নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসছে বিপুল অর্থ ।। টার্গেট নির্বাচন!

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪



গত কমাস ধরেই দেশে আসছে বিপুল অর্থ। সম্প্রতি এই বিষয়টির প্রমাণও পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান। আর এসব অর্থের কিছু ব্যাংকিং চ্যানেলে এলেও তার অধিকাংশই হুন্ডি (ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে) বা অন্য মাধ্যমে আসছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। অস্ত্র এবং গোলাবারুদ ছাড়াও বিপুল পরিমাণ এই অর্থের দেশে আসাকে ভালো চোখে দেখছেন না কেউই। মনে করা হচ্ছে, আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মোড় ঘোরানোর অপচেষ্টায় মানুষকে প্রভাবিত করতে এসব অর্থের সিংহভাগ ব্যবহƒত হতে পারে। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা বৈদেশিক মুদ্রার উৎস ও ব্যয় সম্পর্কে ইতোমধ্যেই জানতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্তে কাজ করছে গোয়েন্দা সংস্থাসহ সরকারি অন্য প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।



ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বেশকটি সন্দেহজনক লেনদেন ধরাও পড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জানা গেছে, বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের (হিসাব) মাধ্যমে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আসলেও তা এসেছে নানা কায়দায়। কখনও একই হিসাবে অল্প অল্প করে এসেছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। আবার আমদানি-রপ্তানির আড়ালেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তার বাইরে হুন্ডির মাধ্যমেও এসেছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। জানা যায়, গত কয়েকদিন এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অভিযোগ জমা পড়ায় বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবের (এফসি অ্যাকাউন্টÑ ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট) তথ্য নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনা পরিপালন করতে গিয়ে গত ১ জুলাই থেকে এফসি অ্যাকাউন্টের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নিয়মিত পাঠাচ্ছে ব্যাংকগুলো। বিষয়টির ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ম.আহসানউল্লাহ বলেন,‘বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় আমরা অনলাইনে মনিটরিং শুরু করছি। এটি তারই অংশ। মূলত মনিটরিং বাড়ানোর জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, এ কাজে ‘স্পেশাল ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট মনিটরিং সিস্টেম’ নামে একটি বিশেষ সফটওয়্যারও চালু করা হয়েছে। যার আওতায় ব্যাংকগুলোকে আলাদা আলাদা পরিচিতি নম্বর (ইউজার আইডি) ও পাসওয়ার্ডও দেওয়া হয়েছে।



সব ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব খোলার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন দরকার হয় না। যে কেউ এসব হিসাব খুলতে পারেন। তবে বিদেশি অনুদান, প্রকল্প সহায়তা, ঋণ, বিদেশ থেকে এককালীন বিপুল অর্থ নিয়ে আসার মতো বিশেষ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে হিসাব খুলতে হয়। বর্তমানে এ ধরনের প্রায় ৬০০টি হিসাব চালু রয়েছে।



এফসি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অল্প অল্প করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আনা ছাড়াও এক লেনদেনেই কয়েক মিলিয়ন বা তারও বেশি ডলার এসেছেÑ এমন কয়েকটি কেইস জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিষয়গুলো জানিয়েছে। একই সঙ্গে তারা এসব অর্থ ছাড় করছে না।



দেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিভিন্ন দেশিয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বিদেশি অনুদান, প্রকল্প সহায়তা, ঋণ, বিদেশ থেকে এককালীন বিপুল অর্থ নিয়ে আসার মতো বিশেষ ক্ষেত্রের হিসাবগুলো খুলে থাকে। আর এসব হিসাবে আসে বিপুল পরিমাণ অর্থ। কিন্তু পরে তা কোনো খাতে ব্যয় হয়, তার হিসাব কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারের কাছে নেই। আর বিষয়টি মাথায় রেখেই এসব হিসাবে মনিটরিং জোরদার করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।



নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, এফসি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যেসব লেনদেন হয়, তা সহজে শনাক্ত করা গেলেও হুন্ডির বিষয়গুলো অগোচরেই থেকে যাচ্ছে। তাই অবৈধ উপায়ে যাতে দেশে কোনো অর্থ আসতে না পারে, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত। Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

ডাক্তার আমি বলেছেন: জামাতের বুদ্ধির কাছে সব দলগুলো যেমন পোলাপাইন। জামাতের টাকার কাছেও সব রাজনৈতিক দল মধ্যবিত্ত।

১৯৭১ এর পর তাদের দেশে আসার সুযোগ দেয়ার পাপ আমরা বাংলাদেশীরা আজীবন বয়ে যাব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.