নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবরোধ আছে অবরোধ নেই

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৮


এ সময়ের দুর্বল বিএনপির সমালোচনা করে কিছু লিখবো না বলেই এক রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। প্রায় প্রতিদিন বিএনপি মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন সাহেবের অপেক্ষাকৃত মার্জিত শব্দমালায় ব্রিফিংয়ের মধ্যেই বিএনপির রাজনৈতিক তত্পরতা আটকে আছে। ইদানিং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও কথা বলছেন। অন্য কোনো কোনো নেতাও মাঝে মধ্যে কথা বলেন। ভাবছিলাম বেশ তো এভাবেই সামান্য উত্তাপের কোরামিনে দলটির জীবনী শক্তি টিকে থাক। যেহেতু দেশজুড়ে বিএনপির অসংখ্য কর্মী সমর্থক দলটির প্রতি ভালোবাসা নিয়ে তাকিয়ে আছে তাতে বলা যায় নেতৃত্বের নিরাশ হয়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। দেশে ভারসাম্যপূর্ণ রাজনৈতিক ধারা বজায় থাকার জন্য আমি অনেকের মত বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য অপেক্ষা করছি। যদিও নেত্রীনির্ভর দলটি এই দুর্দিনে নেতৃত্ব শূন্যতায় অনেকটা বিমর্ষ অবস্থায় রয়েছে। দলের চেয়ারম্যান লণ্ডনে। দেশে ফেরার তারিখ কেবলই পেছাচ্ছেন। দ্বিতীয় ক্ষমতাধর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনেকটা পাকাপাকিভাবে প্রবাসে। দেশের আইনে তিনি পলাতক। অন্যদিকে দেশে যারা আছেন তারা তো সকলে আদেশ পালনকারী নেতা। প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা তাদের আছে বলে মনে হয় না। বিএনপির দুই প্রধান যে মামলা মোকদ্দমায় রয়েছেন তাতে মনে হয় না আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে তারেক জিয়ার দেশে ফেরা হবে। আর বেগম জিয়া দেশে ফিরলে আইন আদালতে তার পরিণতি কি হয় তা বোধহয় এখনো বলা যাবে না।

এমন একটি অবস্থায় বিএনপির দেশে থাকা নেতা-নেত্রীদের দলের পুনর্গঠনে নিজ নিজ নেতৃত্বগুণে এগিয়ে যাওয়া উচিত। আর এসত্যটি মানা উচিত এখন বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে তাড়াহুড়ো করলে চলবে না। নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির পথে এগুতে হবে। কিন্তু তোষামোদের রাজনীতির মধ্যে থেকে দীর্ঘ অনভ্যাসে আত্মপ্রত্যয়ে এগুতে পারছেন না নেতা-নেত্রীরা। তাই নজরুল ইসলাম খানের মত পুরোনো রাজনীতিকগণ এখনো যেভাবে তারেক বন্দনা করেন তাতে আমাদের হতাশা বাড়ে। বিএনপি নেতৃত্ব তো বরাবরই নিজেদের অপরিপক্কতা প্রকাশ করে আসছেন। সম্প্রতি একটি হাস্যকর রিপোর্ট বিএনপির অপরিপক্কতা আরো স্পষ্ট করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে বলেছে ২০ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলমান থাকা। এই সংবাদ বিএনপি নেতৃত্বকে কিছুটা বিচলিত করেছে। তারা চটজলদি জানিয়েছেন তাদের এমন কোনো কর্মসূচি অব্যাহত নেই। আগে পরেও বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া জানিয়েছেন তাদের কোনো আন্দোলন কর্মসূচি নেই। কিন্তু বোঝা যায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কাগজপত্রের হিসেবের মধ্যে রয়েছে। কারণ বেগম জিয়া অবরোধ কর্মসূচির কথা জনসম্মুখে ঘোষণা দিয়েছিলেন। একে উঠিয়ে নিতে হলে আরেকটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণার প্রয়োজন ছিল। তেমনভাবে না বলাটা এক ধরনের রাজনৈতিক অপরিপক্কতা। এ কারণেই ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। একই ধরনের বালখিল্যতা ছিল অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার ক্ষেত্রে। পাঠক নিশ্চয়ই মনে করতে পারবেন যখন অবরুদ্ধ খালেদা জিয়াকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করছিলেন বিএনপি কোনো কর্মসূচি দিচ্ছে কিনা। তিনি তখন অপ্রস্তুত ছিলেন। তেমন পরিস্থিতিতে বলতে পারতেন তিনি দলীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। হয়তো তিনি সত্যের পথেই গেছেন। কারণ জানেন যে, সিদ্ধান্ত যা নেয়ার তিনি আর তার ছেলেই নেন। ফলে আলোচনা আর কার সাথে করবেন। তাই বলে ফেললেন ‘অবরোধ অব্যাহত থাকবে।’ কার্যত তখন বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো অবরোধ কর্মসূচি চলছিল না। এ কারণে ‘অব্যাহত’ শব্দটি অহেতুক ছিল। এমন সব সংকীর্ণতার জন্য সেই অবরোধ কর্মসূচির তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি দেশে।

