নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ রক্ষার সৈনিক

মারুফ মুনজির

আমাকে যে ভালবাসে তাকে আমার খুব ভাল লাগে

মারুফ মুনজির › বিস্তারিত পোস্টঃ

আয়না বাজির সিনেমা রিভিউ

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

সকাল থেকেই খালাত ভাই নাইম প্ররোচনা দিতে ছিল চল যাই, চল যাই, আমার মনের মধ্যে তখন অন্য চিন্তা রবিবার বিসিএস রিটেন সাবজিক্টটিভ পরীক্ষা, পড়ালেখা করা দরকার, তাই সকাল থেকে দুটানায় ছিলাম কি করব, সকাল ১২ টা বাজার পর সকল দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে চলে গেলাম সিনেমা হলে, এবার আগের বারের থেকে টিকিটের দাম ১০ টাকা বেশি, টিকিট কাটার আগেই সিরিয়ালে দাড়ালাম, এর আগে কখনই লাইনে দাড়িয়ে হলে ঢুকি নাই, নাইম টিকিট কেটে নিয়ে আসলো, এরপর হলে ঢুকলাম, হল ভর্তি লোক, আজও উপরে দিকে সিট পাই নাই, মাঝের দিকে বসতে পারলাম, সিনেমা শুরু, বিশাল সিনেমা ২ ঘন্টা ২৩ মিনিট, ফেসবুকের টাইম লাইনে ছবি আর স্ট্যাটাস দেখতে দেখতে আয়নাবাজির দেখার চাপ অনুভব করি, এইবার চাপের সাঙ্গ করে দেখিতে বসিলাম, সিনেমা শুরু হইল, এই হলে পতাকা দেখানোর সময় কেউ দাড়ায় না, কিন্তু আজ দেখলাম ভিন্ন কিছু, কেউ দাড়িয়েছে, কেউ বসে আছে, তখনই বুঝেছি আজকের দর্শক একদম ভিন্ন জগতের, এরা এ প্রজন্মের শিক্ষিত পোলাপাইন, যাহোক সিনেমার শুরুতেই মার্কামারা হু টোল্ট ইউ সেই পিচ্ছির হলিউড স্টুডিও ডায়ালগে দর্শক একচোট হেসে নেয়, আমি চুপচাপ, আমি সিনেমা এবং দর্শক দেখি, আজ সাকিব খানের দর্শক নাই সব হালকা মোচ উঠেচে বা উঠবে, বেশিরভাগ স্কুল কলেজ পড়–য়া, এদের সাথে হয় তাদের বোন, নয়তো গালফ্রেন্ড, নয়তো ক্লাসমেট এরকম পোলাপানে ভরপুর, সিনেমা চলতে থাকে, চঞ্চলের প্রথম সিনে দর্শক হাত তালি মারে, চিৎকার দেয়, এতে আমি বিরক্ত হচ্ছিলাম কারন আমি শব্দে ডায়ালগ বুঝতে পারছিলাম না, মিডিয়া আয়নাবাজিরে এমন গাছে উঠিয়েছে এখন এই সিনেমাতে যা থাকুক না কেন দর্শক হাততালি দিবে, কারন মিডিয়া এই সিনেমার একটা গুড উইল তৈরী করে ফেলেছে, আমি অনেকদিন থেকে সিনেমা দেখি, শুরুতেই হুদাই হাততালি দেবার মানুষ এই প্রথম দেখলাম। তবে এটা ডিফারেন্ট যে বানিজ্যিক সিনেমাতে নায়ক নায়িকার প্রথম দৃশ্যে অতিরিক্ত আদিখ্যতা দেখায় তা এ সিনেমার নায়ক নায়িকার ক্ষেত্রে ঘটেনি।

