নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজ কপাল নিয়ে জন্মেছিলেন। কিন্তু হিসেব করলে দেখা যায় সেই কপালে সুখ ছিল না। গোপালগঞ্জের ছাত্রজীবন থেকে আরম্ভ করে ৫৫ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত তার জীবনটা ছিল নানা সংগ্রাম, ত্যাগ আর দুঃখে ভরা। তবুও জীবনের এই অল্প পরিসরে তিনি ইতিহাসের প্রভূত গরিমা লাভ করেছিলেন। তিনি বাংলার মানুষকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। ক্ষণজন্মা পুরুষেরা যখন মানুষকে জাগিয়ে তুলেন তখন ইতিহাসে যুগ প্রবর্তন হয়। শেখ মুজিবও ইতিহাসে যুগের প্রবর্তক। তিনি অমৃতের বরপুত্র। ’৭৫-এর এই আগস্টে হত্যার মাধ্যমে তাকে ইতিহাস থেকে নিঃশেষ করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু শেষ হয়েও হলো না শেষ! ইতিহাসের প্রয়োজনেই ইতিহাস তাকে ফিরিয়ে এনেছে। কারণ মিথ্যা দিয়ে ইতিহাস হয় না।
ফ্রান্স যখন দুর্দশার শেষ সীমানায় পৌঁছেছিল তখন এক কৃষকের মেয়ে, কিশোরী জোয়ান অব আর্ক তার ভগ্ন উদ্যোম দেশের হৃদয়ে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলেছিলেন। তিনি তার জাতিকে বিরাট প্রচেষ্টায় উদ্ধুদ্ধ করে তারই নেতৃত্বে ফ্রান্সের মাটি থেকে ইংরেজকে বিতাড়িত করেছিলেন। আর ১৪৩১ সালে এই জোয়ান অব আর্ককে ফ্রান্সের বৃদ্ধিজীবীরা প্রকাশ্য বাজারে খুঁটিতে বেঁধে পুড়িয়ে মেরেছিল। ২৮ বছর বয়সী আর্ককে হত্যার কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিল প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আর ফ্রান্সের গীর্জার সন্তরা। বাংলার মুজিব আর ফ্রান্সের জোয়ান অব আর্কের কর্ম ও ভাগ্য যেন একই পরিণতিতে সমাপ্ত।
সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যখন হিংসা বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়া হয় তখন সমাজের অবস্থা হয়ে পড়ে টালমাটাল। হিতাহিত জ্ঞান তখন রহিত হয়ে যায়। হিংসায় হিতাহিত জ্ঞান রহিত হয়েছিল বলেই ইহুদি সমাজ মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিল যীশু খৃষ্টের আর মুক্তি চেয়েছিল ডাকাত বারাব্বাস-এর। বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের পরপরই যেন কিছু লোকের হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেয়েছিল। তারা মুজিবকে হত্যার পথ তৈরি করেছিল আর সে পথে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে সুবিধা করে দিয়েছিল। হয়তো আশ্চর্য লাগবে শুনতে, স্বাধীন দেশে প্রথম হিংসা বিদ্বেষের রাজনীতি আরম্ভ করেছিলেন স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি সিরাজুল আলম খান, আ স ম রব, শাহজাহান সিরাজ, মেজর জলিল এবং কর্নেল তাহেররা। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল চীনপন্থী গলাকাটা রাজনীতির বামরা, যারা আবার বাংলাদেশ যখন সাজঘরে তখনই বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা আরম্ভ করেছিল। স্বাধীন দেশে শেখ মুজিবের সরকার প্রতিষ্ঠার ১০ মাসের মাথায়, ১৯৭২ সালের অক্টোবর মাসে সিরাজুল আলম খান গংরা আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠন করেন। তারা দলের চূড়ান্ত লক্ষ্য স্থির করেছিলেন শেখ মুজিব সরকারকে উৎখাত করা আর ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠা করা।
