নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে পরিচালিত কওমি মাদ্রাসাগুলোয় ধারাবাহিকভাবে জঙ্গি উত্থান ঘটছেই। দেশের কোনও না কোনও স্থানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে মাঝেমধ্যেই ধরা পড়ছে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আলেম ও শিক্ষার্থীরা। এদের প্রত্যেকেই কওমি মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বিচ্ছিন্ন কিছুসংখ্যক মাদ্রাসায় আস্তানা গেড়ে জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছিল। এই দলচ্যুত অংশটির নেতৃত্বেই ১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশে ভয়াবহ জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে। শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই ছাড়াও জঙ্গিদের বাকি অংশটির নেতৃত্বে ছিল কওমিধারা থেকে বিচ্যুত এ আলেমরা। তাদের অনেকে এখনও সক্রিয় বলে নিশ্চিত করেছে কওমি মাদ্রাসার বেশ কয়েকটি দায়িত্বশীল সূত্র। এই জঙ্গি উত্থানের পেছনে বিদেশি শক্তির পরিকল্পনা আছে বলেও দাবি করেছেন কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নেতারা।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, মাদ্রাসার ধর্মভিত্তিক রাজনীতিসংশ্লিষ্ট আলেমদের সঙ্গে ‘ইসলাম প্রতিষ্ঠা’র পথ ও পদ্ধতি নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি করে জিহাদের নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদের দিকে ধাবিত করার চেষ্টা চালায় এই কট্টরপন্থি আলেমরা। এর ফলে তারা মূলধারার মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কৃত। সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন বিইএমের প্রধান নেতা মুফতি জসিম উদ্দীন রাহমানী। তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার শিক্ষক ছিলেন। মাদ্রাসায় ইসলামের মাজহাবগত বিষয়ে কট্টরপন্থা অবলম্বনের দায়ে ২০০৬ সালে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করে।
রাহমানিয়া মাদ্রাসার তত্কালীন শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন আমাদের সময়কে জানান, জসিম উদ্দীনের চিন্তাচেতনা দেওবন্দি আদর্শে লালিত কওমি মাদ্রাসার মূলধারার বাইরে। মাজহাবগত বিষয়ে তিনি কট্টরপন্থি। ফলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করে। এরপর জসিম উদ্দীন ধানমণ্ডি ১৩ নম্বরের হাতেমবাগ মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় তিনি মোহাম্মদপুরের বছিলায় একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
কওমি মাদ্রাসায় জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদী ধ্যানধারণার উদ্ভব হয় ৮০’র দশকের মাঝামাঝি সময়। ওই সময় রাশিয়া কর্তৃক আফগানিস্তান, বসনিয়া, চেচনিয়াসহ বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রে সেনাহস্তক্ষেপের ফলে অসংখ্য মুসলমান নিহত হলে বাংলাদেশ থেকে উত্সাহী কওমি আলেম ও শিক্ষার্থীরা এসব দেশে ‘কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদে’র উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করে। এরপর ওইসব দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে এলে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রচলিত রাষ্ট্রকাঠামোকে চ্যালেঞ্জ করে জিহাদে অংশগ্রহণকারী কওমি আলেমরা। আশির দশকের শেষ দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আফগানযুদ্ধ ফেরত মুজাহিদদের নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামি বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের তালেবান বাহিনীর আদলে বাংলাদেশেও একটি বাহিনী গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয় এই সংগঠনের মাধ্যমে। নিষিদ্ধ এই সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন নামে-উপনামে মাঠে এখনও সক্রিয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী হরকাতুল জিহাদ বর্তমানে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টি (আইডিপি), ইসলামি দাওয়াতি কাফেলা, কখনও ইসলামি গণ-আন্দোলন নামে গোপন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
কওমি শিক্ষার্থীদের ইসলামের প্রতি দুর্বলতার বিষয়টি কাজে লাগিয়ে তাদের দিয়ে ১৯৯৯ সালে যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে, ২০০১ সালের পহেলা বৈশাখ রমনা বটমূলে, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩টি জেলায় সিরিজ বোমাহামলাসহ একের পর এক নাশকতামূলক কার্যক্রম চালিয়েছে এই কট্টরপন্থিরা। এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হয় মুফতি হান্নান, মাওলানা আব্দুস সালাম, মুফতি শেখ ফরিদ, মাওলানা আইনুল হক, মুফতি আবদুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমানসহ আরও অনেকে। কারও কারও শাস্তিও হয়। কওমি মাদ্রাসার বিচ্যুত এ ধারাটি সম্পর্কে ইসলামি বিশেষজ্ঞ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নির্বাহী সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খান আমাদের সময়কে বলেন, আমাদের দেশে জঙ্গিবাদীরা শক্তিশালী নয়। সরকার গ্রেপ্তার করলেও অনেক আগে থেকেই প্রয়াত খতিব মাওলানা উবায়দুল হকের নেতৃত্বে আমরা সারা দেশে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছি। যারা এই ধারাটির সঙ্গে পরিচিত বা সম্পৃক্ত হন, তারা বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না। তাদের সরলতার সুযোগে নেয় ষড়যন্ত্রকারীরা। ইসলাম বিপন্ন হয়েছে এমন ধুয়া তুলে সাধারণ আলেমদের ও শিক্ষার্থীদের দলে ভিড়ায় জঙ্গিরা। এ ব্যাপারে আলেমদের আরও সচেতন হওয়া উচিত্।
কাদের মদদে জঙ্গিবাদের উত্থান— এমন প্রশ্নের উত্তরে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ মুনতাসির আলী বলেন, বিদেশি শক্তির মদদপুষ্ট কিছুসংখ্যক লোক নির্ধারিত কোনও স্বার্থের কারণে ইসলামের নামে কওমি মাদ্রাসার আলেম ও শিক্ষার্থীদের বিপথে ঠেলে দিচ্ছে। এর সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আছে। ফলে কওমি মাদ্রাসা জঙ্গি সম্পৃক্ত নয়, এসব বিপথগামীরা সব সময় কওমি মাদ্রাসায় অবাঞ্ছিত। আমাদের ইসলামি রাজনীতির জগতেও এদের কোনও স্থান নেই। সুত্র
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৭
তারিন রহমান বলেছেন: ধর্মান্ধ বিপথগামী কিছু মাওলানারাই মূলত জঙ্গী উত্থানে জড়িত। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট পর্যালোচনা করলে এটি-ই বের হয়ে আসে।
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪১
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন:
৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮
ডাক্তার আমি বলেছেন: মুশে হক বলেছেন: অবিলম্বে সকল কওমি মাদ্রাসা সরকারি নিয়ন্ত্রনে এনে জাতীয় কারিকুলামের অধীনে শিক্ষাদান চালু করতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:০৮
মুশে হক বলেছেন: অবিলম্বে সকল কওমি মাদ্রাসা সরকারি নিয়ন্ত্রনে এনে জাতীয় কারিকুলামের অধীনে শিক্ষাদান চালু করতে হবে।