নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
কদিন আগে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু তার এক আলোচনায় বলেছেন ঘোমটা খুলে ড. মোহাম্মদ ইউনূস রাজনীতিতে আসলেই ভালো হয়। একজন মন্ত্রী হিসেবে ইনুর এই কথাটি শুনতে মধুর শোনায় না, কথাটা একটু ঘুরিয়ে বলতে পারতেন তিনি। সরাসরিই বলে ফেলেছেন। কিন্তু কথাটার মাঝে সত্যতা তো আছেই। কারণ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের রাজনীতিতে অনেক আগেই অভিষেক হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশের মানুষ তাকে রাজনীতিতে কেন জানি ওয়েলকাম করেনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। সে জন্য তিনি রণেভঙ্গ দিয়েছিলেন সে সময়।
এ সরকারের আমলে ব্যক্তিগতভাবে ইউনূস মনে করছেন তিনি হেনস্থা হয়েছেন। তার গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরি কিংবা মালিকানা যা-ই বলি না কেন, সব কিছুই কিছুটা নিয়মনীতির মধ্যে নিয়ে আনতে চাইছিল সরকার। যা ইউনূসের মতো বিশ্বমানের একজন লবিস্টের গায়ে লেগেছে। স্বাভাবিকভাবেই এতে অপমানিত হয়েছেন বলে মনে করেছেন তিনি। খুবই সত্যি কথা যে, নোবেল পুরস্কার পাবার পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক বিশাল পরিচিতি নিয়েই বেড়াচ্ছেন। আরো বড় কথা হলো আজকের দুনিয়ার সবচেয়ে বিশাল শক্তিটির একজন ধামাধরা লোক হিসেবে তার পরিচিতি বিশ্বমানের। সে কারণে তার দৃষ্টিতে তিনি হেনস্থার শিকার হওয়া মানে তাকে অপমান করা। সে জন্যই হয়তো ড. ইউনূস খেপেছেন আওয়ামী লীগের ওপর কিংবা সরকারের ওপর।
দুই. একটা সরকার যখন দেশে স্বেচ্ছাচারী হয়ে যায় কিংবা অগণতান্ত্রিক পথে হত্যা-নির্যাতন চালায় কিংবা ফ্যাসিবাদী প্রক্রিয়ায় অরাজকতা সৃষ্টি করে দেশ ও জাতিকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়, তখন জাতির বিবেক জেগে উঠতেই পারে। এবং তা ওঠাই স্বাভাবিক। যুগে যুগে তা হয়েছেও । নাৎসিদের স্বেচ্ছাচারিতায় কিংবা হিটলারের নৃশংসতায় এমনকি বার্ট্রান্ড রাসেলের মতো বিশ্বসেরা মানুষটি জেগে উঠেছিলেন এবং আজকের বিশ্বেও সে জেগে ওঠাটা কোনো সমালোচনা নিয়ে আসেনি বরং যুদ্ধবিরোধী শান্তির জন্য আন্দোলনকারী হিসেবে এই নোবেল বিজয়ী রাসেল মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন। মানবতাকে বাঁচাতে গিয়ে রাসেল পথ দেখাতে চেয়েছিলেন তার প্রতিবাদ দিয়ে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনেও সে সময়ের হাজারো শিক্ষক সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদে নেমেছিলেন। ইতিহাসের অনিবার্যতা হলো স্বাধীনতার এই আন্দোলন বাঙালি জাতির জন্য বড়ই প্রয়োজন ছিল সে সময়। প্রশ্ন আসতেই পারে এখনকার বাংলাদেশ কি এই অবস্থায় চলে গেছে? অন্তত একজন নোবেল বিজয়ীকে তার আন্তর্জাতিক তকমা নিয়ে কিংবা ক্লিনটন-হিলারিদের আশীর্বাদ নিয়ে বাংলাদেশের মাঠে তিনি বলে