নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ পর্যন্ত কেক কাটা হলোই

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৫২


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবার আগস্ট মাস শুরু হওয়ার আগেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে কেক কেটে সাড়ম্বরে তার জন্মদিন পালন না করার জন্য। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং বিএনপি থিংকট্যাঙ্ক বলে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদও প্রায় একই ধরনের কথা বলেছিলেন। তাছাড়া দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কিছুটা গুণগত পরিবর্তন প্রত্যাশীরাও আশা করছিলেন এবার ১৫ আগস্টে খালেদা জিয়া হয়তো তার জন্মদিন পালন থেকে বিরত থাকবেন। গণমাধ্যমেও এ নিয়ে নানা ধরনের খবরাখবর ও প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হয়েছে। সব মিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছিল বেগম জিয়া হয়তো এবার ১৫ আগস্টে কেক কাটবেন না, জন্মদিন পালন করবেন না। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য তার দিক থেকে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিনে জন্মদিন পালন না করে উদারতার পরিচয় দেবেন। ১৫ আগস্টের আগে আগে তিনি চোখের চিকিত্সার জন্য লণ্ডন যাবেন বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি শেষ পর্যন্ত লণ্ডন যাননি। কেক কেটে জন্মদিন পালন করা থেকেও বিরত থাকেননি। তবে এবার ১৪ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে কেক না কেটে ১৫ আগস্ট রাত ৯টার দিকে গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গুণমুগ্ধ সমর্থকদের উপস্থিতিতে আলোকসজ্জায় সজ্জিত কক্ষে কেক কেটে ৭০তম জন্মদিন পালন করেছেন বেগম জিয়া। রাজনৈতিক কৌশল ও নীতির প্রশ্নে বিএনপিতে নানা ধরনের বিবাদ-বিসম্বাদের যে খবর শোনা যায় তারই প্রতিফলন লক্ষ্য করা গেছে ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। দল পুনর্গঠনের কথা দীর্ঘদিন থেকে বলা হলেও বাস্তবে তার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। উল্টো কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবেই চারদিক থেকে বিএনপির সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেবল আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা নিয়মিতভাবে বিএনপির দিকে সমালোচনার তীর নিক্ষেপ করছেন তা-ই নয়, দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে সাবেক নেতা ও বিএনপি ঘরানার বিশিষ্টজনরাও বিএনপির দিকে তোপ দাগতে ছাড়ছেন না। আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও। বেগম জিয়ার এবং তারেক রহমান দলীয় নেতৃত্ব থেকে সরে না দাঁড়ালে বিএনপি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না বলে কেউ কেউ ভবিষ্যদ্বানী করছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, বেগম জিয়া নন, নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে হবে সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। তার ভুল ও হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণেই বিএনপি বর্তমানে খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে, যদিও বেগম জিয়ার প্রশ্রয় না পেলে তারেক এত ‘ঔদ্ধত্য’ দেখাতে পারতেন না। তবু যারা বেগম জিয়াকে দলের নেতৃত্বে রাখার পক্ষে তাদের যুক্তি হলো, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তার মৃত্যুর পরও দলের মধ্যে সংকট দেখা দিয়েছিল। তখনও দলের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। দলটি টিকবে কি না সে প্রশ্নও উঠেছিল। কিন্তু জিয়াপত্নী খালেদা জিয়া দলের হাল ধরার পর, বলা যায়, দলটি রক্ষা পেয়ে যায়। শুধু তাই নয়, বেগম জিয়া পরিণত হন বিএনপির ‘ঐক্যের প্রতীক’-এ। এখন বিএনপি আবার বড় বিপর্যয়ের মুখে পৌঁছেছে। এখনো বেগম জিয়াকেই ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দলকে রক্ষা করতে হবে। আর কারো পক্ষে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখা সম্ভব হবে না। বেগম জিয়া যদি দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেন কিংবা রাজনীতি ছেড়ে দেন তাহলে বিএনপির পরিণতি কী হবে, সেটা এক বড় প্রশ্ন হয়ে সামনে আসবে।

অতীতে একাধিকবার বিএনপি ভাঙনের সম্মুখীন হয়েছে। কে এম ওবায়দুর রহমানের মতো ঝানু রাজনীতিবিদ বিএনপি থেকে বেরিয়ে গিয়ে সুবিধা করতে না পেরে আবার বিএনপিতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। একইভাবে এক-এগারোর রাজনৈতিক দুর্যোগের সময় আব্দুল মান্নান ভুইয়ার মতো সত্ ও মেধাবী রাজনীতিবিদ সংস্কারের নামে আলাদা বিএনপি গঠন করেও শেষ পর্যন্ত মুখ থুবড়ে পড়েছেন। বেগম জিয়া যেদিকে, দলের নেতা-কর্মী সমর্থকরাও সেদিকেই। এখন অবস্থা কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। একের পর এক ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বেগম জিয়ার নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। কিন্তু তারপরও এটাই সত্য যে, বিগম জিয়া যদি নেতৃত্বে না থাকেন, তাহলে বিএনপিকে এক রাখা হয়তো আর সম্ভব হবে না। প্রশ্ন উঠছে, বেগম জিয়ার পক্ষেও কি আর বিএনপির ঐক্য ধরে রাখা সম্ভব হবে?

