশিনের গরম স্পর্শ অনুভব করিলাম। তারপর ক্ষুর। তারপরে চিরুনি। সর্বশেষে কাচি। তিনি সেলুনের প্রায় সকল অস্ত্র-শস্ত্র নিয়াই আমার চুল নিধনে নামিলেন। অবশেষে যুদ্ধ শেষ হল। আমি আর্মি স্টাইলে চুলের কাটিং দিয়া সেলুন হইতে বাহির হইলাম।
বাহির হইয়া আমার মেজ ভাইকে ধরতেই তাহার কাছে অত্যন্ত সুখের বিষয়টি জানিলাম। তিনি তাহার মোবাইলে মায়ের দেওয়া অর্থ হইতে ২০টাকা ঢুকাইয়া খরচ-ও করিয়া ফেলিয়াছেন। কি আর করিব। ভারাক্রান্ত মনে দোকানে গেলাম খাতা কিনিতে। গিয়া খাতার দাম জিজ্ঞেস করিতেই দোকানী কহিলেন, "৫৫ টাকা।" আমি রীতিমত অবাক। হাতে তখন ছিল ৪০খানা টাকা। আমি কহিলাম, "কাগজের দিস্তা কত?" উনি হাসিয়া কহিলেন, "২০টাকা।" আমি ভাবিলাম, "হায়রে দেশ! তুই একদম গেলি।"
অবশেষে ঘরে ফিরিলাম ১ টা সাবান। ১টা মিনি শ্যাম্পু। ১ দিস্তা কাগজ। আর নাপিতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া চুল গুলোকে লইয়া।
১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:৪৭
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: শুনিয়া অত্যন্ত পুলকিত হইলাম।।।
২| ১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:৪৯
ক্রিকেট ফ্যান বলেছেন: খুবি মজা পাহিলাম পড়িয়া
১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:২৩
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: শুনিয়া পুলকিত হইলাম
৩| ১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:৫১
মানব মানিক বলেছেন: অতি উত্তম হইয়াছে বৎস।
অদ্য দিবসে আমি তোমার আপন কুষ্ঠিতে সুলেখক হইবার আশা দেখিতেছি .......। তুমি বড় লেখক হইবেক । +++
১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:২৬
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: আপনার সমস্ত কথা বোধগম্য হলোনা।
দোয়া করিবার জন্য ধন্যবাদ
৪| ১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:০১
প্রশাসন বলেছেন: তোমারচেষ্টা বৃথা যাইতে পারেনা বইলা আমার দৃঢ় বিশ্বাস হইতেছে। তবে আরো আশার বানী হইতেছে ইহা চেষ্টা করিবার ফলে তোমার পাকা লেখক হইবার আশা সন্চারিত হইয়াছে। যাহা দেখিয়া এই ব্লগের সকল ব্লগকুল আনন্দে আত্নহারা হইবার সমূহ সম্ভাবনা দেখা যাইতেছে। তাহাছাড়া দেশের নামী দামী লেখকবৃন্দ তোমার মত বৎসকে সকল প্রকার সাহায্য করিবার জন্য দুই হাতে শিক্ষার উপকরন লইয়া উপস্থিত হইবার চেষ্টা চালাইতাছেন। আরো বলা যাইতে পারে যে, তোমার সুন্দর বনের মত ঘন ম্যানগ্রোভ চুলের বনকে ছাটাই করিবার জন্য একদল ব্যক্তি তাহাদের স্ব স্ব অস্ত্র লইয়া ধাওয়া করিবার প্রস্তুতি লইতেছেন। জাতিকুলের পক্ষ থেকে অসীম ধিক্কার ওই নরসুন্দর কর্মকর্তাকে যিনি আমাদের এই ভাষাবিদের চুল কাটিবার মত ন্যাক্কারজনক অধ্যায় রচনা করিবার প্রয়া করেছেন।
১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:২৮
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: ভাবিবার বিষয়.............
৫| ১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:১৭
ইতর বলেছেন: কি হে রবি ঠাকুর হওয়ার চেষ্টা করছেন নাকি?? সাধু ভাষায় লেখার মাঝেও চলতি ভাষা প্রবেশ করায় তো সব তালগুল পাকিয়ে দিলেন। চালিয়ে যান, রবী ঠাকুর না হলেও উত্তরসুরী হতে পারবেন।
১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:৩০
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: কি যে করিব বুঝিতেছি না। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে আশা করি।
৬| ১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:৪৯
উত্তরাধিকার বলেছেন: মুন্না,
আপনার রচনা পাঠ করিয়া আত্মা তৃষিত হইয়া উঠিল। কিঞ্চিৎ সুরা পান করাইয়া আপনি এই অধ্মের অন্তরে এক প্রকার চাঞ্চল্য আনিয়া দিয়াছেন। এই কথা খানা স্মরন রাখিয়া অনুগ্রহ করিয়া ভবিষ্যতে আপনি অতিশয় দীর্ঘ রচনা লিখিবেন। এই প্রার্থনা করিয়া আজিকে আমি বিদায় লইতেছি।
১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:৩৪
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: বিদায়। ধন্যবাদ
৭| ১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:৪৮
এক্স ফাইলস্ বলেছেন: বৎসে বড়ই চমৎকার হইয়াছে।
১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:৩০
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: আনন্দ পাইলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:৪৫
আরিফ থেকে আনা বলেছেন: চেষ্টা বৃথা যায়নাই