নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
ফোন করে হরতাল ঘোষণা!
শরীফুল ইসলাম ॥ ২১ মে রাতে হরতাল ঢাকা জেলায়। হরতাল পালনের ঘোষণা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ মান্নান। জনকণ্ঠের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে ফোন করে জানতে চাওয়া হয়, কিভাবে হরতাল ঘোষণা করলেন- সংবাদ সম্মেলন না প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে? জবাবে তিনি বলেন, ফোন করে প্রথমে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমকে জানাই। এর পর যারাই ফোন করেছে তাদের জানিয়ে দিই। এভাবেই ফোন করে হরতাল করার কথা জানিয়ে দেয়া হয়।
খেজুরগাছ হলে রক্ষা পেত!
তৌহিদুর রহমান ॥ মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের পরদিন তাদের ধ্বংসযজ্ঞ দেখার জন্য পল্টন-বিজয়নগর-মতিঝিল এলাকায় ছিল অনেক মানুষের ভিড়। বিজয়নগরের রোড ডিভাইডারের শত শত গাছও কেটে ফেলে হেফাজতের কর্মীরা। গাছগুলো কাটা হয় ইলেক্ট্রিক করাতের মাধ্যমে। প্রতিটি কাটা গাছের গোড়া ছিল মসৃণ ও সমান। সেদিন কাটা গাছের গোড়া দেখতে দেখতে একজন মন্তব্য করেন, ‘হেফজতীরা নিশ্চয় খেজুর গাছ পছন্দ করে। কারণ খেজুর সৌদি আরবের গাছ। এগুলো খেজুর গাছ হলে নিশ্চয় রক্ষা পেত।’
পাপিয়ার কওমি জ্ঞান!
রশিদ মামুন॥ সময় টেলিভিশনের রাতের টকশো সম্পাদকীয়। আলোচক তিনজন নারীনেত্রী শিরিন আক্তার, আওয়ামী লীগের অধ্যাপিকা অপু উকিল এবং বিএনপির সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়া। কথা হচ্ছিল নারী নেতৃত্ব নিয়ে। প্রসঙ্গক্রমে হেফাজতে ইসলাম এবং কওমি মাদ্রাসার কথা আসে। সঞ্চালক তুষার আব্দুল্লাহ কওমি মাদ্রাসার কথা তুলে বললেন, এদের নিয়ন্ত্রণে কোন সরকারী কর্তৃপক্ষ নেই। পাপিয়া বললেন: কেন থাকবে না, বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ড রয়েছে, তারাই তো...,। তুষার বললেন, না না আপা, মাদ্রাসা বোর্ড তো এদের নিয়ন্ত্রণ করে না। এবার পাপিয়া সঙ্গে সঙ্গে ভোল পাল্টালেন ‘হ্যাঁ এবার জায়গায় আসেন। আমিও তো সে কথাই বলছিলাম তাহলে নিয়ন্ত্রণের একটা ব্যবস্থা করেন।’ আপনারা সরকারে রয়েছেন আপনারা কেন নিয়ন্ত্রণ করছেন না। ইত্যাদি ইত্যাদি আরও কত কি। প্রথমে পাপিয়া যখন মাদ্রাসা বোর্ডের কথা বলছিলেন তখন মনে হচ্ছিল তিনি জেনেই বলছেন; কওমি মাদ্রাসার ওপর বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু যখন তুষার ধরিয়ে দিল তখন এত দ্রুত ফিরে এলেন যাতে দর্শক তাঁর এই অজ্ঞতা ধরতে না পারেন। কিন্তু তুষার যদি ধরিয়ে না দিতেন তাহলে বোঝা যেত পাপিয়ার কওমি জ্ঞান কতদূর!
সুত্র
©somewhere in net ltd.