নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
ছাত্রশিবিরের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনকে আটকের প্রতিবাদে গত ১১ এপ্রিল সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দেয় ছাত্রশিবির। সেদিন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুরের কাজিরহাটে হরতালবিরোধী আওয়ামী লীগের এক মিছিলে নৃশংস হামলা চালায় শিবিরের ক্যাডাররা। এই হামলায় দুজন ছাত্রলীগ কর্মী ও একজন আওয়ামী লীগ কর্মী মারা যান, আহত হয়েছেন তিন শতাধিক। আহতদের মধ্যে ছয়জনের জ্ঞান এখনও ফেরেনি এবং ১০ জন চির পঙ্গুত্বের শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হামলার সময় ২৩০টি মোটরসাইকেল, ৮টি ট্রাক, ৩টি জিপ, ৩টি কার এবং ১টি মাইক্রোবাস পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা। আওয়ামী লীগের দাবি অনুযায়ী ১৬০টি মোটরসাইকেলের হদিস নেই। আর্থিক হিসাবে এই ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১০ কোটি টাকা।
দেশে হরতালবিরোধী মিছিল নতুন নয়। সব সরকার আমলেই হরতালবিরোধী মিছিল, মোটর শোভাযাত্রা হয়। হরতাল দেয়া যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার, হরতাল প্রত্যাখ্যান করাও তেমন গণতান্ত্রিক অধিকার। হরতাল আহ্বান করে কোন দল দেশের কাউকে হরতাল পালনে বাধ্য করার অধিকার রাখে না। কিন্তু দেশে রাজনৈতিক দলগুলো হরতাল ডেকে সহিংস কর্মকা- চালিয়ে জনগণকে হরতাল পালনে বাধ্য করে। হরতালের আগের দিন থেকে হরতাল সমর্থকরা নিয়মিত গাড়ি ভাঙচুর, অগি্নসংযোগ করে, বোমা মেরে সাধারণ মানুষকে হত্যা বা আহত করে। হরতালবিরোধীদেরও অনেক সময় সহিংস আচরণ করতে দেখা যায়। কেবল প্রত্যাখ্যান করেই তারা ক্ষান্ত হয় না। সন্ত্রাস দিয়ে হরতালকে প্রতিরোধ করতে চায়। সন্ত্রাস দিয়ে হরতাল প্রতিরোধের করুণ শিকার হয়েছে বিশ্বজিৎ।
ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের হরতালবিরোধী মিছিলটি ছিল পূর্বঘোষিত ও শান্তিপূর্ণ। তারা তাদের মিছিলের কথা আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও থানাকে জানিয়েছিল, কাজিরহাটের স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সহযোগিতা চেয়েছিল। প্রায় হাজারখানেক লোকের একটি মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া প্রশিক্ষিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষেও সহজ নয়। সেখানে হামলাকারীরা কেবল মিছিলই ভ-ুল করে দেয়নি, তিনজনকে হত্যা করেছে শত শত মানুষকে আহত করেছে, শতাধিক মোটরগাড়ি পুঁড়িয়ে দিয়েছে। হামলার ব্যাপকতা ও ভয়াবহতা থেকে বোঝা যায় হামলাকারীরা কতটা সহিংস। ভিডিও ফুটেজে হামলাকারীদের সহিংসতার একটি রূপ প্রকাশিত হয়েছে।
হামলার ধরন থেকে বোঝা যায় এটি পূর্বপরিকল্পিত। হামলার ঘটনার তদন্তেও বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। হামলার মূল পরিকল্পনাকারীরা একদিন আগেই গোপন বৈঠক করেছিল। এই পরিকল্পনায় কেবল শিবিরই জড়িত ছিল না, স্থানীয় বিএনপি নেতাদেরও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ভুজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন জামায়াতের আমির শফিউল আলম নূরীর নেতৃত্বে হওয়া গোপন বৈঠকে বাগানবাজার ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আবদুর রহিম উপস্থিত ছিলেন বলে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। হামলা পরিকল্পনাকারী হিসেবে জামায়াত-বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে চিহ্নিতও করা হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী শিবিরের তিনটি সন্ত্রাসী বাহিনী অংশ নেয়। এলাকার বাইরে থেকে শতাধিক জামায়াত-শিবির ক্যাডার যোগ দেয়। এই হামলায় হেফাজতে ইসলামসহ স্থানীয় জনসাধারণকে প্ররোচিত করার জন্য শিবিরের ক্যাডাররা মোবাইলের মেসেজের মাধ্যমে ঘটনাস্থলে জড় হয়। ৭-৮টি মসজিদের মাইক থেকে গুজব ছড়িয়ে বলা হয়, মসজিদ-মাদ্রাসায় হামলা করা হয়েছে। মাদ্রাসার হুজুরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গুজব ছড়ানোর পর শিবিরের ক্যাডার ও সমর্থকরাসহ স্থানীয় অনেক মানুষ মিছিলে আক্রমণ করে।
