নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানিতে গত দুই বছরে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে।
২০১০-১১ অর্থবছরে রাশিয়া থেকে ১৫ কোটি ৩০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি হয়। তার পরের অর্থবছরে (২০১১-১২) আমদানি হয় ৩৩ কোটি ২৯ লাখ ডলারের পণ্য। অর্থাৎ এক বছরে আমদানি দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।
দ্রুত হারে আমদানি বেড়ে চলার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে চলতি অর্থবছরেও। ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেই (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশটি থেকে আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৪৯ লাখ ডলারে।
রাশিয়া থেকে মূলত আমদানি হয় সবজিপণ্য, রাসায়নিক শিল্পের কাঁচামাল, তুলা, যানবাহন, বিমান, জাহাজ ও অন্যান্য পরিবহন, কাগজ, পেপার বোর্ড, কাগজের মন্ড, প্লাস্টিকের পণ্যসামগ্রী, বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি, খুচরা যন্ত্রাংশ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ, কাঠ ও কাঠের তৈরি পণ্য।
পাশাপাশি রাশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। দেশটিতে পণ্য রপ্তানির পরিসংখ্যান তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
গেল ২০১১-১২ অর্থবছরে যেখানে রাশিয়ায় পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ১৩ কোটি ৩২ লাখ ডলার, সেখানে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে আট কোটি ৩২ লাখ ডলারের পণ্য।
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ দেশ থেকে রাশিয়ায় মূলত নিট পোশাক, কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য, ওভেন পোশাক, কৃষিপণ্য, হিমায়িত খাদ্য, টেক্সটাইল ফেব্রিকস, চিংড়ি, হোম টেক্সটাইলস, অ্যালুমিনিয়ামের পণ্য বেশি রপ্তানি হয়।
রাশিয়ার সঙ্গে বিগত দুই দশকের বাণিজ্যের পরিসংখ্যান দেখলে অবশ্য কিছুটা বিস্মিত হতে হয়। বিশেষত ১৯৯১-৯২ ও ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বাংলাদেশের উদ্বৃত্ত ছিল। মানে আমদানির তুলনায় বেশি পণ্য এ দেশ থেকে রপ্তানি হয়েছিল। তবে এর পর থেকেই আর কখনো বাণিজ্যে উদ্বৃত্তের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। মাঝেমধ্যে কমলেও বেশির ভাগ বছরে ঘাটতি বেড়েছে।
বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০০১-০২ অর্থবছরে রাশিয়ায় রপ্তানির পরিমাণ এক কোটি ডলারের নিচে নেমে যায়। ওই বছর ৭৪ লাখ ডলারের রপ্তানি হয়। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে এসে আবার রপ্তানি কোটি ডলারে উন্নীত হয়। ওই বছর রপ্তানি থেকে আয় হয় এক কোটি ৫৩ লাখ ডলার। এর পর থেকেই ধীরগতিতে দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়ছে।
তবে গত তিন বছর ধরে রপ্তানি বৃদ্ধির গতি ভালো। ২০০৯-১০ অর্থবছরে রাশিয়ায় পণ্য রপ্তানি হয়েছিল মাত্র পাঁচ কোটি ১৪ ডলারের। তার পরের অর্থবছরেই রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় নয় কোটি ৭০ লাখ ডলারে। আর গত অর্থবছরে তো রপ্তানি আয় প্রথমবারের মতো ১০ কোটি ডলার ছাড়ায়। রপ্তানি হয় ১৩ কোটি ৩২ লাখ ডলারের পণ্য।
ব্যবসায়ীরা অবশ্য রাশিয়ার বাজারকে এখনো প্রত্যন্ত বাজার বলেই মনে করেন। তাঁদের মতে, ভৌগোলিক দূরত্ব ও সরাসরি যাতায়াতের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতাই এই দেশটির বাজারে প্রবেশের বড় বাধা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্য দেশগুলোতে তৈরি পোশাকসহ যেসব পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে, তার সবগুলোই রাশিয়ায় করা সম্ভব। সেখানকার বাজারও বেশ বড়। তবে পণ্য জাহাজীকরণে বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে।
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৯
শার্লক বলেছেন: ভাই কি রাশিয়ায় থাকেন?
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬
প্যাপিলন বলেছেন: আম্গো দেশের রাজনৈতিক আগাছাগুলারে সাইবেরিয়া রপ্তানি করতে পারলেই দেশের প্রকৃত উন্নয়নের একটা সুযোগ সৃষ্টি হতো
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬
দানবিক রাক্ষস বলেছেন: সুন্দর পোস্ট, আশা করি আরো রপ্তানী বাড়বে এবং রাশিয়ার সাথে আমাদের বন্ধুত্ব আরও বাড়বে।