সরকারি দলের প্রচারণার কথা বাদ দিলেও বিগত সময়ের অপতত্পরতায় সাধারণ মানুষ এখন বিশ্বাস করছে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করে এগুনোর ঝুঁকি ছেড়ে দিয়ে সরকারকে উপড়ে ফেলে ক্ষমতায় আসার জন্য নানা ছক কাটছে বিএনপি-জামায়াত। অতিসম্প্রতি এই দুই দলের নাশকতার ষড়যন্ত্রের কথা সামনে চলে আসছে। বুঝতে হবে ফাঁস হওয়া ষড়যন্ত্র বুমেরাং হয়েই ফিরে আসে।

আমরা পেছনে ফিরে তাকালে দেখবো যথেষ্ট জনসমর্থন থাকলেও শুধু নেতৃত্বের দুর্বলতা ও অসততায় বিএনপি রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। আমরা স্মরণ করতে পারি ২০০৬-এর শেষ দিকে চৌদ্দ দল আয়োজিত পল্টনের মহাসমাবেশে উজ্জীবিত নেতৃবৃন্দ নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণের কয়েকটি পূর্বশর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে। তাদের দাবি অর্জিত না হলে নির্বাচন বর্জনের আভাসও দিয়েছিলেন তারা। সংসদীয় গণতন্ত্রের জীবনীশক্তি হচ্ছে দেশের প্রধান দলগুলোর অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া। তাই মহাঐক্যজোটকে অস্বীকার করার কোনো অবকাশ ছিল বলে কেউ মনে করবেন না। এ কারণে এই জটিল অবস্থায় জনগণ উত্কণ্ঠার সঙ্গে অপেক্ষা করছিল নির্বাচন কমিশন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার কীভাবে সঙ্কট সমাধানের পদক্ষেপ নেয়। আরো বেশি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিল ১৯ ডিসেম্বর পল্টনে অনুষ্ঠিতব্য বিএনপি-জামায়াত জোটের মহাসমাবেশের দিকে। রাজনৈতিক জোটের দায়িত্বশীলতা নিয়ে কী জবাব উত্কণ্ঠিত গণমানুষের কাছে উপস্থাপন করেন নেতৃবৃন্দ। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোটের জনসভা থেকে যে দায়িত্বশীল বক্তব্য আশা করেছিল দেশের জনগণ, এর ধারকাছ দিয়েও গেলেন না জোট নেতৃবৃন্দ। পুরনো রেকর্ডের সুরই বেজেছিল যেন। জোট প্রধান হিসাবে বেগম খালেদা জিয়ার ভাষণ ছিল গতানুগতিক, দিকনির্দেশনাবিহীন ও মোড়লিপনাপূর্ণ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের আগে পরে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চৌদ্দ দলীয় জোটসহ অন্য বিরোধী দল যে প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল, আপোসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার অনুগামীরা এর প্রত্যেকটির বিরোধিতা করেছিলেন এবং পরে আন্দোলনের মুখে তা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এভাবে বার বার আপোসহীন ইমেজে ভাঙ্গন জনগণের সামনে যে তাদের খেলো করে দিচ্ছিল তা একবারও বিবেচনায় আনতে পারেননি।

