নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপির সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের দূরত্ব : নেপথ্যে তারেক ও জামাত-হেফাজত ইস্যুতে প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থান

৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:০০

দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত তারেক রহমানকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের প্রয়াস, জামাত ও হেফাজতে ইসলাম ইস্যুতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির অস্পষ্ট ও প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে দলটির সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে বিএনপি ‘দুর্নীতির প্রতীক’ হিসেবে চিহ্নিত তারেককে দলের নেতা ও ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরছে। অন্যদিকে জামাতের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসে ম“ দেয়ার পাশাপাশি এটই দলটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে হেফাজত ইসলামকে সমর্থন দিয়ে ভবিষ্যতে জঙ্গি তৎপরতাকে উসকে দিতে চাইছে বলে ধারণা করছে পশ্চিমা বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠী। ফলে পশ্চিমা দুনিয়ার সঙ্গে বিএনপির কূটনৈতিক দূরত্ব ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি আর শারম্যান দুদিনের ঢাকা সফরকালে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকটি বাতিল করেন বলে মনে করা হচ্ছে।



হরতালের কারণে সফরসূচি পরিবর্তন করতে হয়েছে বলে খালেদা-শারম্যান বৈঠকের মাত্র কয়েকঘণ্টা আগে বিএনপিকে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হলেও কূটনৈতিক মহল মনে করছে, দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে এমনকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টাকে ভালো চোখে দেখছে না উন্নত বিশ্ব। বিগত ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানে জামাতের পাশাপাশি তারেক রহমানের জোরালো ভূমিকা ও পরিকল্পনা রয়েছে বলে মনে করা হয়। ওই সময় হাওয়া ভবনের দৌরাত্ম্য ও দুর্নীতিতেও তারেকের মুখ্য ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ও গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ছিল যা বিশ্বে খালেদা পুত্র সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা দিয়েছে।



দলের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) মোঃ আখতারুজ্জামান একাধিকবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে তারেককে ‘ক্ষমতাধর পুত্র’ হিসেবে উল্লেখ করে বিতকির্ত মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহীমের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগ তুলেন। বিএনপির অনেকেই তারেকের জঙ্গি কানেকশনের কারণে চারদলীয় জোট সরকারের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার সুযোগে ২০০৫ সালে সারা দেশে সিরিজ বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরও ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে দাউদ ইব্রাহীমের সঙ্গে তৎকালীন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের বৈঠক এবং নিয়মিত যোগাযোগ থাকার কথা স্বীকার করেন।



বিদেশে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের মামলায় তারেক রহমান ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর ঢাকার আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে যান মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের কর্মকর্তা ডেবরা লাপ্রেভেটির।



এছাড়াও বহুল আলোচিত উইকিলিকসে প্রকাশিত ওয়ান-ইলেভেনের সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টির পাঠানো তারবার্তা ‘খালেদা জিয়া নিজে রাষ্ট্রপতি আর তার ছেলে বিএনপির বর্তমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে



প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন’, ‘খালেদা জিয়ার বড় ব্যর্থতা তারেকের দুর্নীতি প্রশ্রয় দেয়া’ এমন সব তথ্যেও তারেকের ব্যক্তি ইমেজ সম্পর্কে বিশ্ব দরবারে নেতিবাচক বার্তা-ই পৌঁছেছে। আর নতুন করে তারেককে নেতৃত্বে আনার প্রচেষ্টাকেও সহজভাবে নিতে চাইছে না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।



এদিকে বর্তমানে তারেককে ভাবি প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরায় খোদ বিএনপির অভ্যন্তরেও টানাপড়েন সৃষ্টি করছে। একটি অংশ তারেকের পক্ষে অবস্থান নিলেও অনেক সিনিয়র নেতাই তা সহজভাবে নিচ্ছেন না। সবকিছু মিলিয়ে ঘরে-বাইরে তারেককে নিয়ে বেকায়দায় রয়েছে বিএনপি।



অন্যদিকে ২০০১-০৫ চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ও আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার বিষয়টি বারবারই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এসেছে। দেশজুড়ে জঙ্গিবাদের উত্থানের নেপথ্যে তারেকের ভূমিকা ও পরিকল্পনা ছাড়াও জোটের শরিক দল জামাতে ইসলামীর ভূমিকাও ছিল ওপেন-সিক্রেট। এক যুগ পরে এসে যুদ্ধাপরাধ তথা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ইস্যুতে জামাত যখন কোণঠাসা, ঠিক তখনই নব্য দল হেফাজতে ইসলাম জামাতের ঢাল হয়ে মাঠে নামে। শাহবাগের অহিংস আন্দোলনকে সরাসরি সমালোচনাবিদ্ধ করার পাশাপশি জামাতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হেফাজতের সহিংস আন্দোলনে সমর্থন দিতে পেছনে ফিরে তাকায়নি বিএনপি। স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দাতাগোষ্ঠীর মনে আশঙ্কা, নির্বাচনের বছরে এসে বিএনপির একের পর এক কর্মকা- যখন দলটির জঙ্গিবাদে সমর্থনের অবস্থান স্পষ্ট করছে, তখন আগামী নির্বাচনে রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে আবারো শরিক দলের সঙ্গে জঙ্গি ম“ দেবে বিএনপি?



সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, পশ্চিমা বিশ্বের কাছে তারেক রহমান, জঙ্গিবাদ তথা জামাত ও হেফাজত ইস্যুতে নিজেদের সন্তোষজনক অবস্থান তুলে ধরতে পারছে না বিএনপি। ফলে প্রভাবশালী দেশ ও দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গে বাড়ছে তাদের দূরত্ব। যা জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সক্ষম হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের জন্য বিশ্বে সুবিধাজনক পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছে। ফলে বিরোধী দলের দাবি বাস্তবায়নে বন্ধুদেশ ও দাতাদের দিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেও ব্যর্থ হচ্ছে বিএনপি।



এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ববাসী বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তারা বোঝে, এখানে সাম্প্রতিক সকল কর্মকা-ই হচ্ছে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। আর সকল সংকটের সমাধানও একটি ফর্মুলার মধ্য দিয়ে হবে বলেও তারা বিশ্বাস করে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে তারেক ইস্যুটি রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে গেছে। তবে তা যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের ক্ষেত্রে মৌলিক কোনো পরিবর্তন আনবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েলের শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ না করার কথা উল্লেখ করেন।



তারেককে আগামী নেতৃত্বে আনতে গিয়ে বিএনপি তাদের প্রধান দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে দূরে সরে গেছেন বলে মন্তব্য করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি শারম্যানের বৈঠক বাতিলের ঘটনা থেকে বিএনপির শিক্ষা নেয়া উচিত।





বিএনপির সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের দূরত্ব : নেপথ্যে তারেক ও জামাত-হেফাজত ইস্যুতে প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থান

আঙ্গুর নাহার মন্টি : দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত তারেক রহমানকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের প্রয়াস, জামাত ও হেফাজতে ইসলাম ইস্যুতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির অস্পষ্ট ও প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে দলটির সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে বিএনপি ‘দুর্নীতির প্রতীক’ হিসেবে চিহ্নিত তারেককে দলের নেতা ও ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরছে। অন্যদিকে জামাতের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসে ম“ দেয়ার পাশাপাশি এটই দলটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে হেফাজত ইসলামকে সমর্থন দিয়ে ভবিষ্যতে জঙ্গি তৎপরতাকে উসকে দিতে চাইছে বলে ধারণা করছে পশ্চিমা বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠী। ফলে পশ্চিমা দুনিয়ার সঙ্গে বিএনপির কূটনৈতিক দূরত্ব ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি আর শারম্যান দুদিনের ঢাকা সফরকালে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকটি বাতিল করেন বলে মনে করা হচ্ছে।



হরতালের কারণে সফরসূচি পরিবর্তন করতে হয়েছে বলে খালেদা-শারম্যান বৈঠকের মাত্র কয়েকঘণ্টা আগে বিএনপিকে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হলেও কূটনৈতিক মহল মনে করছে, দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে এমনকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টাকে ভালো চোখে দেখছে না উন্নত বিশ্ব। বিগত ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানে জামাতের পাশাপাশি তারেক রহমানের জোরালো ভূমিকা ও পরিকল্পনা রয়েছে বলে মনে করা হয়। ওই সময় হাওয়া ভবনের দৌরাত্ম্য ও দুর্নীতিতেও তারেকের মুখ্য ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ও গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ছিল যা বিশ্বে খালেদা পুত্র সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা দিয়েছে।



দলের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) মোঃ আখতারুজ্জামান একাধিকবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে তারেককে ‘ক্ষমতাধর পুত্র’ হিসেবে উল্লেখ করে বিতকির্ত মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহীমের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগ তুলেন। বিএনপির অনেকেই তারেকের জঙ্গি কানেকশনের কারণে চারদলীয় জোট সরকারের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার সুযোগে ২০০৫ সালে সারা দেশে সিরিজ বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরও ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে দাউদ ইব্রাহীমের সঙ্গে তৎকালীন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের বৈঠক এবং নিয়মিত যোগাযোগ থাকার কথা স্বীকার করেন।



বিদেশে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের মামলায় তারেক রহমান ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর ঢাকার আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে যান মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের কর্মকর্তা ডেবরা লাপ্রেভেটির।



