নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
কার্জত সন্ত্রাসের প্রতি সমর্থনেই ফের ওয়াকআউট করেছে বিরোধী দল। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনের সপ্তম কার্যদিবসে আসরের নামাজ বিরতির পর ‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) বিল ২০১৩ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার আগে বিকাল সাড়ে ৫টায় বিরোধী দল ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যায়।
এ নিয়ে চলমান বাজেট অধিবেশনে বিরোধী দল চতুর্থ দফা ওয়াকআউট করল।
পুলিশের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সংসদে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) আইন ২০১৩ পাস করা হয়েছে। তবে একে কালো আইন আখ্যায়িত করে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। তারা বলেছেন, বিরোধীদলকে দমনের জন্য নিকৃষ্ট এ আইন পাস করা হয়েছে।
বিরোধীদলের অনুপস্থিতিতে গতকাল সংসদে বিকেলে সাড়ে ৫টার পর কণ্ঠভোটে এ আইন পাস করা হয়। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বিলটি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন। আইনটি পাসের আগে এর পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় বিরোধীদলের পক্ষ থেকে আনা সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়।
আইনটি পাসের ঠিক আগমুহূর্তে বিরোধীদলের পক্ষে এ আইন পাসের কঠোর বিরোধিতা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) আইন ২০১৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। তবে এটি কালো আইন। বিরোধীদল দমনের জন্য এ আইন পাস করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মওদুদ আরও বলেন, আইনটি সন্ত্রাস দমনের জন্য নয়, বিরোধীদলের সদস্যদের দমনের জন্য প্রণয়ন করা হচ্ছে। এটি নিকৃষ্ট ধরনের একটি আইন। যেখানে পুলিশকে অবাধ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এর ফলে এই আইনের অপপ্রয়োগ হবে। এ ধরনের আইন পাস করা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন। এরপর পরই বিরোধীদলের সদস্যরা একযোগে প্রতীকী ওয়াকআউট করেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার ফিরে আসেন।
নতুন আইনে বিদ্যমান আইনের ২০ (ক) ধারার পরিবর্তে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন বাস্তবায়নে পদক্ষেপ শীর্ষক নতুন ২০ (ক) ধারা সনি্নবেশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বীকারোক্তি রেকর্ড সম্পর্কিত বিশেষ বিধান, তদন্তকালীন সন্ত্রাসী সম্পত্তি জব্দ বা ক্রোকের বা বিশেষ বিধান এ আইনে সংযোজন করা হয়েছে। এ আইনে বিভিন্ন কনভেনশনসমূহ অন্তর্ভুক্তও করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে- কোন ব্যক্তি কর্তৃক বাংলাদেশের অখ-, সংহতি, নিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য কোন ব্যক্তিকে হত্যা, গুরুতর আঘাত, আটক বা অপহরণের উদ্দেশ্যে বা কোন ব্যক্তির কোন সম্পত্তির ক্ষতিসাধনকল্পে কোন বিস্ফোরক দ্রব্য, দাহ্য পদার্থ, আগ্নেয়াস্ত্র বা অন্য কোন প্রকার রাসায়নিক ব্যবহার কিংবা নিজ দখলে রাখার মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন ও এরূপ কাজে অর্থের লেনদেন, প্ররোচনা প্রভৃতি ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
Click This Link
Click This Link
২| ১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২১
রাজ হাসান বলেছেন: ইহা আবার জননিরাপত্তা আইনের ন্যায় হীতে বিপরীত না হলেই নয়???
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:০৮
বিবাগী বাউল বলেছেন: Click This Link