নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

OSD : SD, Mini SD না Micr SD? OSD তারেক রহমানের স্ত্রী যুবায়দা রহমান কোন পর্যায়ে?

২৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

এই গুলা চিনেন?



হা ভাই ঠিক ধরছেন এগুলা SD, Mini SD, Micro SD।

কিন্তু OSD? ঐটা কোন প্রকারের SD?



কি ভাই প্যাচ খাইলেন?

OSD হইছে আরামের চাকরী।

চাকরি আছে, বেতন-ভাতা আছে, কাজ নেই। জনপ্রশাসনে এঁদের বলা হয় বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংক্ষেপে ওএসডি।২০০৯ অনুযায়ী ওএসডি সচিবেরা বেতনের পাশাপাশি সব সুবিধা পেয়ে থাকেন। যুগ্মসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত কর্মকর্তারা প্রতি মাসে ১৮০ লিটার জ্বালানি তেল পান। এর মূল্য ১৩ হাজার ৮৬০ টাকা। চালকের বেতনও দেয় সরকার। অনেক কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের দু-তিনটি গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন। এসব গাড়িরও সব খরচ বহন করে সরকার। শুধু গাড়ি বাবদ একজন কর্মকর্তার পেছনে রাষ্ট্রের মাসিক খরচ ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। ওএসডি কর্মকর্তারা যেসব বাড়িতে থাকেন, সেগুলোর ভাড়া ৩০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। সরকারি বাড়িতে না থাকলে বাড়িভাড়া হিসেবে আলাদা টাকা পান। আরও আছে চিকিৎসা ভাতা, গৃহভৃত্য ভাতা, আপ্যায়ন ভাতা, পত্রিকা, সন্তানদের জন্য শিক্ষা ভাতা, টেলিফোন ও মুঠোফোন বিল এবং নিরাপত্তারক্ষী। তবে উপসচিব ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবেরা পরিবহন পুলের গাড়ি ব্যবহার করেন।

এক কথায় কাম না কইরা ঘুরে ফিরে, মাসের শেষে বেতন নে্য আবার অফিসে না গেলেও চলে..। কি আরাম!!! আবার প্যাচ খাইলেন?



স্বাধীনতার পর থেকেই এ প্রথা চালু থাকলেও আগে এত বেশি সংখ্যক ওএসডি করা হতো না। প্রশিক্ষণের জন্য কেউ বিদেশে গেলে তাঁকে ওএসডি করা হতো। ফিরলে আবার স্বপদে পদায়ন করা হতো।



আনেকে আপমানের কথা কইবেন জানি। কিসের অপমান? OSD কারার প্রধান কারন নাকি রাজনীতি আর স্বাস্তি আর কিছু পদ স্বল্পতা। OSD কারার কারন গুলা দেখেন।



১৯৮৬ সালের নভেম্বরে জারি করা নীতিমালা অনুযায়ী পাঁচটি কারণে সরকারি কর্মকর্তাকে ওএসডি করা যায়।



১! দুর্নীতি, শৃঙ্খলাজনিত, অসদাচরণ ও অযোগ্যতার জন্য প্রত্যাহার করা কর্মকর্তাকে ওএসডি করা যায়। তবে সর্বোচ্চ ১৫০ দিন ওএসডি রাখা যাবে।

২! দুই মাসের অধিক ছুটি ভোগকারী বা প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে ওএসডি করা যায়;

৩! পুরোনো পদ বা বৈদেশিক চাকরি থেকে অব্যাহতি বা বৈদেশিক প্রশিক্ষণ থেকে প্রত্যাগত এবং নতুন পদে যোগদানের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছেন এমন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা যায়;

৪! বৈদেশিক চাকরি বা প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশি ভাষা শিক্ষার উদ্দেশ্যে অপেক্ষমাণ রয়েছেন এমন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা যায়, এ ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব তিন মাস পর্যন্ত ওএসডি রাখা যাবে এবং

৫!প্রশাসনিক বা অনিবার্য কারণে কোনো কর্মকর্তাকে ওএসডি করা যায়।




প্রশাসনিক OSD ছারা বাকি গুলা কোন না কোনো স্বাস্তি মুলক। আকাম করলে অপমান নাই OSD করলে গেলাম রে....?



এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিগত বিএনপি সরকারের সময় সংস্থাপন সচিবের দায়িত্ব পালনকারী (বর্তমানে জনপ্রশাসন সচিব) সাবেক সচিব ড. মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, "দীর্ঘ সময় ওএসডি থাকা কর্মকর্তাদের অনেকে উচ্চতর পড়াশোনা ও লিয়েনে চাকরি নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে চলে যাওয়ার জন্য আবেদন করলেও তা মঞ্জুর করা হয়নি।"

তিনি আরো বলেন, তার সময়কালেও ওএসডি ছিল, ... তিনি ওএসডি থাকা কর্মকর্তাদের উচ্চতর শিক্ষা ও লিয়েনে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করতেন। এর মানে সরকারি খরচ আরো বাড়ানো। কাজে না লাগিয়েই তাদের বিতন ভাতা দিতে হচ্ছে তার ওপর অপ্রোয়োজনে বিদেশে পড়ার খরচ!! দেশের মানুষের টাকায় স্বেচ্ছাচারিতারই নামান্তর।



উল্লেখ্য তারেক রহমানের স্ত্রী যুবায়দা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ছুটি মঞ্জুরের জন্য আবারও আবেদন করেছেন। গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে তার পক্ষে এই আবেদন জমা দেওয়া হয় বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অনুমতি নিয়ে কিংবা বিনা অনুমতিতে ৫ বছরের বেশি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে চাকরিচ্যুতির বিধান রয়েছে। তবে ৫ বছরের বেশি ছুটি কাটাতে হলে ডা. জোবায়দা রহমানকে রাষ্ট্রপতির কাছে সরাসরি বিশেষ ছুটির জন্য আবেদন করতে হবে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তার ছুটির মেয়াদ ৫ বছরে পা দেবে। সূত্র মতে, আগামী মাসেই ডা. জোবায়দা রহমান দেশে ফিরবেন। জানা গেছে, ডা. জোবায়দা রহমান ২০০৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর অসুস্থ তারেক রহমানের চিকিৎসার জন্য তার সঙ্গে লন্ডন যান। সপরিবারে এখনো সেখানেই রয়েছেন। ছুটি নিয়ে লন্ডনে প্রায় ২ বছর অবস্থান করার পর ২০১০ সালের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে তাকে আরো ৬ মাসের ছুটি দেওয়া হয়। এরমধ্যে দেশে কাটানো শিক্ষাছুটিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। লন্ডনে যাওয়ার আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে এমডি কার্ডিওলজি কোর্সে অধ্যয়নরত ছিলেন তিনি। সুত্র



মাথা ভারি সংগঠনের কারনে OSD বেশী, বর্তমানে জনপ্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবের পদ আছে ১০৮টি। অথচ বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব আছেন ২৪২ জন। যুগ্ম সচিবের পদ আছে ২৫০টি। এর বিপরীতে বর্তমানে যুগ্ম সচিব আছেন ৬২২ জন। তবে উপসচিবের পদের চেয়ে কর্মকর্তা আছেন প্রায় দ্বিগুণ। উপসচিবের মোট ৮৬০টি পদের বিপরীতে কর্মকর্তা আছেন বর্তমানে এক হাজার ৬৯৪ জন।



এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, রাজনৈতিক কারণে কোন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়নি। এরকম অভিযোগ যারা করছেন সত্যিকারার্থে তারাই বেশি রাজনীতি করছেন। বরং বিগত বিএনপি সরকারের সময়েই এ ধরনের ওএসডি বেশি ছিল। তিনি বলেন, ওএসডি করা নিয়ে ঢালাও অভিযোগ করা ঠিক নয়। বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে কথা বলতে হবে।



