নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে নোবেলবিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের অবস্থান পাল্টে গেছে সাত বছরে। নির্দলীয় সরকার ছাড়া শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব না, এখন এমন কথা বললেও ২০০৬ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী রেখেই নির্বাচনের ফর্মুলা দিয়েছিলেন তিনি।
২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলেও নানা প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই সে সরকারের প্রধান হন জোট সরকারের আমলের রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীন আহমেদ। তিনি সে সময় বিএনপির পক্ষে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেছিল আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা।
ইয়াজউদ্দীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা। এই আন্দোলনের কারণে তথনও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। সে সময়ও আওয়ামী লীগের কোনো দাবি না মেনে ইয়াজউদ্দিনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। পরে এ নিয়ে দ্বন্দ্ব সংঘাতে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারি হয়।
জরুরি অবস্থা চলাচালে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় নাগরিক শক্তি নামে দল গঠনের উদ্যোগ নেন ড. ইউনূস। সে সময় সেনাসমর্থিত সরকার এই উদ্যোগের পেছনে ছিল বলে সমালোচনা হয়েছিল। তবে পরে জনসমর্থন না পেয়ে পিছিয়ে আসেন ইউনূস।
খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী রেখে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব ইউনূসের: দল গঠনের উদ্যোগ নেয়ার আগে অবশ্য তিনি আন্দোলন না করতে সে সময়ের বিরোধীদল আওয়ামী লীগের প্রতি একাধিকবার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আবার নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে এক সংবর্ধনায় রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন ড. ইউনূস।
সে সময় তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুই জোটের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি নির্বাচনী পরামর্শক কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন।
তখন এক বছরের জন্য একটি সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন ড. ইউনূস। তার প্রস্তাব অনুযায়ী, সর্বশেষ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে নির্বাচিত জোট নেত্রী (বেগম খালেদা জিয়া) হবেন সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী। আর উপ-প্রধানমন্ত্রী হবেন সংখ্যালঘু আসনে বিজয়ী দল বা জোট থেকে। তখন সেই জোটের নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা। তবে দুই পক্ষ চাইলে সেই সরকার দুই বছর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারবে বলে প্রস্তাব দেন ইউনূস।
ইউনূসের প্রস্তাব অনুযায়ী, মেয়াদ শেষে সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে এবং তার ফল সব পক্ষকে মেনে নিতে হবে।
ইউনূসের এখনকার বক্তব্য: বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইউনূস সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস বলেন, নির্দলীয় সরকার ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে আগামী সংসদ নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন,কারও কারও ইচ্ছার কারণে, কোনো দল বা দলসমূহের ইচ্ছার কারণে যদি অশান্তির সৃষ্টি হয়, তাহলে দেশের মানুষ তাঁদের ক্ষমা করবে না। দেশে অশান্তি দূর করতে ও সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য নির্দলীয় সরকারের অধীন ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে আগামী সংসদ নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই’।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আকুল আবেদন করছি, আপনারা সমঝোতায় আসুন। আলাপ-আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করুন। নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণেই হতে হবে।’
প্রতিক্রিয়া: সাত বছর আগে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচনের ফর্মুলা দিলেও এখন কেন তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বদলে নির্দলীয় সরকারের দাবি করছেন, সে প্রশ্নের অবশ্য কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। ইউনূস সেন্টারে ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে দারুণ খুশি বিএনপি নেতারা। তবে ২০০৬ সালে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী রেখে নির্বাচনের বিষয়ে তাঁর ফর্মুলা নিয়ে কিছু বলতে চান না তারা। যোগাযোগ করা হলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ইউনূস সাহেব তখন কী বলেছিলেন, সেটা আমার মনে নেই। তবে এখন তিনি দেশের মানুষের এবং আন্তর্জাতিক মহলের মনের কথাটা বলেছেন’।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ উল আলম লেনিন এ বিষয়ে বলেন, ‘দুই সরকারের আমলে দুই ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে ড. ইউনূসের ঘোমটা খুলে গেছে। আমরা আগে থেকেই বলে আসছিলাম তিনি একটি দলের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে চাইছেন। এখন সেটাই তিনি প্রমাণ করে দিলেন। সুত্র
২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩
তালপাতারসেপাই বলেছেন: খবরটার লিংক Click This Link
২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪
তালপাতারসেপাই বলেছেন: Click This Link
২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
সেফানুয়েল বলেছেন: ইউনুসের ভুমিকা বরাবরই ছিলো সন্দেহজনক। যাক এখন স্বরুপে আসতে শুরু করেছেন।
৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১
হ্যারিয়ার টু বলেছেন:
ইউনুস গত সপ্তাহে গ্রামিন ব্যাঙ্কের অনুষ্টানে বলেছিল -
"যারা আমার গ্রামিনব্যাঙ্কের এহেন অবস্থা করেছে তাদেরকে আগামিবার ক্ষমতায় আসতে দেয়া যায় না"।
৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
তালপাতারসেপাই বলেছেন: ঢাকার গোয়ালাদের দুগ্ধজাত পণ্যের খ্যাতি বিশ্বব্যাপী। শত শত বছরের ঐতিহ্য ঢাকার গোয়ালাদের সেই দুগ্ধজাত পণ্যের চাহিদা আজো একটুও কমেনি। শুধু ব্যবসায়ের ধরন পাল্টেছে। সামাজিক ব্যবসার নামে ফরাসিদের সাথে মিলে ভেজাল দইও বাজারজাত করেছিলেন এক আন্তর্জাতিক কুখ্যাতি সম্পন্ন গোয়ালা, যে কিনা "ইউনূস গোয়ালা" নামেও বহুল পরিচিত। সেই ইউনূস গোয়ালা আজ ঢাকার একটি খাদ্য আদালতে ১০ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন নিয়েছেন।
৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
প্রকৌশলী রিয়াদ হাসান চৌধুরী বলেছেন: ইউনুসের ভুমিকা বরাবরই সন্দেহজনক।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
আলমগীর_কবির বলেছেন: এখবরটা আগেও পড়েছি। খবরটার লিংক দরকার। অনুগ্রহ পূর্বক আপনার জানা থাকলে দিবেন।
আপনার দেওয়া তথ্য যদি ঠিক হয়, তাহলে এই কয় বছরে ওত বড় একটা নোবেল নিয়ে এতবড় এটা ডিগবাজি দিলেন কি করে। নোবেল তো হাত থেকে ছিটকে পড়ার কথা।