নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে আলেমসমাজের ভূমিকা

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৬:৩১



'দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ' এ বাণী অনুধাবন করে স্বদেশপ্রীতির প্রেরণায় কত মানুষ যে যুগে যুগে কত স্বার্থ ত্যাগ করেছে, তার হিসেব নেই। প্রকৃত দেশপ্রেমিক দেশ ও জাতির জন্য প্রাণ দেওয়াকে অবশ্য কর্তব্য বলে মনে করে। দীর্ঘ সংগ্রামের পর অনেক রক্তের বিনিময় ১৯৭১ সালে জন্ম নিয়েছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। বিশ্বের মানচিত্রে স্থান পেয়েছে হিজল-তমাল, তরুলতা আর সবুজ-শ্যামলতায় ঘেরা রুপসী বাংলাদেশ।

১৯৭১ সালের যুদ্ধ ছিল জালিম-মজলুমের যুদ্ধ। পাকিস্তানিরা ছিল জালেম। এ দেশের নিরীহ মানুষ ছিল মজলুম। মজলুমকে সাহায্য করা বিবেকের দাবি। বহু আলেম এদেশের মুক্তিকামী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছেন। পাকিস্তানিদের জুলুমের প্রতিবাদ জানিয়েছেন, ময়দানে যুদ্ধ করেছেন, কাজ করেছেন সংগঠক হিসেবে। বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম ও বুজুর্গ হজরত মাওলানা মুহম্মাদুল্লাহ্ হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সে সময় পরিষ্কার বলেছিলেন, 'এ যুদ্ধ ইসলাম আর কুফরের যুদ্ধ নয়, এটা জালেম আর মজলুমের যুদ্ধ, পাকিস্তানিরা জালেম'। (বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও উলামায়ে কেরাম, সৈয়দ মবনু)।

মাওলানা ইমদাদুল হক আড়াইহাজারী, আড়াইহাজার থানা কমান্ডার শামছুল হক (সাবেক এমপি) এর অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমি লালবাগ মাদ্রাসার ছাত্র। যুদ্ধ শুরু হলে মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে যায়। আমি হাফেজ্জী হুজুরকে জিজ্ঞেস করলাম, এ যুদ্ধে আমাদের ভূমিকা কী হবে? হুজুর বললেন, অবশ্যই জালেমদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। তাঁর এ কথায় আমি পাকিস্তানিদের জুলুমের প্রতিবাদের প্রেরণা পাই এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি।

পাকিস্তান পিপলস্ পার্টির নেতা, তারেক ওয়াহিদ বাট তার 'নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়ার্ডার ইসলাম আওর পাকিস্তান' গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, পাকিস্তান জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মুফতি মাহমুদ সাহেবের বক্তব্য সব সময় বাঙালি মুসলমানদের পক্ষে ছিল। ফলে সে সময় জামায়াতে ইসলামী ও পিপলস পার্টি মিলে মুফতি মাহমুদের পেশওয়ারস্থ অফিসে আক্রমণ করে। লেখকের এ কথার সত্যতা পাওয়া যায় সিলেটের জকিগঞ্জের মাওলানা আব্দুস সালামের কথায়। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমি করাচি ইউসুফ বিননুরী মাদ্রাসার ছাত্র। একদিন মুফতি মাহমুদ সাহেব মাদ্রাসায় এলে তাঁকে এক নেতা শেখ মুজিব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, 'গাদ্দারকে তো গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁকে কি এখনো হত্যা করা হয়নি? এ কথা শুনে মুফতি মাহমুদ সাহেব অত্যন্ত রাগান্বিত হয়ে বললেন, গাদ্দার কে? গাদ্দার কে? মুজিব গাদ্দার নয়, তিনি একজন সুন্নি মুসলমান। প্রত্যেক মুসলমানের জানমালের হেফাজত করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য অপরিহার্য।