এতো ঢোল পেটানো সিনেমার কাহিনী সংক্ষেপে হলো, চঞ্চল একজন অভিনেতা, তিনি বিভিন্ন জেলখাটা আসামীর পক্ষ থেকে নিজে জেল খাটেন, এভাবে তিনি পুরো সিনেমাতে ছয়টি চরিত্রে অভিনয় করেন, মামলা থেকে আসামী খারিজ হলে তিনিও জেল থেকে মুক্তিপান, এটাই তার আয়ের উৎস, এরসাথে সাথে চঞ্চল একটি বাচ্চাদের অভিনয়ের স্কুল চালায়, বাচ্চাদের স্কুল চালাতে গিয়ে এলাকায় নতুন ভাড়াটে নাবিলার সাথে প্রেম, এরপর শেষবার জেল খাটতে গিয়ে মূল আসামী মামলা থেকে খারিজ না পেয়ে ফাসির আদেশ পায়, চঞ্চলের ফাসি হবে, শেষে চঞ্চল অভিনয়ের মাধ্যেমে জেল থেকে বেরিয়ে আসে। মাঝখানে পার্থ বড়–য়ার সাংবাদিক হিসেবে একটি চরিত্র আছে, যিনি সংসার আর পেশায় অসফল, তিনি মদ খান, কি জন্য যে এই চরিত্রকে মদ খেতে হবে আমার মাথায় আসে না, বাস্তবতায় কি বলে রিপোর্ট না ছাপালে সাংবাদিকরা মদ খায়, বুঝলাম মদ খেয়ে ব্যপক ক্রিয়েটিভ কিছু করে ফেললো, সারা সিনেমায় চঞ্চলের পিছে ঘুরে তার ফলটা কিছু হলো? তিনি কি কোন রিপোর্ট করতে পেরেছেন? এই চরিত্র ব্যর্থ চরিত্র, এর থেকে পাওয়ার কিছু নেই (পার্থ বড়–য়ার অভিনয় ভালো), তবে এ চরিত্র সিরিয়াস বিষয়ের মধ্যে দর্শকের মানসিক শান্তি দেয়, চঞ্চলের পিছে পিছে ঘুরতে ঘুরতে কিছু কমেডি তৈরী হয় দর্শক আনন্দ পায়, পর্দায় পার্থ আসলেই দর্শক আনন্দবোধ করে, শেষের দিকে পার্থ জেনে যায় চঞ্চলের ফাসি হবে, এমনকি তিনি নায়িকার সাথে দেখাও করেন, জেলে চঞ্চলের সাথেও দেখা করেন তাকে স্বীকার করতে বলেন আসল লোক তিনি নন, কিন্তু চঞ্চল স্বীকার করেনা, হলের মধ্যে আমারও মনে হয়েছিল এবার পার্থ নিউজ করবেন এতে চঞ্চল মুক্তি পাবেন, সেরকম ঘটে না, পার্থর চরিত্র নিয়ে পরিচালকের তেমন আগ্রহ ছিল না। যা হোক পরিচালক আসল মজাটা রেখে দিলেন একেবারের শেষের জন্য, চঞ্চল নিজেই অভিনয়ের কৌশলে বের হয়ে আসে, দর্শকের সেকি উল্লাস, পরিচালক এমন একটা পর্যায় নিয়ে গিয়েছিলেন, চঞ্চলের ফাসি হচ্ছে দর্শক আহত হচ্ছে মানসিকভাবে টানাপোড়নে পড়ে যাচ্ছে, এক ধরনের উত্তেজনা তৈরী করে। চঞ্চল বের হয়ে আসলে দর্শক মানসিক আহতবোধ থেকে মুক্তিপায়, আনন্দ করে।

পরিচালক ঠান্ডা মাথায় মার্কসের দ্বান্ধিক বস্তুবাদ দর্শককে পড়িয়েছেন সহজ সরল ভাষায়, চঞ্চলের কথার মাধ্যেমে তিনি মার্কসের নাম ও তার দ্বান্ধিক বস্তুবাদ দর্শনের প্রচার করেছেন একটা সিনের মাধ্যেমে। পরিচালক তিনি তার আর্দশ প্রচার করেছেন সিনেমার মাধ্যেমে। তিনি বাচ্চাদের স্কুলের অভিনয়ের মাধ্যেমে তিনি মানুষ কে সে প্রশ্নটাও করেছেন আমাদেরকে, পুরোটা রূপক ধারায় কিছু বলেছেন, জানি না দর্শকটা সেটা ধরতে পারলো না কিনা, আমার মনে হয়েছে দর্শক অনুভব করেছে শুধু কমেডিটুকু।

যা হোক এ সিনেমার দুর্বল জায়গা হলো বাস্তবতার হিসেব করলে, যেমন চঞ্চল মাথা কামিয়ে জেলে গেলো, পরের সিনে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে গোসল করছে চুল ভর্তি মাথা নিয়ে এটা কি বাস্তব মনে হয়, তার থেকে অবাস্তব হলো শেষেরবার যখন ছদ্মবেশ নিয়ে জেলে যায় এরপর তার জেল থেকে বের হতে দেড়ি হয় তাহলে এর ছদ্মবেশের কি হবে, চঞ্চলের কি চুল দাড়ি কি গজায় নাই? এতদিন ধরে কেমনে একই মেকআপে থাকলো, হা হা সিনেমা তো সিনেমাই এতো হিসেব করলে চলে?

