নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর গোলাম আযমকে জামায়াতে ইসলামী তাদের দলের আমির ঘোষণা করলে জনবিক্ষোভের সূত্রপাত হয় বাংলাদেশে। কারণ এ গোলাম আযমের নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী গঠন করা হয়েছিল, যারা তখন হানাদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে এ দেশে গণহত্যাসহ জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছিল। আর সেই অপরাধের কারণে সদ্য স্বাধীন দেশে গোলাম আযমের নাগরিকত্ব বাতিল করেছিল বঙ্গবন্ধুর সরকার। এমন এক কুখ্যাত ব্যক্তিকে জামায়াত দলীয় আমির ঘোষণা করায় সংগত কারণেই তখন ফুঁসে উঠেছিল গোটা জাতি। গণবিক্ষোভের অংশ হিসেবে ১৯৯২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী প্রতিরোধ মঞ্চ, ১৪টি ছাত্র সংগঠন, তখনকার প্রধান বিরোধী দলসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব রাজনৈতিক দল, শ্রমিক-কৃষক-নারী সংগঠন ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ ৭০টি সংগঠনের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি'। সর্বসম্মতিক্রমে এর আহ্বায়ক নির্বাচিত হন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। ওই কমিটির উদ্যোগে ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে 'গণ-আদালত' বসিয়ে একাত্তরের নরঘাতক গোলাম আযমের ঐতিহাসিক প্রতীকী বিচারের আয়োজন করা হয়। সেই প্রতীকী বিচারের রায়ে বলা হয়েছিল, গোলাম আযমের অপরাধ মৃত্যুদণ্ডযোগ্য।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আজ সোমবার গোলাম আযমের বিচারের রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এ অবস্থায় শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গণ-আদালতে গোলাম আযমের প্রতীকী বিচারের সেই উত্তাল দিনগুলোর কথা নতুন করে সামনে আসাই স্বাভাবিক।
গণ-আদালত ঠেকাতে আগের রাতেই তখনকার বিএনপি সরকার ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। কিন্তু সব বাধা-নিষেধ উপেক্ষা করেই সেদিন সারা দেশ থেকে দলে দলে মানুষ এসে মিলিত হয়েছিল ঢাকায়। কয়েক লাখ মানুষের উপস্থিতিতে গণ-আদালতে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ১০টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছিল। ১২ জন বিচারক সমন্বয়ে গঠিত গণ-আদালতের চেয়ারম্যান জাহানারা ইমাম গোলাম আযমের ১০টি অপরাধ মৃত্যুদণ্ডযোগ্য বলে ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, 'গোলাম আযম ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে হানাদার তথা দখলদার বাহিনীকে সর্বতোভাবে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ত্রিশ লক্ষ নিরীহ নিরস্ত্র নারী, পুরুষ ও শিশু হত্যা এবং দুই লক্ষ নারী অপহরণ ও ধর্ষণে সহায়তা করে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। উক্ত সময়ে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে শান্তি কমিটি, আলবদর, আলশামস গঠন করে তাদের এবং তার অনুগত রাজাকার বাহিনী দিয়ে সাহায্য করে পাকিস্তানী বাহিনী কর্তৃক দুই লক্ষ নারীকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানিতে প্ররোচিত করে হীন অপরাধ সংঘটন করিয়েছেন, উক্ত সময়ে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে তার অনুগত আলবদর, আলশামস এবং রাজাকার বাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে ব্যাপক গণহত্যা সংঘটিত করিয়েছেন এবং হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীকে গণহত্যার উস্কানি, প্ররোচনা এবং সাহায্য দান করেছেন এবং তার উক্ত কার্যের ফলে বাংলাদেশের ত্রিশ লক্ষ নারী, পুরুষ ও শিশু নিহত হয়েছে, উক্ত সময়ে অভিযুক্ত গোলাম আযম তার গঠিত ও অনুগত আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে লিপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিরীহ পরিবার-পরিজনের উপর সশস্ত্র ধ্বংসযজ্ঞ অভিযান পরিচালনা করে, উক্ত সময়ে অভিযুক্ত গোলাম আযম বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে বিদ্বেষ ও সহিংসতা ছড়ানোর লক্ষ্যে ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যা প্রদান করে, ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ধর্মের নামে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করে এবং এই দেশের শিল্প-সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হন এবং আজো এই দেশের শিল্প-সংস্কৃতিকে বিকৃত করা এবং শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রসমূহ ধ্বংস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন, অভিযুক্ত গোলাম আযম ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান না করার জন্য বিদেশী দেশসমূহকে প্ররোচিত করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন, অভিযুক্ত গোলাম আযম বিদেশী নাগরিক হয়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংবিধানবিরোধী ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচার চালিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পর অভিযুক্ত গোলাম আযম তার নিজস্ব অনুগত বাহিনী আলবদর, আলশামস এবং রাজাকার বাহিনী দিয়ে লুটতরাজ এবং নিরস্ত্র নিরীহ মানুষের ঘরে অগ্নিসংযোগ করে অসংখ্য জনপদ ধ্বংস করেছেন, ১৯৭১ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর সঙ্গে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ ও হত্যা করে মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধ সংঘটন করেন।'
রায়ের শেষভাগে বলা হয়, 'প্রদত্ত সাক্ষ্য সত্য এবং দাখিলকৃত প্রদর্শনীসমূহ অকাট্য বিবেচনা করে সর্বসম্মতভাবে অভিযুক্ত গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রতিটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে করি এবং আনীত প্রতিটি অভিযোগের প্রত্যেক অপরাধে তাকে দোষী সাব্যস্ত করছি। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশে উপরোক্ত অপরাধ দৃষ্টান্তমূলক মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ।'
রায়ে আরো বলা হয়, 'যেহেতু গণ-আদালত কোনো দণ্ডাদেশ কার্যকর করে না, সেহেতু অভিযুক্ত গোলাম আযমকে আমরা দোষী সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।'
বিচার্য ১০ বিষয় : যে ১০টি অভিযোগে গণ-আদালতে গোলাম আযমের প্রতীকী বিচার করা হয় সেগুলো নিম্নরূপ :
'১. অভিযুক্ত গোলাম আযম কি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করে ৩০ লাখ নিরস্ত্র নারী, পুরুষ ও শিশু হত্যা এবং দুই লাখ নারী অপহরণ ও ধর্ষণে সহায়তা করে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন?