২০০৭-এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সবচেয়ে বেশি দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল বিএনপি। অল্প কয়েক দিনেই বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা দলটির ইমেজ নামতে নামতে তলানিতে এসে ঠেকেছিল। নেতা-নেত্রীদের ইতিপূর্বের মাঠ কাঁপানো বক্তৃতা তখন চরম মিথ্যাচার ছিল বলে মানুষের কাছে প্রতীয়মান হয়েছিল। দেশটি বার বার দুর্নীতিগ্রস্ততার বিচারে বিশ্বসেরা হওয়ার কলঙ্ক গায়ে মেখেছিল প্রধানত কাদের জন্য তা আর কাউকে বলে বোঝাতে হয়নি। বাঘা বাঘা বিএনপি নেতারা সব দুর্নীতির দায়ে একে একে অন্তরীণ হয়েছিলেন জেলে। দু’দিন আগেও ধরাকে সরাজ্ঞান করতে অভ্যস্ত বেগম খালেদা জিয়াকে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রায় ‘অনুচর সহচরশূন্য’ অবস্থায় পুষ্পার্ঘ অর্পণ করতে দেখে বড় মায়া হয়েছিল। অথচ এর ক’দিন আগেও নেত্রীর সান্নিধ্যের কাছাকাছি আসার জন্য উন্মত্ত প্রতিযোগিতা ছিল বিএনপির বড়-মাঝারি নেতা-নেত্রী, আমলা আর ব্যবসায়ীদের। সাম্প্রতিককালেও অমন অবস্থার পুনরাবৃত্তি আমাদের দেখতে হয়েছে।

ইতিহাসের পরিণতি এতই স্বয়ংক্রিয় যে ঝড়ো হাওয়া নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল ফখরুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। বিএনপি-জামায়াত জোটের নির্বাচন নিয়ে সকল হিসাবের ছক-মুহূর্তেই তলিয়ে গিয়েছিল বঙ্গোপসাগরে। পাঁচ বছরের পর্বতপ্রমাণ দুর্নীতির খতিয়ান একে একে বেরিয়ে আসছিল তখন। প্রতিশ্রুতি মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার চৌদ্দ শিকের অন্তরালে পুরতে থাকে দুর্নীতিবাজ রাঘববোয়াল মন্ত্রী-এমপিদের। বিস্মিত দেশবাসী স্বস্তির সাথে লক্ষ্য করেছিল সদিচ্ছা থাকলে এমন অসাধ্যও সাধন করা যায়। নানা দলের দুর্নীতিবাজরা আটক হলেও ঝাঁকের কৈ-এর মতো ধরা পড়তে থাকেন বিএনপির ডাকসাইটে নেতারা। অতি অন্যায় করতে গিয়ে এই দলটি তখন চরম দুর্গত দশায় পৌঁছেছিল। এরপরেও বিএনপি নেতা-নেত্রীগণ নিজেদের শোধরানোর চেষ্টা করেননি। ক্ষমতার ভিত শক্ত করতে নানা অন্যায়ের সাথে নিজেদের যুক্ত করেছেন। বিএনপি-জামায়াতের আমলে দশ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়া এবং একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনাকে মানুষ সুদৃষ্টিতে দেখেনি। অথবা জেএমবির উত্থানের সাথে বিএনপি জামায়াতের সংশ্লিষ্টতাকে সচেতন মানুষ উড়িয়ে দিতে পারেনি।