জামায়াত-শিবিরের সব ক্যাডাররা আগে থেকেই সড়কের দুই পাশে ওত পেতে ছিল। ক্যাডাররা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, দা, কিরিচ, রড, বল্লম, গানপাউডার নিয়ে আগে থেকেই প্রস্তুত হয়ে ছিল। আক্রমণের পর মোটরসাইকেল, গাড়ি নিয়ে মিছিলে অংশ নেয়া মানুষ যেন পালাতে না পারে সেজন্য রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখা হয়। তারপর পেছন থেকে মিছিলের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়, গানপাউডার ছিটিয়ে শত শত মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয়া হয়। প্রাণভয়ে অনেকে স্থানীয় একটি স্কুলে আশ্রয় নিলে তাদের খুঁজে বের করে নৃশংসভাবে হত্যা করে শিবিরের সন্ত্রাসীরা। আক্রমণ চালানো হয় ভিকটিমের মাথাকে টার্গেট করে। সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র আক্রমণে মিছিলের নিরস্ত্র মানুষ অসহায় আত্মসমর্পণ করে। সন্ত্রাসীদের সহিংসতার ভয়াবহতা দেখে কেউ আক্রান্তদের উদ্ধার করার সাহস পায়নি। ঘটনার তিন ঘণ্টা পরও আহত-নিহতরা ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল।
ফটিকছড়িতে জামায়াত-শিবিরের পরিকল্পিত সন্ত্রাসকে উপরের বর্ণনা থেকে চিনে নিতে কষ্ট হয় না। জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীর আমল থেকে এমন পরিকল্পিত হত্যা, সন্ত্রাস চালিয়ে অভ্যস্ত দলটি। ১৯৫৩ সালে লাহোরে কাদিয়ানীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ চালিয়ে প্রায় দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল জামায়াতে ইসলামী। সেই নৃশংস হত্যাকা-ের বিচারে মওদুদীর ফাঁসির রায়ও দিয়েছিলেন পাকিস্তানের আদালত। কিন্তু সৌদি আরবের চাপের কারণে সেই ফাঁসি শেষ পর্যন্ত কার্যকর করেনি পাকিস্তান সরকার। মওদুদীর দেখানো পথ অনুসারে বাংলাদেশেও জামায়াত-শিবির একই কায়দায় হত্যা-সন্ত্রাস চালাচ্ছে। সাঈদীকে চাঁদে দেখার গুজব ছড়িয়ে যেমন সারাদেশে তারা হত্যা-সন্ত্রাস চালিয়েছে, ফটিকছড়িতেও তেমন মসজিদ আক্রমণের গুজব ছড়িয়ে হত্যা-সন্ত্রাস চালিয়েছে। রাজশাহী-দিনাজপুরে যেমন টার্গেট করে পুলিশের মাথা থেঁতলে দিয়েছে, ফটিকছড়িতেও তাদের হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ভিকটিমের মাথা। ফটিকছড়িতে জামায়াত-শিবির-বিএনপির সন্ত্রাসের ভয়াবহতা দেখে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হামলার ঘটনার মামলার আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারির পর থেকে দেশব্যাপী চালানো হত্যা-সন্ত্রাসে তারা যেমন বিএনপিকে সক্রিয়ভাবে পাশে পেয়েছে, ফটিকছড়িতেও তেমন বিএনপিকে সক্রিয়ভাবে পাশে পেয়েছে। এই হামলার সঙ্গে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের সংশ্লিষ্টতার জোরালো অভিযোগ রয়েছে। ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন, 'ফটিকছড়ির সংগ্রামী বন্ধুদের সংগ্রামী সালাম জানাই। তারা যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, আগামী দিনে এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ইতিহাসে তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।' খোকা কেবল একথা বলেই ক্ষান্ত হননি। তিনি প্রত্যেক গ্রাম, উপজেলাকে 'ফটিকছড়ির মতো' প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানও জানিয়েছেন।
