নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
মাহমুদুর রহমানকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই।
তিনি বেগম খালেদা জিয়ার একজন উপদেষ্টা,
তিনি একজন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হলেও সাংবাদিকতায় অনার কোনো পূর্ব অভিঞ্জতা নেই। তিনি একজন ‘বাইচান্স এডিটর’।
তিনি ‘বুয়েট’-এর একজন ইঞ্জিনিয়ার ও বেক্সিমকোর একজন সাবেক কর্মকর্তা।
তিনি পরে খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় টার্মে বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও জ্বালানি উপদেষ্টাও হন। তার পরিকল্পনায়ই ১৪ই নভেম্বর ২০০৬ সালে উত্তরা ষড়যন্ত্র সংঘঠিত হয় যার মূল কারিগর ছিলেন তিনি।
তার গুনের কোনো সীমা নাই, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের রায়ে তিনি একজন ‘ক্রিমিনাল’; ফৌজদারি অপরাধে কারাদন্ড ভোগী ‘ক্রিমিনাল’। তিনি আমেরিকান ভিসা-প্রত্যাখ্যাত কালো তালিকাভুক্ত দের একজন। এর কারন হিসাবে মৌলবাদের সাথে সম্পৃক্ততা দায়ী বলে অনেকে মনে করেন।
২০০৬ এর যুগান্তরের রিপোর্ট ছিল:
নানা অঘটনের নায়ক মাহমুদুর রহমানের আমলনামা
সাবেক জ্বালানী উপদেষ্টা ও বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান একের পর এক অঘটনের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের ভিলেন হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন । জোট সরকারের আমলে নানা বৈধ-অবৈধ সুবিধাভোগকারী এ ব্যক্তিটি তার বেফাঁস কথা এবং কার্যক্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে দেশে নানা বিতর্কের সৃষ্টি করেন । বিনিয়োগ বোর্ড থাকাকালে বিদেশী বিনিয়োগ আনার ব্যাপারে তেমন কোন সাফল্য দেখাতে না পারলেও পুরো মেয়াদ জুড়েই অর্থহীন বাগাড়ম্বর করে গেছেন । দেশের স্বার্থবিরোধী টাটার বিনিয়োগ প্রস্তাবের পক্ষে করেছেন নির্লজ্জ দালালি । দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় অর্থনীতিবিদ,বুদ্ধিজীবি, রাজনীতিবিদদের প্রতি অবমাননাকর উক্তি, এমনকি ফৌজদারি মামলা দয়েরের মতো দুঃসাহস দেখিয়ে দেশবাসীকে স্তম্ভিত করে দিয়েছেন । শুধু জোট সরকার নয় আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ট্র্যাষ্টি বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে তার দায়ের করা মামলা আমলনা আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, দাতা সংস্থা এবং কূটনীতিকদের কাছে দেশকে অনেক হেয় করেছে । চারদলীয় জোট নেত্রীর আর্শীবাদপুষ্ট মাহমুদুর রহমান এবার ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভয়াবহ খেলায় মেতে উঠেছে । চারদলীয় জোটকে ক্ষমতায় এনে রুটি-হালুয়ার ভাগ প্রাপ্তি অব্যাহত রাখতে এবং অতীতে নিজের নানা দুষ্কর্মেও শাস্তি এড়াতে যেনতেনভাবে চারদলীয় জোটকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে তিনি এবং তার সহচররা মরিয়া হয়ে উঠেছেন । পাঁচ বছরের শাসনামলে সীমাহীন ব্যর্থতা, লুটপাট, জনগণের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন ইত্যাদি কারণে ভোটের মাধ্যমে জোটের ক্ষমতায় ফিরে আসা অসম্ভব জেনে তারা নির্বাচনকে ম্যানিপুলেট করে ক্ষমতায় ফিরে আসতে চাচ্ছেন। আর এ লক্ষ্যেই সরকারের স্পর্শকাতর অবস্থানগুলোতে থাকা চারদলীয় জোটের অনুগত আমলাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক বসে নির্বাচনের সম্ভাব্য রায় বদলে দেয়ার নীলনকশা চূড়ান্ত করেছেন । শুক্রবার অনুষ্ঠিত এমন একটি বৈঠকের খবর ফাঁস হয়ে গেলে মাহমুদুর রহমান এবং তার দুস্কর্মের সঙ্গীরা হাতেনাতে ধরা পড়ে যান । তাদের এই ষড়যন্ত্রের খবর সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে ।