এছাড়াও বহুল আলোচিত উইকিলিকসে প্রকাশিত ওয়ান-ইলেভেনের সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টির পাঠানো তারবার্তা ‘খালেদা জিয়া নিজে রাষ্ট্রপতি আর তার ছেলে বিএনপির বর্তমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে



প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন’, ‘খালেদা জিয়ার বড় ব্যর্থতা তারেকের দুর্নীতি প্রশ্রয় দেয়া’ এমন সব তথ্যেও তারেকের ব্যক্তি ইমেজ সম্পর্কে বিশ্ব দরবারে নেতিবাচক বার্তা-ই পৌঁছেছে। আর নতুন করে তারেককে নেতৃত্বে আনার প্রচেষ্টাকেও সহজভাবে নিতে চাইছে না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।



এদিকে বর্তমানে তারেককে ভাবি প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরায় খোদ বিএনপির অভ্যন্তরেও টানাপড়েন সৃষ্টি করছে। একটি অংশ তারেকের পক্ষে অবস্থান নিলেও অনেক সিনিয়র নেতাই তা সহজভাবে নিচ্ছেন না। সবকিছু মিলিয়ে ঘরে-বাইরে তারেককে নিয়ে বেকায়দায় রয়েছে বিএনপি।



অন্যদিকে ২০০১-০৫ চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ও আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার বিষয়টি বারবারই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এসেছে। দেশজুড়ে জঙ্গিবাদের উত্থানের নেপথ্যে তারেকের ভূমিকা ও পরিকল্পনা ছাড়াও জোটের শরিক দল জামাতে ইসলামীর ভূমিকাও ছিল ওপেন-সিক্রেট। এক যুগ পরে এসে যুদ্ধাপরাধ তথা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ইস্যুতে জামাত যখন কোণঠাসা, ঠিক তখনই নব্য দল হেফাজতে ইসলাম জামাতের ঢাল হয়ে মাঠে নামে। শাহবাগের অহিংস আন্দোলনকে সরাসরি সমালোচনাবিদ্ধ করার পাশাপশি জামাতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হেফাজতের সহিংস আন্দোলনে সমর্থন দিতে পেছনে ফিরে তাকায়নি বিএনপি। স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দাতাগোষ্ঠীর মনে আশঙ্কা, নির্বাচনের বছরে এসে বিএনপির একের পর এক কর্মকা- যখন দলটির জঙ্গিবাদে সমর্থনের অবস্থান স্পষ্ট করছে, তখন আগামী নির্বাচনে রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে আবারো শরিক দলের সঙ্গে জঙ্গি ম“ দেবে বিএনপি?



সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, পশ্চিমা বিশ্বের কাছে তারেক রহমান, জঙ্গিবাদ তথা জামাত ও হেফাজত ইস্যুতে নিজেদের সন্তোষজনক অবস্থান তুলে ধরতে পারছে না বিএনপি। ফলে প্রভাবশালী দেশ ও দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গে বাড়ছে তাদের দূরত্ব। যা জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সক্ষম হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের জন্য বিশ্বে সুবিধাজনক পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছে। ফলে বিরোধী দলের দাবি বাস্তবায়নে বন্ধুদেশ ও দাতাদের দিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেও ব্যর্থ হচ্ছে বিএনপি।



এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ববাসী বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তারা বোঝে, এখানে সাম্প্রতিক সকল কর্মকা-ই হচ্ছে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। আর সকল সংকটের সমাধানও একটি ফর্মুলার মধ্য দিয়ে হবে বলেও তারা বিশ্বাস করে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে তারেক ইস্যুটি রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে গেছে। তবে তা যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের ক্ষেত্রে মৌলিক কোনো পরিবর্তন আনবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েলের শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ না করার কথা উল্লেখ করেন।



তারেককে আগামী নেতৃত্বে আনতে গিয়ে বিএনপি তাদের প্রধান দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে দূরে সরে গেছেন বলে মন্তব্য করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি শারম্যানের বৈঠক বাতিলের ঘটনা থেকে বিএনপির শিক্ষা নেয়া উচিত।

Click This Link

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভারতের প্রেসিডেন্টকে হরতালের কারণ দেখিয়ে বিএনপি বয়কট করেছিলো, আর আমেরিকার শারমিন হরতালের কারণে বিএনপিকে বয়কট করলো । সেলুকাস ;)

৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪

তালপাতারসেপাই বলেছেন: সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভারতের প্রেসিডেন্টকে হরতালের কারণ দেখিয়ে বিএনপি বয়কট করেছিলো, আর আমেরিকার শারমিন হরতালের কারণে বিএনপিকে বয়কট করলো । সেলুকাস ;)

২| ৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: ei sharmen to khas jewish lobby er lok.unar mto zionist der cerficate nia vlo manus sajar dorkar nai.

৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫১

তালপাতারসেপাই বলেছেন: আয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.