সাদেক হোসেন খোকা তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মওদুদী আদর্শের সন্ত্রাসকে সমর্থন দিয়েছেন, ফটিকছড়ির সন্ত্রাসকে বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টা করেছেন এবং মানুষকে সন্ত্রাসের পথে নামার অন্যায় উৎসাহ দিয়েছেন। জামায়াত-শিবিরের সাম্প্রতিক সহিংসতা তাদের জঙ্গি-সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত করেছে। বিএনপি ছাড়া আর সবাই জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে। বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার মোহে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের অনেক আগেই ঘাড়ে তুলে নিয়েছে। বিএনপির সঙ্গে এখনও 'রাজনৈতিক দল'-এর তকমা আছে। যদিও জামায়াত-শিবিরের প্রায় সব সন্ত্রাসী কর্মকা-ে বিএনপির নেতাকর্মীরাও সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। বিএনপি যে পাবলিক সেফটি কমিটি করেছে তাতে জামায়াত-শিবিরের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের অন্তর্ভুক্ত করেছে। পাবলিক সেফটি কমিটির অন্তর্ভুক্ত জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা সম্প্রতি জনগণের জানমাল ধ্বংস এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আগামীতে ফটিকছড়ির মতো প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে খোকা বিএনপির ওপর থেকে 'রাজনৈতিক দলের' তকমা খুলে সরাসরি সন্ত্রাসী দলে পরিণত হলো কিনা। পাবলিক সেফটি কমিটির ছদ্মাবরণে তারা তো আরও আগেই জঙ্গি-সন্ত্রাসকে আত্তীকরণ করেছেন।
ফটিকছড়ির সন্ত্রাসী জঙ্গিদের খোকা বলেছেন 'সংগ্রামী বন্ধু'। সন্ত্রাসীদের তিরস্কার করার পরিবর্তে জানিয়েছেন 'সংগ্রামী সালাম'। সশস্ত্র হত্যা-সন্ত্রাসকে তিনি 'প্রতিরোধ' আখ্যা দিয়েছেন। ইতিহাসের গতিবিধি সম্পর্কেও তার ধারণা স্বচ্ছ নয়। তিনি বলেছেন, ফটিকছড়ির হোতাদের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। খোকা জানেন না, ফটিকছড়ির হোতাদের দীক্ষাগুরু মওদুদীর নাম ইতিহাসে কোন অক্ষরে লেখা। ফটিকছড়ির হোতাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখতে হলে সে ইতিহাস লিখতে হবে কোন সন্ত্রাসীকে, ইতিহাসবিদ লিখলে খোকার ভবিষ্যদ্বাণী মাঠে মারা যাবে।
খোকা জঙ্গি-সন্ত্রাসী আর গণতন্ত্রকামী জনগণের ফারাক ভুলে গেছেন। গণতন্ত্রকামী জনগণ কোন শান্তিপূর্ণ মিছিলে কোনদিনই খোকার আহ্বানে সশস্ত্র হামলা চালাবে না। গণতন্ত্রকামী জনগণ গাড়ি পোড়ানোর জন্য গানপাউডার নিয়ে রাস্তায় ঘোরে না, তারা শত শত গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস করে না, পবিত্র মসজিদের মাইক ব্যবহার করে গুজব ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ায় না, কাউকে খুন-জখম করে না। কেবল জঙ্গি-সন্ত্রাসীরাই ফটিকছড়ির ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে পারে। আর যদি দেশে এমন নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে তবে তার দায় সাদেক হোসেন খোকা বা তার দল বিএনপি এড়াতে পারবে না।
সুত্র
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩
নিকষ মেঘ বলেছেন: হাম্বা মারো দেশ গড়ো
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
তালপাতারসেপাই বলেছেন: মারামারি ভাল নয়
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭
আশিকুর রহমান ১ বলেছেন: হাম্বার বাচ্চারাও কি মখার মতো মানুষিক রোগে আক্রান্ত?