যারা দেশের রাজনীতিতে ভারসাম্য বজায় রাখার স্বার্থে আওয়ামী লীগের বিপরীতে বিএনপির মতো একটি বড় বা শক্ত রাজনৈতিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন, তারা মনে করেন, বিএনপির পক্ষে এখনো ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। সেজন্য বেগম জিয়াকে রাজনীতি ছাড়তে হবে না। তাকে বরং শক্ত হাতে হাল ধরতে হবে। তিনি তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দুই দফায় বিরোধীদলীয় নেত্রী। ত্রিশ বছরের বেশি সময় ধরে বিএনপির মতো একটি বিশাল দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তার ভাণ্ডারে এখন অনেক অভিজ্ঞতা। তিনি জানেন, কাদের মতামত বা পরামর্শ তাকে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করেছে, আর কারা তাকে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলেছে। এখন তাকে নির্মোহভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নিজের ছেলেকে দলের ভবিষ্যত্ কাণ্ডারি বানাতে গিয়ে তারেক রহমানের ‘ছেলেমানুষী’কে প্রশ্রয় দিয়ে তিনি ভালো করেছেন, না খারাপ করেছেন, সেটা তাকেই হিসাব করে বের করতে হবে। আসলে, বেগম জিয়ার সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে বিএনপির ভবিষ্যত্। বেগম জিয়া রাজনীতিতে এসেছেন উত্তরাধিকার সূত্রে। তিনি এই রাজনীতির ধারায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন, সাফল্য পেয়েছেন। এখন তিনি একটা ক্রসরোডে এসে দাঁড়িয়েছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উত্তরাধিকারের রাজনীতির অভিজ্ঞতা এখন তাকে মূল্যায়ন-পর্যালোচনা করে দেখতে হবে। রাজনীতিতে এক সময় যে ধারা সুফল দেয়, সব সময়ই তা সুফল নাও দিতে পারে। উত্তরাধিকারের রাজনীতিতে বড় সমস্যা হলো এই রাজনীতি যদি উপযুক্ত উত্তরাধিকারীর হাতে না পড়ে ব্যর্থ কারো হাতে পড়ে তাহলেই সর্বনাশ। এ রকম সর্বনাশের দৃষ্টান্ত এই উপমহাদেশেই পাওয়া যাবে।

দলের সাবেক কিংবা বর্তমান নেতা এবং বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত যারা বিএনপি সম্পর্কে সমালোচনামূলক কথাবার্তা বলছেন, বেগম জিয়া কি সেগুলোর সব একবাক্যে নাকচ করে দেবেন? নাকি তিনি এসব সমালোচনার পেছনে যদি প্রকৃতই সত্ উদ্দেশ্য থাকে তাহলে সেগুলো আমলে নিয়ে দলটাকে আবার সবার মতামতের ভিত্তিতে পুনর্গঠনের কথা ভাববেন? দল পুনর্গঠনের কথা বেগম জিয়া নিজেও বলছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, পুনর্গঠন করবেন কাদের পরামর্শে? কাদের হাতে নতুন করে দায়িত্ব দেবেন? দলের নেতৃত্ব নির্বাচনের সর্বময় ক্ষমতা তো সব সময়ই তার হাতেই ন্যস্ত আছে। তিনি অতীতে যাদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তাদের তিনি চিনতে ‘ভুল’ করেছিলেন? তিনি কি সবাইকে নিজের চোখ দিয়ে দেখে চিনে নিয়েছিলেন, নাকি অন্য কারো চোখে দেখা কিন্তু চাপে বা তাপে তাদের নেতৃত্বে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন? তিনি কি দলের সব খবরাখবর রাখেন? তাকে কি দলের সব খবর দেয়া হয়? নাকি তিনি যা শুনতে পছন্দ করেন, সে রকম বাছাই করা তথ্যই তার কাছে পৌঁছানো হয়? গত কয়েক মাসেই তো কত গুরুত্বপূর্ণ সব ঘটনা ঘটলো। বলা হচ্ছে, এ সময় সব সিদ্ধান্ত তিনি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই নিয়েছিলেন। তাহলে এ সময় যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে তার দায় তো বেগম জিয়াকেই নিতে হবে। শোনা যায়, সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ তিনি না নিলেও তাকে সারাক্ষণ ঘিরে থাকেন এমন ‘অনুগত’ কিছু ব্যক্তির দ্বারা তিনি প্রভাবিত হয়ে থাকেন। এই ‘অনুগত’রা কারা? সিনিয়র নেতারা যদি বেগম জিয়ার বিশ্বাসযোগ্য না হয়ে থাকেন, তাহলে এই ‘অনুগত’রা কিসের ভিত্তিতে তার কাছে বিশ্বাসযোগ্য বা আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন?