১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে পল্টন ময়দানে জাসদ এক জনসভা করেছিল। সুপরিকল্পিতভাবে সারা দেশ থেকে সেই জনসভায় জাসদের ক্যাডার এনে জড়ো করা হয়েছিল। সভা শেষে তারা মিন্টো রোড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনসুর আলীর সরকারি বাসভবন আক্রমণ করে ৬ জন পুলিশকে হত্যা করেছিল। হত্যার পরে সরকারের চরম প্রতিরোধের মুখে মিন্টো রোড় ছেড়ে চলে যেতেও বাধ্য হয়েছিল তারা।
যদিও বা জাসদের সভাপতি ছিলেন মেজর জলিল এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আ স ম রব কিন্তু নেপথ্য নায়ক ছিলেন সিরাজুল আলম খান। তিনি ছিলেন সবার কথিত ‘দাদা’, দলের তাত্ত্বিক গুরু। সিরাজুল আলম খান খুবই কর্মঠ লোক। ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ গঠনে আর মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর পর তিনি সরকারকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনের কোনও অবকাশ না দিয়ে বিশৃঙ্খলা কেন উস্কিয়ে দিলেন, কার বুদ্ধিতে তিনি দেশকে পর্যুদস্ত করার পরিকল্পনা করেছিলেন তা এখনও ইতিহাসে সঠিকভাবে নির্ধারিত হয়নি।
অবশ্য তার সমসাময়িক নেতৃবৃন্দরা বলেন, সিরাজুল আলম খান নাকি এতোই রহস্যময়, এতোই দুর্বোধ্য যে তার বুদ্ধির শেষ লক্ষ্য কারও পক্ষে নির্ণয় করা সম্ভব হতো না। আমিও তাকে কয়েকবার দেখেছি। নিউইয়র্কের মেট্রো রেলের যাত্রায় একবার আলাপও হয়েছে। তাকে দেখে মনে হয়েছে তার মজ্জার মাঝে একটি ভীষণ নিষ্ঠুরতা রয়েছে। শুনেছি জাসদে তার অবাধ্য লোককে হত্যা করানো তার পক্ষে অসম্ভব ছিল না।
দাদা নাকি এক অদ্ভুত লোক। তার আমলে জগন্নাথ হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা তার নাম দিয়েছিল কুম্ভকর্ণ। কথিত আছে তিনি ঘুমালে একটানা তিন দিন ঘুমাতেন। না ঘুমিয়েও তিন দিন কাটিয়ে দিতে পারতেন। খেলে এক কেজি চালের ভাত খেতেন, না খেয়েও কয়েকদিন থাকতে পারতেন। এটা নাকি কুম্ভকর্ণের স্বভাব ছিল। কার্ল মার্কসের মতো চুল দাড়ি ছিল তার ছাত্রজীবন থেকে। বেশ ধরলেই তাত্ত্বিক হওয়া যায় না। জাসদ নিয়ে তার সব তত্ত্বই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়ায় তাই প্রমাণিত হয়েছে।
সমাজতন্ত্র নিয়ে গত শতাব্দীতে সারা বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করা হয়েছিল। এক শ্রেণির মানুষ মনে করেছিল তারা যেন বিশ্ববাসীর জন্য অমৃতের সন্ধান নিয়ে এসেছেন। কিন্তু জীবনের সমস্যা নিয়ে দর্শন কোনও স্থির বিষয় হতে পারে না। সমস্যা ও সমাধানের রূপ-রঙ প্রতিনিয়ত বদলায়। মার্কসের দর্শন উনবিংশ শতাব্দীর বিষয় ছিল। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে তা প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। ব্যাপক সাড়াও ফেলেছিল। আর শতাব্দী শেষ না হতেই তা দেউলিয়া হয়ে অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ১৯৭০ সাল থেকে যখন এই দর্শনের অকার্যকারিতা শুরু হয়, পশ্চিম ইউরোপের জীবনমান দেখে যখন পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর জনজীবনে অস্থিরতা শুরু হয়, সে সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র কায়েমের জন্য এক শ্রেণির লোক দা-কুঠাল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন।
বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফিরে আসেন। আর ১২ জানুয়ারি তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। আগেই বলেছি, জাসদের জন্ম হলো ৩১ অক্টোবর, অর্থাৎ তার ১০ মাসের মাথায়। জাসদ, ন্যাপ ভাসানী, তোয়াহা, আব্দুল হক, আলাউদ্দিন, আবদুল মতিন, ওহিদুর রহমান, সিরাজ শিকদার, জিয়াউদ্দিনের সর্বহারা পার্টি আর একাত্তরের পরাজিত শক্তির মুসলিম বাংলা- সব মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিরোধ করার পক্ষগুলো একাট্টা হয়ে মাঠে নামে তখন। ’৭৩ সালেই তারা ৬০টি থানা আক্রমন করে। নরসিংদী রেল স্টেশন জ্বালিয়ে দেয়। দুই জন এমপিকে হত্যা করে, তাদের একজনকে হত্যা করে ঈদের জামাতে। পরিকল্পিতভাবে তারা একটার পর একটা পাটের গুদামে আগুন দিতে থাকে। তখন বিদেশি মুদ্রা অর্জনের একমাত্র অবলম্বন ছিল পাট। পাট আর পাটকল ধ্বংস করে দিতে পারলে মুজিব সরকারের অবস্থা এমনিতেই কাহিল হয়ে যাবে। কারণ তখন তো আর প্রবাসীদের রেমিটেন্স ছিল না, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিও ছিল না। তখন পিকিংপন্থী দলগুলোকে অর্থ সাহায্য প্রদান আরম্ভ করে পাকিস্তান।
ফারুক-রশীদ, মোশতাক-জিয়া গংরা বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করেছে সত্য কিন্তু তার পটভূমি তৈরি করেছে এই খলনায়করাই।
জুলফিকার আলী ভুট্টোর জীবনী নিয়ে মার্কিন অধ্যাপক স্ট্যানলী ঔলপার্ট ‘জুলফি ভুট্টো অব পাকিস্তান’ নামে একটি বই লেখেন। ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত ওই বইতে দেখা যায় বাংলাদেশের চীনা বাম এবং গোড়া ইসলামিক দলগুলোর সঙ্গে ভুট্টোর গোপন যোগাযোগ ছিল। তথ্যের স্বপক্ষে স্ট্যানলী ঔলপার্ট ভুট্টোর করাচিস্থ পারিবারিক লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত ভুট্টোকে লেখা কমরেড আব্দুল হকের একটি চিঠিরও উদ্ধৃতি দেন। স্ট্যানলী ঔলপার্ট লিখেছেন:
“Bhutto had been funneling secret 'discretionary’ funds to several anti-Mujib parties during the past two years, and before the end of August, 1975 that investment would pay off handsomely. Orthodox Islamic as well Marxist Communist Bangalis on both wings of the cluttered spectrum of Bangladeshi politics now combined in an opposition chorus to Mujib’s inept, tottering regime. Abdul Huq, General Secretary of Bangladesh’s Marxist-Leninist Communist Party, had written on 16 December, 1974 to 'My dear Prime Minister’ Bhotto with 'much pain and anguish’ to appeal 'for funds, arms and wireless instruments’ to use against the 'puppet Mujib clique…today totally divorced from the people.’ That 'TOP SECRET/MOST IMMEDIATE’ letter reached Zulfi on 16 January, 1975, when he minuted on its margin 'Important,’ authorising 'help’ for this 'honest man,’ whom Bhutto rated as 'fairly effective’.” (Zulfi Bhutto of Pakistan, book by Stanley Wolpert, p.248)।
এর মোটামুটি বাংলা অর্থ দাঁড়ায়, “গত দু'বছর যাবৎ ভুট্টো কয়েকটি মুজিব-বিরোধী দলকে তার গোপন ‘স্বেচ্ছাধীন তহবিল’ থেকে অর্থ-সাহায্য অব্যাহত রেখেছিলেন, যে বিনিয়োগ তাকে ১৯৭৫ এর আগস্ট শেষ হওয়ার আগে ভাল প্রতিদান দেবে। বাংলাদেশের রাজনীতির জনাকীর্ণ বর্ণালীর উভয় দিকে অবস্থানকারী দলগুলির মধ্যে গোড়া ইসলামী ও মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট বাঙালিরা মুজিবের অদক্ষ, নড়বড়ে সরকারের বিরুদ্ধে এই সময় একজোড় হয়ে শোর তুলছে। পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট)-এর জেনারেল সেক্রেটারি আব্দুল হক ‘গভীর বেদনা ও নিদারুণ মানসিক যন্ত্রণা’ প্রকাশ করে ‘প্রিয় প্রধানমন্ত্রী’ ভুট্টোকে ১৯৭৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর লিখিত এক চিঠিতে ‘জনগণ থেকে সম্পূর্ণভাবে সম্পর্কচ্যুত মুজিবের পুতুল-সরকার’ -এর বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ‘তহবিল, অস্ত্রশস্ত্র এবং ওয়্যারলেস’ সরবরাহের আবেদন জানান। উক্ত ‘সর্বোচ্চ গোপনীয় ও অত্যন্ত জরুরি’ চিঠিটি ১৯৭৫ সালের ৬ই জানুয়ারি ভুট্টোর হাতে পৌঁছায়। তিনি চিঠির পাশে ‘জরুরি’ শব্দটি লিখে এই ‘সৎ ব্যক্তি’-কে ‘সাহায্য’ দানের অনুমতি দেন। পত্র লেখককে ভুট্টো ‘মোটামুটি করিৎকর্মা’ বলে গণ্য করেন।” (জুলফি ভুট্টো অব পাকিস্তান, পৃষ্ঠা ২৪৮)।
১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত অর্থাৎ মুজিব সরকারের তিন বছর নয় মাস ১৩ দিন নিজের উপর অবিচল আস্থা রেখে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে তখন একটা নতুন দেশে রাস্তা ঘাটসহ বহু অবকাঠামোগত কাজ করতে হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গঠন করে নতুন মুদ্রা ব্যবস্থা চালু করতে হয়েছে। পুরানো ব্যাংকগুলোকে সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা, পূবালী, উত্তরা নামকরণ করে পুনর্গঠন করতে হয়েছে। প্রশাসন পুনর্বিন্যাস করতে হয়েছে। সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী গঠন করতে হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাইন অপসারণ করে ব্যবহার উপযোগী করতে হয়েছে। বলতে গেলে সব কিছু নতুন করে শুরু করতে হয়েছে।
এটা স্পষ্ট যে একদিকে কাজের বোঝা আর অন্যদিকে ষড়যন্ত্র- দু’টিকে সামাল দেওয়া সহজ বিষয় ছিল না তার জন্য। তিনি বাকশাল গঠন করে দেশকে জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি থেকে বের করে সুশৃঙ্খলার মাঝে নিয়ে আসার যে উদ্যোগ নিয়ে ছিলেন তা সফল হবে ভেবেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র খুব গভীরভাবে সক্রিয় হয়ে ১৫ আগষ্ট তাকে হত্যা করতে সফলকাম হয়েছে। একটা বিজয়ী পিতার, একটা পরাক্রমশালী পিতার অকাল মৃত্যুতে জাতি দরিদ্র হয়েছে। আর যেভাবে তার মৃত্যু হলো তাতে জাতি কলঙ্কিত হয়েছে। সে কলঙ্কে আরও গাঢ় কালো দাগ দিয়েছেন জেনারেল জিয়া, সেই হত্যার বিচার বন্ধ করে।
শেখ মুজিবের শত্রুরা একে একে সবাই লুপ্ত হয়েছে আজ। যারা বেঁচে আছে তারাও পলায়নপর। শেখ মুজিব স্বশরীরে কাছে নেই সত্য কিন্তু তাকে আর তার কৃতিত্বকে লুপ্ত করা সম্ভব হয়নি। বাঙালি জাতি, বাংলাদেশ যতদিন পৃথিবীর বুকে টিকে আছে ততদিন তিনিও বেঁচে থাকবেন।
সুত্র
©somewhere in net ltd.