মুফতি মাহমুদ (রহ.) ১৩ মার্চ এক বক্তব্যে স্পষ্ট ভাষায় ইয়াহইয়া-ভূট্টোর নীতিকে ভুল আখ্যা দিয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধান হিসেবে শেখ মুজিবকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানানো প্রেসিডেন্টের অবশ্যই কর্তব্য। (কাইদে জমিয়ত মুফতি মাহমুদ, আশফাক হাশেমী/সাপ্তাহিক কওমী ডাইজেস্ট, মুফতি মাহমুদ, পাকিস্তান)।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে এ দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণে অনেক আলেম কাজ করেছেন। তাঁদের মধ্যে শাহখুল হাদিস মাওলানা কাজী মু'তাসিম বিল্লাহ (রহ.) প্রিন্সিপাল, মালিবাগ মাদ্রাসা, ঢাকা, শায়খুল হাদিস মরহুম তাজাম্মুল আলী সিলেট, মাওলানা আবুল হাসান যশোরী (রহ.), ময়মনসিংহের মরহুম মাওলানা আরিফ রাব্বানী, বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক মাওলানা ফরিদউদ্দীন মাসউদ, ঢাকা, মুফতি নুরুল্লাহ, বি-বাড়িয়া, মরহুম মাওলানা শামসুদ্দীন কাসেমী, ঢাকাসহ প্রমুখ আলেমের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁদের মধ্যে শায়খুল হাদিস কাজী মু'তাসিম বিল্লাহ্‌র ভূমিকা ছিল অনেক বেশি। মাওলানা কাজী মু'তাসিম বিল্লাহর ভূমিকায় খুশি হয়ে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি রওশন আলী তাঁকে প্রশংসাপত্র ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদ প্রদান করেছিলেন।

বিগত ৩০ ডিসেম্বর ২০০৫ তারিখে একটি জাতীয় দৈনিকে লেখক মুহাম্মদ ফায়জুল হক 'স্বাধীন বাংলা বেতারে আলেম মুক্তিযোদ্ধা' শিরোনামে লেখাতে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিত নিরীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতা স্বাধীন বেতার কেন্দ্রে মুক্তিযোদ্ধা আলেম মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদি, মাওলানা খায়রুল ইসলাম যশোরী ও মাওলানা ওবায়দুল্লাহ্ বিন সাঈদ জালালাবাদী ইসলামের দৃষ্টিতে অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন এবং মানুষকে ইসলামের আলোকে মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করতেন।

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবিসংবাদিত মুসলিম নেতা, প্রখ্যাত আলেম আওলাদে রাসুল সাইয়্যেদ আসয়াদ মাদানি (রহ.)-এর ভূমিকা অবিস্মরণীয়, পাকিস্তান বাহিনী এ দেশের নিরীহ মানুষের ওপর বর্বরোচিত হামলা করলে তিনি তাৎক্ষণিক জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের মিটিং আহ্বান করে তার তীব্র নিন্দা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে তাঁর জোরালো বক্তব্য পেশ করেছিলেন। তারপর পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করলে তিনি তার প্রতিবাদে কয়েক লাখ লোক নিয়ে দিল্লিতে মিছিল করে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবি জানিয়েছিলেন। এ ধরনের বহু আলেম নিঃসন্দেহে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমরা তাঁদের সঠিক ইতিহাস জানি না । আমাদের ধারণা, তাঁরা সবাই স্বাধীনতাবিরোধী। আলেমসমাজও এর প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন না | দেশে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ভাষা দিবস ইত্যাদি পালন করা হয়। কিন্তু এসব দিবসে সাধারণত আলেমসমাজ তেমন গুরুত্ব দেয় না। অথচ যদি আলেমসমাজ এসব জাতীয় দিবসগুলো ইসলামী ভাবধারায় তাঁদের মতো করে পালন করতেন। সেসব দিবসে তাঁরা যদি আলোচনা সভা, সেমিনার, দোয়া মাহফিলের আয়োজন করতেন, তাহলে সাধারণের সঙ্গে তাদের সেতুবন্ধন তৈরি হতো। আমাদের মনে হয়, বিষয়টা আলেমসমাজের গভীরভাবে ভেবে দেখা প্রয়োজন। মুক্তিযোদ্ধা আলেমদের সঠিক ইতিহাস রচিত হোক, আলেমরা হোন সবার শ্রদ্ধাভাজন, এটাই আমাদের একান্ত প্রত্যাশা |'দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ' এ বাণী অনুধাবন করে স্বদেশপ্রীতির প্রেরণায় কত মানুষ যে যুগে যুগে কত স্বার্থ ত্যাগ করেছে, তার হিসেব নেই। প্রকৃত দেশপ্রেমিক দেশ ও জাতির জন্য প্রাণ দেওয়াকে অবশ্য কর্তব্য বলে মনে করে। দীর্ঘ সংগ্রামের পর অনেক রক্তের বিনিময় ১৯৭১ সালে জন্ম নিয়েছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। বিশ্বের মানচিত্রে স্থান পেয়েছে হিজল-তমাল, তরুলতা আর সবুজ-শ্যামলতায় ঘেরা রুপসী বাংলাদেশ।

