নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইছে জঙ্গি জামাত তার সঙ্গী।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩২



যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দল জামাতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ও রোহিঙ্গাদের ঘনিষ্ঠতা দিনে দিনে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। লস্কর-ই তৈয়বা, জইশ-ই মোহাম্মদ, হরকাতুল মুজাহিদীন, আফগান মুজাহিদ ও আল-কায়েদা নেটওয়ার্কে যুক্ত হরকাতুল জিহাদের জঙ্গি ও রোহিঙ্গারা জামাতের ছত্রছায়ায় থেকে এদেশে নেটওয়ার্ক গড়ে নানা অপকর্ম করছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে খবর রয়েছে। ইতোপূর্বে ধৃত আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের একাধিক নাগরিকের বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগ মিললে পাশাপাশি তাদের জামাত কানেকশন ধরা পড়ে। আরাকান জঙ্গি ও রোহিঙ্গাদের বেপরোয়া তৎপরতার নেপথ্যেও জামাতের ইন্ধনের প্রমাণ রয়েছে গোয়েন্দাদের হাতে।



বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর নেটওয়ার্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে গত বছর আগস্টে মাঠে নামে গোয়েন্দারা। ডিবি পুলিশ, র‌্যাব ও স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হয়। একই সঙ্গে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার বিশেষ নির্দেশনাও দেয়া হয় দেশের প্রত্যেক জেলার এসপিদের। বিশেষ করে কক্সবাজার ও বান্দরবান এলাকায় রোহিঙ্গাদের মায়ানমারের আরাকান রাজ্যকে স্বতন্ত্র ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ করতে ওই এলাকায় জঙ্গি সংগঠনগুলো বিভিন্ন ছদ্মনামে সংগঠিত হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে খোঁজ নেয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।



জানা গেছে, গত বছরের ১৬ আগস্ট রাজধানীর ফকিরারপুলে গ্রেপ্তার হয় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই মোহাম্মদের বাংলাদেশের প্রধান মওলানা ইউসুফ। তার গ্রেপ্তারের পর থেকে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। তখন ডিএমপির মুখপাত্র ও ডিবি পুলিশের দক্ষিণের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মনিরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, কক্সবাজার ও বান্দরবান এলাকায় অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের টার্গেট করে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই মোহাম্মদ বাংলাদেশে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে তাদের ম“ দেয়াসহ আর্থিক সহযোগিতা করে আসছিলেন মওলানা ইউনুস। তিনি পাকিস্তানে অবস্থানরত বাংলাদেশের এক সময়ের জামাত নেতা মওলানা সাবেরের একান্ত অনুসারী। মওলানা সাবের তাকে সংগঠন বিস্তারে আর্থিক সহায়তা করে থাকেন। মনিরুল ইসলাম দাবি করেন, বাংলাদেশের কিছু অংশ ও মায়ানমারের আরাকান রাজ্য নিয়ে আলাদা ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে রোহিঙ্গাদের উদ্বুদ্ধ করে তাদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছে জয়েশ-ই মোহাম্মদ।



গোয়েন্দা সূত্র মতে, দেশীয় জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিদেশী জঙ্গিদের সহায়তায় আল-কায়দা বাংলাদেশকে ব্যবহার করে এ অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করছে কিনা তার খোঁজ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরই ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ, র‌্যাবের জঙ্গি দমন সংক্রান্ত বিশেষ সেল এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে এ ব্যাপারে খোঁজ নেয়। এছাড়াও বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশী বিশেষ করে পাকিস্তান ও ভারতের ছাত্রদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়।



সিলেটের রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ছাত্র ভারতের কাশ্মিরের নাগরিক ওয়াসিম আহম্মেদকে মুম্বাইয়ের হাইকোর্টে বোমা হামলার পরিকল্পনায় অংশ নেয়ার অভিযোগে আটক করে মুম্বাই পুলিশ। সেখানে অধ্যয়নরত কাশ্মিরের ৫ ছাত্র তোসাদ্দেক রশীদ, আমীর আমিন রেশমি, মোহাম্মদ দানিস বাট ও তৌসিক আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের ফেরত দেয়া হয়।



একাধিক গোয়েন্দা সূত্র বলেছে, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও র‌্যাব গত কয়েক বছরে ভারতীয় সন্ত্রাসী আব্দুর রউফ, দাউদ মার্চেন্ট, জাহিদ শেখ, লস্কর-ই তৈয়বা নেতা মুফতি মওলানা ওবায়দুল্লাহ, মুফতি মওলানা মনসুর আলী ওরফে হাবিবুল্লাহ, ভারতের আসিফ রেজা কমান্ডো ফোর্স (এআরসিএফ)-এর কমান্ডার এমদাদুল্লাহ ওরফে মাহবুব, লস্কর-ই তৈয়বা সদস্য আবু সুফিয়ানসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। আবু সুফিয়ান গাজীপুর ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ছাত্র। ঢাকায় মার্কিন ও ভারতীয় হাইকমিশনে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে ২০০৯ সালের শেষ দিকে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সে সময় তার কাছ থেকে বোমা তৈরি সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। বাংলাদেশে পড়াশোনার নামেই এই পাকিস্তানি নাগরিক দীর্ঘদিন জঙ্গি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।