২০১৪ সালের নির্বাচনকে ঠেকাতে এবং অরাজকতা তৈরি করে আওয়ামী লীগ সরকারকে উত্খাত করার অন্ধকার ষড়যন্ত্রে জনজীবন বিপন্ন করে ফেলার দায় থেকে মানুষ জামায়াত বিএনপিকে মুক্ত করতে পারবে না।

এমন সব আমলনামা নিয়ে এখন নেতৃত্ববিহীন নেতা-নেত্রীরা অনেকটাই যে খাবি খাচ্ছেন তা তাদের বক্তৃতা-বিবৃতির ভাষা শুনলেই বোঝা যায়। বিএনপির অমন দশা দেখে আমার ধ্রুপদী সঙ্গীত আর হালের পপ বা ব্যাণ্ড সঙ্গীতের কথা মনে পড়ছে। ধ্রুপদী সঙ্গীত বনেদী। এর আবেদন সর্বকালে ছড়িয়ে থাকে। পপ বা ব্যাণ্ড সময়ের দাবি মেটায়। নির্দিষ্ট সময়ে এর উন্মাদনা থাকে। এক ধরনের জনপ্রিয়তাও তৈরি হয়। সময়ের বিবর্তনে সহসাই আবার হারিয়ে যায়। বনেদী ঐতিহ্যের অভাবে এবং সততা দিয়ে এগিয়ে নিতে না পারায় জনপ্রিয় দল বিএনপি সময়ের ফেরে পরে এখন বিপন্ন দশায়। এ দশা থেকে যে বেরিয়ে যাওয়ার পথ নেই তা নয়। নতুনভাবে এগিয়ে যাওয়ায় বিএনপির বড় পাথেয় হতে পারে দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য কর্মী সমর্থক। কোনো ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতির পথে হেঁটে আওয়ামী লীগ সরকারকে ফেলে দেয়া প্রায় অসম্ভবই বলা যেতে পারে। সরকারি সুবিধা কাজে লাগিয়ে এবং কৌশলী রাজনীতি করে দেশের ভেতরে আওয়ামী লীগ সরকারের ভিত্তি এখন বেশ শক্ত। শেখ হাসিনা সরকার পররাষ্ট্রনীতির দিক থেকেও নিজেদের অবস্থান বেশ দৃঢ় করে ফেলেছে। সুতরাং রাত পোহালেই ক্ষমতার মসনদ ফিরে পাবো অমন স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে রূপান্তরিত হবে। ফলে একটিই পথ খোলা তা হচ্ছে দলকে সুসংগঠিত করে রাজনীতির সরল পথ ধরে এগিয়ে যাওয়া। আর এর জন্য বেগম জিয়া যদি নিজ জীবদ্দশাতেই ক্ষমতা ফিরে পেতে বা অচিরেই তারেক জিয়াকে মুক্ত করে নেতৃত্বে বসাতে মরিয়া হয়ে উঠেন তাতে আরো স্খলন ঘটতে পারে। এতে রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোটা বিলম্বিত হবে। হতাশা নামবে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। অনেকেই নতুন আশ্রয়ের সন্ধানে চলে যাবে। ফলে দলটিকে বহন করা দুর্বল নেতৃত্বের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। আর প্রধান বিরোধী দলের অমন দুর্বলতা দেশের সার্বিক রাজনীতির জন্য তো ক্ষতির হবেই। এ কারণে বলবো, একটিই পথ খোলা তা হচ্ছে ‘অবরোধ আছে আর অবরোধ নেই’-এর মত দোদুল্যমানতায় না থেকে নেতৃত্বকে সবল হতে হবে। রাজনৈতিক সততা নিয়ে সবল নেতৃত্ব যদি কর্মী সমর্থকদের সম্মান দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চায় তবে বিএনপি নিশ্চয়ই দৃশ্যমান অবস্থায় নিজের অস্তিত্ব নিয়ে দাঁড়াতে পারবে। সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.