নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
রাজধানীবাসীর বহুল প্রতীক্ষিত মিরপুর-বনানী ফ্লাইওভার আজ উদ্বোধন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকাল দশটায় এই ফ্লাইওভার উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেই যানবাহন চলাচলের জন্য এই ফ্লাইওভার খুলে দেয়া হবে।
আগামী জুন মাসের মধ্যে এ ফ্লাইওভার নির্মাণের সময়সীমা থাকলেও তিন মাস আগেই এ ফ্লাইওভারের কাজ শেষ করা হয়। আজ থেকেই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে এই ফ্লাইওভার।
আর এর মধ্যে দিয়ে যাতায়াতের দুঃখ ঘুচতে যাচ্ছে মিরপুর থেকে গুলশান, বনানী, উত্তরার চলাচলকারী নিত্যযাত্রীদের। সেই সঙ্গে নিরসন হতে যাচ্ছে এ রুটের সকাল-সন্ধ্যার যানজটজনিত ভোগান্তি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উড়াল সড়ক উদ্বোধনের পরপরই জনগণের যাতায়াতের জন্য তা খুলে দেওয়া হবে। ৩৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭৯৩ মিটার দৈর্ঘ্য রাজধানীর তৃতীয় এই উড়াল সড়কটি ২ বছর ৯ মাসে নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ। এখন মিরপুর থেকে গুলশান, বনানী বা উত্তরা এলাকায় যাতায়াত করতে হয় বিজয় সরণি হয়ে। এই পথে স্বাভাবিক চলাচলে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। একটু যানজট থাকলে তা দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লেগে যায়। বিশেষ কোনো কাজে কারও দিনে একবার এই এলাকায় যাতায়াতের প্রয়োজন দেখা দিলে ওইদিন তারপক্ষে অন্য কিছু করা দুষ্কর হয়ে পড়ে। মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোড ফ্লাইওভার চালু হলে এই পথ অনায়াসে পাড়ি দেওয়া যাবে ১৫-২০ মিনিটে। মিরপুরের মাটিকাটা থেকে এয়ারপোর্ট রোড পর্যন্ত এই ফ্লাইওভারটি করা হয়েছে চারলেন বিশিষ্ট। উঠানামার জন্য করা হয়েছে পাঁচটি র্যাম। যান চলাচলের জন্য থাকছে চারটি মুখ। বনানী-গুলশান এলাকার বাসিন্দারা ফ্লাইওভার ব্যবহার করে বনানী ওভারপাস দিয়ে এয়ারপোর্ট রোডে চলাচল করতে পারবে। এয়ারপোর্ট থেকে মিরপুরের দিকে চলাচলের জন্য করা হয়েছে একটি লেন। যারা সরাসরি মাটিকাটা গিয়ে নামবে। মিরপুর থেকে বনানী-গুলশানে যাতায়াতের চলাচলের জন্য একটি লেন রাখা হয়েছে। মিরপুর থেকে এয়ারপোর্ট রোডে যাতায়াত করা যাবে একটি লেন ব্যবহার করে। জানতে চাইলে মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোড ফ্লাইওভার প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ বলেন, প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ শেষ। আজ ২৭ মার্চ প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্প চালু হলে মিরপুরবাসী কোনো ধরনের চেকিং ছাড়াই চলাচল করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিজয় সরণি এলাকার যানজট কমবে। সর্বোপরি রাজধানীর যানজট নিরসন ও সৌন্দর্য বর্ধনে ভূমিকা রাখবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোড ফ্লাইওভার মিরপুর তথা রাজধানীবাসীর জন্য এক আশির্বাদ। ফ্লাইওভারটি চালু হলে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও বিজয় সরণি এলাকায় যানজট কমে আসবে। ফার্মগেট থেকে মহাখালী, গুলশান, বনানী এলাকায় যাতায়াতকারীরা যানজটের কবল অনেকাংশে মুক্তি পাবে।
বনানী ওভারপাস উদ্বোধনের পর থেকে এর সুফল পেতে শুরু করেছে রাজধানীবাসী। আগে বিমানবন্দর সড়কের রেলক্রসিংয়ের জন্য দিনে-রাতে ৭২ বার আটকে যেত যানচলাচল। এখন এই পথে যাতায়াতকারীরা কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই অনায়াসে চলাচল করছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি নাগরিক সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০১০ সালের জুনে মিরপুর-এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার প্রকল্পের কাজ শুরু করে সরকার। এই প্রকল্পের টার্গেট সময় ছিল চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। আগে কাজ শেষ হওয়ায় প্রকল্পটি আগেই জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোড ফ্লাইওভার প্রকল্পের আওতায় বনানীতে ৮৪০ মিটার দীর্ঘ একটি ওভারপাস, ৫৬১ মিটার দীর্ঘ একটি লিং ব্রিজ ও ১৭৯৩ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হয়েছে ৩৬০ কোটি টাকা। ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৭০ কোটি টাকা, লিংক ব্রিজ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫০ কোটি টাকা ও বনানী ওভারপাস নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪০ কোটি টাকা। এর আগে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর বনানী ওভারপাস যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৮
তালপাতারসেপাই বলেছেন: পত্রিকা দেখেন ভাই। ডিটেইল পাইবেন
২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৭
নায়করাজ বলেছেন: মিরপুরবাসীর জন্য আশীর্বাদ। যাত্রাবাড়ি ফ্লাই্ওভার চালু হবে কবে ?
২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
তালপাতারসেপাই বলেছেন: শুনলাম ওখানে একটু সময় লাগবে।
৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: ekta fly over er jnne ami 2ta bochor bonani te ksto krSi.
bonani fly over howar pore ekhn jam aro besi hoi..
egula sorkarer dhandabaj sara r kchu na.
২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২২
তালপাতারসেপাই বলেছেন: তাই? তাইলে চানখার পুলে বাসা নেন। নতুন ঢাকা আপনার জন্য না।
৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২০
স্বপনীল জলরং বলেছেন: ারো কি জানা আছে, এই রুটে কি কুন বাস চালু করা হবে।
সরকার কে অভিনন্দন জানাই দ্রুত ের কাজ শেশ করার জন্য। যাত্রাবাড়ীর ফ্লাইওভার ের অপেক্ষায় রইলাম !!
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৫
বহুরুপি জীবন বলেছেন: কোন মাপ আছে আপা্নার কাছে তাহলে বুঝতে পারতাম কোথা থকে কোথা পযন্ত। আমি আসলে বুঝতে পারছি না কোথা থেকে কোথা পযন্ত।