৩০০ জনের অধিক মানুষের মৃত্যু আর সহস্রাধিক হতাহতেয় আত্মচিত্কারে আজ ভারী হয়ে উঠেছে দেশের বাতাস আর আরেক হাম্বা আসছে মখার মতো সবকিছুতে বিএনপিয় ইস্যু খুজতে!
যেই দেশের বিরোধীদল ফটিকছড়ির মতো পিডান দিতে পারে! ধাক্কা দিয়া নয় তলা বিল্ডিং ভাইঙ্গা ফেলতে পারে সেই দেশের সরকার কি বইসা বইসা ঘোড়ার ঘাস কাটে?
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
তালপাতারসেপাই বলেছেন: কেউ কম যান না।
যে কারণে বিএনপির হরতাল প্রত্যাহারে দেরি
সাভার ট্র্যাজেডির পর বিএনপির হরতাল প্রত্যাহারে সময় লেগেছে পাঁচ ঘন্টা। সকাল পৌনে নয়টায় এই ঘটনা ঘটলেও হরতাল প্রত্যাহার করা হয়েছে দুপুর দুইটায়। দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার সঙ্গে অন্য নেতারা যোগাযোগ করতে না পারার কারণেই এই বিলম্ব ঘটেছে বলে জানা গেছে।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের দেশব্যাপী ৩৬ ঘন্টা লাগাতার হরতাল চলাকালে গত বুধবার সকাল পৌনে নয়টায় সাভারে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই সাংবাদিকরা বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হরতাল প্রত্যাহার করা হবে কিনা জানতে চান। বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থানকারী চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু এ ব্যাপারে খুব কিছু জানাতে পারেননি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে দলের কর্মীরা কিছু একটা করার জন্য শামসুজ্জামান দুদু অনুরোধ জানান। দুদু বিষয়টি চেয়ারপার্সনের আরেক উপদেষ্টা শিমুল বিশ্বাসকে জানান। খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা না বলে তিনি কোন সিদ্ধান্ত দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর বিষয়টি জানানো হয় প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেলকে। তার পক্ষ থেকেও ইতিবাচক কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। বরং বিক্ষুব্ধ ও হতাশ কর্মীরা বিষয়টি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামকে জানান। তরিকুল ইসলাম বলেন, চেয়ারপার্সনকে না পাওয়া পর্যন্ত তার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়। নেতারা চেয়ারপার্সনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে বাসা থেকে জানানো হয়, তিনি তখনও ঘুমাচ্ছেন। কর্মীরা বিষয়টি ১৮ দলীয় জোটের শরিক এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব) অলি আহমেদকে জানান। অলি আহমদের উদ্যোগে বেলা ১১টার দিকে শুধুমাত্র সাভার এলাকায় হরতাল শিথিল করা হয়। হতাহতের ব্যাপকতায় দ্বিতীয় দফায় বেলা সাড়ে ১২টায় ঢাকা মহনগরী ও আশপাশের এলাকায় হরতাল প্রত্যাহার করা হয়। সর্বশেষ দুইটায় বিএনপির চেয়ারপার্সনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হলে তৃতীয় দফায় হরতাল সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
নিকষ মেঘ বলেছেন: Kill the hamba......