বেড়াবেন দেশকে উদ্ধার করতে হবে। এ অবস্থায় কি চলে গেছে দেশ? ড. মোহাম্মদ ইউনূসের অতীত রাজনীতির নয়। এমনকি সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠারও নয়। আজো তিনি সামজিক ন্যায়বিচার-সাম্য কিংবা শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলছেন না। তিনি বলছেন সামাজিক বাণিজ্যের কথা। সামাজিক বাণিজ্যের সেøাগান নিয়ে তিনি দেশ থেকে দেশান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনটা এতোই প্রকট যে, শোষণের প্রক্রিয়াকে যারাই ত্বরান্বিত করতে একটা দেশকে শোষণমুক্তির স্বপ্ন দেখায়, তাদের পশ্চিমা বিশ্ব আদর করে। সে জন্য পশ্চিমা বিশ্বের কাছে মোহাম্মদ ইউনূস একটি উচ্চারিত নাম।
গ্রামীণওয়ালারা একটা কথা বলেন প্রায়ই। বাংলাদেশের আশি হাজার গ্রামে তারা তাদের শাখা ছড়িয়েছেন। তারা নারীদের কর্মক্ষেত্রে এনেছেন। তাদের জন্য দ্বার খুলে দিয়েছেন। এটা নিছক গল্প নয়। স্বীকার করতেই হবে। কিন্তু এ প্রশ্নও থেকে যায়। জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে কিংবা শোষণ মুক্তির পথে তার এ গ্রামীণ ব্যাংক কতোটাই পথ প্রদর্শকের কাজ করেছে? দিন যতোই যাচ্ছে, বাংলাদেশ কিন্তু ক্রমেই একটা আয়ের দেশের দিকে পা বাড়াচ্ছে। এখানে বাণিজ্য প্রসারিত হচ্ছে। বিদেশীরা বিভিন্নভাবে আকৃষ্ট হচ্ছে। এখানে গার্মেন্ট সেক্টরও একটা বিশাল ইন্ডাস্ট্রি। প্রায় দশ লাখ নারী এই সেক্টরে কাজ করে। কিন্তু আমরা কথা বলতে পারি এই সেক্টর নিয়ে। এখানকার হতাশা-শোষণ নিয়ে মালিকদের বিরুদ্ধে দেন-দরবার চলে। গ্রামীণ ব্যাংক অন্যান্য বাণিজ্যের মতোই একটা ক্ষেত্র, এটা দেবালয় নয়। এখান থেকে সেবা হয় না। বাণিজ্য হয়। বাণিজ্যের প্রয়োজনেই হাজারো লাখো নারী তার এই ব্যবসার হাতিয়ার। এখানেও লাখো নারী শ্রম দেয়। আর সে জন্যই প্রশ্ন করা যায় এই শ্রমের ফসল কতোটা ওঠে তাদের গোলায় আর কতোটা যায় চাকচিক্যময় কর্পোরেট বাণিজ্য বিস্তারে।
তিন. একজন ব্যবসায়ীকে আমরা একজন ব্যবসায়ী হিসেবেই দেখতে চাইবো। গরিব-নিঃস্ব মানুষদের ঘিরে দেশে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে দেখতে চাইবো আমরা ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে। বাংলাদেশে অনেক কর্পোরেট ব্যবসায়ীর মতো তিনিও রাজনীতিতে আসলে রাজনীতির আকাশে আরেকজন ব্যবসায়িক রাজনীতিবিদের আগমন হবে, এটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদীদের মিশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবারতন্ত্র বিদায় করার সেøাগান কি জনগণ মেনে নেবে? কারণ যেখানে তিনি নিজেই একটা গ্রামীণ ব্যাংককে আঁকড়ে ধরতে সারা বিশ্বের মুরুব্বিদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন, ‘নিজতন্ত্র’কে টিকিয়ে রাখতে আদালত-বিদেশ দৌড়াদৌড়ি করছেন, সেখানে তার পরিবারতন্ত্র উচ্ছেদের কথাগুলো স্ববিরোধী এবং অনৈতিকই বলতে হয়।
পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে হয়তো পরিবারতান্ত্রিকতা নেই। কিন্তু এক ধরনের রাজনৈতিক অভিজাততন্ত্রের পতন ঘটাতে পারেনি কেউই। আমেরিকায় ক্লিনটন কিংবা বুশ ডেস্টিনি এখনো ভেঙে যায়নি। এই তো গত চার বছর আগে এমনকি লেবার পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। ভারতে গান্ধী, পাকিস্তানে ভুট্টো, শ্রীলঙ্কার কুমারাতুঙ্গা এভাবেই পাশের দেশগুলোতেও পরিবারতন্ত্র জেঁকে বসে আছে। সুতরাং রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র ভেঙে দেয়া খুব সহজ ব্যাপার নয়। তবে হাঁ, একথা আমরা অস্বীকার করি না, নতুন নেতৃত্ব রাজনীতিতে খুবই প্রয়োজন। দেশ কিংবা জাতির অগ্রযাত্রায় এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডায়নামিক নেতৃত্ব প্রয়োজন। এ নেতৃত্বের একজন হিসেবে ড. ইউনূস নিজেকে ভাবতে পারেন হয়তো। এবং রাজনীতির মাঠেও নামতে পারেন। তবে তাঁকে নতুন কিছু নিয়েই নামতে হবে। আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টির আদলে নিজের পার্টিকে রূপ দিয়ে শুধুমাত্র সরকারের সমালোচনা করেই কি একটা পার্টির আত্মপ্রকাশ করা যেতে পারে? সাম্রাজ্যবাদী কিংবা নয়া উপনিবেশবাদীদের প্রেসক্রিপশনের ওষুধ কি জনগণ হজম করবে আমাদের বাংলাদেশে হঠাৎ করে? জনাব ইউনূসের অতীত কিন্তু ছাত্র-জনতার পক্ষের উচ্চারণ নয়। যখন এরশাদ তার স্বেচ্ছাচারিতায় ট্রাকের নিচে ছাত্র পিষ্ট করেছিলেন, খালেদা জিয়ার জোট সরকার যখন সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করছিল। হত্যা-ধর্ষণ-লুণ্ঠনে মেতে উঠেছিল হাওয়া ভবনের অনুসারীরা সারা বাংলাদেশে, কিংবা বাংলাদেশের জেলায় জেলায় বোমা বোমায় প্রকম্পিত হচ্ছিল বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার জনপদ, আদালতে যখন নিহত হচ্ছিলেন তরুণ সৎ আর মেধাবী বিচারকরা, ২১ আগস্ট যখন গ্রেনেড হামলা হয়েছিল, আহসানউল্লাহ মাস্টার, এস এ এম এস কিবরিয়ারা যখন নিহত হয়েছিলেন, তখন মোহাম্মদ ইউনূসের উচ্চারণ ছিল নিষ্প্রভ। মানবতার কথা বলতেই পারেন তিনি। মানুষই মানবতার কথা বলে। কিন্তু বিশেষ মুহূর্তে হঠাৎ কিছু বললে জনশঙ্কা বেড়ে যায়।
চার. ড. ইউনূসের পার্টিতে (যদি সত্যি সত্যি গঠিত হয়) নতুন কি-ই পাবে দেশের মানুষ, তা-তো দেখিয়ে দিতে হবে। আওয়ামী লীগ কিংবা সরকারের সমালোচনার জন্য বিরোধী দলগুলো আছে। বিএনপি-জাতীয় পার্টি-জামাত তো আছেই। শুধু ক্ষমতায় যাবার জন্য গতানুগতিক কথা বলার জন্য এ দলগুলোই যথেষ্ট। মানুষের মৌলিক দাবিগুলো পাশ কাটিয়ে শুধু মাত্র আওয়ামী লীগ বিরোধিতার জন্য নতুন দল করে কেউ কি আগাতে পারবে? অতীত ইতিহাস তা বলে না। ঠিক নির্বাচনের মাত্র কমাস আগে মোহাম্মদ ইউনূসের নতুন দল করার প্রপাগান্ডায় একটা গ্রুপ তৎপর হয়ে উঠেছে। এবং সবকজনই দেখা যাচ্ছে ছিটকে পড়া বড় বড় দলগুলোর মাঝারি সব নেতারা। আবার দুএকজন দাপুটে রাজনীবিদও আছেন। এসব রাজনীতিবিদের কতিপয় নেতার