২. অভিযুক্ত গোলাম আযম ২৬ মার্চ থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে আলবদর, আলশামস গঠন করেন এবং তাঁর অনুগত রাজাকার বাহিনী দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে দুই লাখ নারীকে অপহরণ এবং ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানিজনক অপরাধ সংঘটন করতে সাহায্য করেছেন?
৩. অভিযুক্ত গোলাম আযম কি পাকিস্তানি বাহিনীকে গণহত্যার উসকানি এবং প্ররোচনাদান করেছেন?
৪. অভিযুক্ত গোলাম আযম কি আলবদর, আলশামস বাহিনী গঠন করে তাদের দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে লিপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিরীহ পরিবার-পরিজনের ওপর সশস্ত্র ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনা করেছেন?
৫. অভিযুক্ত গোলাম আযম কি বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে বিদ্বেষ ও সহিংসতা ছড়ানোর লক্ষ্যে ধর্মের নামে বিকৃত ব্যাখ্যা প্রদান করে ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ধর্মের নামে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছেন এবং এ দেশের শিল্প-সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন?
৬. অভিযুক্ত গোলাম আযম কি তাঁর নিজস্ব অনুগত বাহিনী আলবদর, আলশামস, রাজাকার বাহিনী দিয়ে লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ করে অসংখ্য জনপদ ধ্বংস করে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছেন?
৭. অভিযুক্ত গোলাম আযম কি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর সঙ্গে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে এ দেশে ১৯৭১ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে তাঁর অনুগত বাহিনী আলবদর ও আলশামসকে দিয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যা সংঘটন করেছেন?
৮. অভিযুক্ত গোলাম আযম কি ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতার বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করেছেন?
৯. অভিযুক্ত গোলাম আযম কি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচারকার্য চালিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন?
১০. অভিযুক্ত গোলাম আযম কি স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে তাঁর অনুগত আলবদর, আলশামস বাহিনী এবং রাজাকার বাহিনী দিয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে জঘন্যতম মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন?'
গণ-আদালতের সদস্য যাঁরা : ওই গণ-আদালতের সদস্য ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজীউল হক, ড. আহমদ শরীফ, স্থপতি মাজহারুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, ফয়েজ আহমদ, কবীর চৌধুরী, কলিম শরাফী, শওকত ওসমান, মাওলানা আবদুল আউয়াল, লে. কর্নেল (অব.) কাজী নুরুজ্জামান, লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী ও ব্যারিস্টার শওকত আলী খান।
জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় দেশব্যাপী গণস্বাক্ষর, গণসমাবেশ, মানববন্ধন, সংসদ যাত্রা, অবস্থান ধর্মঘট, মহাসমাবেশ ইত্যাদি কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে আন্দোলন আরো বেগবান হয়। একপর্যায়ে গোলাম আযমসহ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবির আন্দোলনে সমর্থন দেয় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।
গণতদন্ত কমিশন : ১৯৯৩ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও গণ-আদালতের প্রথম বার্ষিকীতে কবি বেগম সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে গঠন করা হয় গণতদন্ত কমিশন। ওই কমিশনের সদস্য ছিলেন সাহিত্যিক শওকত ওসমান, শিক্ষাবিদ ড. খান সারওয়ার মুরশিদ, বিচারপতি (অব.) দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, বিচারপতি (অব.) কে এম সোবহান, কবি শামসুর রাহমান, অধ্যাপক অনুপম সেন, এম এ খালেক, অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন ইউসুফ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) সদরুদ্দীন ও ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ (সমন্বয়কারী)।
দুই দফায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন : গণ-আদালতের প্রথম বার্ষিকীর সমাবেশে আরো আটজন অভিযুক্ত 'যুদ্ধাপরাধী'র নাম ঘোষণা করা হয়। ওই আটজন হলেন- আব্বাস আলী খান, মতিউর রহমান নিজামী, মো. কামারুজ্জামান, আবদুল আলীম, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মাওলানা আবদুল মান্নান, আনোয়ার জাহিদ ও আবদুল কাদের মোল্লা।
১৯৯৪ সালের ২৬ মার্চ গণ-আদালতের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে গণতদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান কবি বেগম সুফিয়া কামাল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে বিশাল জনসমাবেশে জাহানারা ইমামের হাতে তুলে দেন জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের রিপোর্ট। ওই সমাবেশে আরো আটজন যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে তদন্ত অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়া হয়।
গণতদন্ত কমিশন দ্বিতীয় দফায় আরো আটজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই আটজন হলেন- এ এস এম সোলায়মান, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আবদুস সোবহান, এ কে এম ইউসুফ, মোহাম্মদ আয়েন উদ-দিন, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, এ বি এম খালেক মজুমদার ও ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন।
Click This Link
১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১১
তালপাতারসেপাই বলেছেন: আমি না !!! চন্দন! লিনক আছে
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: ভালো লিখেছেন