নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা হেফাজতের পাঁচ নেতার - নয়া মিশন ট্রাইব্যুনালবিরোধী 'ফতোয়া'

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

চলমান আন্দোলনের কারণে হেফাজতে ইসলাম আর 'অরাজনৈতিক' নেই। দেশি-বিদেশি কিছু মিডিয়ায় আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতকে আগামী নির্বাচনের জন্য বড় প্রভাবশালী তৃতীয় শক্তি বলেও মন্তব্য করা হচ্ছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, হেফাজতের পাঁচ নেতার কারণে বর্তমানে কিছুটা হতোদ্যম হয়ে পড়েছে সংগঠনটি; ঐক্যেও চিড় ধরেছে।

হেফাজতে ইসলামের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে আলোচনা করলে কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে।



সূত্র মতে, হেফাজতের পাঁচ নেতার তৎপরতার ফলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে 'নাস্তিক' ঘোষণা করেন আল্লামা শফী।



এখন এই পাঁচ নেতা আসন্ন ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আল্লামা শফীর তরফে মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালের প্রদত্ত প্রতিটি রায় হারাম এবং ট্রাইব্যুনালের বিচারকসহ বিভিন্নভাবে যুক্তদের 'নাস্তিক ও মুরতাদ' ঘোষণা আদায়ের চেষ্টা করছেন।



অভিযোগ উঠেছে, এই নেতারা আসলে ১৮ দলীয় জোটের অ্যাসাইনমেন্ট বাস্তবায়নেই ব্যস্ত। এই পাঁচ নেতা হলেন- হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ ও ঢাকা কমিটির সদস্যসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, হেফাজতের ঢাকা কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমি এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহি। বিভিন্ন সূত্র মতে, এই নেতাদের মধ্যে তিনজন আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন লাভেরও আশ্বাস পেয়েছেন ১৮ দলীয় জোট থেকে।

নিভৃতচারী ৯৩ বছর বয়সী আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বিশাল ভাবমূর্তি হেফাজতে ইসলামকে শক্ত অবস্থান দিয়েছিল। বর্তমানে বিভিন্ন মহল থেকে আল্লামা শফীর ফাঁসির দাবির সঙ্গে হেফাজতকে নিষিদ্ধ করা এবং এতে জামায়াতি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কালিমাও যুক্ত হয়েছে। এ জন্য হেফাজতের ওই পাঁচ নেতার ঐক্যবদ্ধ 'রাজনৈতিক তৎপরতা'কেই দায়ী করছেন অনেকে। জানা গেছে, এই পাঁচ নেতার কারণেই ১৩ দফায় আল্লামা শফীর চিরবিরোধী ও আদর্শিক শত্রু হওয়া সত্ত্বেও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং মওদুদীর বই সরকারিভাবে বাজেয়াপ্ত করার দাবি রাখা হয়নি। আল্লামা শফীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, এরাই বিভিন্নভাবে মাওলানা শফীর ছেলে মাওলানা আনাসের মাধ্যমে আল্লামা শফীকে 'শায়খুল হাদিস ও মুফতি আমিনী'-এর মতো বিতর্কিত বানিয়ে ফেলছেন।



এত সহজে শেখ হাসিনা এবং সরকারকেও নাস্তিক ঘোষণা দেওয়ার বিষয়টি আল্লামা শফীর ৯০ বছরের অতীত জীবনের সঙ্গে পুরোপুরি অবিশ্বাস্য। চিহ্নিত এই লোকেরাই নতুন অ্যাসাইনমেন্টে তৎপরতা চালাচ্ছেন।

অবশ্য হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী মনে করেন না হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শফীর বক্তব্য ও দাবির পেছনে হেফাজতের কোনো নেতার প্রভাব আছে। মুফতি ইজহারুল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আল্লামা শফী আমার সরাসরি উস্তাদ। ১৯৫৫ সাল থেকে টানা আট বছর হুজুরের কাছে পড়াশোনা করেছি। তিনি আমার পুরো তত্ত্বাবধান করতেন। আমি তাঁর খাদেম ছিলাম। অত্যন্ত সরল মানুষ। তাঁকে কেউ প্রভাবিত করা বা কোনো কিছু ভুল বুঝিয়ে আদায় করা অসম্ভব ব্যাপার। হোসাইন আহমদ মাদানী (রহ.)-এর তিনি সর্বকনিষ্ঠ খলিফা। হুজুর সব সময় বিতর্ক এড়িয়ে চলেন।'

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মুফতি ফয়জুল্লাহ ও মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব আগামী নির্বাচনে ১৮ দল থেকে এমপি নমিনেশন 'মৌখিকভাবে' নিশ্চিত করেছেন। মুফতি ফয়জুল্লাহ লালবাগ মাদ্রাসার শিক্ষক ও ইসলামী ঐক্যজোটের (আমিনী) মহাসচিব। তিনি চট্টগ্রামের একটি আসন থেকে ১৮ দলের প্রার্থী হবেন। জুনায়েদ আল হাবিব মুফতি আমিনীর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আসন থেকে প্রার্থী হবেন। মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস একাধিবার এমপি এবং এরশাদ আমলে অল্প সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।