সূত্র আরো জানায়, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলায় আশুলিয়া এলাকার দায়িত্বে ছিলেন ভারতীয় নাগরিক মওলানা রেজাউল করিম। আশুলিয়া থানা পুলিশ তাকে শিমুলিয়ার মুনসুরবাগ মিফতাহুল উলুম মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করলেও আদালতের মাধ্যমে জামিনে ছাড়া পেয়ে তিনি আত্মগোপন করেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি গোপনে তৎপর রয়েছেন। ২০০৮ সালে যৌথবাহিনী তাকে ধরতে ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালায়। এখনো ওই মাদ্রাসা গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে বলে জানা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক এসব বিদেশী জঙ্গিদের অনেকেরই জামাতে ইসলামী কানেকশন রয়েছে বলে তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে।



এদিকে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ মার্চ ৪ পাকিস্তানি নাগরিকসহ জঙ্গি সংগঠনের ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরা ভিভিআইপিদের ওপর জঙ্গি হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানায় ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাবেক জামাত নেতা ডা. ফরিদ উদ্দিন আহাম্মদ এবং তার সেকেন্ড ইন কমান্ড আফগান ফেরত যোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ ছিলেন। অন্যদের মধ্যে মিজানুর রহমান, মাহফুজুর রহমান, সজল, তানভির, সোহেল, আবদুল খালেক, মামুনুর রশিদ, তার স্ত্রী ডলি আক্তার, আবুল বাশার, রেজাউল করিম, রোকসানা বেগম, পাকিস্তানি নাগরিক সায়িদ উদ্দিন, মোঃ ফারহান, রুবনা বেগম (৪৩) ও নারগিস আক্তার (৩৯)। তাদের কাছ থেকে শক্তিশালী ৮টি হাতবোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, মার্কিন ডলার, পাকিস্তানি মুদ্রা এবং ১ কোটি ২৯ লাখ ভারতীয় জাল মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানীর কাঁঠালবাগান, বংশাল ও খিলক্ষেত এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।



এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে জামাত-শিবিরের কানেকশন থাকতে পারে। তাদের গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে দেশে নাশকতা এবং জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করা হয়েছে। তিনি বলেন, জামাতের সাবেক নেতা ডা. ফরিদ উদ্দিন, তার প্রধান সহযোগী তালেবান যোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ, মিজানুর রহমান ও মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পৃথক অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় পাকিস্তানে বসবাসকারী বাংলাদেশী জঙ্গি গ্রুপের নেতা আবদুল খালেক ও সজলকে। পরে গ্রেপ্তার করা হয় জঙ্গি গ্রুপের সদস্য মোস্তফা, মামুনুর রশিদ, তার স্ত্রী ডলি আক্তার, আবুল বাশার, রেজাউল কবির ও রোকসানা বেগমকে। বংশাল থানা এলাকায় হোটেল বাইতুস সামির থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জঙ্গি কার্যক্রমের অর্থ জোগানদাতা জালটাকার ব্যবসায়ী পাকিস্তানি নাগরিক সায়িদ উদ্দিন, ফারহান, রুবিনা বেগম ও নার্গিস আক্তারকে।



মনিরুল ইসলাম জানান, ২০০৮ সালে ডা. ফরিদ উদ্দিন হরকাতুল জিহাদকে সুসংগঠিত করার কার্যক্রম হাতে নেন। এজন্য ফরিদ উদ্দিন মাসুদের মাধ্যমে বিভিন্ন জঙ্গি গ্রুপের সদস্যদের একত্রিত করেন। তাদের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ সংগ্রহের পরিকল্পনা নেন। জঙ্গি কার্যক্রমের অর্থের জোগান পেতে তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি করে অর্থ সংগ্রহেরও পরিকল্পনা করেন। রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ বিভিন্ন স্থানে তারা সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু করেন। তারা বাসায় বসে বোমা তৈরির পাশাপাশি নিয়মিত বৈঠকও করতেন। ফরিদ উদ্দিন মাসুদ অস্ত্র কেনার জন্য তার সহযোগী পাকিস্তানে বসবাসকারী বাংলাদেশী নাগরিক আব্দুল খালেককে ৬ লাখ টাকা দেন। তিনি পাকিস্তান থেকে অস্ত্র বহন করে বাংলাদেশে জঙ্গিদের কাছে বিতরণ করেন।



তিনি জানান, ডা. মাসুদ এক সময় জামাতের সক্রিয় রাজনীতি করতেন। জামাতের রাজনীতি থেকে সরে এসে তিনি খেলাফতের রাজত্ব কায়েমের পরিকল্পনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলোকে একত্রিত করার মিশন নিয়ে মাঠে নামেন। ফরিদ উদ্দিন মাসুদ ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে অবস্থানকালে হরকাতুল জিহাদ ইন পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হন। মাঝে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে গিয়ে তালেবানদের পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করেন। গ্রেপ্তারকৃত মিজানুর রহমান একসময় গাইবান্ধার মতিন গ্রুপের মেহেদীর মাধ্যমে ‘আল্লাহর দলে’ যোগ দিয়ে ঢাকা বিভাগের দায়িত্বশীলের ভূমিকা পালন করেন। মতিন মেহেদী ধরা পড়ার পরে মিজান আবার পড়াশোনায় ফিরে এসে ২০০৬ সালে এসএসসি পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি এমএলএম কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হন। পরে ২০১২ সালে গ্রাহকদের ৫০-৬০ লাখ টাকা নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। আত্মগোপনে থাকাকালে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসের শেষ দিকে ডা. ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ডা. ফরিদ এবং তার সামরিক কমান্ডার ফরিদ উদ্দিন মাসুদ তাদের ক্যাডারদের প্রশিক্ষিত করতে পার্শ্ববর্তী একটি মুসলিম দেশ থেকে অস্ত্র-গুলি সংগ্রহের জন্য পাকিস্তান ফেরত জনৈক আবদুল খালেক ওরফে আবদুল মান্নানকে চেকের মাধ্যমে ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা দেন।



গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মশিউর রহমান জানান, ওসমানী মেডিকেলে পড়া অবস্থায় ছাত্রশিবির মেডিকেল শাখার সভাপতি ছিলেন ডা. ফরিদ উদ্দিন। পরে সিলেট মহানগর শিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পান। পরে ১২ বছর তিনি মাদারীপুর জেলা জামাতের আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। মাদারীপুরের একটি আসন থেকে জামাতের প্রার্থী হিসেবে একাধিকবার সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনও করেন। পরে তার বিশ্বাস জন্মায়, জামাতের রাজনীতি করে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এ কারণে, ২০০১ সালের পর জামাতের রাজনীতি থেকে সরে এসে ‘আল্লাহর দল’ গঠনের চেষ্টা চালান।



এদিকে জামাত-শিবির একের পর এক সহিংস ঘটনায় রোহিঙ্গাদের কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারির সহিংসতার পর কক্সবাজার শহরে জামাত-শিবিরের নেতাদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের এক গোপন বৈঠক হয়। সেখানে ‘সুইসাইডাল স্কোয়াড’ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মায়ানমার সীমান্তবর্তী উখিয়ার কুতুপালং এলাকার আনরেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা শিবিরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এ গোপন বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। একটি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে এ খবর ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়।



উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির সংলগ্ন গ্রামের একজন বাসিন্দা বলেন, রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা শিবিরের পার্শ্ববর্তী আনরেজিস্টার্ড শিবিরের রোহিঙ্গারাই সবচেয়ে বেশি উগ্র এবং বেপরোয়া। সেখানে প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে। তারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হওয়ায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অব্যাহত চাপের মুখেও সরকার তাদের ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীর’ মর্যাদা দিচ্ছে না। তারা যেহেতু তালিকাভুক্ত শরণার্থীদের মতো খাবারদাবার পায় না, তাই টাকা-পয়সার লোভে যে কোনো রকমের জঘন্য কাজ করতেও দ্বিধা করে না।



সূত্র মতে, কুতুপালং আনরেজিস্টার্ড শিবিরে জঙ্গি সংশ্লিষ্ট কর্মকা-ে জড়িত রয়েছে দুই ডজনেরও বেশি রোহিঙ্গা। তাদের অন্যতম হচ্ছে লালু মাঝি (সর্দার), আবু সিদ্দিক মাঝি, রাকিবুল্লাহ মাঝি, আইউব মাঝি, ফজল মাঝি, মোহাম্মদ নুর মাঝি, লালবদা মাঝি, বাড়ু মাঝি, শুকুর মাঝি ও মাজেদ মাঝি। রাহিঙ্গাদের নেতা ছলাউল ইসলাম, আসাদুজ্জামান, রুহুল আমিন ও খাইরুল আমিনের সঙ্গে জামাত নেতাদের রয়েছে গোপন যোগাযোগ। এসব রোহিঙ্গা নেতার সঙ্গে গত ১৬ জানুয়ারি উখিয়ার কুতুপালং আনরেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রেজিস্টার্ড ও আনরেজিস্টার্ড রোহিঙ্গাদের গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আবু সিদ্দিক মাঝি ও লালু মাঝি এ বৈঠকের ব্যাপারে ভূমিকা পালন করেন। এ বৈঠকেই রোহিঙ্গাদের সুইসাইড স্কোয়াড নিয়ে আলাপের বিষয়টি গোয়েন্দারা জানতে পারে। এর আগেও গত ৩০ জানুয়ারি অনুরূপ এক বৈঠক হয়।



কক্সবাজার সদর মডেল থানা ও উখিয়া থানা পুলিশ জানায়, রোহিঙ্গাদের ধর্মীয় অনুভূতিকেই সবচেয়ে বেশি কাজে লাগাচ্ছে জামাত-শিবির। সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.