১৯৭১ সালের যুদ্ধ ছিল জালিম-মজলুমের যুদ্ধ। পাকিস্তানিরা ছিল জালেম। এ দেশের নিরীহ মানুষ ছিল মজলুম। মজলুমকে সাহায্য করা বিবেকের দাবি। বহু আলেম এদেশের মুক্তিকামী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছেন। পাকিস্তানিদের জুলুমের প্রতিবাদ জানিয়েছেন, ময়দানে যুদ্ধ করেছেন, কাজ করেছেন সংগঠক হিসেবে। বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম ও বুজুর্গ হজরত মাওলানা মুহম্মাদুল্লাহ্ হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সে সময় পরিষ্কার বলেছিলেন, 'এ যুদ্ধ ইসলাম আর কুফরের যুদ্ধ নয়, এটা জালেম আর মজলুমের যুদ্ধ, পাকিস্তানিরা জালেম'। (বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও উলামায়ে কেরাম, সৈয়দ মবনু)।

মাওলানা ইমদাদুল হক আড়াইহাজারী, আড়াইহাজার থানা কমান্ডার শামছুল হক (সাবেক এমপি) এর অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমি লালবাগ মাদ্রাসার ছাত্র। যুদ্ধ শুরু হলে মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে যায়। আমি হাফেজ্জী হুজুরকে জিজ্ঞেস করলাম, এ যুদ্ধে আমাদের ভূমিকা কী হবে? হুজুর বললেন, অবশ্যই জালেমদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। তাঁর এ কথায় আমি পাকিস্তানিদের জুলুমের প্রতিবাদের প্রেরণা পাই এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি।

পাকিস্তান পিপলস্ পার্টির নেতা, তারেক ওয়াহিদ বাট তার 'নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়ার্ডার ইসলাম আওর পাকিস্তান' গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, পাকিস্তান জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মুফতি মাহমুদ সাহেবের বক্তব্য সব সময় বাঙালি মুসলমানদের পক্ষে ছিল। ফলে সে সময় জামায়াতে ইসলামী ও পিপলস পার্টি মিলে মুফতি মাহমুদের পেশওয়ারস্থ অফিসে আক্রমণ করে। লেখকের এ কথার সত্যতা পাওয়া যায় সিলেটের জকিগঞ্জের মাওলানা আব্দুস সালামের কথায়। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমি করাচি ইউসুফ বিননুরী মাদ্রাসার ছাত্র। একদিন মুফতি মাহমুদ সাহেব মাদ্রাসায় এলে তাঁকে এক নেতা শেখ মুজিব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, 'গাদ্দারকে তো গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁকে কি এখনো হত্যা করা হয়নি? এ কথা শুনে মুফতি মাহমুদ সাহেব অত্যন্ত রাগান্বিত হয়ে বললেন, গাদ্দার কে? গাদ্দার কে? মুজিব গাদ্দার নয়, তিনি একজন সুন্নি মুসলমান। প্রত্যেক মুসলমানের জানমালের হেফাজত করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য অপরিহার্য।