জোট সরকার ক্ষমতায় আসার কিছুদিন পরই মাহমুদুর রহমানকে বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে ২ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়। বেসরকারি খাতের কোন বাক্তিকে বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবাই চমকে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তার বাস্তব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করা এবং বিনিয়োগ বোর্ডকে আরও সক্রিয় দক্ষ করার জন্যই তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তখন সবাই আশা করেছিলেন, মাহমুদুর রহমানের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে বিনিয়োগ বোর্ডের গভরন্যােেন্সর মান বাড়বে, বিনিয়োগকারীদের দুর্ভোগ কমবে এবং দেশে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহ বাড়বে। কিন্ত দায়িত্ব পালনকালে বড় বড় কথা ছাড়া তিনি কোন সাফল্যই দেখাতে পারেননি । বিনিয়োগকারীদের দুর্ভোগও কমেনি। তার মেয়াদের পুরো সময় জুড়েই বিনিয়োগ বোর্ড ছিল দুর্নীতিবাজদের আখড়া। নিবন্ধন সনদ প্রদান, বিদেশীদের ওয়ার্ক পারমিট প্রদান ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই চলেছে টাকার খেলা । টাকা ছাড়া সেখানে কিছুই হয়নি। বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর কথা বলা হলেও সেখান থেকে কোন সেবাই পাননি বিনিয়োগকারীরা । দেশী-বিদেশী বিভিন্ন রিপোর্টেও এসব প্রকাশ পেয়েছে।
দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিন পর থেকেই মাহমুদুর রহমানকে নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। একের পর এক গোমর ফাঁস হতে থাকে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পরও মাহমুদুর রহমান দীর্ঘদিন অনৈতিক ও আইন বর্হিভূতভাবে তার পূর্বতন প্রতিষ্ঠিান থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি বিনিয়োগ বোর্র্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে ২ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। পরে চুক্তির মেয়াদ বাড়নো হয়। বিনিয়োগ বোর্র্ডের দায়িত্ব নেয়ার আগে তিনি শাইনপুকুর সিরামিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। বিনিয়োগ বোর্র্ডের চাকরির শর্ত ছিল, মেয়াদকালে তিনি অন্য কোন লাভজনক দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। কিন্ত দায়িত্ব নেয়ার ২ বছর পরও তিনি শাইনপুকুরের ফাইলপত্র দেখেছেন বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং মাঝেসাঝেই কারখানা পরিদর্শন করেছেন। এর বিনিময়ে শাইনপুকুর থেকে বাড়ি-গাড়িসহ নানা সুবিধা পেেেয়ছেন। অন্যান্য সুবিধার মধ্যে ছিল গাড়ির জ্বালানি এবং ড্রাইভার। ২০০৩ সালের ১০ অক্টোবর দৈনিক প্রথম আলো এবং ১৩ অক্টোবর যুগান্তর এ সংক্রান্ত খবর ফাঁস করে দিলে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আইএফআইসি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখায় তার ০০০৬৩৪০৪১৪৪ নম্বর সঞ্চয় হিসাবে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা জমা হয়েছে । ২০০৩ সালের বিভিন্ন মাসে এ হিসাবে সর্বনিমè ১০ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪২ লাখ টাকা জমা হয়েছে। সে বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে মোট ২ কোটি ৮৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬ টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে জমা হয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ ২৭ হাজার টাকা, একাউন্ট থেকে তোলা হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৫৮৬ টাকা। তিনি শাইনপুকুর সিরামিক্স থেকে সার্বক্ষণিক দুটি গাড়ির (ঢাকা-মেট্রো-গ-১১-১৯০৯ এবং ঢাকা-মেট্টো-০২-২৯০৪) সুবিধা নিয়েছেন। তখন মাহমুদুর রহমান বারিধারা, ৪১, সোহরাওয়ার্দী এভিনিউর যে বাড়িটিতে বাস করতেন তার ভাড়া পরিশোধ করত শাইনপুকুর; মাসিক ভাড়া ছিল ৭০ হাজার টাকা। সে বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি নিজের কেনা যে ফ্ল্যাটে ওঠেন তাতে ৫ লাখ টাকা মুল্যের সাতটি এয়ারকন্ডিশনার সরবরাহ করে শাইনপুকুর। এসব গোপন খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর তিনি ১৪ অক্টোবর একটি সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, শাইনপুকুরের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে না থাকলেও কারিগরি পরামর্শ দেয়ার শর্ত ছিল । তিনি শুধু ততটুকুই করছেন, প্রত্যক্ষ কোন দায়িত্ব পালন করছেন না । অথচ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সে বছরের ১ জুলাইও তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ফ্যক্টরি চত্বর থেকে পণ্য বিক্রি সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে অফিস মেমো জারি করেছেন। তখন এমন আরও অনেক অফিস আদেশের খবর বেরিয়ে আসে যাতে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন।
সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯ এর ১৭(২) নম্বর বিধিতে স্পষ্ট বলা আছে, কোন ব্যাংক বা কোম্পানির প্রসার, নিবন্ধন বা ব্যবস্থাপনায় কোন সরকারি কর্মচারি অংশ নিতে পারবেন না। অথচ মাহমুদুর রহমান, এ আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সে কাজ করে গেছেন । এমন অনৈতিক এবং আইনবহির্ভূত কর্মকান্ডের খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরও জোট সরকার তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি, বরং তার চুক্তির মেয়াদ আরও ৩ বছরের জন্য বৃদ্ধি করে। ব¯তুত জোট সরকারের প্রতি অন্ধ আনুগত্য এবং বিশেষ ভবনের সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ আনুগত্যের কারণে পরে তাকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাও নিয়োগ করা হয়।
বিনিয়োগ সম্পর্েেক মাহমুদুর রহমান বরাবর বাগাড়ম্বর করে গেছেন । নিজের সাফল্য জাহির করার লক্ষ্যে তথ্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে উপস্থাপন করেছেন। বিনিয়োগকারীদেি ইচ্ছাপত্র এবং নিবন্ধনকে তুলে ধরে বলার চেষ্টা করেছেন, বিদেশী বিনিয়োগে দেশ ভেসে যাচ্ছে। অথচ প্রকৃত চিত্র ছিল একেবারেই ভিন্ন। যেসব বিনিয়োগ প্রস্তাবের কথা তিনি বলেছেন, তার ২০ শতাংশও বাস্তবায়ন হয়নি। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০২-০৩, ২০০৩-০৪ এবং ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ২৪৫টি বিনিয়োগ প্রস্তাবের বিপরীতে মাত্র ৭৭ টি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। টাটার প্রস্তাবের বাইরে এ সময়ে ২৪১৫ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাবের বিপরীতে বিনিয়োগ হয়েছে ৩৩ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। ২০০৫ সালের ফেব্র“য়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইকোনমি এন্ড বিজনেস অ্যাফেয়ার ব্যুরো থেকে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ সম্পর্কে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিনিয়োগ বোর্ডের কথিত ওয়ান স্টপ সার্ভিস দ্বারা বিনিয়োগকারীরা প্রায়শ প্রতারিত হয়। বিনিয়োগ নিবন্ধন, কর সংক্রান্ত তথ্যাদি, জমি সংগ্রহ এবং অন্যান্য সেবা পাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটির কাজ করার কথা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা পাওয়া যায় না। নিজের এবং জোট সরকারের ব্যর্থতা আড়াল করে মেকি সাফল্য জাহির করার জন্য তিনি বিনিয়োগ সংক্রান্ত অনেক প্রকৃত তথ্য আড়াল না হয় বিকৃত করতেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিনিয়োগ বোর্র্ডের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিদেশী বিনিয়োগের প্রকৃত অবস্থা খারাপ বলে তিনি বিনিয়োগ জরিপ প্রতিবেদন ২০০৫ প্রকাশকে নানাভাবে বিলম্বিত করেন, শুধু তার কারণে সে বছর রিপোর্ট প্রকাশে সাড়ে ৪ মাস বিলম্ব হয়েছে।
মাহমুদুর রহমান কোন সমালোচনা সহ্য করেন না। কোনভাবেই নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করতে রাজি নন তিনি। এমনকি নিজের তথ্য বিকৃত ও আড়াল করার বিষয় ধরা পড়ার পরও তা নিয়ে বিতন্ডা করেন। নিজের এবং তার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সমালোচনাকে তিনি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, ভাবমূ র্তি নষ্ট করার চেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করতেন। দেশের সবচেয়ে সমাদৃত গবেষণা প্রতিঠান সেন্টার পর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করায় তিনি তার ওপর প্রচন্ড নাখোশ ছিলেন। চলতি বছরের ৬ আগস্ট ইআরএফ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি তার এ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটান । অনুষ্ঠানে তিনি অনেকটা অপ্রাসঙ্গিকভাবে সিপিডিকে টেনে এনে তার সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন, সিপিডি প্রচন্ড মিথ্যাবাদী, ষড়যন্ত্রকারী এবং নির্লজ্জ। সিপিডি তার এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানায়। দেশের দু’একটি পত্রিকা এ সংবাদ সম্মেলনের কিছু বক্তব্যকে ভিন্নভাবে প্রকাশ করায় তিনি এর সুত্র ধরে সিপিডির ট্টাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যন অধ্যাপক রেহমান সোবহান, এম সাইুজ্জামান, সৈয়দ মঞ্জুর ইলাহী, লায়লা রহমান কবীর এবং নির্বাহী পরিচালক ড. দেবপ্রিয় ভট্টচার্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনা দেশ-বিদেশে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করে। তার এ দুঃসাহস এবং অন্যায় বাড়াবাড়িতে ক্ষমতাসীন বিএনপির অনেক শীর্ষ নেতা পর্যন্ত বিব্রতবোধ করতে থাকেন। পরে অবশ্য বিদেশী কূটনীতিকদের তৎপরতায় তিনি এ মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন। তিনি সিপিডির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বাম দলের নেতৃবৃন্দ এবং অনেক গবেষক-বুদ্ধিজীবীও কঠোর সমালোচনা করতেন। টাটার প্রস্তাব এবং ফুলবাড়ী কয়লাখনির উম্মুক্ত খনন পদ্ধতির সমালোচনা করায় বিভিন্ন সময়ে দেশের এসব স্বনামধন্য ব্যক্তির প্রতি প্রকাশ্যে বিষোদগার করে এদের দেশের স্বার্থবিরোধী, ’কথিত পন্ডিত’ ইত্যাদি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি করেই থেমে থাকেননি মাহমুদুর রহমান। নিজের প্রভূদের ক্ষমতায় আনতে এবার যুক্ত হয়েছেন ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নীলনকশা প্রণয়নে। তার সঙ্গে এ ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়েছে জোট সরকারের আমলে নানাভাবে সুবিধাভোগকারী, যোগ্য ব্যক্তিদের ডিঙিয়ে প্রমোশন লাভকারী নানা পদের আমলারা। শুক্রবার উত্তরায় অবস্থিত তার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আর্টিজান সিরামক্সেও অফিসে এমনই একটি গোপন বৈঠক ও ষড়যন্ত্রের খবর ফাঁস হয়ে গেঁলে গণমাধ্যমের কর্মীরা সেখানে ভিড় জমান। বৈঠকের এ খবরে এখনও দেশজুড়ে চলছে তোলপাড় , বইছে নিন্দার ঝড়।
সুত্র যুগান্তর।
পুরান গুলাতো জানলাম, কিন্তু নয়া আমল?
কিছুটা এইখানে পাবেন
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালে আমার দেশ ও সংগ্রামের মিথ্যাচারের প্রমাণ
২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৩
তালপাতারসেপাই বলেছেন: তাই? তাইলে দেশের ১২০টা বাজতে দেরী লাগবে না।
২| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:২০
এ জাফর বলেছেন: আমার মতের সাথে কারো মিল নাও হতে পারে তাই বলে আমি তার নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবো না? এদেশের কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন অমান্য করলে তার বিচার হবে সেটাই স্বাভাবিক।কিন্তু তাই বলে তার টুটি চেপে ধরতে হবে সেটা তো গনতন্ত্রের কথা নয়। মাহমুদুর রহমানই একমাত্র ব্যাক্তি যিনি গত সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সত্য কথা লিখে গেছেন খোদ আর্মি অফিসারদের বিরুদ্বে।
২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
তালপাতারসেপাই বলেছেন: দয়াকরে সততার সাথে ্এই প্রশ্নগুলো উ্ত্তর দিন নিজে নিজেই -
- কোন একদল ব্যবসায়ী যদি একতাবদ্ধ হয়ে পন্যের দাম নিজেদের ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রন করে তা কি মেনে নেয়া যায় ?
- কোন রাজনীতিবিদ যদি অপরাজনীতি করে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে দা্ঙ্গা-হাঙ্গামা বাধানোর মাঝে নিজের সুবিধা অর্জন করে তা কি তাকে করতে দেয়া যায় ?
- কেউ একজন বা কোন গোষ্টি/দল কি খুব প্রভাবশালী হলেই তার বিচার করা যাবে না ? তাকে আইনের আওতায় আনা যাবে না রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিস্হিতি তৈরী করলেও ?
আপনারা আমার চাইতে অনেক জানেন, কিন্ত্ত আজ আপনাদের অপ-জোটবদ্ধতা দেখে "সাতার জানেন বাবু ... নারে মাঝি না" মনে পড়লো ।
প্রয়োজনের সময় মানুষের আসল চেহারা বেড়িয়ে পড়ে....
আমরা যখন একটা কঠিন সময় পার করছি তখন সম্পাদকদের সিন্ডিকেটের কেউ কে আইনের আওতায় আনা হলো বলেই এই যে জোটবদ্ধতা এর চাইতে নিকৃষ্ট আর কি হতে পারে ।
আপনারা আজ প্রমান করলেন এই জাতি কি রকম খারাপ সময় পার করছে,
নীতি-নৈতিকতার অধঃপতন কি ভয়ংকর অবস্হায় দাড়িয়েছে,
দেশের প্রত্রিকার সম্পাদকরাও সিন্ডিকেট করে দেশের সরকারকে
দেশের আইন আদলতকে হুমকি দিয়ে তাদের দলের লোক কে ছেড়ে দেয়ার কথা বলছে ।
( Click This Link )
ভন্ডামী না করে মানুষ হওয়ার চেষ্টা করুন, অন্যকে গালি দেওয়ার আগে নিজে কি করছেন দেখুন ... ধিক আপনাদের মতো পড়ালেখা জানা জ্ঞানপাপীদের....
জীবন-টাতো শুধু টাকা পয়সা কামাই আর সুবিধা আদায়ের জন্য নয়
আপনাদের বেশীর ভাগেরই তো জীবন শেষের অধ্যায় চলছে
একবার ভাবুন... কি লাভ সিন্ডিকেট করে অমানুষের কাজ করে ।
ভালো হওয়ার চেষ্টা করুন
ভালোথাকুন
৩| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
অভুতপূর্ব বলেছেন: mediar kaji hocche mitthachar kora....kon media mitthachar borjito jana moskil tai to ekhon songbadpotro porai bondho kore diyechhi....ek ghotona ek ek potrika ek ek rokom likhe sobai jar jar doliyo dristikon theke....fole sotto jana amader pokkhe pri osombhob.....ei sob ki mitthachar er songhai pore na....apnar kotha tei boli....অন্যকে গালি দেওয়ার আগে নিজে কি করছেন দেখুন ...karon A jafor er comment e kothao gali dite dekhlum na, uni shudhu apnar kothar oppose korechhe....so gali ta ashole ke dilo?
২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
তালপাতারসেপাই বলেছেন: কাউকে গালী দেয়া হয়নি। মিথ্যায় ওনার সমান কাউকে পাওয়া যা্য়নি।
৪| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:০৯
এ জাফর বলেছেন: কারো দোষ ধরার আগে একটু দেখে নেয়া দরকার আমার বা আমি যাদের সমর্থন করি তারা এই দোষে দোষী কিনা। ধর্মীয় উম্মাদনা আগে সৃষ্টি হয়নি বরং শাহবাগ থেকে তথাকথিত ব্লগারদেরকে সমর্থন করা হচ্ছিল তাদের ইসলাম বিদ্বেষী লেখার জন্য তখন প্রথম দৈনিক ইনকিলাব তা প্রকাশ করে। পরের দিন তা প্রকাশ করে আমার দেশ কই ইনকিলাবের বিরুদ্বে তো আপনাদের কোন কথা নেই।
বিচার করা আর অন্যায় ভাবে পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া তো এক কথা নয়। কারো বিরুদ্বে অভিযোগ গঠনের পূর্বে তাকে গ্রেফতার করাটাই তো বেআইনী।
দেশে এত অন্যায় অত্যাচার চলতেছে তা না দেখে আমাদেরকে বলতেছেন জ্ঞানপাপী? আমরা কারো কাছে মস্তক বন্ধক দেইনি বরং আপনারাই ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে গেছেন। সত্যমিথ্যা আলাদা করার বোধ ও হারিয়ে ফেলেছেন। সময় প্রমান করবে কে সত্যের পথে আর কে মিথ্যার জালে আবদ্ধ। আল্লার কাছে দোয়া করি যেন সবাই আলোকে আলো ও অন্ধকারকে অন্ধকার হিসাবে চিনতে পারে।
২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
তালপাতারসেপাই বলেছেন: কাবা ও কুরান আবমাননা করে শাহবাগের তথাকথিত নাস্তিক ব্লগারদের থেকে খারাপ কাজ করেছেন। দেখামাত্র ফাসী হওয়া দরকার ঐ মুনাফেকের।
৫| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
ম্যানিলা নিশি বলেছেন:
দেশের আইন বিচার ব্যাবস্থা যখন কোন ব্যাক্তি কিংবা গোষ্ঠীর দখলে চলে যায় তখন গনতন্ত্র মুখ থুবরে পরে ।ঐ সময়ে সবাই একই রকম অপরাধে জড়িয়ে যাবে এটিতো তো আপনি আশা করতে পারেন না।
এরকম পরিস্থিতিতে রানা (সাভার), তানভির মাহমুদ (সোনালী ব্যাংক) ,কালো বিড়াল (রেলওয়ে) ,মাহমুদুর রহমান,পদ্মা হোসেন গণ স্বরূপে আবির্ভুত হবেন এটাই তো স্বাভাবিক।
৬| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
শফিক আলম বলেছেন: মাহ্মুদুর রহমানের পক্ষে যারা কথা বলে তারা মুনাফেক। যে অসততার আশ্রয় সে নিয়েছে, তার ক্ষমা নেই। তার অপপ্রচারের জবাব আজ পর্যন্ত কোন ধর্মগুরু দেয় নি। প্রমানসহ দেখিয়ে দেওয়ার পরও! অথচ তার পক্ষে সাফাই গাইছে! এইরকম মিথ্যা অপপ্রচার কেবলমাত্র ইসলামের প্রাথমিক যুগে ইহুদীরাই করেছে।
৭| ২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
গেস্টাপো বলেছেন: তালপাতার সেপাই কে আগে বিভিন্ন হিন্দু পেজে দেখতাম।এখন দেখি সে বিশাল ইসলামিক পন্ডিত বনে গেছে।তা তাল সাহেব নিলের ধর্ম পরিবর্তন করে কি ধর্মান্তরিত হলেন নাকি?
আপনারা যে বিভিন্ন মাল্টি মুসলিম নিক নিয়ে নাস্তিকতার ঢং ধরে ইসলাম বিদ্বেষ করতেন তা কি আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে শুরু করবেন নাকি
৮| ২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬
রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: ভাই, লুঙ্গি ধরে টান না দিলে হতো না?
উত্তরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খালেদা আপা ক্ষমতায় আসার রাস্তা বানানোর দায়িত্ব দিয়েছেলিনে মামুদুর রহমান সাবকে। দেখেন না, পুরানা দরদ কত উথলায়া উঠছে!
কারো জন্য না হোক, মামুদুর রহমানের মুক্তির জন্য তিনি কত উচ্চবাচ্য! দেশের মানুষের কপাল ভালো, মোসাদ্দেক আলী সাব যদি কারান্তরীণ হইতেন, তাইলে না তিনি আবার অনশনে বসতেন!!
৯| ২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
জানকিরান বলেছেন: দারুন লিখছেন ভাই। খানকির পোলারে লেংটা কইরা কুত্তা দিয়া চু-নো উচিত।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:২০
এস বাসার বলেছেন: নেক্সট সরকারে মাহমুদ্দু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাস্ট!