নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্মাদিকা ডা. দীপু মনি তার ফেসবুক স্টাটাসে লিখেছেন, 'জিয়া কখনোই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন না। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের গুপ্তচর। তার দালিলিক প্রমান পাওয়া যায়, ১৯৭১ সালের ২৯ মে জিয়াকে লেখা কর্নেল বেগের চিঠি থেকে।'
ফেসবুকে নিজের স্ট্যাটাসে ডা. দীপু মনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে এই প্রজন্মকে জানাতে হবে। এই সংক্রান্ত একটি দুর্লভ চিঠি আমাদের হাতে এসেছে। চিঠিটি ১৯৭১-এর ২৯ মে লেখা।
ডা. দীপু মনি সে চিঠিটিও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। চিঠিটি ২০১৩ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের ডন পত্রিকায় ছাপা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতারা এ নিয়ে আলোচনা করেন। এতোদিন পর সেই চিঠি ও বিষয়টি নতুন করে উত্থাপন করলেন তিনি। স্ট্যাটাসে জিয়ার সে সময়ের ভূমিকা সম্পর্কে আরো সোচ্চার হওয়ার আহ্ব্না জানান তিনি।
মেজর জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রভাবশালী কর্নেল বেগের ইংরেজিতে লেখা মুল চিঠি ও তার বাংলা অনুবাদও পোস্ট করেন আওয়ামী লীগ সরকারের এই সাবেক মন্ত্রী। ইংরেজিতে লেখা চিঠি টা হলো-
Major Zia Ur Rahman, Pak Army, Dacca
We all happy with your job. We must say good job! You will get new job soon. Dont worry about your family. Your wife and kids are fine.
You have to be more careful about major Jalil.
Col. Baig Pak Army
May 29. 1971
চিঠির বাংলা অনুবাদ করে ডা. দীপু মনি লিখেন- 'মেজর জিয়াউর রহমান, পাক আর্মি, ঢাকা তোমার কাজে আমরা সবাই খুশি। আমাদের অবশ্যই বলতে হবে তুমি ভালো কাজ করছো।
খুব শিগগিরই তুমি নতুন কাজ পাবে। তোমার পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়োনা। তোমার স্ত্রী ও বা”চারা ভালো আছে। তোমাকে মেজর জলিল সম্পর্কে আরো সতর্ক থাকতে হবে। কর্নেল বেগ, পাক আর্মি মে ২৯,১৯৭১)'।
চিঠি প্রসঙ্গে ডা. দীপু মনি ফেসবুক পোস্টে বলেন, '১৯৭১ সালে বাঙ্গালী জাতি যখন স্বাধীনতার জন্য মরণপণ সংগ্রাম করছে। মেজর জিয়া তখন সেক্টর কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছেন। আর কর্নেল বেগ, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর অন্যতম কর্তা। সকাল-সন্ধ্যা বাঙালী নিধনের নির্দেশ দিচ্ছেন, ব্লু-প্রিন্ট তৈরী করছেন। দুই জন সমর ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ।
অথচ কর্নেল বেগ বলছেন, ' তোমার কাজে আমরা খুশী'। মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়া কী কাজ করলেন যে তার কাজে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী খুশী হলো? মেজর জিয়া যে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন, সেই প্রতিপক্ষ তার সন্তানের দেখভাল করছে?'
