নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিবিরের তিন শীর্ষ নেতা বিপুল বিস্ফোরকসহ গ্রেফতার

২৭ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

রাজধানীতে পুলিশ ও র‌্যাবের পৃথক অভিযানে শিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক ও মুখপাত্র ইয়াসির আরাফাত ও মানবসম্পদ বিভাগের সহকারী সম্পাদকসহ ৩ শিবির নেতাসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে ৪১টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ২ জনকে একবছর করে কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।



গ্রেফতারকৃত শিবিরের ৩ নেতা গত ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচীতে পবিত্র কোরান শরীফ ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দোকানপাট, যানবাহন ভাংচুর অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, পুলিশের ওপর হামলা, খুনসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়েরকৃত একাধিক মামলার আসামি। এদিকে ৩ নেতা গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের ঘোষণা করেছে ছাত্রশিবির।

বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের রবিবারের হরতালে বড় ধরণের নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা করছে শিবির, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে র‌্যাব-৩-এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন গোপীবাগ এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে গোপীবাগের ৪ নম্বর লেনের ১৩৪/২/এ নম্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্র্রীয় সাহিত্য সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত (২৬), ছাত্রশিবিরের মানবসম্পদ বিভাগের সহকারী সম্পাদক সদরুল ইসলাম (২৮) ও আরেক শিবির নেতা কামরুল ইসলামকে (৩০)। তাদের কাছ থেকে ১৪টি জিহাদী বই ও ২০টি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করা হয়।

ইয়াসির আরাফাত ২০০১ সালে ফেনী জেলার কালাইয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও ২০০৩ সালে একই মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেন। ২০০৫ সালে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল ও ২০০৭ সালে একই মাদ্রাসা থেকে কামিল পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১০ ও ২০১১ সালে আরবী সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। ছাত্রজীবন থেকেই শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। বিভিন্ন মিছিল-মিটিংয়ে নিয়মিত যোগদান করেন। ২০১০ সালে শিবিরের সমর্থক ও সক্রিয় ক্যাডার হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালে শিবিরের সদস্য পদ লাভ করেন। তিনি জানুয়ারি ২০১১ থেকে ডিসেম্বর ২০১১ পর্যন্ত শিবিরের ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং শিবিরের ক্যাডারদের নেতৃত্ব দেন। বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে কেন্দ্র করে শিবির যে সমস্ত হরতাল, ভাংচুর ও নাশকতামূলক কর্মকা- পরিচালনা করে তার অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি। রাজনীতিতে সরব উপস্থিতির কারণে তাকে শিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক পদে পদায়ন করা হয়। তিনি দীর্ঘ দিন ধরেই জামায়াত-শিবিরের মুখপত্র হিসেবে পরিচিত দৈনিক সংগ্রাম, সদ্য বন্ধ হয়ে যাওয়া জামায়াতের নিয়ন্ত্রণাধীন দিগন্ত টেলিভিশন, মাসিক ইউথ ওয়েবসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় দায়িত্ব পালন ও নিয়মিত যোগাযোগ রাখার কাজ করে আসছিলেন।

গত ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ চলাকালে তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর পূর্ব এলাকা থেকে অন্তত শতাধিক শিবির সদস্য তা-বে যোগ দেয়। তার নেতৃত্বে শিবির নেতাকর্মী ও ক্যাডাররা পবিত্র কোরান শরীফ, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আগুন দেয়। এছাড়া ২ শতাধিক যানবাহন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, বায়তুল মোকাররম মার্কেটে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। তিনি রাজধানীর মতিঝিল ও রমনা থানায় দায়েরকৃত পুলিশ হত্যা, লুটতরাজ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, পবিত্র কোরান শরীফ ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অগ্নিসংযোগের দায়ে দায়েরকৃত মামলার মধ্যে ৫টি মামলার আসামি।

অপর শিবির নেতা সদরুল ইসলামের পিতার নাম কায়কোবাদ হোসেন। বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানাধীন রানীনগর গ্রামে। তিনি ১৯৯৯ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার বোয়ালিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে দাখিল, ২০০২ সালে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম, ২০০৮ সালে একই জেলার ফুলজর ডিগ্রী কলেজ থেকে বিএ, ২০১০ সালে সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজ থেকে এমএ পাস করেন। ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির উত্তরা শাখায় আইন বিষয়ে অধ্যয়নরত ছিলেন। তিনি ২০০২ সাল থেকে শিবিরের সমর্থক। ২০১১ সালে সিরাজগঞ্জ পৌর শিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সালের মার্চ থেকে শিবিরের কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গত ৫ মে হেফাজতের তা-বের অগ্রভাগে ছিলেন তিনি।

অপর নেতা কামরুল ইসলামের পিতার নাম মোস্তাফিজুর রহমান। বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন থানাধীন ওয়েস্টার্নপাড়া গ্রামে। তিনি ২০০০ সালে ভোলার লালমোহন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১০ সালে ঢাকার কাকরাইল বিআইএসসি ইলেকট্রিক বিভাগে ডিপ্লোমা লাভ করেন। শিবিরের মাঠ পর্যায়ের নেতা কাম কর্মী হিসেবে জামায়াত-শিবিরের হরতালে বা বিভিন্ন কর্মসূচীতে নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালাতেন।



সুত্র

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩

চোরাবালি- বলেছেন: যাক গুম তো হয় নাই। অবশেষ তা হলে গ্রেফতার দেখানো হল।
বোমাগুলি কোথায় এখন?

২৭ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:২১

তালপাতারসেপাই বলেছেন: থানায় গিয়ে দেখতে পারেন।

২| ২৭ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

মেদভেদ বলেছেন: এ্যাটম বোমা পাওয়া যায়নাই???? কবেযে ঠুলারা এগুলো পাবে???!!!!

৩| ২৭ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

শুটকাভাই বলেছেন: যে কয়টা বিস্ফোরক পাওয়া গেছে, সেই কয়টা বয়েল ডিম ওদের পোঁদে ঢুকানো হোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.