নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৮ দলের মেয়র প্রার্থী এমএ মান্নান অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে হাজিদের ৫০০ কোটি টাকা আত্মাসাৎ করে ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে বিএনপি সরকার। তিনি কখনও অধ্যাপক ছিলেন না। তার পরও তিনি নামের আগে অধ্যাপক লেখেন। তাই তার অধ্যাপক লেখা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এমএম মান্নানের বিরুদ্ধে ওঠা এ অভিযোগ এখন গাজীপুরের মানুষের মুখে মুখে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে এসব অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর বিএনপি সরকার এমএ মান্নানকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী করে। তখন তিনি হজের টাকা অনিয়ম করেন। তখন তার বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকা আত্মাসাতের অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে তাকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়।
মান্নানের বিরু্দ্ধে ওঠা এসব অভিযোগ জানতে তার মোবাইলে ফোন করা হলে তার ব্যক্তিগত সহকারি জানান, তিনি এখন মিটিং-এ আছেন। পরে ফোন করুন। পরে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
১৯৯১ সালে হজে যাওয়া কয়েকজন হাজী বাংলানিউজকে জানান, কাবা শরিফ ও মদিনা শরিফের কাছাকাছি বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা বলে তখনকার ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান হাজীদের কাছ থেকে হজের টাকা নিয়ে ছিলেন। কিন্তু, হাজিদের থাকার জন্য ৪ কিলোমিটার দূরে কম টাকায় বাড়ি ভাড়া নেন তিনি। এতে হাজিদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। বাড়ি ভাড়া বাবদ বেশি টাকা নিলেও তিনি হাজীদের তিনি বেচে যাওয়া টাকা ফেরত দেননি। অনেক কম টাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে তিনি হাজীদের অন্তত ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এ নিয়ে হাজীরা সৌদিআরব ও বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ করেন। হাজীদের বিক্ষোভের মুখে সরকার তাকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। এ ঘটনা তখন দেশে আলোচনার ঝড় তোলে।
জানা যায়, ১৯৮২ সালে এমএম মান্নান গাজীপুর আজিমুদ্দিন কলেজে রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। শিক্ষক থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। তার দুর্নীতি তদন্তের জন্য ১৯৮৯ সালের ২৭ মার্চ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কমিটি তার দুর্নীতি তদন্ত করে। কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় একই বছরের ২৭ জুন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এমএম মান্নান, কলেজ কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ১৯৮৪ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৮৭ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ২২৯ দিন কলেজে অনুপস্থিত ছিলেন। ক্লাস না নিয়েই তিনি আরও ৩৫০ দিন খাতায় স্বাক্ষর করেছেন। তিনি প্রভাষক হলেও বাইরে তিনি নিজেকে সহকারি অধ্যাপক হিসেবে পরিচয় দেন। এটি পেশাগত অসদাচরণ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে গাজীপুরের বাসিন্দারা বলেছেন, ব্যক্তিগত জীবনে যিনি দুর্নীতি পরায়ন এবং যিনি পবিত্র হজের টাকা আত্মাসাৎ করতে পারেন, তার পক্ষে যে কোনও খারাপ কাজ করাই সম্ভব। এমন ব্যক্তিকে মেয়র নির্বাচিত করলে তিনি আবারও দুর্নীতি করবেন। এতে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হবে না বলেও অভিমত ব্যক্ত করেছেন গাজীপুরের বাসিন্দারা।
Click This Link
২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩
কলাবাগান১ বলেছেন: গরম তেল থেকে আগুনে পড়ার ব্যবস্হা হচ্ছে......
মিসরে মানুষজন ব্রাদারহুডকে এনেছিলেন (আমাদের জামাতিদের উল্লাস দেখার মত ছিল তখন)..., কিন্তু ১ বছরের মাথায় দেশের মানুষ আবার এখন চাচ্ছে মিলিটারীই ফেরত আসুক.....।
৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৭
দেখতাছি বলেছেন: ১৯৯১ সালে হাজীদের সংখ্যা যদি ৫০০০০ ও ধরি তাহলে মাথা পিছু ১০০০০০ টাকা করে মারলে হবে ৫০০ কোটি । ১৯৯১ সালে হজের মোট টাকা ও তো ১০০০০০ ছিল না । শুধু বাড়িভাড়া থেকে ৫০০ কোটি টাকা কিভাবে মারে ?
তার পর দুইবার লীগ সরকার তার বিচার করে নাই কেন ?
৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
হাসানুর বলেছেন: কপালের নাম গোপাল । জনগণ নাকি তাদেরকেই চায়!
আ'লীগ আর বিএনপির মূল পার্থক্য : ক্ষমতা থাকলে আ'লীগ দুর্নীতি ও করে আবার উন্নয়ন মুলক কাজও করে কিন্তু বিএনপির কাজ শুধু দুর্নীতি করা ।
৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৪
অপর্না হালদার বলেছেন: তাহলে কি ধরে নেব গাজীপুরের মানুষ অন্ধ, বোকা, বধির, বুদ্ধি ও চিন্তা প্রতিবন্ধী যদি গাজীপুরের নির্বাচনে মান্নান নির্বাচিত হয় ।
শুভ কামনা রইল ।
দেখা যাক গাজীপুরের লোকজন নিজেদেরকে কি প্রমান করেন । সময় সব বলে দিবে ।
৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৯
প্যাপিলন বলেছেন: হায় ইশ্বর....বিএনপির সে আমলে চাল ডাল আলু পটল গরু খাসীকে কি বাজারে পাওয়া যেতনা যে উনি এসব রেখে শুধু টাকা খেতেন, তাও আবার টাকা রান্না না করে মেরে মেরে খান
৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
রাতুল রেজা বলেছেন: রাজনীতিবিদরা তো চুরি চামারি করেই বড়লোক হয়, এ আর নতুন কি।
৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
কাজী দিদার বলেছেন: ব্যক্তিগত জীবনে যিনি দুর্নীতি পরায়ন এবং যিনি পবিত্র হজের টাকা আত্মাসাৎ করতে পারেন, তার পক্ষে যে কোনও খারাপ কাজ করাই সম্ভব। এমন ব্যক্তিকে মেয়র নির্বাচিত করলে তিনি আবারও দুর্নীতি করবেন। শালা চোর
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২৩
আতা2010 বলেছেন: Click This Link তাদের ব্যাংকে চাকরী পেলে নিজেকে গর্ববতী (!!!!!!!!)মনে করে ।