নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
আসল সুত্র
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আবারও শুরু হয়েছে অপপ্রচার। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বাঁচাতে যেভাবে ধর্মের নামে অপপ্রচারে নেমেছিল জামায়াত-শিবির চক্র, ঠিক তা একইভাবে আবারও শুরু হয়েছে। শুধু পাল্টেছে ভুল। এবার হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবকে কেন্দ্র করে ওই অপপ্রচার চলছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে। ফেসবুক ও টুইটারসহ অন্য আরো বেশকিছু মাধ্যমে রোববার দিবাগত রাতের ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবেই আখ্যায়িত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে অন্য দেশে সহিংসতায় নিহতদের ছবি পোস্ট দিয়ে বলা হচ্ছে রোববারের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের নিহতের সংখ্যা আড়াই থেকে তিন হাজার বা তার চেয়েও বেশি। এদিকে অপপ্রচার এখন আর শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। অনলাইন সংবাদমাধ্যমের ন্যায় ওয়েবসাইট খুলে তাতেও চলছে এই অপকর্ম। বারবার ধর্মের অপব্যাখ্যা ও ভুল তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অধিকার কারও নেই জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিষয়টির ব্যাপারে এখনই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
জানা যায়, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখা বা আরো বেশকিছু অসত্য তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার যে চক্রান্ত হয়েছিল ফেসবুকের বাঁশের কেল্লার পেইজে, তা এখনও থামেনি। ইতোমধ্যে বাঁশের কেল্লা নামে ফেসবুকের একটি পেইজ বিটিআরসি বন্ধ করে দিলেও আরো বেশকিছু বাঁশের কেল্লা নামে পেইজ খোলা হয়েছে। আর সেগুলোতে চলছে অপপ্রচার। ওইসব পেইজে এখন হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ‘গণহত্যার’ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ বা ‘হেফাজতে ইসলাম’ অথবা অন্য আরো কিছু ছদ্মনামে শতাধিক ফেসবুকের পেইজ থেকেও একই ধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গতকাল দুইটার দিকে ‘হেফাজতে ইসলাম’ নামে ফেসবুকের একটি পেইজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, ‘শরীরের দাগ শুকায় কিন্তু মনের ক্ষত শুকায় না! যারা ভাবছে দুই হাজার হেফাজতের কর্মীর রক্তে পূণ্যøান করলে, বাবুনগরীকে ৯ দিনের এবং ৪০ থেকে ৫০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ডে নিলে আর যারা কুরআন হাদিসের মর্যাদা রক্ষার জন্য শহীদি তামান্না নিয়ে ঢাকায় এসেছিল তোদের সুশীল সমাজের মিথ্যা অপপ্রচারের ফলে হাজার হাজার কর্মীর নামে মামলা দিলেই থেমে যাবে এই আন্দোলন? একটা আন্দোলন এত সহজে থামবে না, থামার প্রশ্নই আসে না। বরং একদিন তোদের মুখ থেকে খসে পড়বে ওই মিথ্যার মখমল। সেদিন সবাই তোদের মুখে শুকরের প্রতিকৃতি দেখতে পাবে আর যাদের শহীদ করলি যাদের বুকে পবিত্র কুরআন মুখস্ত ছিল তাদের মাথায় জ্বলবে নুরানী তাজ। সে দিনের অপেক্ষায় আছি . . . থাকব।’
বিএসএফ নিয়েও অপপ্রচার!
