| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
তালপাতারসেপাই
	লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
 
ঘড়ির কাঁটা সবসময় একই নিয়মে একদিকে ঘোরে, আমাদের দেশে গণতন্ত্রের কাঁটা কেন যে একই নিয়মে চলে না তা বোঝা দুঃসাধ্য। গুরুত্বহীন ছোট্ট দুটি নিউজ দেখে আমাদের গণতন্ত্রের টালমাটাল অবস্থার কথা মনে এল। প্রথম সংবাদটি হলো- রাস্তায় রাস্তায় গাড়ি, রিকশা থামিয়ে পুলিশ চেক করছে ফোনে ভিপিএন ইনস্টল করা আছে কিনা! এ সংবাদ আমাদের একাত্তরে পাকিস্তান আর্মির লুঙ্গি খুলে হিন্দু চেক করার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তবে খুশির খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন শিগগিরই ফেসবুক খুলে যাচ্ছে। কিন্তু খুলবেন কি পুলিশমন্ত্রী না প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম? দ্বিতীয় সংবাদটি হলো- সন্তানহারা উনিশটি পরিবারের আকুতি তাদের সন্তান ফিরিয়ে দেয়ার। বোধ করি এর দায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
তবে গণতন্ত্র সম্পর্কে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সদ্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক বিশাল সমাবেশে বলেছেন, ১৯৪৭ সালে হিন্দু ছিল ৩৭%, ১৯৭২-এ ২১%, আর এখন ১০%; ক’দিন পর শূন্যটি আর থাকবে না; তখন আমাদের গণতন্ত্র হবে আফগানিস্তানের মতো। ঐক্য পরিষদ ঢাকায় এ সমাবেশ করে জানান দিয়েছে সংখ্যালঘুরা আছে। কেন জানি মনে হচ্ছে শুধু যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি নয়, ঐক্য পরিষদের এই সম্মেলনও অন্যতম কারণ ছিল ফেসবুক বন্ধ থাকার। এক ঢিলে দুই পাখি মারা আর কি! সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষায় চ্যাম্পিয়ন আওয়ামী লীগ দাবিগুলো মেনে নিলেই তো পারে। শুধু কথায় আর কতদিন চিঁড়ে ভিজবে? হিন্দুরা তো এতকাল ‘ভোটব্যাংক’ ছিল, রাজনীতিতে ‘গিভ এন্ড টেক’ পলিসি প্রচলিত থাকলেও হিন্দুরা শুধু গিভ করেছে, এবার টেকের পালা। তাছাড়া সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়, মাইনরিটি কমিশন গঠনে সমস্যা কোথায়?
সমস্যা মানসিকতায়, নইলে স্বাধীনতার চুয়াল্লিশ বছর পর পাকিস্তান এমত চরম ঔদ্ধত্য দেখাতে পারে? অবশ্য দেখাবেই না কেন, ভারত-পাকিস্তান খেলা হলে মাঠের প্রায় সব লোকই তো পাকিস্তানের পক্ষে থাকে? পাকিস্তান কি এ খবর রাখে না? যারা বাংলাদেশকে ‘মিনি পাকিস্তান’ বানাতে চায় তাদের সংখ্যা কি খুব কম? ভ্রাতৃপ্রতিম পাকিস্তান আর বন্ধুপ্রতিম ভারত স্লোগান তো আমরা বহুদিন শুনেছি! শুধু খালেদা জিয়া কেন পাকিস্তানপ্রেমী কি আমাদের মধ্যে কম? অথচ সদ্য নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, বর্বর পাকিস্তান, আগে যা ছিল এখনো তাই! দাবি উঠেছে পাকিস্তানের সঙ্গে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার। দেশে এবং প্রবাসে এ নিয়ে মিছিল-সমাবেশ হচ্ছে। অতি উৎসাহী ঢাবির উপাচার্য একধাপ এগিয়ে ‘সম্পর্ক ছিন্ন’ (শিক্ষা!) করার ঘোষণা দিলেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বললেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাকিস্তানের সঙ্গে হয়তো এখনই সম্পর্ক ছেদ হবে না, আর হলেও পুরনো প্রেম কি এত তাড়াতাড়ি উবে যাবে? তবে পাকিপন্থী আমেনা মহসিনকে তথ্যমন্ত্রীর জবাব সমুচিত হয়েছে। তথ্যমন্ত্রীকে যতই ‘আওয়ামীপন্থী জাসদ’ বলে গালিগালাজ দেয়া হোক না কেন, তিনি যে সবকিছুই পারেন তা আবার দেখিয়েছেন।
বিশ্ব পরিক্রমায় এ সময় পাকিস্তান আবার শিরোনামে উঠে এসেছে এ কারণে যে, ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নার্দিনোতে এ মাসেই যে সন্ত্রাসী হত্যাযজ্ঞ হয়ে গেল এর মূলেও পাকিস্তানি সন্ত্রাসী, এক নারী, তাফিসন মালিক। বলা হচ্ছে, মালিকের মালিকানা ছিল আইসিস গুরু আবু বকর আল-বাগদাদির হাতে, স্বামীকেও তিনি ওই পথে নিয়ে গেছেন। শুধু বাংলাদেশ প্রসঙ্গে নয়, সন্ত্রাস রপ্তানিতেও পাকিস্তান সমালোচিত হচ্ছে। জন্ম থেকে পাকিস্তান সন্ত্রাসের মধ্য দিয়েই এ পর্যন্ত এসেছে, মনে হয় পৃথিবীর মানচিত্রে যতদিন পাকিস্তান থাকবে ততদিন বিশ্বে সন্ত্রাসও থাকবে। ড্যাম উইথ পাকিস্তান, তবে পাকিস্তানি নাগরিক গোলাম আযম যদি ৩০ লাখ শহীদের মৃত্যুর জন্য দায়ী হয়েও শুধু বয়সের কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তবে একই কারণে মা-বাবাকে খুন করে কিশোরী ঐশীর ফাঁসির দণ্ড ‘লঘু পাপে গুরুদণ্ড’ হয়ে গেল না?
যাক গে, ম্যাডাম খালেদা জিয়া দেশে ফিরেছেন এবং ফিরেই তিনি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এটা সত্য, অস্তিত্ব বজায় রাখতেই বিএনপি নির্বাচনে এসেছে এবং অতীতের মতো খালেদা জিয়া এবার ভুল সিদ্ধান্ত নেননি। এটা ভালো লক্ষণ। আশার কথা, বিএনপি বুঝেছে আন্দোলন করে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না, নির্বাচনের মাধ্যমেই নিদেনপক্ষে ক্ষমতার অংশীদার হওয়া যাবে। কেন জানি না আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, ম্যাডামের দল বিএনপি দুর্বল হোক চাইলেও শেখ হাসিনা কখনোই ম্যাডামের ধ্বংস চাননি। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও শেখ হাসিনাই শেষ রক্ষা করে দিয়েছেন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের। গণতন্ত্রের খাতিরেই বারবার পতনশীল ম্যাডামকে জননেত্রী শেখ হাসিনা হাত ধরে টেনে তুলেছেন। এবারো স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে জননেত্রী তাই করলেন। আবার ২০০৯-এ এরশাদকে ক’টি আসন ছেড়ে দিয়ে তাকে বিরোধীদলীয় নেতা করে নিয়ে আসা শেখ হাসিনার জন্য কোনো ব্যাপার ছিল না, এ পরামর্শ যে তাকে দেয়া হয়নি তাও নয়, কিন্তু তিনি তা চাননি। এরশাদকে তিনি প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু ক্ষমতা স্বৈরাচারের হাতে যাক সম্ভবত তিনি তা চান না। গণতন্ত্রের স্বার্থেই হয়তো তিনি তা চান না।