একটা ভালো ইমেজ আছে, তা বলতেই হয়। মাহমুদুর রহমান মান্না, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর কিংবা তাদের মতো অনেক নেতারই একটা অবস্থান আছে বিশেষত তরুণদের মাঝে। ড. কামাল, বি চৌধুরীদের একটা জাতীয় প্রভাব আছে ঠিকই। কিন্তু রাজনীতির মূলধারা থেকে ছিটকে পড়ে এরা দশকের পর দশক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় থেকেও জনগণের মাঝে কোনোই প্রভাব ফেলতে পারেননি। অন্যদিকে তাদের আমেরিকা ঘরানার মানুষ হিসেবেও একটা পরিচিতি আছে।
সাম্রাজ্যবাদী ম“পুষ্ট এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে মৌলবাদের ছায়ায় পরিবেষ্টিত কাদের সিদ্দিকী কিংবা আ স ম আব্দুর রবদের মতো রাজনীতিতে দোদুল্যমান চরিত্র নিয়ে যদি নির্বাচনের জন্য রাজনীতির জোট সৃষ্টি করা হয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বে, তাতে জনগণের ধারে-কাছে যাওয়া কতোটুকু সম্ভব হবে? বরং মান্না-সুলতানরা স্বাধীনভাবে ভোটের রাজনীতিতে হয়তো অন্য প্রভাব রাখতে পারবেন। কারণ দলীয় ক্ষোভের কারণে অনেক কর্মীই হয়তো তাদের ভোট দিয়ে দিতে পারেন, দলীয় রাজনীতিতে মেরুকরণ সৃষ্টির প্রয়োজনে। কিন্তু ড. ইউনূসের রাজনৈতিক জোট একটা আদর্শ নিয়েই কাজ করবে এবং কোনো না কোনোভাবে এই জোট যে বিদেশী স্বার্থই দেখভাল করবে, তা জনগণকে বক্তৃতায় বুঝিয়ে দিতে হবে না, এটা জনগণই বুঝে নেবে। সুতরাং প্রভাবশালী ছাত্রনেতারা যদি এই সাম্রাজ্যবাদ ঘেরা মানুষগুলোর দিকে ঝুঁকেন, তাহলে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে আরো একটা ধস হয়তো আসতেই পারে।
পাঁচ. মানুষ পরিবর্তনে বিশ্বাসী। বিবর্তন-পরিবর্তন বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিরই আরেক ধারা। এই ধারায় বাংলাদেশকে কেউ না কেউ এগিয়ে নিয়ে যাবে। অগ্রগতির ধারা রুদ্ধ করে রাখা কঠিন। কূপম-ূকতার শৃঙ্খল ভেদ করে নতুনরা পথ দেখাবেই। নোবেল বিজয়ী বার্ট্রান্ড রাসেলরা পথ দেখিয়েছিলেন, এমনকি জনগণের কথা বলতে গিয়ে কারারুদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। জনতার কাতারে দাঁড়িয়েই নেতৃত্বকে নতুন পথের দিশা দিয়েছেন রাসেল। আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই আমাদের নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এভাবেই জনতার হয়ে কথা বলবেন। দেশ শাসক হবার স্বপ্ন নিয়ে জনগণের বিপরীতে দাঁড়াবেন না তিনি। সুত্র
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০
তারিন রহমান বলেছেন: প্রকৌশলী রিয়াদ হাসান চৌধুরী বলেছেন: আমেরিকার এজেন্ট। যা-ই করবে আমেরিকার স্বার্থেই করবে। এক বিন্দু বিশ্বাস করা যায় না ইউনুস সাহেবকে।
সহমত।
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫
ভোরের সূর্য বলেছেন: খুব হাসি পায় এইসব কথা শুনে। ডঃইউনুস আমেরিকার এজেন্ট তাই না? আচ্ছা আমেরিকা সত্যি যদি কিছু চায় তাহলে পৃথিবীর কারো ক্ষমতা আছে সেটা না দেয়ার।ইরাক,লিবিয়া পর্যন্ত ওরা খেয়ে ফেলছে আর আমরা তো কোন ছার।