আবার গল্পের সত্যতা কতটা বাস্তব এ প্রশ্ন রাখা যায়, আমাদের দেশে কি সম্ভব পথের মাঝে আসামী পরিবর্তন করা, তাও পুরান ঢাকার মতো ব্যস্ত এলাকায়। নায়িকার বাবার অ্যাম্বুলেন্স দৃশ্য কিজন্য কিছু বুঝলাম না। আবার শেষ সিনে আয়না (চঞ্চল) যেভাবে জেল থেকে বের হয় এটা বাস্তবতার হিসেব করলে সম্ভব নয়।

স্টুডিওতে বাতাস দিয়ে ছবি তোলার সিন আমার কাছে দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে (আয়নাবাজির ক্ষেত্রে), সব থেকে বাজে লাগলো পিচ্ছিটারে দিয়া ফ্যানের বাতাস দেয়াটা, শিশুদের দিয়ে এডল্ট দৃশ্য করা সামাজিকভাবে বাজে প্রভাব পড়তে পারে।

এসিনেমার আরেকটা বিষয় অতিরিক্ত মনে হয়েছে, সেটা হলো ব্যকগ্রাউন্ডকে ব্লার করে দেয়া, বুঝতে পারছি অনেক সিনে এটা করা হয়েছে (ভিডিওগ্রাফি সম্পর্কে ভালো ধারনা নেই বলে বিস্তারিত বলতে পারছিনা)।
সিনেমার এক পর্যায়ে সদরঘাটের একটা সিন দেখায় দেখেই বুঝে গেছি এটা স্টিল পিকচার, নদীতে লঞ্চ আছে নৌকা আছে কিন্তু সব দাড়িয়ে আছে, কোন ঢেউ নেই, তবে ছবিটা অনেক সুন্দর।

এ ছবির অভিনয়ের সবটুকু আকর্ষন কেড়ে নিয়েচে চঞ্চল, আহ সেকি অভিনয়, (শুধুমাত্র চঞ্চলের অভিনয়ের জন্য সিনেমাটা আবার দেখা যায়) যখনই এক চরিত্র থেকে অন্য চরিত্রে ঢুকছে দর্শক হাততালি দিচ্ছোল, এই হাত তালি নিখুত নকল করার কারনে, চঞ্চলের সাথে দর্শকও অন্য চরিত্রে ঢুকে পড়ে, এই নিখুত নকল নবিশে দর্শক আনন্দ পায়, নাটকে সেই গ্রাম্য কমেডিয়ান চঞ্চলকে অন্যভাবে দেখে দর্শক। চঞ্চল যখন প্রথমবার জেলখাটার সময় প্যান্টের নির্দিষ্ট জায়গা ধরে টান দিচ্ছিল দর্শকের সেকি চিৎকার, পুরো সিনেমাতে দর্শকরা এতো চেচিয়েছে এর আগে আমি এরকম দেখিনি, আমি ভাবতে থাকি দর্শকদের এমন কি দিলো এ সিনেমা যাতে দর্শক এভাবে গ্রহন করছে, এটা মিডিয়ার প্রচার নাতো, আমার মনে হচ্ছে মিডিয়ার প্রচার, এর থেকে ভালো সিনেমা দেখেছি কিন্তু এরকম সাড়া দেখেনি, আমার আরো মনে হয়েছে ডিফারেন্ট গল্পের অভাবে দর্শক অনেকদিন ধরে একগুয়েমিতে ছিলো আয়নাবাজি সেটা পুরন করে বক্স অফিসে হিট হয়ে গেলো। শুধুমাত্র গল্পের বৈচিত্রের কারনে বানিজ্যিক ছবি না হয়েও ব্যবসা সফল হয়েছে আয়নাবাজি।

এসিনেমায় নায়িকার পোশাকের আইডিয়াটা ভালো লেগেছে এককালারের মার্জিত পোশাক, পোশাকের সাথে কালারফুল ওড়না ব্যবহারে নাবিলাকে আমার ভালো লেগেছে, হালের নায়িকাদের পোশাকের ব্যবহারের কথা আর না বললাম, আমার কাছে এসিনেমায় নায়িকার পোশাকের ব্যবহার রুচিশীল মনে হয়েছে। মার্জিত পোশাক পড়েও, যৌন সুড়সুড়ি দেয় এরকম পোশাক ছাড়াও দর্শকের চোখে পড়া যায় এটা নাবিলা দেখিয়ে দিল। তবে নায়িকা হুট করেই কেন যে নায়কের প্রেমে পরে গেলো বুঝা যায় না। মনে হচ্ছে এর পিছনের গল্পটা বলা হয়নি। নায়িকা হুট করে নায়কের বাসায় চলে গেলো এটাও অস্বাভাবিক, সাধারনত আমাদের দেশের মেয়েরা এভাবে ব্যাচেলর কারো বাসায় চলে যায় না।