আমাদের গণতন্ত্র যেমনই হোক, পাকিস্তানের চেয়ে ভালো। নির্বাচন গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত। সামনের নির্বাচন দেশকে আবারো নির্বাচনমুখী করবে তা বলাবাহুল্য। তবে বিএনপি যেমন এবার সিটি নির্বাচনের মতো আবারো মধ্যবেলায় বয়কট না করে! আজ মঙ্গলবার নিউইয়র্ক পাকিস্তান কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ, আমাদের দাবি পাক-কনস্যুলেটের ৫৬% আমাদের দিতে হবে, অন্যান্য দাবি-দাওয়া তো আছেই। নিউইয়র্ক কনস্যুলেটের ভাগ চাওয়া বা ৫৬% চাওয়ার কারণ হলো, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় নিউইয়র্কে ম্যানহাটনের সম্ভ্রান্ত ফিফথ এভিনিউতে ওদের দুটি ভবন ছিল, একটি ভারত পেয়েছে, অপরটি পাকিস্তান। সেই অর্থে পাক কনস্যুলেটের ৫৬% আমরা পাই, কারণ ১৯৭১ সালে বাঙালিরা ছিল পাকিস্তানের ৫৬%। পাই না পাই, দাবি জানাতে তো দোষ নেই? একইভাবে বাংলাদেশ তো পারে পাকিস্তানের কাছে সম্পদের হিসাব চাইতে বা ১৯৫ জন সেনা যুদ্ধাপরাধীর বিচার দাবি করতে! এ দাবি জোরদার হওয়ার সময় তো এখনই। 
সূত্র
২| 
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫  রাত ৩:১০
রাফা বলেছেন: প্রতিটি পাকিস্তানের অন্তরে ১জন জঙ্গীর বসবাস আছে।সুযোগ পেলেই ইসলামের অপব্যাক্যা দিয়ে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে।৭১-এ তার রুপটা আমরা ভালোভাবেই প্রত্যক্ষ্য করেছি।কিছু প্রেতাম্তা রেখে গেছে তারা আমাদের দেশে।তাই এখানেও ফণা তুলে দাড়ায় মাঝে মাঝে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়।আজকে প্রকাশ্যেই দেখলাম খালেদা জিয়া জঙ্গীদের সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন।বাংলাদেশে নাকি কোন জঙ্গী নেই।সবাই খুব নিরিহ জাতিয় প্রাণী।বাংলা ভাই আর ইংলিশ ভাইদের ফাসি দেওয়াটা খুব বড় ভুল হয়ে গেছে।কারন এরা ছিলো খালেদা জিয়ার আদর্শ ছাগিয়তাবাদির সৈনিক।
৩| 
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫  রাত ৩:৩৬
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: : শয়তান কখনও দেবত হয় না ।আবার খল নায়ক আর নায়ক দু'টই আলাদা চরিত্র
পাকিস্থানের মাথার উপরে আমেরিকা আর স্থলে তালিবান 
এবং অন্তরে জুলুমবাজ![]()
![]()
![]()
![]()
কি?
৪| 
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫  ভোর ৪:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন: 
হয়তো এটম বোমা পড়তে পারে পাকিস্তানে।
৫| 
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫  সকাল ৭:১৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: একইভাবে বাংলাদেশ তো পারে পাকিস্তানের কাছে সম্পদের হিসাব চাইতে বা ১৯৫ জন সেনা যুদ্ধাপরাধীর বিচার দাবি করতে! এ দাবি জোরদার হওয়ার সময় তো এখনই।" ১৯৫ জনের বিচার করা সম্ভব হয়নি অারববিশ্বের কারণে । এখনো বোধহয় সম্ভব হবে না । তবে যে অর্থ-সম্পদ লুটপাট হয়েছিলো, তার হিস্যা চাইতে পারে বাংলাদেশ ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫  রাত ২:৫৫
উল্টা দূরবীন বলেছেন: আপনার সাথে সহমত। তবে পাকিরা আজীবন শুয়োর এবং গোঁয়ার।
ধন্যবাদ এবং আমার ব্লগে আমন্ত্রণ।