নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন টাইমস পত্রিকায় খালেদা জিয়ার নিবন্ধ প্রকাশের ব্যবস্থাকারী ব্রিটিশ বিটিপি অ্যাডভাইজরস কোম্পানির ক্লায়েন্টদের মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসও রয়েছেন।
লিবিয়ার গাদ্দাফি, কেনিয়ার কেনিয়াত্তার মতো বিতর্কিত ও নিন্দিত রাজনীতিকদের আন্তর্জাতিক প্রচারণার দায়িত্ব পালনকারী কোম্পানিটিকে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস কী কারণে ভাড়া করেছেন তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার নিবন্ধটি নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কে কোম্পানিটির বাংলাদেশি ক্লায়েন্ট ড. ইউনূসকে নিয়েও কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ৩০ জানুয়ারি ওয়াশিংটন টাইমস-এ খালেদা জিয়ার নামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। ওই নিবন্ধে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রফতানিপণ্যের জন্য দেওয়া জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার এবং অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানানো হয়। সম্প্রতি মার্কিন সরকার বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করলে বেগম খালেদা জিয়ার নিবন্ধটি নতুন করে আলোচনায় আসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে জিএসপি স্থগিতের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার নিবন্ধটির সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুললে বেগম খালেদা জিয়া নিবন্ধটি তার লেখা নয় বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, তিনি কোনো লেখা ওয়াশিংটন টাইমস-এ পাঠাননি।
বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম ওয়াশিংটন টাইমস-এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক ডেভিড জ্যাকসন বলেছেন, এজেন্টের মাধ্যমে পাঠানো নিবন্ধটি যে খালেদা জিয়ার তা নিশ্চিত হওয়ার পরই তারা সেটি ছাপিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ওই নিবন্ধটি ওয়াশিংটন টাইমসের কাছে আসে মার্ক পার্সির মাধ্যমে। লন্ডনভিত্তিক এই মধ্যস্থতাকারী খালেদা জিয়ার পক্ষে কাজ করেন। নিবন্ধটি প্রকাশের আগে এবং পরেও তার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রক্ষা করেছি, আমরা এর নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে নিঃসন্দেহ।’ প্রসঙ্গত, মার্ক পার্সি লন্ডনের জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান (পিআর ফার্ম) বিটিপির অন্যতম অংশীদার। এদিকে বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম-এ এ-সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিরোধীদলীয় নেতার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিডিনিউজকে বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন টাইমসের তরফ থেকে বিরোধীদলীয় নেতার কাছে কখনই কোনো লেখা চাওয়া হয়নি। ওই পত্রিকায় তিনি কোনো লেখা পাঠাননি।’ তিনি বলেন, ‘আমি তার মিডিয়া সংক্রান্ত বিষয়াবলি দেখাশোনা করে থাকি। আমার মাধ্যমেই বিরোধীদলীয় নেতার লেখা কিংবা বিবৃতি পাঠানো হয়। সুতরাং ওয়াশিংটন টাইমসে এ-ধরনের কোনো লেখা পাঠানো হয়নি।’
বিরোধীদলীয় নেতার প্রেস সচিবের এই বক্তব্যের পর সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে-বিটিপি অ্যাডভাইজরের কাছে বেগম খালেদা জিয়ার নামে লেখা নিবন্ধটি কে পাঠিয়েছে! পেশাদার কোম্পানি হিসেবে বিটিপি আনুষ্ঠানিক চুক্তি ছাড়া খালেদা জিয়ার লেখা প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়ার কথা নয়। আবার ওয়াশিংটন টাইমস জোর গলায়ই মার্ক পার্সিকে বেগম খালেদা জিয়ার এজেন্ট হিসেবে উল্লেখ করছে। ফলে নানা ধরনের গুঞ্জন এবং কৌতূহল তৈরি হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিন্দিত এবং সমালোচিত শাসকরা এই কোম্পানিটিকে প্রোপাগান্ডার জন্য ব্যবহার করেছেন। কোম্পানিটি গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত রুয়ান্ডার সরকারের পক্ষে বিশ্বব্যাপী জনমত তৈরির কাজ করছে। এদের কাজের পদ্ধতিও অভিনব। ক্লায়েন্টের পক্ষে অনলাইনে নানা ধরনের প্রচার প্রোপাগান্ডা চালানো, উইকিপিডিয়াসহ তথ্য সরবরাহ করার যেসব মাধ্যম রয়েছে সেগুলোকে নিউট্রালাইজ করা, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য আক্রমণাত্মক সাইট বা পেইজ খুলে আক্রমণ করা। এইসব কাজে এরা ফেইসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে ব্যবহার করছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিটিপি অ্যাডভাইজরস বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক শক্তির হয়ে কাজ করছে। তবে কাদের হয়ে তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। Click This Link
২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
নীলতিমি বলেছেন: এটায় কিছু যায় আসে!
ইতোমধ্যে প্রমাণ হয়ে গেছে : সব রানীতিকই খাপো।
যাইহোক: নোবেলটা হাসিনারে দিলে দেশ হয়তো আরো বেশি স্বস্তি পাইতো !
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
পরিযায়ী বলেছেন: নোবেলটা হাসিনারে দিলে দেশ হয়তো আরো বেশি স্বস্তি পাইতো !
৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এ নিয়ে একটা পোষ্ট লিখেছিলাম গত সপ্তাহে।
ইউনুস কিছুটা জরিত এই অনুমান পোষ্টে লিখেছিলাম। দেখুন -
Click This Link
৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৫৪
এই আমি সেই আমি বলেছেন: আবার জিগায় ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এরাই হলো দেশ প্রেমিক রাজনীতিবিধ।