নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোকোকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ

১৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:১৩





বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আরাফাত রহমান কোকোকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে খুব কম সময়ের মধ্যেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

রোববার খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুর্নীতি মামলায় ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে

আদালতে হাজির করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশের একদিনের মধ্যেই কোকোকে দেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা বলেছেন, আরাফাত রহমান কোকো একজন ফেরারি আসামি। ইতিমধ্যে তিনি মুদ্রা পাচার মামলায় আদালতে দণ্ডিত হয়েছেন। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ অবস্থায় আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মুখোমুখি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সমকালকে জানিয়েছেন, আরাফাত রহমান কোকো পলাতক আসামি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তাই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ জন্য আলাদা কোনো উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজন নেই। সাধারণত পলাতক আসামিকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য যেসব আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে, আরাফাত রহমান কোকোর বেলায়ও সে পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে। এখানে লুকোচুরির কিছুই নেই।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ইতিমধ্যে কোকোকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ৯ লাখ ৩২ হাজার ৬৭২ মার্কিন ডলার এবং ২৮ লাখ ৮৪ হাজার ৬০৪ সিঙ্গাপুরি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ কোটি টাকা) পাচারের অভিযোগে ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ কাফরুল থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১১ সালের ১২ নভেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলায় ২০১২ সালের ২৩ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত আরাফাত রহমান কোকোকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

বতর্মানে কোকোর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। চাঁদাবাজির অভিযোগে গুলশান থানায় ২০০৭ সালের ১৬ মে এবং ২৭ মার্চ পৃথক দুটি মামলা হলেও এর কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। ২ কোটি ৪ লাখ ৬১ হাজার ২০৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ১১ লাখ ২০ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৩ এপ্রিল রমনা থানায় কোকোর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।

২৪ লাখ ৩৯ হাজার ২২৬ টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে ২০১২ সালের ১ মার্চ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কোকোর বিরুদ্ধে মামলা করে। ২০১২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। একই বছর ১১ নভেম্বর এই মামলার দুই সাক্ষী জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জহুরুল হকের আদালতে সাক্ষ্য দেন। ২২ নভেম্বর আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির মামলা বিচারের জন্য ঢাকার দুই নম্বর বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হয়।

চাঁদাবাজি মামলার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার সেনানিবাসের বাসভবন থেকে গ্রেফতার হন আরাফাত রহমান কোকো। এর পর তিনি ২০০৮ সালের মে মাসে চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বিদেশে যান। তবে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আরাফাত রহমান কোকো প্যারোলে নেই।

সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.