মুফতি মাহমুদ (রহ.) ১৩ মার্চ এক বক্তব্যে স্পষ্ট ভাষায় ইয়াহইয়া-ভূট্টোর নীতিকে ভুল আখ্যা দিয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধান হিসেবে শেখ মুজিবকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানানো প্রেসিডেন্টের অবশ্যই কর্তব্য। (কাইদে জমিয়ত মুফতি মাহমুদ, আশফাক হাশেমী/সাপ্তাহিক কওমী ডাইজেস্ট, মুফতি মাহমুদ, পাকিস্তান)।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে এ দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণে অনেক আলেম কাজ করেছেন। তাঁদের মধ্যে শাহখুল হাদিস মাওলানা কাজী মু'তাসিম বিল্লাহ (রহ.) প্রিন্সিপাল, মালিবাগ মাদ্রাসা, ঢাকা, শায়খুল হাদিস মরহুম তাজাম্মুল আলী সিলেট, মাওলানা আবুল হাসান যশোরী (রহ.), ময়মনসিংহের মরহুম মাওলানা আরিফ রাব্বানী, বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক মাওলানা ফরিদউদ্দীন মাসউদ, ঢাকা, মুফতি নুরুল্লাহ, বি-বাড়িয়া, মরহুম মাওলানা শামসুদ্দীন কাসেমী, ঢাকাসহ প্রমুখ আলেমের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁদের মধ্যে শায়খুল হাদিস কাজী মু'তাসিম বিল্লাহ্‌র ভূমিকা ছিল অনেক বেশি। মাওলানা কাজী মু'তাসিম বিল্লাহর ভূমিকায় খুশি হয়ে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি রওশন আলী তাঁকে প্রশংসাপত্র ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদ প্রদান করেছিলেন।

বিগত ৩০ ডিসেম্বর ২০০৫ তারিখে একটি জাতীয় দৈনিকে লেখক মুহাম্মদ ফায়জুল হক 'স্বাধীন বাংলা বেতারে আলেম মুক্তিযোদ্ধা' শিরোনামে লেখাতে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিত নিরীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতা স্বাধীন বেতার কেন্দ্রে মুক্তিযোদ্ধা আলেম মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদি, মাওলানা খায়রুল ইসলাম যশোরী ও মাওলানা ওবায়দুল্লাহ্ বিন সাঈদ জালালাবাদী ইসলামের দৃষ্টিতে অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন এবং মানুষকে ইসলামের আলোকে মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করতেন।

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবিসংবাদিত মুসলিম নেতা, প্রখ্যাত আলেম আওলাদে রাসুল সাইয়্যেদ আসয়াদ মাদানি (রহ.)-এর ভূমিকা অবিস্মরণীয়, পাকিস্তান বাহিনী এ দেশের নিরীহ মানুষের ওপর বর্বরোচিত হামলা করলে তিনি তাৎক্ষণিক জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের মিটিং আহ্বান করে তার তীব্র নিন্দা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে তাঁর জোরালো বক্তব্য পেশ করেছিলেন। তারপর পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করলে তিনি তার প্রতিবাদে কয়েক লাখ লোক নিয়ে দিল্লিতে মিছিল করে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবি জানিয়েছিলেন। এ ধরনের বহু আলেম নিঃসন্দেহে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমরা তাঁদের সঠিক ইতিহাস জানি না । আমাদের ধারণা, তাঁরা সবাই স্বাধীনতাবিরোধী। আলেমসমাজও এর প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন না | দেশে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ভাষা দিবস ইত্যাদি পালন করা হয়। কিন্তু এসব দিবসে সাধারণত আলেমসমাজ তেমন গুরুত্ব দেয় না। অথচ যদি আলেমসমাজ এসব জাতীয় দিবসগুলো ইসলামী ভাবধারায় তাঁদের মতো করে পালন করতেন। সেসব দিবসে তাঁরা যদি আলোচনা সভা, সেমিনার, দোয়া মাহফিলের আয়োজন করতেন, তাহলে সাধারণের সঙ্গে তাদের সেতুবন্ধন তৈরি হতো। আমাদের মনে হয়, বিষয়টা আলেমসমাজের গভীরভাবে ভেবে দেখা প্রয়োজন। মুক্তিযোদ্ধা আলেমদের সঠিক ইতিহাস রচিত হোক, আলেমরা হোন সবার শ্রদ্ধাভাজন, এটাই আমাদের একান্ত প্রত্যাশা |

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:২৩

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:১৭

তালপাতারসেপাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.