সরকার বিএসএফকে বিজিবির পোশাক পরিয়ে রোববার রাতে ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে বেশকিছু ফেসবুকের পেইজে। ‘হেফাজতে ইসলাম’ নামে ফেসবুকের একটি পেইজে বলা হয়েছে, ‘সরকার দশ হাজার বিএসএফকে বিজিবির পোশাক পরিয়ে সে দিন (রোববার দিবাগত রাতে) মুসলিম হত্যা করতে নামিয়েছিল। যার প্রমাণ হলÑ মাদানীনগর মাদ্রাসা থেকে একজন আমাকে মেসেজ (এসএমএস) দিয়ে বললো যে মাদ্রাসায় যে সকল বিজিবি হামলা করতে ঢুকেছিল তারা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারেনি, তারা হিন্দী ভাষায় কথা বলছে।’ এই স্ট্যাটাসের শেষ অংশে বলা হয়েছে, ‘সবাই গর্জে ওঠো না হলে বাংলাদেশকে রক্ষা করা যাবে না। অন্যথায় এই জালিম সরকার ভারতের হাতে দেশকে তুলে দেবে।’
এবার অনলাইনের আদলেও অপপ্রচার
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে অপপ্রচার চালনোর সঙ্গে সঙ্গে এবার অনলাইন সংবাদপত্রের আদলে খোলা কিছু ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও চালানো হচ্ছে অসত্য প্রচার। আর এসব ওয়েবসাইটের লিঙ্ক শেয়ার দেওয়া হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে। এ ধরনের একটি ওয়েবসাইট হলোÑ ‘বিডিব্রেকিং টুয়েন্টিফোর ডটকম’। নামমাত্র ওই অনলাইনটির কোনো ঠিকানাও উল্লেখ করা নেই। নেই কোনো যোগাযোগের নম্বরও। শুধু সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আবু সৈয়দ হান্নান নামে একটি নাম। আর দেওয়া আছে মাত্র দুটি ই-মেইল ঠিকানা। একই সঙ্গে সাইটটিতে ‘সাংবাদিক হতে চান’ বলে একটি বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। ওয়েবসাইটটি ঘেটে দেখা গেল, অন্যান্য সংবাদের মধ্যে হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াত-বিএনপির মিথ্যা খবরকেই প্রাধান্য দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। রোববারের রাতের ঘটনায় আড়াই হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এতে। অন্যান্য মিডিয়ার বরাত দিয়ে অনলাইনটি বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রচার করলেও খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এগুলোর সবই ভিত্তিহীন। সুত্র
বাদ পরেননি প্রধানমন্ত্রীও তার নামেও বিভ্রান্তিমূলক প্রচার!
‘মনে করুন, ঘুম থেকে উঠেই শুনলেন শেখ হাসিনার নির্মমভাবে মৃত্যু হয়েছে। তাহলে সত্যিকারভাবে যারা মন থেকে খুশি হবেন, তারা লাইক দিন। যারা আরো খুশি হবেন, তারা কমেন্ট করুন। আর যারা অনেক অনেক বেশি খুশি হবেন, তারা শেয়ার করুন। এই বিখ্যাত জরিপে অংশ নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে আসুন।’ এটি ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ নামে একটি ফেসবুক পেইজের স্ট্যাটাস। ওই স্ট্যাটাসে গতকাল বিকাল ২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত লাইক দিয়েছে ৪৭৩ জন, কমেন্ট করেছে ১৫২ জন এবং শেয়ার দিয়েছে ৮৪ জন। দেখা গেল, ওই পেইজটিতে লাইক দেওয়া ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ হাজার ৯১৭ জন। এদিকে এই একই স্ট্যাটাসটি ‘হেফাজতে ইসলাম’ নামে আরো একটি ফেসবুক পেইজে দেওয়া হয়েছে। তাতেও বেশকিছু লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার পড়েছে।
এভাবেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে চালানো হচ্ছে বিভ্রান্তিমূলক ও অপপ্রচার। বলা হচ্ছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ‘নাস্তিক’ সরকার। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও ‘নাস্তিক’। এসব বলার সঙ্গে সঙ্গে শেখ হাসিনার মৃত্যুও কামনা করা হচ্ছে। এছাড়া হেফাজতে ইসলামের ওপর ‘গণহত্যা’ চালানো হয়েছে, তার অভিযোগ এনে দায়ভার দেওয়া হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের ওপর।
হেফাজতে ইসলামের নামে খোলা ফেইসবুকের আরো একটি পেইজে গতকাল ২টা ৩৭ মিনিটে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘যেই পিকেটারদের ধাক্কায় রানা প্লাজা ধসে পড়ে, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেতো একটি গুঁতাই যথেষ্ট।’ এভাবেই বর্তমান সরকার এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামেও চলছে বিভ্রান্তিমূলক এবং মিথ্যা প্রচারণা।
আপপ্রচার থেকে বাচবেন কি করে?
আপনি নিজেই বের করুন ফেসবুক এর image টি আসল নাকি নকল।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: এটিও পড়ুন
Click This Link