এটা একটি মনস্তাত্তিক সিনেমা, এক ধরনের রূপক সিনেমা, সাদা চোখে হিসেব করলে কিছু নেই, মনোযোগে অনেক কিছু মনে করা যেতে পারে, যেমন ধরুন চঞ্চলের মতো প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে দুটো স্বত্তা রয়েছে, প্রতিনিয়ত দুটো স্বত্তায় আমরা সবাই অভিনয় করে যাচ্ছি, সেটা পেটের জন্য হোক আর অভিনয় করতে ভালো লাগে বা মনে শান্তি পাই তাই অভিনয় করি আশেপাশের মানুষের সাথে, প্রয়োজনে হোক বা না হোক আমরা দ্বৈত স্বত্তা নিয়ে বেচে আছি। আবার রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্র বর্ণনা করেছেন নিজাম সাইদ চরিত্রের মাধ্যেমে, নিজে স্বার্থের সময় আয়নাকে ব্যবহার, স্বার্থ ফুরিয়ে গেলো আয়নাকে(চঞ্চল) ফাসি দিয়ে দিতে বললো, আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতার চরিত্র ফুটে উঠেছে। দেশের অপরাধীদের চরিত্রের ধারনা পাওয়া যায়।

এ সিনেমার গান একটি গান মনের মধ্যে একটু দোলা দিলো- লাগ ভেলকি আয়নাবাজির ভেলকি লাক, এছাড়া কোন গান আমার মনে ধরেনি, জেল খানার নাচের সাথে গানটা একটু মনে দাগ কেটেছে। ভালো লেগেছে অকারনে কোন গান না দেয়ার জন্য। তবে এটা ঠিক আইটেম গান ছাড়াও দর্শকদের মন জয় করা যায় তার প্রমাণ আয়নাবাজি, কারন এর আগে আরেফিন শুভর সিরিয়াসধর্মী অস্তিত্ব সিনেমাতে আইটেম গানে চরমভাবে বিরক্ত হয়েছিলাম, এরকম বাজে কিছু দৃশ্যর জন্য অস্তিত্ব কে আয়নাবাজির নিচে রাখছি অথচ ২০১৬ সালের সিনেমার মধ্যে অস্তিত্ব সিনেমাটি সেরা সিনেমার একটি, এমনকি শাওনের কৃষ্ণপক্ষের উপরে রাখতে চাই অস্তিত্বকে।

ছবির শেষের দিকে ছাদের উপর চঞ্চলের বৃষ্টিতে ভেজার দৃশ্যটা সুন্দর হয়েছে এক ধরনের দু:খবোধ তৈরী করেছে, এছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন দৃশ্য, জেল খানার ও সদরঘাটের উপর থেকে (এরিয়াল, টপ, বার্ডস ভিউ) ধরা দৃশ্য প্রশংসনীয়।

এ ছবির সংলাপ মনোযোগ দিয়ে শোনার মধ্যেই সকল মজা লুকিয়ে রয়েছে, যে যত সংলাপ মনোযোগ দিয়ে শুনবে সে তত সিনেমাটি দেখতে আগ্রহবোধ করে সিনেমার গল্পের মধ্যে ঢুকে পড়বে।
বড় চমক বিসিএস সেকেন্ড আরেফিন শুভর উপস্থিতি হা হা হা, কেমনে যে এরা বিসিএস ক্যাডার হয়। অথচ কতদিন ধরে ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখছি।

শেষ কথা হলো ছবিটা শেষ হয়েও হলো না শেষ, মনে হচ্ছিল গল্পের কিছুটা বাকি আছে, জেল থেকে পালালো, বাচ্চাদের প্রোগ্রাম, এরপর ধুম করে শেষ, যারা দেখেন নি হলে যান সিনেমা দেখুন।

বি দ্র: কোরিয়ান মুভি tumbleweed (২০১২) এর কাহীনি থেকে আইডিয়া নিয়ে এ সিনেমার কাহীনি বানােনা হয়েছে

হল: চম্পাকলি, টঙ্গী , তারিখ ১৫.১০.১৬

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৪৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
হালকা স্পয়লার আছে রিভিউ-এ। স্পয়লার এলার্ট বলে দিলে ভাল হয়।

রিভিউটা ভালই লেগেছে।

টাম্বলউইডের কাহিনীর সাথে মিল আছে অনেকেই বলেছে, কিন্তু কোরিয়ান ঐ মুভিটা আসলে দেখেছেই বা কয়জনে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.