এই চিঠি সম্পর্কে দীপু মনি আরো লিখেছেন, 'মুক্তিযুদ্ধের অকথিত অধ্যায়ের একটি বড় আবিষ্কার। এর মানে কি এই যে, দৃশ্যত জিয়া মুক্তিযুদ্ধ করলেও আসলে তিনি ছিলেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এজেন্ট? মুক্তিযুদ্ধের সময়ই খন্দকার মোশতাকদের ষড়যন্ত্রের কথা আজ জাতি জানে।
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ষড়যন্ত্রে মোশতাক চক্রের সঙ্গে জিয়ার যোগাযোগের কথাও জাতি জানে। কিন্তু এই চিঠি যেটি স্পষ্ট করে দিয়েছে তা হলো 'মুক্তিযোদ্ধা' জিয়া আসলে ছিলেন স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এজেন্ট।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ই তাকে পাকিস্তানিরা 'বিশেষ দায়িত্ব' দিয়েছিল, যে দায়িত্ব তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছিলেন। '৭৫-এ জিয়ার ভূমিকায় যারা হিসাব মেলাতে পারেন না, তাদের জন্য এই চিঠি একটি বড় উম্মোচন।'
দীপু মনি বলেন, এ কারনেই '৭৫-এর ১৫ আগস্ট জিয়া মোশতাক চক্রকে সঙ্গে নিয়ে ইতিহাসের বর্বরোচিত ঘটনা ঘটান। এ কারনেই, '৭৫-র পর জিয়া যুদ্বাপরাধীদের বিচার বন্ধ করছিলেন। যুদ্বাপরাধে আটকদের মুক্তি দিয়েছিলেন, গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন এবং জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। Click This Link
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪২
তালপাতারসেপাই বলেছেন: মেজর জিয়াউর রহমান
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
জিয়ার চিঠির চিঠি দিপুমনির কাছে যাওয়ার মত জেনারেল জিয়া ছিলেন না।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪০
তালপাতারসেপাই বলেছেন: চিঠিটি ২০১৩ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের ডন পত্রিকায় ছাপা হয়
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৩
তালপাতারসেপাই বলেছেন: মেজর জিয়া
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪২
চাঁনপুইরা বলেছেন: জিয়া পাকিস্তানের দালাল, খুনি এবং ক্ষমতা দখলকারী ছিল এ জন্য হাসিনার স্বৈর শাসন আর সীমাহীন লুটপাটকে যারা জায়েজ মনে করে - হয় তারা লুটপাটের অংশীদার অথবা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৮
তালপাতারসেপাই বলেছেন: তাই?
৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫০
রাফা বলেছেন: ডন পত্রিকার লিংকটি থাকলে পোষ্টে সংযোজন করুন দয়া করে।এরকম সংবাদ ২০১৩ সালে দেখেছিলাম কিন্তু সূত্র দেওয়া হয়নি বলে বিশ্বাস যোগ্য হয়নি।কাজেই প্রমাণ স্বরুপ লিংকটি সংযোজন করুন ।
ধন্যবাদ।
৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১৯
ঢংপাটি বলেছেন: যুদ্ধের সময় অনেক কৌশল অবলম্বন করতেহয়। একটি বিতর্কিত চিঠির মাধ্যমে একজন মুক্তিযোদ্ধা কে এজেন্ট বলাটা কি যুক্তিসঙ্গত। আর একজন বিগ্রেড অধিনায়ক যদি এজেন্ট হয় তাহলে মুক্তিযুদ্ধ করল কে? নিশ্চই তার অধিনে যারা যুদ্ধ করেছে সবাই এজেন্ট ছিল? বলবেন শেখ মুজিবই পাকিস্থানে থেকে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন।অযথা এসকল বাল ছাল নেতাদের বিতর্ক সৃষ্টি থেকে বিরত থাকতে বলেন!
৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬
নীল আকাশ বলেছেন: দেশে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর সংখ্যা অত বেশী বেড়ে যাওয়ার কারন বেশী বেশী করে (অ)বাল এর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এরা এতাই নির্বধ যে কাকে কি বলতে হয় সেটাও ভুলে গেছে। মেজর জিয়া কে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিয়েছে ? বিএনপি না আওয়ামী লীগ ? এটা যদি সত্যি হতে হয়, তা হলে সব চেয়ে বড় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তো শেখ মুজিব, কারন সেই তো মেজর জিয়া কে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিয়েছে, বীর উত্তম উপাধি দিয়েছে । এখন দেখবেন সব (অ)বাল চুপ করে যাবে। এসব (অ)বালদের জন্য এদের একা নেতার লাইন তুলে দিচ্ছি । এটা পড়ে যদি এদের কোন বোধদয় হয়।
যারা ময়দানে যুদ্ধ না করে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল' তাহারা ছাড়া সবাই বলবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক' - ""বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী"
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আসলে, জিয়া নামে কেহ ছিলো না; ওটা আপনার সৃস্টি