![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
গত শুক্রবার রাতে চিরায়ত শিল্প সংস্কৃতি সমৃদ্ধ ফরাসি রাজধানী প্যারি আকস্মিকভাবে সন্ত্রাসী হামলায় স্তম্ভিত, হতবাক এবং শত শত নিরপরাধ মানুষের রক্তে রঞ্জিত হলো। প্যারির অন্তত ৬টি স্থানে প্রায় একই সময়ে উগ্রপন্থীদের আকস্মিক গুলি ও বোমায় ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৩৫২ জন আহত হয়েছেন- এদের মধ্যে ৯৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই হত্যার দায় তাৎক্ষণিকভাবেই আইএস স্বীকার করেছে। রোববার পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের ১জন ফ্রান্সে এবং ২ জন বেলজিয়ামে ধরা পড়েছে, তাদের ব্যবহৃত গাড়ি এবং বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। হামলায় অংশ নেয়া ৬ জন আত্মঘাতী বোমায় নিহত হয়েছে। তাদের পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। ফরাসি সরকার তাৎক্ষণিকভাবে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। গোটা ফ্রান্সই শুধু নয়, ইউরোপসহ সভ্য দুনিয়া স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে। শনিবার ফ্রান্সে সবাইকে বাড়ি ঘরে অবস্থান করতে সরকার থেকে বলা হয়। তবে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, ফরাসি জনগণ এই হামলায় মোটেও ভেঙে পড়েনি, তারা জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে তাদের সংহতি প্রকাশ করেছে মৃত এবং আহতদের প্রতি। এরপরই ঘর থেকে বের হয়ে লাখ লাখ মানুষ ৬টি আক্রান্ত স্থলে লাল ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়, পিয়ানোতে শোকের মূর্ছনায় নিজেদের আবেগ প্রকাশ করেছে। ফরাসি সরকার এবং জনগণ এমন বর্বর হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে অত্যন্ত শান্তভাবে, ধৈর্য্যরে সঙ্গে, কোথাও কোনো মুসলিম নাগরিকের বাড়িতে হামলা চালানোর খবর এ পর্যন্ত শোনা যায়নি, মুসলমানদের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারিত হয়নি। কেননা, আইএস জঙ্গি বাহিনীর সঙ্গে বিশ্বের সাধারণ মুসলমানের কোনো সম্পর্ক বা সমর্থন নেই।
রোববার প্যারির উন্মুক্ত চত্বরে সমবেত মানুষ নিহত ও আহতদের প্রতি তাদের সশ্রদ্ধ আবেগ এবং ভালোবাসার প্রকাশ ঘটিয়েছে, আইফেল টাওয়ারে আলো জ্বলেনি, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় কোনো প্রজ্বলন হয়নি, মানুষ সবকিছুকে দেখেছে বর্বরতার অপকর্ম হিসেবে, সেই বর্বরতার বিরুদ্ধে সভ্যতা ও মানবতার শুধু চিন্তাকে সজাগ করার আকুতি প্রকাশ করেছে, ঘরে বসে থেকে নয়, বরং সোচ্চার প্রতিবাদ জানিয়ে, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে চিরদিনের জন্য বিদায় জানাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে ফরাসি জনগণ, শিশু, কিশোর, নারী, বৃদ্ধসহ সবাই। পরবর্তী প্রজন্মের জীবনে যেন এমন ক্ষতি ফিরে না আসে সে জন্য ফরাসি সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো সব নাগরিক নতুন করে অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভিশাপ থেকে ফ্রান্সকে মুক্ত করতে এক ও অভিন্ন চেতনায় দাঁড়িয়েছে। না, আমাদের দেশের মতো কেউ সরকার ও পুলিশ বাহিনী ব্যর্থ বলে চিৎকার শুরু করে দেয়নি, গোটা জনমতকে রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা কেউ করেনি। কিংবা সচরাচর আমাদের দেশে মিডিয়ায় গিয়ে কেউ কেউ নানা উদাহরণ টেনে ধরে এত মানুষের নিরাপত্তা বিধান করতে না পারার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের ঘোষণা কেন দেয়নি সে জন্য কাউকে অভিযুক্ত করে কিংবা নৈতিকতার প্রশ্ন তুলে ঝগড়াঝাটি শুরু করে দেয়নি। ফরাসি সরকার এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেই বক্তব্য দিয়েছে, ফরাসি জনগণও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান জোরদার করার কথাই বলছে, নতুবা বিপন্ন হবে তাদের জীবন, দেশ ও সভ্যতা এমন অনুভূতি ও চেতনারই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে তাদের কথা এবং সমাবেশের মধ্যে, শোক প্রকাশের মধ্যে। না, এখানেও কোনো বিশৃঙ্খলা নেই, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বাইরে অন্য কারো বিরুদ্ধে কোনো উচ্চারণ নেই, ঘৃণার পরিধি বিস্তৃত হয়নি।
প্যারিতে জঙ্গিবাদী আইএসের হামলার বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফ‚র্ত প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। ইংল্যান্ড, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপের দেশে দেশে, এশিয়ারও কিছু দেশে। দেশসমূহের সরকার এবং জনগণ এই নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তাদের কথা ও অবস্থান দিয়ে। কেউই এর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে কোনো নিরীহ মানুষের ওপর হামলা চালায়নি, এমনকি মুসলমানদের অভিযুক্ত করে কোনো বক্তৃতা বা বিবৃতি দেয়নি। অথচ যে সন্ত্রাসীরা এই হামলায় অংশ নিয়েছে তারা ইসলামের নাম ব্যবহার করেছে যেই অধিকার তাদের ইসলাম দেয়নি, সাধারণ মুসলমানরাও দেয়নি। অথচ এসব জঙ্গি পবিত্র ধর্ম হিসেবে ইসলামের কত বড় ক্ষতি সাধন করেছে তা তারা কোনোভাবেই বুঝছে না, তাদের যারা সমর্থক তারাও বোঝে না, মুসলমানদের কত ক্ষতি তারা করেছে তাও তারা স্বীকার করছে না। ইসলাম অর্থই হচ্ছে শান্তি। সেই শান্তির ধর্মকে কতিপয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী ইসলামি রাষ্ট্র, খিলাফত ব্যবস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠার নামে যেভাবে সশস্ত্র পন্থায় নিজ নিজ দেশে, জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে, বাইরের দেশগুলোতে রক্তাক্ত হত্যাযজ্ঞ করতে চাচ্ছে- তাতে মুসলমানদের সম্পর্কে অন্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে মারাত্মক বিরূপ ধারণা তৈরি হতে পারে। এমনিতেই ইউরোপের দেশগুলোতে এখন কয়েক কোটি মুসলমান বসাবস করছে। সম্প্রতি সিরিয়া থেকে কয়েক লাখ মানুষ ইউরোপের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। আরো বিপুল সংখ্যক মানুষ ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেয়ার অপেক্ষায় আছে। বলা হচ্ছে, ফ্রান্সের এই হামলায় যারা অংশ নিয়েছে তাদের কেউ কেউ শরণার্থীদের ভেতরেই লুকিয়ে ছিল। অথচ সিরিয়ায় আইএসআই মানবতার বিরুদ্ধে যে বিপর্যয় ঘটিয়েছে তার নজির খুঁজে পাওয়া কঠিন। সিরিয়ার লাখ লাখ মানুষ প্রাণে বাঁচার জন্য পাড়ি জমিয়েছে ইউরোপে। মধ্যপ্রাচ্যের কোথাও তাদের ঠাঁই হয়নি, কেউ সেভাবে জায়গা দিতে এগিয়ে আসেনি। শুধু সিরিয়ার কেন, মধ্যপ্রাচ্যের আরো অনেক দেশেরই কর্মজীবী মানুষ শরণার্থী স্রোতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছে। নানা বাধাবিপত্তি না পেলে আরো অসংখ্য মানুষ ইউরোপে পাড়ি জমাত। এ ধরনের বাস্তবতায় যেখানে কয়েক কোটি মুসলিম মানুষ ইউরোপের দেশগুলোতে বসবাস করছে, জীবন-জীবিকা নিয়ে মোটামুটি আছেন তখন আইএসআইয়ের পক্ষে এ ধরনের বিনাশি হামলা, নিরীহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করার জন্য সন্ত্রাসী আক্রমণ করা হয়, আরো বড় ধরনের হামলা ও প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দেয়া হয়- তখন ইউরোপে বসবাসকারী মুসলমানদের অস্তিত্বই তো হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। প্যারিতে সংঘটিত হামলা ও হত্যা মনে হচ্ছে গোটা পৃথিবীকে স্তম্ভিত করেছে, মানব সভ্যতাকেই নানা প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আইএসআই নামক সংগঠন প্রতিষ্ঠার পেছনে যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দুনিয়ার ভুল রাজনৈতিক কৌশল, এ ধরনের ভুল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, আফ্রিকা, এশিয়াসহ অন্যত্র নিটক-অতীতে অসংখ্য করেছে, সেই ভুলের মাসুল সেখানকার সাধারণ মানুষকে দিতে হয়েছে, হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও যথেষ্ট দিতে হয়েছে। উগ্র ধর্মবাদী গোষ্ঠীর উত্থানের পেছনে তাদেরই অর্থ, অস্ত্র, প্রশিক্ষণসহ সবই ছিল কিন্তু এসব উগ্র জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই বিরুদ্ধে তাদের অস্ত্রের নলটি ঘুরিয়ে দিয়েছে তারপরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের এমন উগ্রপন্থায় বিশ্বাসী গোষ্ঠীর উত্থান ও পৃষ্ঠপোষকতার নীতি পরিহার করেনি। মধ্যপ্রাচ্যে যে কজন অপেক্ষাকৃত অগ্রসর চিন্তাধারার তথা সেকুলার-সংলগ্ন রাষ্ট্র নায়ক ছিলেন তাদের কাউকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ্য করতে পারেনি, তাদের শাসনকে গ্রহণ করতে পারেনি বরং তাদের উৎখাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে, উগ্র হঠকারী গোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন এমন আগ্রাসী অবস্থানে দাঁড়ায়, তখন ইউরোপের তার মিত্র রাষ্ট্রগুলোকে পাশেই রাখা হয়। কিন্তু এর পরিণতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় কোনো রাষ্ট্রের জন্যই মঙ্গল বয়ে আনেনি। ইরাকে সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত করার মূল্য এখন গোটা মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে হচ্ছে। আফগানিস্তানে তারাকি-নজিবুল্লাহকে উৎখাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তালেবান গোষ্ঠীর জন্ম দিয়েছে। অথচ তারাকি-নজিবুল্লাহ আফগানিস্তানে সেক্যুলার রাষ্ট্র গড়তে চেয়েছিলেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন সেখানে কোনো জঙ্গিবাদী শক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়নি। দীর্ঘদিন থেকেই সিরিয়া একটি মোটামুটি অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং ধরে রাখার চেষ্টা করছে প্রেসিডেন্ট বাশার তার পিতার নীতিই অনুসরণ করছেন। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাশারকে উৎখাতের জন্য আইএস গোষ্ঠীর উত্থানকে গোড়াতে সমর্থন দিয়েছে। রাশিয়ার আইএসআই বিরোধী অভিযান পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত আইএসআইকে নিয়ে ইঁদুর দৌড় খেলা খেলছে পশ্চিমা বিশ্ব। এরই মধ্যে আইএসআই বিশ্বব্যাপী খেলাফত কায়েমের লক্ষ্যে যে ধরনের অবস্থান নিয়েছে তা শুধুমাত্র পশ্চিমা বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা নয়, মানবতা ও সভ্যতা এবং ধর্ম হিসেবে পবিত্র ইসলামেরও মূল চেতনার পরিপন্থী বললে মোটেও অত্যুক্তি করা হবে না। এর ফলে বিশ্ব সভ্যতা একটি নতুন সংকটে মোড় নিয়েছে। ইউরোপের ফ্রান্সের ওপর আঘাতের পর অদূর ভবিষ্যতে অন্য কোনো দেশেও নতুন করে এর চেয়েও ভয়াবহ হামলা হবে না- এর কোনো গ্যারান্টি নেই।
স্বাভাবিকভাবেই ইউরোপ, পশ্চিমা বিশ্ব এবং অন্যান্য বিশ্বের নতুন এই উন্মাদনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। সেখানে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যদি উগ্রজঙ্গিবাদী মতাদর্শের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় পরিকল্পনা ভেবেচিন্তে নেয়া হয় তাহলে সভ্যতার বিকাশ নিজস্ব পথেই এগুতে পারবে পশ্চাৎপদ জাতি ও দেশগুলোতে আধুনিক সভ্যতায় প্রবেশ করতে পারবে, আবার যদি স্থ‚ল রাজনৈতিক বিবেচনা থেকে নেয়া হয় তাহলে আশঙ্কা আরো ব্যাপক হতে পারে। তবে মুসলিম অধ্যুষিত দেশসমূহকেও এখন গভীরভাবে ভাবতে হবে পৃথিবীতে সবার সঙ্গে সহমত, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং মানবিক মূল্যবোধ ও সভ্যতার মূল চেতনাকে রক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার স্রোতে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া কারো কোনো গত্যন্তর নেই। এক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনীতি এবং পররাষ্ট্রনীতি ও কৌশলকে আদতেই ঢেলে সাজাতে হবে, গণতন্ত্রের মূল আদর্শ, সভ্যতা ও মানবতাবাদের ধারাবাহিকতা থেকে কোনোভাবেই বিচ্যুৎ হওয়া যাবে না। সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কতটা গ্রহণ করবে তা দেখার বিষয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা বিশ্ব এ ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যকে উদারপন্থী শক্তির বিকাশের সহায়ক হিসেবেই নিজেদের অবস্থান নিতে হবে। এর বাইরে গিয়ে অন্য কোনো উগ্র হঠকারী গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষক হওয়ার পরিণতি সভ্যতা ও মানবতার বিরুদ্ধে বর্বরতার উত্থানকে উসকে দেবে, সর্বত্র হানাহানি ও মারামারিকে বিশ্ব ব্যবস্থা অনুষঙ্গী করে ফেলা হবে। তাতে সভ্যতার বিপর্যয় আরো ত্বরান্বিত হবে। এ ধরনের বাস্তবতা এখন বিশ্বব্যাপী বিরাজ করছে। বিস্তৃত হচ্ছে। এখানেই ভয়ের কারণ। আমাদের মতো অনুন্নত দেশগুলো এ ধরনের পরিস্থিতিতে অস্তিত্ব রক্ষায় মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়ে আছে। দেশের অভ্যন্তরে আইএসআইয়ের কাছাকাছি বিভিন্ন উগ্র হঠকারী ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর উত্থানকে আরো ত্বরান্বিত করবে। তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতি হবে অনেক বেশি- যা এক সময় বোঝার কোনো সুযোগ থাকবে না। পৃথিবীতে এখনো সময় আছে। সভ্যতা ও মানবতার বোধকে আরো বেশি জাগ্রত করতে হবে, উগ্রবাদী হঠকারীদের উত্থানকে মতাদর্শিক প্রচার-প্রচারণা দিয়ে দুর্বলতা এবং অকার্যকর করতে হবে। বিষয়টি দুই পরস্পরবিরোধী মতাদর্শের লড়াই। এক সভ্যতা ও মানবতার পক্ষে, অন্যটি বর্বরতার পক্ষে। সেটি উন্মোচন করার দায়িত্ব সরকার, প্রগতিশীল, রাজনীতি, নাগরিক সমাজ, তরুণসহ বোদ্ধা সবারই। সেই কাজটিতে এখনই হাত দিতে হবে। সুত্র
©somewhere in net ltd.