তিনি জানান, কয়েক বছর থেকে প্রশাসনে অনিবার্য কারণে শূন্য পদের বাইরে পদোন্নতি দিতে হচ্ছে। এতে করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চাইলেও সবাইকে পোস্টিং দিতে পারবে না। এ অবস্থায় কর্মকর্তার সংখ্যা বেশি থাকায় পছন্দের অপশনও বেশি। তাই অধিকতর যোগ্যদের আগে পোস্টিং দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বিভাগীয় মামলার কারণে বেশ কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা ওএসডি রয়েছেন। এর বাইরে বিভিন্ন ধরনের ছুটি ও উচ্চ শিক্ষার জন্য কর্মকর্তাদের ওএসডি করতে হয়। যাদের রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘদিন ওএসডি করার কথা বলা হচ্ছে তাদের মধ্যে বেশ কিছু কর্মকর্তা লিয়েন অথবা উচ্চ শিক্ষার জন্য ছুটিতে আছেন।



দীর্ঘদিন ওএসডি থাকা কর্মকর্তাদের অনেকে যুগান্তরকে বলেন, ওএসডি থাকলে শুধু বেতন-ভাতা খাতেই সরকারের অর্থ অপচয় হচ্ছে না, বরং এসব কর্মকর্তা যখন অবসরে যাবেন তখন বিপুল অংকের পেনশন ও গ্র্যাচুয়িটি পাবেন। ওই হিসাব করলে ওএসডি থাকা একজন কর্মকর্তার পেছনে সরকারের মাসে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হচ্ছে।



দৈনিক যুগান্তর ০১ অক্টোবর ২০০৯ এর একটি শিরোনাম: দলীয়করণ চাকরিচ্যুতি ও এসডিতে রেকর্ড



যুগান্তর ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ শিরোনাম: বিশৃংখলা জনপ্রশাসন

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

কাউসার রানা বলেছেন: অনেক জ্ঞানী একটা পোষ্ট। জানলাম অনেক কিছুই।
ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

চলতি নিয়ম বলেছেন: নেক্সট ইওএসডি!!

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

তালপাতারসেপাই বলেছেন: OSD হইছে আরামের চাকরী।
চাকরি আছে, বেতন-ভাতা আছে, কাজ নেই। জনপ্রশাসনে এঁদের বলা হয় বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংক্ষেপে ওএসডি।২০০৯ অনুযায়ী ওএসডি সচিবেরা বেতনের পাশাপাশি সব সুবিধা পেয়ে থাকেন। যুগ্মসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত কর্মকর্তারা প্রতি মাসে ১৮০ লিটার জ্বালানি তেল পান। এর মূল্য ১৩ হাজার ৮৬০ টাকা। চালকের বেতনও দেয় সরকার। অনেক কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের দু-তিনটি গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন। এসব গাড়িরও সব খরচ বহন করে সরকার। শুধু গাড়ি বাবদ একজন কর্মকর্তার পেছনে রাষ্ট্রের মাসিক খরচ ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। ওএসডি কর্মকর্তারা যেসব বাড়িতে থাকেন, সেগুলোর ভাড়া ৩০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। সরকারি বাড়িতে না থাকলে বাড়িভাড়া হিসেবে আলাদা টাকা পান। আরও আছে চিকিৎসা ভাতা, গৃহভৃত্য ভাতা, আপ্যায়ন ভাতা, পত্রিকা, সন্তানদের জন্য শিক্ষা ভাতা, টেলিফোন ও মুঠোফোন বিল এবং নিরাপত্তারক্ষী। তবে উপসচিব ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবেরা পরিবহন পুলের গাড়ি ব্যবহার করেন।
এক কথায় কাম না কইরা ঘুরে ফিরে, মাসের শেষে বেতন নে্য আবার অফিসে না গেলেও চলে..। কি আরাম!!!

৩| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২

টানিম বলেছেন: আমাদের সিলেটের মেয়ে । মেয়ে ভালো ।

৩০ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫

তালপাতারসেপাই বলেছেন: হুমম ! তাইত OSD হইতে চান!

৪| ২৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

মুহসিন বলেছেন: জ্ঞানী পোস্ট।

৫| ২৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

মুহসিন বলেছেন: জ্ঞানী পোস্ট।

৬| ২৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

বাংলার হাসান বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.