কিছুদিন থেকেই ইউনুস কে নিয়ে কথা শুরু হয়েছে। আমরা বলাবলি করছি উনি বিএনপির লোক।ইদানিং ডঃ ইউনুসের বিষয়ে বিভিন্ন লেখা পড়ে একটা চু্টকি মনে পড়ে গেলো।বাইরের কোন এক দেশের জেলখানা।সেখানে বিভিন্ন দেশের কয়েদির সাথে বাংলাদেশের কয়েদিরাও আছে।একদিন এক বড় কর্মকর্তা জেলখানা পরিদর্শনে আসলেন।এক সময় ঘুরতে ঘুরতে বাংলাদেশী কয়েদিরা যেখানে থাকে সেখানে এসে দেখলেন যে,সব দেশের কয়েদিদের রুমের সামনে প্রহরী আছে কিন্তু বাংলাদেশের কয়েদিদের রুমের সামনে কোন প্রহরী নাই,তখন সেই বড় কর্তা জেলার কে এর কারন জানতে চাইলেন।জেলার উত্তর দিলেন যে স্যার এরা পালাতে পারবেনা।বড় কর্তা বল্লেন কেন? জেলার বল্লেন এরা কেউ একজন যদি দেয়াল টপকিয়ে পালাতে যায় তাহলে বাকি বাংলাদেশী কয়েদিরা তাকে টেনে নামিয়ে ফেলবে।
আজকে যদি আওয়ামিলীগের কেউ ওনার সাথে দেখা করেন তাহলে আমরা বলব যে ওনার সাথে লীগের আতাত হয়ে গেছে।উনি নিজে যেচে কোথাও যান নি।সবাই ওনার কাছে গেছেন।আওয়ামিলীগের কেউ গেলেও উনি দেখা করবেন।আমরা দেশের সাধারণ জনগণ যা চাই সেটা বিএনপির কথার সাথে মিলে যাওয়া মানে বিএনপি হয়ে যাওয়া নয়।৫টা সিটিতে বিএনপি জয়লাভ করেছে তার মানে এই না যে সবাই বিএনপি কে চায়।আমরা কেউ হয়তো ভাল না কিনতু ইউনুসের সাথে তুলানা করলে দুই নেত্রির সাথে আকাশ পাতাল তফাৎ।
আমরা সম্মানি মানুষকে সম্মান দিতে জানিনা।নোবল প্রাইজ মুখের কথা না।নোবেল প্রাইজ নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে।কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করুন বিতর্কিত নোবল প্রাইজও কিন্তু উন্নত বিশ্ব থেকে পায়,সেখানে ইউনুস তৃতীয় বিশ্বের লোক হয়েও পেয়ছেন।কিছুনা কিছু গুনাগুন তো অবশ্যই তার আছে। না হলে তো সব দেশের প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীরা টাকা আর ক্ষমতার জোরেই নোবেল প্রাইজ কিনতে পারতো। আর যদি এটাই মনে হয় যে উন্নত বিশ্বের তাবেদারি করেই উনি নোবল প্রাইজ পেয়েছেন তাহলে তো আরো ভাল কথা।আমরা এটাকেই কাজে লাগাই।ওনার মাধ্যমে উন্নত দেশগুলো থেকে সাহায্য সহযোগীতা সুবিধা বের করে নিয়ে আসি আমাদের দেশের জন্য।চাই কি পদ্মা সেতুর জন্যও অনুরোধ করতে পারি ওনার মাধ্যমে।বিদেশী বিনিয়গ আনতে পারি,কোটা মুক্ত শুল্ক সুবিধা আদায় করতে পারি।এভাবেই তো আমরা ওনাকে কাজে লাগাতে পারি। আসলে আমরা কারো ভাল দেখতে বা সহ্য করতে পারিনা। উনি নোবেল পাওয়া থেকে শুরু করে কেউ কিছু বলেনি।সব শুরু হয়েছে গত ২বছর থেকে।উনি এখন খুব খারাপ লোক,লবিং করে নোবেল পেয়েছেন,উনি বিএনপির লোক ইত্যাদি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪
প্রকৌশলী রিয়াদ হাসান চৌধুরী বলেছেন: আমেরিকার এজেন্ট। যা-ই করবে আমেরিকার স্বার্থেই করবে। এক বিন্দু বিশ্বাস করা যায় না ইউনুস সাহেবকে।