নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয় নেই, মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা আছে নতুন প্রজন্মের চেতনার গভীরে

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৪

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে ‘বিতর্ক’ আছে বলে বক্তব্য প্রদান করে বিএনপি-নেত্রী জাতিকে বিভ্রান্ত ও বিব্রত করেছেন যা অনৈতিক এবং অসাংবিধানিক। সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত বিষয় নিয়ে দুরভিসন্ধিমূলক এরূপ বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল বলেও ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমাদের মনে হয়। দেশের নানা প্রান্ত থেকে তার এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও শুরু হয়েছে। এই প্রতিবাদ কোথাও কোথাও মামলা-মোকদ্দমা পর্যন্ত গড়িয়েছে। বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে মাঝে-মধ্যেই বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এবং অতি-অবশ্যই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয়।এই ধারার সর্বশেষ সংযোজন বেগম খালেদা জিয়া কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধের ‘শহীদদের সংখ্যাতত্ত্ব’ বয়ান। স্বাধীনতাকামী ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী বাঙালি তার এই ‘ইতর-সংখ্যাতত্ত্ব’ ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তথা আওয়ামী লিগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৪৪ বছর আগে। স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এই দলটি বিগত এই ৪৪ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল ১৬ বছর। বাকি সময়ে বিভিন্ন নাম-পরিচয়ে সামরিক, বেসমারিক কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশটির শাসন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করেছে। শুধু রাষ্ট্রের শাসনভারই নয়- ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন দফায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দেশের ইতিহাসকেই ভিন্ন খাতে ধাবিত করেছে। এর পশ্চাতেও বিএনপির ক‚টকৌশল ছিল নজিরবিহীন। যে সমস্ত ঘটনা প্রকৃত ইতিহাসে ঘটেনি এমনকি চিন্তা করাও কষ্টসাধ্য সে সমস্ত ঘটনাকে এই সময়ে বিএনপি নতুন নতুন মোড়কে উপস্থাপন করে দীর্ঘ ২৮টি বছরে জাতিকে বিশেষত নতুন প্রজন্মকে অভ্যস্ত করিয়ে ছেড়েছে।
১৯৭৫-উত্তর জাতীয় ক্রান্তিকালে মিথ্যা ইতিহাস বারবার শোনে শোনে তাকে ‘সত্য’ মনে করেই এ দেশের শিশু-কিশোরেরা বড় হয়ে উঠেছে। তাই তাদের সম্মুখে এখনকার সত্য ইতিহাসের গল্প ‘সন্দেহজনক’ মনে হয়। আর, দীর্ঘদিনের চর্চাবশত মিথ্যা ও কুহকের বিভ্রান্তির মধ্যে বুঁদ হয়ে ডুবে আছে জাতির একটা বড় অংশ। এরা সেই মিথ্যা থেকে সেই কল্পিত কুহক থেকে নিজেদের বিযুক্ত করতেও আলস্যবোধ করে। কারণ, মিথ্যার যাদু এবং মধু তাদেরকে যেমন আপ্লুত করেছে তেমনি আড়ষ্টও করেছে। তাই, সত্য স্বীকারেও জাতির এই একটি অংশের মধ্যে তীব্র অনীহা দেখা যায়। সেই অনীহা-উদাসীনতার ফাঁক দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিশেষত মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা বিরোধী রাজনৈতিক দল সময়ে সময়ে অদ্ভূত নানা রকমের তত্ত্ব হাজির করে সমগ্র জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় মত্ত হয়ে ওঠে। তারই এক প্রমাণ পাওয়া গেল গত ২১ ডিসেম্বর, বিজয়ের এই মহান মাসে। সেদিন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সম্মেলনে বেগম জিয়া মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতি, ইতিহাস ও সংগ্রামী ঐতিহ্য নিয়ে পাকিস্তানি ‘স্টাইলে’ এরকম রাজনৈতিক নানা বিতর্ক পুত্র তারেক রহমানও কম করেনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ নানা ইস্যুতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নেতিবাচক নানা বক্তব্য-বিবৃতির সঙ্গে তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার বক্তব্য-বিবৃতির মধ্যে ব্যবধান খুবই কম দেখা গেছে। যেন বা পাকিস্তানি মুখপাত্রের বাংলায় বয়ান! সাম্প্রতিক কালের তার এই বক্তব্য-বয়ানে পাকিস্তানের সঙ্গে বিএনপির নৈকট্য ও সম্প্রীতির গভীরতা আবারো প্রমাণিত হলো। দুঃখজনক এটাই যে, তার সেই বক্তব্য একদল মুক্তিযোদ্ধা সেখানে বসে বসে হজম করেছেন। এই মুক্তিযোদ্ধারা বিষয়টি কীভাবে মেনে নিলেন তাই আমাদের কাছে প্রশ্ন ও বিস্ময়! ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদের প্রকৃত সংখ্যা কত তা নিয়ে তার যে বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে তাতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধও লক্ষ করা যায়নি- উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাগণ এই বিষয়টিই বা কেমন করে উপভোগ করলেন জানি না। অনেকটা তাচ্ছিল্যের সঙ্গে তিনি বলেছেন ‘আজকে বলা হয় এত লক্ষ লোক শহীদ হয়েছে এটা নিয়েও বিতর্ক আছে।’
আমরা সেই শিশুকাল থেকেই শুনে আসছি তিরিশ লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা। শুধু তাই নয়- এর সঙ্গে জলাঞ্জলি দিতে হয়েছে এ দেশেরই দুলাখ নারীর মান-সম্মান-সম্ভ্রম। একটি সর্বজন গৃহীত ঐতিহাসিক সত্য ঘটনার ওপর বেগম জিয়া আসলে কিসের প্রলেপ লাগাতে চান তা জাতির অজনা নয়। তার ভাষায় যা ‘আজকে’ তা তো আজকের কোনো কথা নয়। বিগত ৪৪ বছর ধরে যেখানে আমরা শুনে আসছি সেখানে তিনি কেন ‘আজকে’র বলে মুক্তিযুদ্ধকেই প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছেন তাও সচেতন এবং ইতিহাসনিষ্ঠ বাঙালির কারো অজানা নয়। একথা তিনি আগে কখনো না বলে এখন কেন বলছেন তা শিশুরা পর্যন্ত আঁচ করতে পারে- তা আমাদের কাছেও পরিষ্কার। শুধু এটুকুই আমাদের বোধগম্য নয় যে, দুইবার (মতান্তরে তিনবার) প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় আচারমূলক ও আনুষ্ঠানিক বিভিন্ন ‘অফিসিয়াল’ বক্তব্য-বিবৃতি প্রদান করার সময় তিনি নিজেও বাঙালি মানসে গভীরভাবে প্রোথিত বিশ্বাসটিকেই উপজীব্য করে মুক্তিযুদ্ধে তিরিশ লাখ শহীদের প্রসঙ্গ টেনে নিজে যেমন আপ্লুত হয়েছেন তেমনি জনতাকেও আপ্লুত করার প্রয়াস পেয়েছেন।
কোনো দেশেই মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা গাণিতিকভাবে মাথা গুণে গুণে হিসাব করা যায়নি। তাছাড়া, গণহত্যায় সংখ্যা নির্ণয়ও দুঃসাধ্য। তবু, নানা তথ্য-উপাত্ত থেকে দেশি বিদেশি গণমাধ্যম বা আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের স্বীকৃতি এবং সর্বশেষ সাংবিধানিকভাবে গৃহীত হয়েছে এই সংখ্যা। এই সংখ্যা নির্ণয়ের পদ্ধতিতে ত্রুটি থাকলেও এটি আমাদের জাতীয় ‘বিশ্বাস’। এটি সকলের মান্য। জাতীয় বিশ্বাসের ওপর আঘাত হানা যাবে না- অমান্য করা যাবে না। অমান্য করার অর্থই অসাংবিধানিক আচরণের সামিল। এই বিশ্বাস আমাদের জাতীয় চেতনাকে শাণিত করার লক্ষ্যে নিবেদিত। আবার, গাণিতিক বিদ্যার হিসেবে তিরিশ লাখের চেয়ে কম হলে সে প্রমাণ করারও এখতিয়ার বেগম খালেদা জিয়ার আছে বলে জাতি মনে করে না। ‘গণহত্যা’র কোনো গাণিতিক পরিসংখ্যান কোনো দেশেই থাকে না। আমেরিকার গৃহযুদ্ধ সমকালীন গণহত্যা বলি কিংবা বসনিয়া-হার্জেগোভিনার গণহত্যার কথা বলি সেখানে বেগম জিয়ার মতো ‘মাথা’ গুণে গুণে তিরিশ লাখের হিসেব কেউ করেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যুও কথা ইতিহাস স্বীকৃতি দিয়েছে সেখানেও আমাদের ম্যাডামের মতো কাউকে গুণে গুণে সেই ৬০ লাখের হিসেব করেনি।
নানাভাবে প্রমাণিত হয়েছে, কেবল ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে পাকিস্তানের কণ্ঠের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে খালেদা জিয়া মীমাংসিত বিষয়ে নতুন এক প্রশ্ন ও বিতর্কের জন্ম দিলেন। এরকম উদ্ভট এবং উন্মাদরূপী বক্তব্য বিবৃতি দিয়ে তার পুত্র তারেক রহমান যেমন জাতির কাছে হেয় প্রতিপন্নœ হয়েছে আমরা বেগম জিয়াকেও অদূর ভবিষ্যতে হয়তো সেই আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে দেখতে যাচ্ছি- একথা বলা যায়।
জাতিকে বিব্রত ও বিপন্ন করার জন্য একটি পক্ষ গভীর ষড়যন্ত্র করলেও বর্তমানে ইতিহাসনিষ্ঠতার ভেতর দিয়েই আমরা সম্মুখের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বিগত ৭ বছর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে বলে ইতিহাস সচেতন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত ৫ বছর এবং বিগত ৭ বছর বাংলাদেশের মানুষ বিশেষত এ যুগের তরুণ প্রজন্ম সত্যনিষ্ঠ এক ইতিহাসের ধারায় নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে পারছে। নতুন প্রজন্মের বিরাট জনগোষ্ঠী সত্য অন্বেষণেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এদের মধ্যে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যেমন শ্রদ্ধা আছে তেমনি আছে মুক্তিযুদ্ধের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখার প্রচেষ্টা। এই সত্যটি বিগত এক সপ্তাহের অভিজ্ঞতায় ব্যক্তিগতভাবে আমার আরো গভীরতর হয়েছে।
অভিজ্ঞতার এ গল্পটি একটু ব্যাখ্যা করি। নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার কমিটিতে থাকার সুবাদে গত সপ্তাহে পাঁচ দিনে (১৯-২৩ ডিসেম্বর) আমার এ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা প্রায় পাঁচশত তরুণ-তরুণীর সাথে কথা বলাবার সুযোগ হয়েছে- নাটকের অভিনয় কিংবা আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে তাদের পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ হয়েছে। এই সুযোগে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয় কিংবা নাট্যক্রিয়া দেখে আমি আজকের লেখাটির শিরোনাম নির্ধারণে উৎসাহিত হই। অনেকেই অভিনয় করার সময় বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধকে। কেউ মুক্তিযোদ্ধা এবং কেউবা বীরাঙ্গনা চরিত্রে অভিনয় করেছে। অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ-সমকালীন দুর্দশার বর্ণনা তারা তাদের পটু ও অপটু ‘পারফরমেন্স’-এর মধ্য দিয়ে যোগ্যতা প্রদর্শনের চেষ্টা করেছে। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী যেসব অপরাধ সংগঠিত হয়েছে সেই অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার পক্ষেও তাদের দৃঢ় অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদেও বিচাারের রায় নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার মন্তব্য বা উদ্যোগের প্রতিও এইসব তরুণ-তরুণীদের স্বতঃস্ফূর্ত ও তীব্রতম ক্ষোভ লক্ষ করলাম। তাদের এই আবেগ ও বিবেচনবোধ দেখে আশাবাদী না হয়ে পারা যায় না। বিগত সপ্তাহের পাঁচটি দিন সতেরো-আঠারো বছরের তরুণ-তরুণীদের সঙ্গ একদিকে যেমন ছিল আনন্দের অন্যদিকে তেমনি ছিল কিছুটা বেদনারও। কারণ, এই পাঁচ শতাধিক তরুণ-তরুণীদের মধ্য থেকে কেবল ৩০ জন এবার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বার সুযোগ পাবে। আর, বাকি এক বিরাট সংখ্যক তরুণ-তরুণীরা হয়তো আর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেই পারবে না। এই দুঃখবোধ নিয়েও বলতে চাই যে, খালেদা জিয়া বা পাকিস্তানি কোনো চক্রই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও প্রকৃত ইতিহাসের পাঠ থেকে তরুণ প্রজন্মকে বিচ্যুত করতে পারবে না। কারণ, তাদের চেতনার গভীরে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ দীপ্যমান।সুত্র

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৭

রাফা বলেছেন: আশাবাদি হলেও সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে।১৬ বছর বাদ দিয়ে বাকি সময়টা তারাই ক্ষমতায় ছিলো সেই প্রজন্ম বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।আর ভাড়া করা বিদেশি বাহিনিও সক্রিয় আছে এখনও।তাইতো বার বার বিতর্ক সৃষ্টি করে বাধাগ্রস্থ করতে চাইছে বিচার প্রক্রিয়াকে।
শধু তাই নয় আরেকটি ১৫ই আগ্স্ট সংগঠণের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে আজো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.