নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায় যথাযথ ভাবে প্রকাশিত হয়নি

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৭

১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে ২১ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সে খবর ফলাও করে প্রকাশ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এ সংবাদ কোন দৃষ্টিকোণ থেকে পরিবেশন করেছে (যদিও তা যথাযথ ভাবে প্রকাশিত হয়নি), তার ভাষা কী ছিল, সে বিষয়ে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।



বিবিসি : বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় ঘোষণায় একজন সাবেক ইসলামিস্ট নেতাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তিন বছর আগে গঠিত ট্রাইব্যুনাল ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাযুদ্ধকালে অপরাধ সংঘটনের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারকার্য চালাচ্ছেন।

ট্রাইব্যুনালের প্রথম এই রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তুরুপের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তিনি তাঁর সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে এই প্রসিকিউশনের ব্যবস্থা করেছেন।

শুরু থেকেই এই ট্রাইব্যুনালকে সংশয়ের চোখে দেখা হয়েছে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গত বছর ট্রাইব্যুনাল পত্রিকার দ্বারা একটি ঝাঁকি খায়। ফলে দুটি আদালতের একটির প্রধান বিচারককে পদত্যাগ করতে হয়। অবশ্য সরকার দ্রুতই একজন বিচারপতি নিয়োগ দেয় ও বিচারকাজ এগিয়ে নেয়।

বাংলাদেশের অধিকাংশ পর্যবেক্ষক মনে করেন, এই বিচারে জনগণের ব্যাপক সাড়া রয়েছে।

পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, গোলাম আযম ও সাঈদীর মতো সিনিয়র নেতাদের বিচারের রায় দ্রুতই ঘোষণা করা হবে।



দ্য ডন, পাকিস্তান : বাংলাদেশের বিতর্কিত যুদ্ধাপরাধ আদালত সোমবার ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রামের সময় গণহত্যা ও অন্যান্য অপরাধের দায়ে টেলিভিশনে শীর্ষ পর্যায়ের ধর্মপ্রচারকারীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে।

বাংলাদেশের সেক্যুলার সরকারের দ্বারা ২০১০ সালের মার্চ মাসে গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে একটি পুরো ইসলামী দলসহ বিরোধী দলের নেতাদের টার্গেট করার অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। জামায়াত ও বিএনপি এই মামলাগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অধিকার সংগঠনগুলো এই শুনানির ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছে এবং যুদ্ধাপরাধের আইনে ফাঁকফোকর দেখতে পেয়েছে।

এই বিচারের সঙ্গে জাতিসংঘের কোনো পর্যবেক্ষণ বা সম্পৃক্ততা নেই এবং যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, যুদ্ধাপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক মানের ঘাটতি রয়েছে।



নিউ ইয়র্ক টাইমস : ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সোমবার একটি ট্রাইব্যুনাল মৌলবাদী দলের সঙ্গে যুক্ত এক ধর্মীয় নেতাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে। জামায়াতে ইসলামীর সদস্য আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে তার পলাতক অবস্থায় এ রায় দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, গত এপ্রিল মাসে অভিযোগ গঠনের পর সে পাকিস্তানে পালিয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে পৃথক হওয়ার জন্য বাংলাদেশের যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রচার চালায়।



কুয়েত টাইমস : একটি বিতর্কিত যুদ্ধাপরাধ আদালত রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাযুদ্ধে অপরাধের দায়ে পলাতক বাংলাদেশের টেলিভিশনে ধর্মপ্রচারকারীকে সোমবার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকার গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালটি একটি অভ্যন্তরীণ বডি। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু সরকার ও সরকারের সমর্থকরা এই রায়কে উষ্ণভাবে স্বাগত জানিয়েছে। সাবেক মুক্তিযোদ্ধারা মিছিল করেছেন এবং বিজয়সূচক ভি চিহ্ন প্রদর্শন করেছেন।



ডেকান হেরাল্ড : পলাতক ইসলামী নেতা ও মৌলবাদী জামায়াতে ইসলামীর সদস্যকে আজ (সোমবার) বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের জন্য গঠিত বিশেষ আদালত মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলাকালে ছয়জন হিন্দুকে হত্যা ও একাধিক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে। ধারণা করা হয়, সে এখন পাকিস্তানে পালিয়ে আছে। পূর্বেই জামায়াত এই বিচারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যায়িত করেছে এবং বিএনপি এই অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়ায় আইনের ভেতর ফাঁক আছে বলে উল্লেখ করেছে।

সরকার বলেছে, এর অংশ হিসেবে প্রভাবশালী মহল বিচারকার্যকে দুর্বল করতে বাইরের দেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছে।

গত মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়ে ক্ষমা প্রদর্শন বা সহানুভূতি প্রদর্শনের অনুরোধ জানিয়েছেন। সুত্র

আরো জানতে ২১ জানুয়ারীর পোষ্ট গুলো দেখুন

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০২

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: "কুয়েত টাইমস" ছাড়া অন্য কোন পত্রিকাই তাদের মতামত প্রদান করেনি। তারা এ বিষয়ে নিরব থেকেছে। এতে করে বুঝা যায় তারা এই বিচারকার্যকে হয়তো পজিটিভলি নেয়নি (এটা আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি)। যদি এটাই হয়ে থাকে, তবে আমি বলব এটা সরকারের ব্যর্থতা। কারণ তারা যেমন বাংলাদেশের অন্যতম একটি বৃহত রাজনৈতিক দলকে (বিএনপি) আস্থায় নিতে পারেনি তেমনি বিদেশীদেরকেও।

