নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
বিএনপি নির্বাচন থেকে সটকে পড়ার সুযোগ খুঁজছে। চারটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও প্রথম থেকে নানাভাবে একটি কথাই বলার চেষ্টা করেছে যে, চারটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তারা যদি জয়ী না হতে পারে তাহলে তারা সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করে দেবে। কেউ কেউ ‘রক্তগঙ্গা’ বইয়ে দেয়ার হুমকিও দিয়েছেন। তাদের নানা রকমের বাহানা থেকে মনেই হচ্ছিল যে, দলটি কয়েকটি মোটা দাগের কৌশলের আশ্রয় নিতে যাচ্ছেÑ এক, জনসভা কিংবা পথসভার মাধ্যমে তারা এমনসব প্রসঙ্গ উত্থাপন করবে যার সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয় সাধারণত স্থানীয় সমস্যা ও বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে। সুযোগ-সুবিধা-রাস্তাঘাট-হাটবাজার প্রভৃতি ক্ষেত্রে স্থানীয় সাধারণ মানুষ চাহিদা ও প্রয়োজন কিংবা প্রাপ্তির বিষয়গুলোই এই সমস্ত নির্বাচনের মুখ্য ইস্যু থাকে; দুই, অহেতুক কিছু উস্কানিমূলক কর্মকা- করবে যাতে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হবে। বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আচরণ আক্রমণাত্মক ও হিংসাত্মক হয়ে উঠবেÑ এ ধরনের ঘটনার জন্ম দিয়ে তারা শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে এবং সাংবাদিক সম্মেলন থেকে হরতালের মাধ্যমে হিংসাত্মক ও নাশাকতামূলক কাজ করার চেষ্টা করতে পারে; তিন, জাতীয় সংসদে উপস্থিত হয়ে বারংবার ওয়াকআউটের মাধ্যমে সংসদীয় অরাজকতার সৃষ্টি করতে পারে; চার, শেষ মুহূর্তে চারটি সিটি কর্পোরেশন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে তারা বিদেশী দূতাবাস এবং সংস্থাগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা করবে যে, এই সরকার কোন অবস্থাতেই সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না এই নির্বাচন কমিশন একটুও নিরপেক্ষ নয়; এই প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রচ-ভাবে সরকার-প্রভাবিত। অতএব, একমাত্র নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারই সর্বশেষ রক্ষাকবচ। অর্থাৎ সব বদলে দাও নির্বাচন কমিশন বদলাও, প্রশাসন বদলাও, পুলিশ র্যাব-বিজিবি সব বদলে দাও।
জামায়াত-বিএনপি জোটের এই কৌশল যত মোটা দাগেরই হোক না কেন এর পেছনে একটা সূক্ষ্ম লক্ষ্য আছে বলে প্রতীয়মান হয়। বিএনপি নেত্রী কিছুদিন আগে মুখ ফস্কে হলেও একটা কথা বলে ফেলেছিলেন। তাহলো, সেনাবাহিনী দেশের কোন প্রয়োজনীয় মুহূর্তে চুপচাপ দর্শক হয়ে থাকবে না। এ নিয়ে সামরিক বাহিনী বারংবার কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও বিএনপি-জামায়াতের বিশেষ চক্র আর গোপন পরিকল্পনা থেকে এতটুকু সরেনি। যেখানে যত নির্বাচন হয়েছে তা’সে উপজেলা নির্বাচন হোক, মেয়র নির্বাচন হোক, আর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনই হোক ওদের ঘুরে- ফিরে দাবি একটাই সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হোক।
বিএনপি চারটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে তিনি নিশ্চয়ই এটুকু বোঝেন, বিএনপি স্বেচ্ছায় কিংবা অন্তর থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তাদেরও একটা অঙ্ক আছে।
প্রথমত, ক্রমাগত সংসদ বর্জন এবং হরতাল ও অন্যান্য ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের ফলে বিএনপির গণবিচ্ছিন্নতা বাড়ছিল, কর্মীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হচ্ছিল;
দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক শক্তিসমূহের কাছে বিএনপির নেতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি হচ্ছিল, সেটাতে মধুর প্রলেপ দেয়ার উদ্দেশ্যে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ তাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছিল;
তৃতীয়ত, সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্বল পদক্ষেপ, সরকারী দলের অঙ্গ সংগঠনগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং চাঁদাবাজি-দখলবাজি ইত্যাদি যেসব ঘটনার সংবাদ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এবং প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়ে আসছে তাতে বিএনপির পক্ষে এই ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল যে নির্বাচনে প্রার্থী দিলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাভূত করা কঠিন হবে না;
চতুর্থত, ভোটের হিসেবে তাদের অঙ্ক ছিল বিএনপি+জামায়াত+হেফাজত+সমমনা ইসলামী দল+সাম্প্রদায়িক মনোভাবপন্ন জঙ্গীবাদী শক্তি+আওয়ামী লীগ বিরোধী বাম ও উগ্রবাম গোষ্ঠী=সুনিশ্চিত বিজয়;
পঞ্চমত, নির্বাচনে অংশ না নিলে অন্তত পাঁচ বছরের জন্য ওইসব কর্পোরেশনের মানুষের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগের কোন সুযোগ থাকত না।
প্রচাররণার প্রথম দিকে পাল্লা বিএনপির দিকে ছিল বটে, কিন্তু যতই সময় গড়াতে থাকল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কর্মকা- ততই তীব্রতর হতে শুরু করল। বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব ততই বেশি প্রকটও হয়ে উঠল। বিএনপিও ক্রমান্নয়ে অনুধাবন করতে শুরু করল, জয় ধীরে ধীরে তাদের হাত থেকে ছুটে যাচ্ছে। কাজেই এখন তাদের হাতে রইল কেবলমাত্র একটাই অস্ত্র-কৌশলগত প্রত্যাহার। এখন তারা সেদিকেই ধাবিত হতে পারে এবং নতুন করে বেপরোয়া ধ্বংসলীলার পথে যেতে পারে। জামায়াতের নিবন্ধন যদি বাতিল হয়, আরও কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর ক্ষেত্রে যদি রায় ঘোষিত হয় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে যদি রায় কার্যকরও হয়ে যায় তখন জামায়াত এবং জঙ্গীবাদ তাদের সমস্ত গোপন অস্ত্রভাম্ডার খুলে দেবে- বিএনপি সুযোগ নেবে তারই। বিএনপির খোকাবাবু তো সে কথা বলেই দিয়েছেন সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশে তিনি রক্তগঙ্গা বইয়ে দিতে চান।
Click This Link
২| ১৪ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৬:৪৫
অরিত্রো বলেছেন: অপেক্ষা করেন, আর নিজেও সটকানোর রাস্তা খোঁজেন। বি এন পি সটকাবোনা। সটকালে অন্য কেও সটকাবে। যেমন, আপনে যে পত্রিকার লিঙ্ক দিছেন তারা।
৩| ১৪ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: জগন্ন কন্ঠ একটা পত্রিকা হল, এটার রেফারেন্স দিলেন।
বিএনপি সটকাবেনা আওয়ামীদের বলেন জামানত হারানোর মানসিকতা নিয়ে থাকতে।
৪| ১৪ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
কোমানডস বলেছেন: দেখে শুনে মনে হয় ৪টিতেই ১৮ দলীয় জোট বিপুল ভোটে জিতবে ইনশাআল্লাহ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৫৪
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: আর যাই কিছু করুক, আমরা বাইচা থাকলেই ভাল। আর রাজনীতির পেটনীতি ভাল লাগেনা।