নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাসংকটে জামায়াত

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৫৩

মহাসংকটে পড়েছে ১৮ দলীয় জোটের দ্বিতীয় প্রধান শরিক দল জামায়াতে ইসলামী। দলের নিবন্ধন বাতিলের আশঙ্কা, একের পর এক দলের শীর্ষ নেতার ফাঁসি বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে তালা- এ অবস্থায় ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে আর চলছে না দলের কার্যক্রম, মামলার কারণে প্রায় সব নেতা-কর্মী আত্দগোপনে, চলছে চরম নেতৃত্ব সংকট। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করায় দলটিতে বর্তমানে চলছে মহাসংকট।দল নিষিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা : জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট মামলার রায় হাইকোর্টে অপেক্ষমাণ।

এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের কয়েকটি রায়ে অপরাধী দল হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জোরালো হচ্ছে। শীঘ্রই এ রায় হতে পারে। জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হচ্ছে এমন বক্তব্যও বিভিন্ন সমাবেশে রাজনৈতিক নেতারা দিচ্ছেন। জামায়াতের তৃণমূল নেতারাও আশঙ্কা করছেন সরকার জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে। এ প্রসঙ্গে জামায়াতের শীর্ষ নেতা হামিদুর রহমান আযাদ এমপি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জামায়াত রাজনৈতিক দল হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে সাংবিধানিক পন্থায় রাজনীতি করছে। দেশের সংবিধান ও আইন অনুসরণ করেই নির্বাচন কমিশন জামায়াতকে নিবন্ধন দিয়েছে।

যে কারণে নিবন্ধন বাতিলের প্রশ্ন উঠেছে, এরই মধ্যে জামায়াত সেই গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছে। আমরা আশাবাদী মহামান্য আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পাব। উল্লেখ্য, ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠার পর তিনবার দলটি নিষিদ্ধ হয়।নির্বাচনী মাঠ গোছাতে পারছে না : নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে জামায়াতের বিপদ আরও ঘনীভূত হচ্ছে। নানাবিধ সমস্যার সঙ্গে যোগ হচ্ছে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দলের সাজাপ্রাপ্তরা (আপিল নিষ্পত্তির পর) নির্বাচনে অযোগ্য হচ্ছেন। নির্বাচনের জন্য সংকটময় পরিস্থিতির কারণে মাঠ গোছাতে এবং সারা দেশে প্রার্থী ঠিক করতে পারছে না দলটি। এ নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে তারা। জনসম্মুখে এলেই বিভিন্ন সময়ে করা মামলায় দলের নেতা-কর্মীদের আটক করা হচ্ছে। জামায়াতের অধিকাংশ শীর্ষ নেতা সাজাপ্রাপ্ত, অনেকে আত্দগোপনে; এ অবস্থায় নির্বাচন করবেন, এমন প্রশ্নে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজানো অভিযোগের ভিত্তিতে সাজা দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতে তা খারিজ হয়ে যাবে আশা করি। তিনি বলেন, সংবিধানে মৌলিক অধিকার সুরক্ষার বিধান আছে, সে অনুযায়ী নির্বাচন থেকে বিরত রাখার যে ষড়যন্ত্র তা বানচাল হয়ে যাবে।মামলার জালে আটক : জামায়াতের ২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ১২ জন কারাগারে, সাতজন বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে আত্দগোপনে। বাকি দুজনের একজন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতাদের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক। তিনি আইনি বিষয়াদি ছাড়া দলীয় অন্য কর্মকাণ্ডে সক্রিয় নন। অন্যজন ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবু নাছের মো. আবদুজ জাহের, তিনিও দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে দূরে। দলের ঢাকা মহানগর কমিটির সবাই আত্দগোপনে। পলাতক থেকেই দল চালাচ্ছেন মধ্যম সারির নেতারা। দলে বর্তমানে নেতৃত্ব সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন সময় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, এ সরকার তাদের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। বিভিন্ন সময়ে ৪২ হাজার নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। এ প্রসঙ্গে হামিদুর আযাদ বলেন, সরকার জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ২ শতাধিক নেতা-কর্মীকে নির্বিচারে হত্যা করেছে। অসংখ্য নেতা-কর্মীকে পঙ্গু করেছে। শীর্ষ নেতাসহ হাজার হাজার কর্মীকে বিনা বিচারে জেলে পাঠিয়েছে। শত শত মিথ্যা মামলা দিয়ে লাখ লাখ কর্মীকে হয়রানি করেছে। আইনি প্রক্রিয়া ও আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত হয়ে নেতা-কর্মীরা জনগণের মাঝে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে ফিরে আসবে ইনশা আল্লাহ।সারা দেশে কার্যালয় বন্ধ : ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরের পর দলের মগবাজারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ পর্যায়ক্রমে সারা দেশে কার্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। কোনো নেতা-কর্মীর অফিসে আনাগোনা নেই। বেশির ভাগ কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। কোনোটিতে তদারকি করে যাচ্ছেন কর্মচারীরা। নেতা-কর্মীরা অফিসে গেলেও গোপন বৈঠকের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। তবে নেতাদের বাসা, অফিস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে দলের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। গোপন স্থান থেকে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি, বিবৃতি পাঠানো হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, সরকার শুরু থেকেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সংগঠনের ওপর নানাভাবে অন্যায় আচরণ করেছে। কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগরী অফিসসহ সারা দেশে কোথাও প্রকাশ্যে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক তৎপরতা চালাতে দিচ্ছে না। এমনকি ঘরোয়া সভা-সমাবেশকে গোপন বৈঠক বলে পুলিশি হয়রানি করছে, যা অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। সুত্র

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩১

ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয় বলেছেন: কারাদন্ড না, ফাসি চাই এই মানুষরুপী হায়েনাদের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.