অ.ট. আমি নিজেও এ বিষয়ে একটি বাস্তব পর্যালোচনা ব্লগে প্রকাশ করার চিন্তা ভাবনা করছি। এখন একটু ষ্টাডি করছি এবং মিডিয়াতে চোখ রাখার চেষ্টা করছি।

ধন্যবাদ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১০

তালপাতারসেপাই বলেছেন: যুদ্ধাপরাধীর বিচারে রায় মাইলফলক ॥ বিবিসি
জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা আবুল কালাম আজাদকে আটটি অভিযোগে তাঁর অনুপস্থিতিতে বিচারে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে এই প্রথম রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য এক বিরাট বিজয়, কারণ ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের বিচার করা তাঁর সরকারের এক প্রধান লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করেছিলেন। তবে প্রায় তিন বছর আগে এই ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকেই যুদ্ধাপরাধীরের বিচারের ব্যাপারে দেশের ভেতরে যেমন এক ধরনের সংশয় কাজ করেছে, তেমনি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো সংস্থার তরফ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। গত বছর ট্রাইব্যুনালকে জড়িয়ে সংবাদপত্রে খবর প্রকাশের পর দ্ই ট্রাইব্যুনালের একটির চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেন। তবে সরকার তড়িঘড়ি একজন নতুন বিচারপতি নিয়োগ করে এবং বিচার কাজ যথারীতি এগিয়ে যায়। ট্রাইব্যুনাল গত সোমবার আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে।
বিবিসি বাংলার সম্পাদক সাবির মুস্তাফা এক নিবন্ধে লিখেছেন, আবুল কালাম আজাদ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে পরিচিতি পান। গত এপ্রিলে তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যান এবং ধারণা করা হচ্ছে তিনি পাকিস্তানে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়। এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ তিনি সংঘটন করেন মূলত ফরিদপুর জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। ১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন জামায়াতের ছাত্র সংগঠনের নেতা এবং রাজাকার বাহিনীর সদস্য। পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগী সংগঠন হিসেবে এই বাহিনীর কাজ ছিল স্থানীয় পর্যায়ে যাতে কোন প্রতিরোধ গড়ে উঠতে না পারে তার চেষ্টা চালানো। রাজাকাররা মূলত টার্গেট করত হিন্দুদের এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সহানুভূতিশীল যে কোন বাঙালীকে। যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে সোমবারের এই রায় বাংলাদেশের টালমাটাল ইতিহাসে এক মাইলফলক হয়ে থাকবে কারণ গত ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গণহত্যা ও ধর্ষণের শিকার পরিবারগুলো অপরাধীদের বিচারে সোপর্দ করার জন্য নিরলসভাবে প্রচারাভিযান চালিয়ে আসছিল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর হাতে অন্তত ৩০ লাখ মানুষ মারা গেছে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে যুদ্ধে ভারতের সরাসরি অংশগ্রহণের পর আলবদর বাহিনী দু’শ’র বেশি বুদ্ধিজীবী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারকে হত্যা করে। আর এই আলবদর বাহিনী গড়ে তুলেছিল জামায়াতে ইসলামী। পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাত্র কয়েকদিন আগে তৎকালীন জামায়াত নেতা গোলাম আযমের নির্দেশ ও অনুপ্রেরণায় এই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। গোলাম আযম এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত পাকিস্তানী সেনাদের বিচার করা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব হয়নি কারণ দিল্লী ও ইসলামাবাদের মধ্যে এক ব্যাপকভিত্তিক চুক্তির অংশ হিসেবে ঐ সেনাদের ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু পাকিস্তানী বাহিনীর স্থানীয় দোসরদের বিষয়টি এবং গণহত্যায় তাদের ভূমিকা অনিষ্পন্নই থেকে গিয়েছিল।
Click This Link

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

শিক্ষানবিস বলেছেন: আমি ভাবি, জাকির নায়েক আসলেই ভাগ্যবান। আমাদের দেশে জন্মালে এতদিনে তার ফাসী হয়ে যেত। কারণ আমাদের দেশের মালাউনেরা অনেক শক্তিশালী। তাদের সিদ্ধান্ত, এ দেশে কোন ইসলামী নেতাকে জীবিত বা মুক্ত রাখা হবে না। তাহলে জাতি কখনো কলংকমুক্ত হবে না।
তারা মনে করে, এ জাতি সর্বদাই কলংকিত।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

তালপাতারসেপাই বলেছেন: জাকির নায়েক কি আপনার অলিখিত বাপদের মত রাজাকার?
না রেপ খুন ইসলাম সম্মত মনে করেন?

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

তালপাতারসেপাই বলেছেন: ট্রাইব্যুনালের রায়ের প্রতি যুক্তরাজ্য জার্মানি ও ফ্রান্সের সমর্থন
Click This Link page_id= 5

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩১

প্রগতিশীল ইকবাল বলেছেন: শিক্ষানবিস বলেছেন: আমি ভাবি, জাকির নায়েক আসলেই ভাগ্যবান। আমাদের দেশে জন্মালে এতদিনে তার ফাসী হয়ে যেত। কারণ আমাদের দেশের মালাউনেরা অনেক শক্তিশালী। তাদের সিদ্ধান্ত, এ দেশে কোন ইসলামী নেতাকে জীবিত বা মুক্ত রাখা হবে না। তাহলে জাতি কখনো কলংকমুক্ত হবে না।
তারা মনে করে, এ জাতি সর্বদাই কলংকিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.