নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিএসপি স্থগিত করা ওবামা প্রশাসনের ভুল সিদ্ধান্ত

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৪০



যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা জিএসপি (জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স) স্থগিত করাকে ওবামা প্রশাসনের ভুল উদ্যোগ বলে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক হেরিটেজ ফাউন্ডেশন। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে শ্রমমান উন্নয়নে সহায়ক হবে না উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি অনতিবিলম্বে জিএসপি স্থগিতের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে ওবামা প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসকেও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের পরিচালক রাষ্ট্রদূত টেরি মিলার ও গবেষণা সহকারী রায়ান ওলসন এ আহ্বান জানান।

গত বুধবার হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ফাউন্ডেশন বলেছে, প্রেসিডেন্ট ওবামা যদি সত্যিই বাংলাদেশের কর্মীদের জীবনমান ও পরিস্থিতির উন্নয়ন চান, তাহলে তাঁর উচিত বাংলাদেশের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি বাণিজ্য বাধা দূর করা এবং বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা বৃদ্ধি করা।

ফাউন্ডেশন মনে করে, সম্প্রতি দুটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১২ শতাধিক বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হওয়ার পর ওবামা প্রশাসন জিএসপি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিলেও তা শ্রমমান উন্নয়নে সহায়ক হবে না। বরং এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

'জেনারালাইজ সিস্টেম অব পানিশমেন্ট' (শাস্তি দেওয়ার সাধারণ প্রক্রিয়া) শীর্ষক অনুচ্ছেদে হেরিটেজ ফাউন্ডেশন বলেছে, অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার একটি উদ্যোগ। এর আওতায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে সবচেয়ে অগ্রাধিকারমূলক দেশগুলোর নেটওয়ার্কের বাইরে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা দেওয়া হয়। উন্নত অর্থনীতির বাজারগুলোতে স্বল্প শুল্কের মাধ্যমে প্রবেশাধিকার সুবিধা দেওয়ার মধ্য দিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোর রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে জিএসপি সুবিধা চালু করা হয়েছে। জিএসপির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ হাজার ক্যাটাগরির পণ্যের মধ্যে মাত্র ১৭১টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়। তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক এবং রানা প্লাজা ধসে হাজারেরও বেশি কর্মীর মৃত্যুর পর ওবামা প্রশাসন গত ২৮ জুন বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা না দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। কংগ্রেস হস্তক্ষেপ না করলে ঘোষণার ৬০ দিনের মধ্যে তা কার্যকর হবে।

'বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক ব্যবস্থা এখনই প্রত্যাহার করুন' শীর্ষক অনুচ্ছেদে হেরিটেজ ফাউন্ডেশন বলেছে, ওবামা প্রশাসন এই একতরফা সিদ্ধান্ত না বদলালে কংগ্রেসেরই উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এ ছাড়া জিএসপির আওতায় শুল্কমুক্ত সুবিধাপ্রাপ্ত পণ্যের নতুন তালিকা তৈরি এবং তাতে তৈরি পোশাক পণ্য সংযোজনসহ বন্ধুপ্রতিম মুসলিম দেশ বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পেতে সহায়ক নীতি প্রণয়নের জন্য হেরিটেজ ফাউন্ডেশন ওবামা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

'প্রশাসনের ভুল উদ্যোগ' শীর্ষক অনুচ্ছেদে হেরিটেজ ফাউন্ডেশন জানায়, জিএসপি স্থগিত করার উদ্যোগ শাস্তিমূলক এবং লক্ষ্যহীন। ২০১২ সালে বাংলাদেশের ১১৮টি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পেয়েছে। জিএসপির আওতায় গত বছর বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির পরিমাণ ছিল তিন কোটি ৪৭ লাখ ডলার। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের এক শতাংশেরও কম। জিএসপি স্থগিত করার ফলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অথচ পোশাক শিল্প পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা পেত না।

হেরিটেজ ফাউন্ডেশন আরো জানায়, পোশাকশিল্প পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করা হলেও এর মাধ্যমে অন্যান্য শিল্পগুলোকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। গত বছর জিএসপির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ৩০ ভাগেরও বেশি ছিল কৃষিজাত। ওই পণ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বেশির ভাগই দরিদ্র। যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার ফলে দরিদ্রতম বাংলাদেশিরা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ফাউন্ডেশনের মতে, শিল্প ক্ষেত্রে নিয়ম বৃদ্ধিই সমাধান নয়, ভবন নিরাপত্তাও প্রয়োজন। মূল সমস্যা হলো, বাংলাদেশের এমন অনেক আইন আছে, যেগুলো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিকদের নতুন স্থাপনা প্রকল্প নিবন্ধন ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়াকে নিরুৎসাহ করে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভবন নির্মাণের জন্য দ্রুত অনুমতি পাওয়ার তালিকায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৩তম। গড়ে এ ক্ষেত্রে ১০০ দিন সময় লাগে আর খরচ হয় ৩৭৫ ডলার। হেরিটেজ ফাউন্ডেশন মনে করে, এসব আইন-কানুন রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ভূমিকা রেখেছে। তবে ওবামা প্রশাসনের উদ্যোগ বাংলাদেশের উচ্চমাত্রার দুর্নীতির হার কমাতে ভূমিকা রাখবে না বলেই তারা মনে করে।

সুত্র

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয় বলেছেন: খালেদা ম্যাডাম না ইকোনোমিস্ট এর নামে মামলা করার কথা। জাননে কিছু ? নাকি একটা মটিভেশন মারল ? রাজনীতির খেলা বুঝা বড় মুশকিল।

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

তালপাতারসেপাই বলেছেন: লোল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.