সূত্র মতে, নমিনেশন তো বটেই বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল ক্ষমতায় গেলে ধর্মমন্ত্রী করা হবে- এমন আশ্বাসও তাঁকে দেওয়া হয়েছে। বাকি দুই নেতা মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমি এবং মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহিকে ১৮ দলীয় জোট ক্ষমতায় গেলে 'সম্মানজনক মূল্যায়ন' করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিভিন্ন মাধ্যমে আর্থিকসহ অনেক সুবিধাও তাঁরা পেয়েছেন।



এ প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এগুলো আমি শুনি নাই। ১৮ দলীয় জোট বা বিএনপি এমন কোনো সমঝোতা করবে বলে আমার মনে হচ্ছে না। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। হেফাজতের মহাসমাবেশ দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড়। বাংলাদেশে ইসলামকে রাজনীতিবিদরা সব সময়ই ব্যবহার করে।' ধর্ম নিয়ে রাজনীতি অত্যন্ত দুঃখজনক বলেও তিনি মন্তব্য করেন।



এসব বিষয়ে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নির্বাচন সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত বিষয়। সারা জীবন মুফতি আমিনীর সঙ্গে গাধার মতো ছিলাম। তিনি বেঁচে থাকলে এখনো তা-ই করতাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাঁর নির্বাচনী এলাকাটি এখন আমারই প্রাপ্য।' উত্থাপিত সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, 'এগুলো ডাহা মিথ্যা। হেফাজতের আন্দোলনে দূরত্ব তৈরি হওয়ার কারণেই সম্ভবত এসব অপপ্রচার চরমোনাইপন্থীরা ছড়াচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমার শত্রুতা নেই। সংগঠনের মুরব্বিরাই বিভিন্ন কারণে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'



মাওলানা কাসেমি সম্পর্কে তিনি বলেন, 'নুর হোসাইন কাসেমি অনেক বড় বুজুর্গ মানুষ। জীবনে মিথ্যা বলেননি। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করলে জ্বলে-পুড়ে শেষ হয়ে যাবে। তিনি বিএনপির কোনো লোকের অনুদান নিজের মাদ্রাসার জন্যও নিচ্ছেন না।' হেফাজত অরাজনৈতিক সংগঠন বলেও দাবি করেন জুনায়েদ আল হাবিব।



জানা গেছে, ৬ এপ্রিল মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত কেবল হেফাজতে ইসলামের অরাজনৈতিক ইমানি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তদেরই লংমার্চ সমাবেশ মঞ্চে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং বক্তব্য দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ছাড়াও কয়েকটি ছোট রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও মঞ্চে হাজির করেন ওই পাঁচ নেতা। এসব করে এই পঞ্চনেতা হেফাজতের অরাজনৈতিক ইমেজ ধ্বংস করেছেন বলে হেফাজতে ইসলাম সমর্থক মহলে দেখা দিয়েছে চাপা ক্ষোভ ও সমালোচনা। তারা বলছে, হেফাজতের মহাসমাবেশের মঞ্চে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের প্রতিনিধিকে উঠতে না দেওয়া এবং জামায়াতের এমপি শামসুল ইসলাম চৌধুরীকে মঞ্চে সম্মানজনকভাবে তুলে ধরার কাজটিও এই পাঁচ নেতা করেন।



এসব বিষয়ে আল্লামা শফীকে 'ভুল' বোঝানো হচ্ছে দাবি করে হেফাজতের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুগ্ম মহাসচিব কালের কণ্ঠকে বলেন, "আল্লামা শফীকে ইতিমধ্যে 'শায়খুল হাদিস আজিজুল হক' বানানো হয়ে গেছে। তিনি শেষ বয়সে পুত্র ও পরিবারবেষ্টিত ছিলেন।



তাঁর নামে অন্য লোকেরাই বিভিন্ন কাণ্ড ঘটিয়ে প্রচুর বিতর্কিত করেছিলেন। কালের কণ্ঠের মাধ্যমে আল্লামা শফীর সাহেবজাদাসহ ঘনিষ্ঠ সকলকে অনুরোধ, যেকোনো মূল্যেই হোক শফী সাহেবের সারা জীবনের অনুসৃত পথেই স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ দিন। ৯৩ বছর বয়সী মুরব্বি মানুষ হলেও এখনো সব কিছুই বোঝার ক্ষমতা, যোগ্যতা ও দূরদর্শিতা আছে।" হেফাজতের এই যুগ্ম মহাসচিব আরো বলেন, 'মাওলানা শফীকে অপব্যবহার করার যেকোনো ষড়যন্ত্র ও কৌশলের বিরুদ্ধে সতর্কতা বাড়াতে হবে।'



ইসলামী আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, 'আমরা আল্লামা শফীর নেতৃত্বকে সমর্থন করি। তাঁর মাধ্যমে গড়ে ওঠা হেফাজতের আন্দোলনে কোনো ধরনের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের কল্পনাও মাথায় না রেখে সম্পূর্ণ আল্লাহর ওয়াস্তে আমরা ছিলাম। ইসলামের শত্রুগোষ্ঠী আমাদের দ্বন্দ্ব ও দুর্বলতা দেখে হাসুক- আমরা তা চাই না।'

সুত্র

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

দিশার বলেছেন: :D জ্বলে পুরে শেষ হয়ে যাবেন রে ভাই ! হাহাহা জামাত এর ফান্ড এর টাকা বন্ধ হলে দেখা যাবে বড় বড় বুলি কথা থেকে বের হয়।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শিক্ষানবিস বলেছেন: ইহা মনে হয় চরমোনাই গ্রুপের গবেষণা। চরমোনায়ীরা জামাতের পথ ধরিয়াছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.