সম্প্রতি বিএনপির তিনজন শীর্ষ নেতার ফোনালাপ গণমাধ্যমে প্রকাশিতও হয়েছে। এ নিয়ে দলের মধ্যে সন্দেহ-অবিশ্বাসের মাত্রাও বেড়েছে। এই নেতারা বিএনপি-রাজনীতির কেন্দ্রে অবস্থান করেন। সুযোগ পেলেই তারা গণমাধ্যমে কথা বলেন। তারা যখন কথা বলেন, তখন তো সাধারণ মানুষ জানতে পারে না, তাদের মনের কথা। এখন তাদের মনের কথা জানার পর তারা যখন বিএনপির পক্ষ থেকে কথা বলেন, তখন মানুষের মনে এদের সম্পর্কে, এরা যে রাজনীতি করেন সে সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে কি প্রতিক্রিয়া হয়? এদের ‘মনের কথা’ না হয় বিএনপির শত্রুপক্ষ ‘ষড়যন্ত্র’মূলকভাবে ফাঁস করে দিয়েছে, কিন্তু যাদেরটা ফাঁস হয়নি, তাদের মনেও যে একই ধরনের বাজনা বাজছে না—সেটা কীভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে? বেগম জিয়া যতই দাবি করুন না কেন যে, ‘বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে’, আসলে সেটা ঠিক নয়। বিএনপির এখন সত্যি সত্যি নাজুক ও নড়বড়ে অবস্থা। এখনই মেরামতে হাত না দিলে বিপদেই পড়তে হবে।

এক সময় যারা বিএনপি করেছেন অথবা বিএনপির যারা শুভানুধ্যায়ী তারাও এখন বিএনপির রাজনীতি নিয়ে নানা কথা বলছেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী সম্প্রতি খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার সামনে আপনারা বেশ আওয়াজ দিতে পারেন। অথচ বিএনপির একটি ঘুমন্ত স্থায়ী ও জাতীয় কমিটি রয়েছে। ছাত্রদলও আছে। কিন্তু গত কয়েক মাসে তাদের কোনো আওয়াজ দেখিনি। আপনারা খালেদা জিয়াকে সবাই তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে তাকে যতোই তেল দেন না কেন কবরে থাকা জিয়াউর রহমান খুশি হতে পারেন না। আপনারা যদি খালেদা জিয়াকে আগামীতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান তাহলে শেখ হাসিনার বুদ্ধির সঙ্গে টেক্কা দিতে হবে।’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এই কথা বলে কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন যে বেগম খালেদা জিয়া ‘বুদ্ধি’তে অর্থাত্ রাজনৈতিক কৌশলে শেখ হাসিনাকে টেক্কা দিতে পারছেন না। বিএনপি যে রাজনীতিতে পিছিয়ে পড়েছে সে কথা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও বর্তমানে বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীও বলছেন। তিনি বেগম জিয়ার উপস্থিতিতেই দলের মধ্যে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির তাগিদ দিয়ে বলেছেন, ‘যার যার ভুলত্রুটি স্বীকার করে তা শুধরানোর চেষ্টা করেন। সন্ত্রাস-দুর্নীতি দিয়ে রাজনীতি হবে না।’ বিএনপির প্রাক্তন মহাসচিব বিএনপির নেতা-কর্মীদের সামনে প্রশ্ন রেখে বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তির আজ এই অবস্থা কেন? জিয়াউর রহমানকে কেন নতুন প্রজন্ম চেনে না? কী স্বপ্ন ছিল, কী কথা ছিল—তা আলোচনায় আনতে হবে। নিজেদের দোষত্রুটি দেখতে হবে। ভুলত্রুটি মানুষের হয়। আমি ভুল করলে সেজন্য মাফ চাই। কিন্তু আপনাদের ভুল মানুষ ক্ষমা করবে না। সন্ত্রাস-দুর্নীতির রাজনীতি দিয়ে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানো যাবে না।’

বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা চলছে। জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার জন্য খালেদা জিয়ার ওপর দেশ-বিদেশের চাপ থাকলেও তিনি এখনই জামায়াত ছাড়ার কথা ভাবছেন না। গত ১২ আগস্ট ২০-দলীয় জোটের বৈঠকে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, জামায়াত আগেও যেমন বিএনপির সঙ্গে ছিল, এখনও তেমন আছে। ২০-দলীয় জোটে কোনো ভাঙনের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিয়েছেন বেগম জিয়া। তাহলে বিষয়টা কি দাঁড়াচ্ছে? বিএনপিতে কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা কি আদৌ আছে? নাকি তারেক রহমানের পরামর্শে খালেদা জিয়া বিএনপিকে জামায়াতনির্ভর দল হিসেবেই রাখবেন? এই প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে বেগম জিয়া যদি লণ্ডন সফরে যান এবং তারেক রহমানের সঙ্গে পরামর্শ শেষে দেশে ফিরে তিনি কোন রাজনৈতিক কৌশল ও পথ অনুসরণ করেন সেটা দেখেই।
সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.