নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপিতে কর্মসুচীতে দলীয় কর্মি নয় থাকেন জামাতিরা! ছাত্রদলে ছাত্র নয় থাকেন ছাত্রের বাবারা।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩২



গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসংখ্যা হওয়ার কথা ১০১। কিন্তু গঠনতন্ত্র ভেঙে ২৯১ সদস্যের যে বিশাল কমিটি করা হয়েছে, সেখানে একজন নিয়মিত ছাত্রেরও স্থান হয়নি। তবে শতাধিক বিবাহিত নেতা রয়েছেন, যাঁদের সন্তানেরা স্কুলছাত্র।

কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, গত কয়েক বছরে ছাত্রদলে সাত থেকে আটটি উপদল হয়ে গিয়েছিল। সেই কোন্দল দূর করে সবাইকে খুশি করতেই তাঁদের পদ দেওয়া হয়েছে। তাই নিয়মিত ছাত্রদের বদলে বিবাহিত, সন্তানের জনক, ঠিকাদার, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন মামলার আসামি—এমন লোকজনই পদ পেয়েছেন। নির্বাচন সামনে রেখে রাজপথ সক্রিয় রাখতেই এমন কমিটি বলে জানা গেছে।

১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি গঠিত হয়েছিল বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল। এর পরের দীর্ঘ সময়ে কোনো স্থায়ী গঠনতন্ত্র করতে পারেনি ছাত্রদল। সংগঠনের খসড়া গঠনতন্ত্রের ৬-এর ১-এর (খ) ধারায় বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীরাই কেবল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদস্য হতে পারবেন।

নেতা-কর্মীরা বলছেন, বর্তমান কমিটিতে একজন নিয়মিত ছাত্রও নেই। আর বিভিন্ন জায়গায় ভর্তি হয়ে কোনোমতে ছাত্রত্ব টিকিয়ে রেখেছেন ৩০ থেকে ৪০ জন। বাকি ২৫০ জন কোনোভাবেই এখন ছাত্র নন। ফলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁরা ছাত্রদলে থাকতে পারেন না।

ছাত্ররা কেন ছাত্রদলে ঠাঁই পাননি—জানতে চাইলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এই কমিটি করতে অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, দলীয় আনুগত্য—এই বিষয়গুলোকেই গুরুত্ব দিয়েছি।’ ১০১ সদস্যের কমিটির জায়গায় ২৯১ জনকে পদ দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের কারণেই আমরা সবাইকে রাখতে চেয়েছি। তবে আরও অনেক পদপ্রত্যাশী নেতা আছেন, যাঁদের আমরা পদ দিতে পারিনি।’

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী কোনো রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠন হিসেবে কোনো ছাত্রসংগঠন থাকার সুযোগ নেই। ফলে সহযোগী সংগঠনের কমিটি বিএনপির চেয়ারপারসন করতে পারেন না। কিন্তু গত সোমবার বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়েই এই কমিটি হয়েছে এবং সেখান থেকেই গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের কাছে তা পাঠানো হয়েছে।

নতুন কমিটি সম্পর্কে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান বলেন, ‘ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে কোনো বিতর্ক তৈরি হয়েছে বলে আমি মনে করি না। আমি মনে করি, কমিটি বড় হলেও ঠিক আছে। সবাই একযোগে কাজ করার সুযোগ পাবে। আর রাজনীতির জন্যই কমিটি করা হয়েছে।’

নেতাদের ছাত্রত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে শামসুজ্জামান বলেন, ‘মূল নেতৃত্বে একটু বেশি বয়সীদের দেওয়া হয়। এটা দোষের কিছু নয়। তবে ছোট ও বড় সবার সমন্বয়েই কমিটি হয়েছে।’

ছাত্র নেই ছাত্রদলে: ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া ওরফে জুয়েল ’৮৮-৮৯ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। ৪৫ বছর বয়সের এই ছাত্রনেতার ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে দুই দশক আগে। সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদের বয়সও চল্লিশ পেরিয়েছে। মাধ্যমিকে পড়া তাঁর দুই সন্তান আছে। নতুন কমিটির সহসভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী ওরফে আবেদও চল্লিশোর্ধ্ব।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ১২ জন সহসভাপতি থাকার কথা। কিন্তু বর্তমান পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহসভাপতি করা হয়েছে ৩১ জনকে। ৩১ জনের সবার বয়স চল্লিশের ওপরে এবং সবাই বিবাহিত। সবাই ’৯০ থেকে ’৯৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এক যুগেরও বেশি সময় আগে তাঁদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে। এসব নেতার অনেকের ছেলেমেয়েই এখন প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিকেও পড়ছে।

গঠনতন্ত্রে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দুটি পথ। কিন্তু করা হয়েছে ২১ জনকে। এঁরা সবাই ’৯৬ থেকে ’৯৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এবং কারোরই ছাত্রত্ব নেই। এঁদের সবার বয়স এখন ৩৫ থেকে ৪০-এর মধ্যে, সবাই বিবাহিত। একইভাবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পাঁচজন সহসাধারণ সম্পাদকের পদ থাকলেও করা হয়েছে ৩৪ জনকে। এঁরা ’৯৭ ও ’৯৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন, বয়স ৩২ থেকে ৩৩। কেউই নিয়মিত ছাত্র নন।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাতজন সহসাংগঠনিক সম্পাদক করার কথা থাকলেও ৩৯ জনকে করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদ যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদেরও বয়স ৩০-এর ওপরে। ছাত্রদলের সবচেয়ে কম বয়সী নেতার বয়স ২৮।

ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৯১ সদস্যের বর্তমান কমিটির মধ্যে ১৫০ জনই বিবাহিত এবং এর মধ্যে ১০০ জনের সন্তানেরা এখন স্কুলে যায়। সেই অর্থে তাঁরা ছাত্রের বাবা।

জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন, আর্থিক লেনদেন: কমিটি গঠনে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে, ১৫ জনকে ডিঙিয়ে প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে আকরামুল হাসানকে, যিনি এর আগে কখনোই কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো পদে ছিলেন না। এ নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। একইভাবে সহসভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহসাধারণ সম্পাদক করার ক্ষেত্রেও জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। বঞ্চিত নেতারা বলছেন, বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজেদের লোকজনকে ভালো পদ দিতে গিয়ে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করেছেন। বঞ্চিতদের একটা অংশ গতকাল মঙ্গলবার দলের নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।

ছাত্রদলের কমিটি করার ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে, আকরামুল হাসানের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।

বিশাল এই কমিটিতে ২০ থেকে ২৫ জন ত্যাগী নেতা পদ পাননি বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম ও নুরুল ইসলামের অনেক কর্মীই পদ পাননি বলে তাঁরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ ও বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সাংসদ শহীদ উদ্দীন চৌধুরীর মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি জেলে থাকা অবস্থায় কেন ছাত্রদলের কমিটি হলো, তা নিয়েও একাংশের নেতা-কর্মীরা সন্দিহান।

সুত্র

ইতিহাস

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

ক্লিকবাজ বলেছেন: BAL এর কর্মসূচীতে BAL চেয়ে আম-বাম দালাল এবং বাপেদের উপস্থিতি বেশী থাকে।

ভালো কৈরা খাওজাইয়া পাগলা মলম লাগাও আরাম পাইবা। :)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

তালপাতারসেপাই বলেছেন: ভাবি আপনি কি ছাগী? :)

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১০

দখিনা বাতাস বলেছেন: বিএনপি বলে কোন দল কি দেশে আছে? আওয়ামীলীগ আর জামায়াত ছাড়া আর কিছু তো দেখি না। চউক্কে সমস্যা আছে মনে হয় আমার। চউক্কে মলম দেওন লাগবো মনে হইতাছে :P

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

এেলক্সান বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.