নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিন্ন চেহারার জঙ্গিবাদের পুনরুত্থান ঘটছে!

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:২১

গত সপ্তাহে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে তুলকালাম ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা নিয়ে নির্মোহ লিখতে গেলে সমূহ বিপদ। আবার ‘একপেশে’, ‘পক্ষপাতমূলক’ তকমার ভয় তো রয়েছেই। এ বিষয়টা বুঝতে হলে কয়েকটি অনুষঙ্গ ধরে এগোতে হবে। তবে যে যেভাবেই ব্যাখ্যা করুন ঘটনাটি একটি ছোট্ট ঘটনার ব্যাকফায়ার নয়, বরং ওই আপাত ছোট্ট (একজন মানুষের মৃত্যু কিছুতেই ছোট্ট ঘটনা হতে পারে না) ঘটনাটিকেই অনুঘটক ধরা হোক না কেন, মূল ঘটনা পুঞ্জীভূত ক্ষোভ। কার ওপর এই ক্ষোভ? নিশ্চিতভাবেই ক্ষমতাসীন সরকারের ওপর। কেন সেটাও আন্দাজ করা যায়। কারণটি পরে বিস্তৃত করা হয়ছে। তবে সবিস্তারে যাওয়ার আগে চটজলদি কিছু অনুষঙ্গ বলে নেয়া যেতে পারে।
১. সরকার প্রথম থেকেই দৃঢ়ভাবে বলে আসছে (বিশ্বাস করে কি না সেটা জানা যায় না) ‘দেশে কোনো জঙ্গিবাদ নেই (জঙ্গি থাকলেও থাকতে পারে, বিচ্ছিন্নভাবে)।’ ‘এ দেশ মডারেট (খালেদা কর্তৃক আবিষ্কৃত আমেরিকা কর্তৃক সত্যায়িত) মুসলিমদের দেশ, এখানে জঙ্গিবাদের ঠাঁই নেই। এ দেশের মানুষ ধর্মভিরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়।’
সরকারের এই স্টেটমেন্ট কিন্তু এলে-বেলে কিছু নয়, রীতিমতো পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট। একটি দেশের তাবৎ মানুষ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত (যে মানুষদের প্রায় ৫৮ ভাগ এই সরকারকে ভোট দেয়নি!)। এই মানুষদের মুখে কী, আর বুকে কী সেটার কোনো গবেষণালব্ধ ডাটা নেই। তারপরও সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তি আকসার বলে আসছেন- ‘এ দেশ কখনোই ইরাক-সিরিয়া-আফগানিস্তান হবে না।’
২. প্রগতিশীল বামপন্থীদের একাংশ সরকারের মতোই প্রথম থেকেই বলে আসছে- ‘দেশে কোনো জঙ্গিবাদ নেই (জঙ্গি থাকলেও থাকতে পারে, বিচ্ছিন্নভাবে)। ইরাক-সিরিয়ায় যেমন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ সৃষ্ট জঙ্গিবাদ রয়েছে, তেমনি সাম্রাজ্যবাদ এ দেশ দখল করার অজুহাত হিসেবে ‘ওয়ার অন টেরর’ ধুঁয়া তুলে জঙ্গি আবিষ্কার করছে। জোর করে জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব প্রমাণ করে তা নির্মূলের অসিলায় দেশ দখল করতে চায়।’
অর্থাৎ ওই বিশেষ গোত্রের বামপন্থীরা গোড়াতেই মার্কসবাদী দ্ব›েদ্বর সর্বজনীনতা অস্বীকার করেছেন। তার বদলে ঐতিহাসিক চরিত্র (যা সদা পরিবর্তনশীল) বিবেচনা করে অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করছেন। এদের মূর্ত অবস্থার মূর্ত বিশ্লেষণে ভয়াবহ বিচ্যুতি রয়েছে।
৩. ক্ষমতাসীন জোট, ক্ষমতাবহির্ভূত জোট, সামরিক-বেসামরিক আমলা এবং সুশীলদের বিরাট অংশের মূল্যায়নও সরকার এবং বামপন্থীদের ওই ফ্যাকশনের মতোই। সেই সঙ্গে এদের আরেকটি বিপজ্জনক স্টেটমেন্ট হচ্ছে- জঙ্গি সংশ্লিষ্ট সামগ্রিক ঘটনাবলি, ভিন্নমতকারীদের ওপর নৃশংস হত্যাকাণ্ড, দেশজুড়ে আস্তিক-নাস্তিক বিভেদ করে শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করা সবই ‘মতাদর্শীক’ সংগ্রাম। এ নিরাময়ে তেমন কোনো কার্যকর উপায় নেই!
এই যে প্রধান তিনটি মত বা ধারণা কিংবা বিশ্লেষণ এটাই এই মুহূর্তে স্টাবলিস্ট। সেই দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত ধারণা মতেই জঙ্গিবাদ, জঙ্গি উত্থান, জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ পরিচালিত হচ্ছে। আর তাতে করে সমস্যা হচ্ছে জঙ্গিবাদ হয়তো ‘বাদ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না, কিন্তু ধংসাত্মক কার্যকলাপের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ ধীরে অথচ দৃঢ়ভাবে তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।
এ দেশের জঙ্গিবাদ ইরাক-সিরিয়ার মতোই সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। এর সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক অতটুকুই যতটুকু না থাকলে ধর্মীয় শৃঙ্খলা এবং কঠোর অনুশাসন বলবৎ করা যেত না। সেই সারা দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে আদালতে বোমা হামলা, ব্লুগার হত্যা, বিদেশি হত্যা, দেশের বিভিন্ন পেশাজীবীদের মৃত্যু হুমকি পাঠানো, পুলিশ চৌকি আক্রমণ করে পুলিশ হত্যা থেকে শুরু করে এই হালের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনার প্রায় সবটাই রাজনৈতিক।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট একটা টার্ম শেষ করে আবার আরেকটা টার্মে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় বসেছে। সেটা বলবৎ থাকবে ২০১৯ সাল পর্যন্ত। তার মানে সেই ২০০৬ সাল থেকে ২০১৯ টানা ১৩ বছর জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামায়াত বা তাদের মতানুসারীরা ক্ষমতার বাইরে। সহসা ক্ষমতায় যাওয়ারও কোনো সম্ভাবনা নেই। নির্বাচন ২০১৯ সালের আগে হবে না। সেই নির্বাচনেও লড়তে হবে এই সরকারের অধীনে। তাতে করে জেতার সম্ভাবনাও নেই বললে চলে, কারণ ক্ষমতায় থেকে সরকার এই ১৩ বছরে অনেক কিছু করে জনগণকে ‘প্রলুব্ধ’ করেছে। করবেও। এই বাস্তবতায় সামরিক ক্যুদেতার ওপর নির্ভর করা ছাড়া উপায় নেই। আর ক্যুদেতা সংঘটিত করতে গেলে দেশে লাগাতার বিশৃঙ্খলা, ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও থাকতে হবে। তখন বিদেশি সরকারবিরোধীদের চাপে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করবে এবং তারা সেই ক্ষমতার স্টেকহোল্ডার হবেন! এই একটি প্রায় অসাধ্য উপায় ছাড়া আর কোনো উপায় খোলা নেই বলেই তাদের সমস্ত মনোযোগ ওই সামগ্রিক বিশৃঙ্খলা এবং চরম নৈরাজ্য, যার ব্যাকফায়ার- ক্রুয়েল ইমার্জেন্স।
এ প্রসঙ্গে একটি ভিন্ন প্রসঙ্গের অবতারণা করতে হচ্ছে- ১৯৬৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘নীল আকাশের নীচে’ ছায়াছবির একটি গানের দৃশ্যে নায়িকা কবরীকে সিøভলেস ব্লুাউসে দেখানো হয়েছে! পুরো ছবিতে প্রমিত শুদ্ধ বাংলা ব্যবহার করা হয়েছে। সাল ১৯৬৯! অর্থাৎ বাংলাদেশ তখন ‘পূর্ব পাকিস্তান’। গানটি সুপারহিট নয়, ঐতিহাসিক কোনো ঘটনার দলিলও নয়। স্রেফ একটা উদাহরণ। উদাহরণ এ জন্যই যে আগামী কয়েক বছরে এই অ্যাফ্লুয়েন্ট মেগা সিটির দুই কোটি প্যারাসাইড সিভিলিয়ান যে একটা জোড়াতালির অ্যামিবা সোসাইটি গড়ে তুলবে। সেই সোসাইটিতে কিছু ইতিহাস-ন্যাওটা সোশ্যাল মিডিয়া পার্সন অকস্মাৎ একটি ভিডিও আপলোড করে হয়তো লিখে বসবেন- ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইট হ্যাড বিন আ রেগুলার ফ্যাসন!’ অর্থাৎ সে সময় কবরীর মতো সিøভলেস পরে কাউকে চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে না যা সেই ১৯৬৯-এ দেখা গিয়েছিল।
এই তুলনাটি যে আসবে তা আন্দাজের জন্য খুব বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই। এখন শীতকাল। এ সময় গ্রাম বাংলায় কৃষকের ধান ওঠা শেষ। ঘরে পর্যাপ্ত খাবার, টাকা, ধান থাকায় তারা এ সময় বিয়ে-শাদি ইত্যাদি সেরে ফেলে। তার সