নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াতকে ধানের শীষ দেবে না বিএনপি

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৪


জাতীয় পতাকা জামায়াত নেতাদের গাড়িতে তুলে দিয়ে অনন্তকালের সমালোচনার ডালপালা আর গজাতে দিতে চায় না বিএনপি। নির্বাচন এবং ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে জামায়াত ইস্যুতে আর ভুলও করতে চায় না দলটি। তাই এবার পৌরসভা নির্বাচনে প্রধান শরিক জামায়াতকে কিছুতেই নিজেদের প্রতীক ধানের শীষ ব্যবহার করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সঙ্গত কারণেই স্বতন্ত্র হিসেবে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে লড়বে জামায়াত। যেসব পৌরসভায় মেয়র পদে জামায়াতকে ছাড় দেবে বিএনপি, সেখানে থাকবে না 'ধানের শীষ' প্রতীকের প্রার্থী। জামায়াত মনোনীত 'স্বতন্ত্র' প্রার্থীকে সমর্থন দেবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট।
এবারই প্রথম দলীয়ভাবে হচ্ছে পৌর নির্বাচন। মেয়র পদে দলীয় প্রতীক নিয়ে লড়বেন দল মনোনীত প্রার্থীরা। তবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় দলটির প্রার্থীরা 'দাঁড়িপাল্লা' প্রতীকে লড়তে পারবেন না। দলটির সামনে বিকল্প ছিল, জোটসঙ্গী বিএনপির 'ধানের শীষ' প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া। কিন্তু জামায়াতকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ করার ব্যাপারে বিএনপির অধিকাংশ নেতার আপত্তি রয়েছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে জামায়াত কোন প্রতীকে নির্বাচন করবে, তা জানতে চান আরেকটি শরিক দলের নেতা। 'ধানের শীষ' নেবেন কিনা_ এই প্রশ্নে নীরব থাকেন বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধিদলটির নির্বাহী পরিষদের সদস্য মওলানা আবদুল হালিম। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও প্রতীক প্রসঙ্গে কিছু বলেননি। বরং তিনি জানতে চান জামায়াতের নির্বাচন প্রস্তুতি প্রসঙ্গে।
বৈঠকের পর বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপনও জামায়াতকে 'ধানের শীষ' প্রতীক দেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, জোটের শরিকরা বিএনপির প্রতীকে নির্বাচন করতে পারেন কিনা, তা আইনি ব্যাখ্যার দাবি রাখে।
জামায়াত ৫০টি চাইলেও কয়টি পৌরসভায় মেয়র পদে ছাড় দেবে বিএনপি, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এ নিয়ে দুই দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। জামায়াতের নির্বাচন সমন্বয় সেল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৩৬টি পৌরসভার প্রায় ১০০টিতে তারা প্রার্থী বাছাই করেছে। এর মধ্যে 'এ ক্যাটাগরি' হিসেবে চিহ্নিত ৩৫টি পৌরসভায় জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। এগুলোতে জোটের মনোনয়ন পেতে সর্বোচ্চ 'লড়াই' করা হবে। তবে বাছাইকৃত প্রার্থীদের মধ্যে পাঁচজন বর্তমানে কারাগারে। অনেকে আত্মগোপনে রয়েছেন।
অন্যদিকে, বিএনপির নির্বাচন সমন্বয় টিমের সদস্য ও যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আশাবাদী, এ নিয়ে সমস্যা হবে না। তিনি জানান, আগামী ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে-পরে যে কোনো সময় এ বিষয়ে ফয়সালা হয়ে যাবে। এরপর কোনো পৌরসভায় দুই দলের প্রার্থী থাকলে আলোচনার মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। যে দলের প্রার্থী জোটের মনোনয়ন পাবেন, তিনি নির্বাচনে থাকবেন; অন্যরা প্রত্যাহার করে নেবেন।
আলাল আরো জানান, স্থানীয়ভাবে যে দল যেখানে শক্তিশালী, সেখানে সেই দলের প্রার্থীই জোটের মনোনয়ন পাবেন।
আসন ভাগাভাগি করতে গত বৃহস্পতিবার জোটের বৈঠক থেকে বিএনপির নির্বাচন সমন্বয়কারী ও দলের যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান, আসাদুজ্জামান রিপন এবং জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়। জামায়াত ৫০টি চাইলে বিএনপি এবারো ২০টির বেশিতে ছাড় দিতে রাজি নয় বলে জানিয়েছে বিএনপি সূত্র।
জামায়াতের তিনজন নির্বাহী পরিষদ সদস্য দলের প্রার্থী বাছাই করছেন। তাদের ঘনিষ্ঠ একজন নেতার দেয়া তালিকা অনুযায়ী, জামায়াতের বাছাইকৃত মেয়র পদপ্রার্থীরা হলেন খুলনা বিভাগে খুলনার পাইকগাছায় আবদুল মজিদ, যশোরের চৌগাছায় কামাল আহমেদ মাস্টার, কেশবপুরে ওজিহুর রহমান, ঝিনাইদহের মহেশপুরে শহীদুল হক বিশ্বাস, কোটচাঁদপুরে শরিফুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় নূরুল আমিন জসিম, মিরপুরে আবুল হাশেম চৌধুরী, কুমারখালীতে সোহরাব উদ্দিন ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পৌর জামায়াতের আমির সাজিদুর রহমান।
রাজশাহী বিভাগে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আমিনুল ইসলাম, কাটাখালীতে মাজিদুর রহমান (কারাগারে আছেন), সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আবদুল মান্নান, রায়গঞ্জে মোশাররফ হোসেন আকন্দ, নাটোরে আতিকুল ইসলাম রাসেল, চাঁপাইনবাবগঞ্জে নজরুল ইসলাম, শিবগঞ্জে জাফর আলী, নাচোলে রফিকুল ইসলাম (কারাগারে), রহনপুরে মিজানুর রহমান (কারাগারে), বগুড়ার কাহালুতে জহিরুল ইসলাম বাদশা (কারাগারে) এবং বগুড়ার শিবগঞ্জে আবদুল হালিম।
রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল খালেক, নীলফামারীর জলঢাকায় মকবুল হোসাইন, দিনাজপুরে অ্যাডভোকেট মইনুল ইসলাম, বোচাগঞ্জে আলহাজ মোহাম্মদ হানিফ, বিরামপুরে ড. এনামুল হক, রানীশংকৈলে মোকাররম হোসেন, গাইবান্ধায় ফেরদৌস আহম্মেদ এবং সুন্দরগঞ্জে নূরুন্নবী প্রামাণিক সাজু।
সিলেট বিভাগে সিলেটের ছাতকে রেজাউল করিম, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় খিজির আহমেদ। চট্টগ্রাম বিভাগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভিপি সাহাবউদ্দিন, বান্দরবানের লামায় মুহাম্মদ কামালুদ্দিন, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল, সাতকানিয়ায় হাজী সেলিম উল্লাহ এবং সীতাকু-ে তৌহিদুল আলম।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের নির্বাচনে ৫০টি পৌরসভায় মেয়র পদে জোটের সমর্থন চেয়েছিল জামায়াত। তবে বিএনপি শেষ পর্যন্ত ২০টিতে ছাড় দিয়েছিল।সুত্র

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১১

সাধারণ আমি আমার বলেছেন: অনেক দেরিতে হলেও বিএনপি তার খুভ সামান্য ভুল বুঝতে পেরেছে। আশা করছি তারা গনতন্রের অধিকার ফিরে পেয়ে সঠিক পথে চলবে।

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৯

আহমেদ রশীদ বলেছেন: sotti naki!!! Mairalara Mairala

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩১

সাঈদ ফারুক বলেছেন: আপনি তো কাহিনি ভালই লিখতে পারেন....রাজনিতীক গল্প না বানাইয়া ঠাকুরমার ঝুলি বনান কাজে দিবে....

রাগ কইরা আবার বল্গ কইরেন না....বিরোধী মত কে মোকাবিলা আর সন্মান কইরেন ....

৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

ডা: এনামুল বলেছেন: ঠাকুরমার ঝুলি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.