নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়িয়ে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা জঙ্গীদের

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৩







আল কায়দার আদলে বাংলা টিম, ৯ জঙ্গীর ৫ দিনের রিমান্ড



ইসমাঈল হুসাইন ইমু ও তাহমিনা আক্তার মিতু : আনসারুল্লাহ বাংলা টিম আফগানিস্তানের তেহরিক ই তালেবান ও আল কায়েদার স্টাইলে দেশে জঙ্গিবাদ চালানোর পরিকল্পনা করছে। ইতোমধ্যে এ বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণও নিয়েছে। তবে ভারী আগ্নেয়াস্ত্র নয় বোমা, গ্রেনেড ও বিস্ফোরক দিয়ে ককটেল বানানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছে এরা। পাকিস্তানের আধ্যাত্মিক নেতা ইজাজ হোসেন কর্তৃক বাহিনীটি পরিচালিত হয়। সম্প্রতি বাহিনীর প্রধান মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানী পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর গত কয়েকদিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উগ্র মৌলবাদী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছেন।

এসময় তাদের কাছ থেকে ৩টি ল্যাপটপ, ২টি কম্পিউটার, হাতে লেখা ও আঁকা বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট সংক্রান্ত একটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, বাংলা, আরবি এবং উর্দু ভাষায় লেখা অন লাইন ম্যাগাজিনের ২৫০টি পাতা, বিভিন্ন ইসলামের অপব্যাখ্যা সম্বলিত বই, ৯টি মডেম, ২৫টি সিডি, ১টি চাকু, ১টি হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করা হয়। গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির জয়েন্ট কমিশনার মনিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

মনিরুল ইসলাম বলেন, আল কায়দার আদলে গড়ে ওঠা সংগঠনটি এখন পর্যন্ত সারাদেশে বিস্তৃতি লাভ করতে না পারলেও রাজধানী ঢাকা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বরিশাল, ও চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এদের পরিকল্পনা জিহাদের মাধ্যমে সরকারকে হটিয়ে এই দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা। এ লক্ষ্যে ৪-৫ জনের ছোট ছোট গ্রপ তৈরি করে রাসূল (স.) অবমাননাকারীদের ও ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তিকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। এছাড়া বিভিন্ন থানায় হামলা করে অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিনিয়ে নিয়ে বিভিন্ন মানুষ ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা করা।



মনিরুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক উগ্রবাদী মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা, তেহরিক ই তালেবানসহ যেগুলো জঙ্গিগ্র“প রয়েছে তাদের আদলেই গড়ে ওঠে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। বাংলাদেশে এরা প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে তারা বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, বোমা গ্রেনেড তৈরি ও কীভাবে পরিচালনা করতে হয় তার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করা হয়।



তিনি বলেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অপারেশনাল প্রধান হচ্ছে ইজাজ হোসেন। তিনি ২০০৮ সালে সামরিক প্রশিক্ষণ ও জঙ্গি কার্যক্রমে দীক্ষিত হওয়ার জন্য পাকিস্তানে পালিয়ে গেছেন। এর আগে তিনি জঙ্গি সংগঠন জামায়েতুল মুসলিমিনের বাংলাদেশের আমির ছিলেন। তিনি বছরে ২-৩ বার বাংলাদেশে আসেন এবং বাংলাদেশে তার জিহাদি নেটওয়ার্ককে সক্রিয় করেন। জামায়েতুল মুসলিমিন করার সময় তার সহযোগী ছিল জুন্নুন শিকদার, রেজওয়ান শরীফ, মইনউদ্দীন শরীফ, নাঈমুল হাসান, তেহেজীব করিম, রাজীব করিম, শেহজাদ ওরফে তুরাজ, রেজাউর রাজ্জাকসহ আরও কয়েকজন।



পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, জামায়েতুল মুসলিমিনের আন্তর্জাতিক আমির হচ্ছেন জর্ডান বংশোদ্ভুত বৃটিশ নাগরিক শেখ আবু ইসা আলী আররিফাই আল হাশেমী আল কোরাইশি ওরফে আবু ইসা। তিনি ২০০২ সালে বাংলাদেশে আসেন এবং বারিধারা এলাকায় একটি দোতলা বাড়ি ভাড়া করে তার কার্যক্রম শুরু করে। একপর্যায়ে তিনি ব্রিটেনে ফিরে যান এবং লন্ডন পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। এর ফলে বাংলাদেশে জামায়েতুল মুসলিমিনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।



সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জামায়েতুল মুসলিমিনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে হিজরতের উদ্দেশে ২০০৮ সালে তেহজীব, রেজওয়ান শরীফ, মইনউদ্দিন শরীফ ইয়েমেনে যান এবং আল কায়েদা নেতা আনোয়ার আল আওলাকির ঘনিষ্ঠ সহযোগী সামির খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় ২০০৯ সালে ইয়েমেনে গ্রেপ্তার হয়। এছাড়া রাজীব শরীফ ইংল্যান্ডে বৃটিশ এয়ারলাইন্স উড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টাকালে গ্রেপ্তার হয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়। জসিমউদ্দিনের আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে রেজয়ানুল হক নাফিস যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক উড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার দায়ে সম্প্রতি ৩০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে।



এদিকে গ্রেপ্তারকৃত জুন্নুন শিকদার নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং পরে পড়াশোনা বাদ দিয়ে দাওয়াত কার্যক্রম প্রচারের উদ্দেশে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে ভর্তি হয়। ব্লগার রাজীব হত্যাকারীর অন্যতম পরিকল্পনাকারী রেদওয়ানুল আজাদ রানার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। যেদিন রাজীবকে হত্যা করা হয় সেদিনও তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। পুলিশের নিকট ধরা পড়ার পরেও সে পাকিস্তান, আফগানিস্তান কিংবা সিরিয়া গিয়ে যুদ্ধ করে জিহাদ করার স্বপ্নের কথা বলেছে। সে মাওলানা জসিমউদ্দীন রাহমানীর আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আদর্শের অনুসারী। গ্রেপ্তারকৃত রেজওয়ান শরীফ মইনউদ্দিন শরীফের ভাই এবং জসিমউদ্দিন রাহমানীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে।



অপর গ্রেপ্তারকৃত নাইমুল হাসান আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অপারেশনাল প্রধান ইজাজ হোসেনের ভাই এবং সে জসিম উদ্দিন রাহমানীকে কম্পিউটার সংক্রান্ত টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে থাকে। এছাড়া সাইফুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, মো. আলী আজাদ জসিমউদ্দিনের ওয়েবসাইটে তার বক্তব্য ও ছবি আপলোড ইত্যাদির কাজ করে থাকে। আবু হানিফ, আমিনুল ইসলাম, আসাদুল্লাহ জসিমউদ্দিন রাহমানীর সঙ্গে জঙ্গি তৎপরতায় লিপ্ত এবং তাকে বিভিন্ন তথ্যগত ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে থাকে। জুন্নুন শিকদার ও রেজুয়ান শরীফ নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র ছিল।



গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম মূলত চারটি ধাপে কাজ করে। দাওয়াহ, ইদাদ, রিবাত ও কিতাল। এ চারটি ধাপের দ্বিতীয়পর্যায়ে রয়েছে এরা। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী ও আইসিটি অ্যাক্ট-এ দুটি মামলা করা হয়েছে।



এদিকে, গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর ছাব্বির আহমেদ প্রত্যেক আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ড নেওয়ার আবেদন করেন।



রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, উল্লেখিত আসামিরা তাদের নেতা জসিম উদ্দিন রাহমানীর উগ্রপন্থী বয়ান প্রচারের মাধ্যমে দেশের যব সমাজ ও সাধারণ মানুষদের জঙ্গি তৎপরতায় উৎসাহিত ও প্ররোচিত করছে। তারা জসিম উদ্দিন রাহমানীর উগ্রপন্থী খুতবা ভিডিও ধারণ করে সংরক্ষণ ও প্রচার করার ব্যবস্থা করছে। এর মাধ্যমে তারা সমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার মাধ্যমে দেশে সার্বভৌমত্ব বিপন্নের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।



এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা সশস্ত্র জিহাদের মাধ্যমে শরিয়াভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য তারা আল কায়দার আদর্শ নীতি ও কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করে।



উল্লেখ্য, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীসহ ৩১ জন গত ১২ আগস্ট বরগুনা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত শনিবার রাতে মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, সাভার, সেন্ট্রাল রোড ও এলিফেন্ট রোডে অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ এদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে কয়েকটি ল্যাপটপ, জিহাদি বই ও লিফলেট জব্দ করা হয়। সুত্র

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

কােয়স বলেছেন: হয়তো নাস্তিক রেবদের ইসলাম বিরোধী সড়যন্ত্র :D :D :D

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

সাদা রং- বলেছেন: ভয়াবহ ব্যাপার।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১১

মুশশাররাফ হোসেন সৈকত বলেছেন: এই কুলাঙ্গারগুলোর মধ্যে জুন্নুন শিকদারটা জামিনে বাইর হয়ে আবার নিখোজ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.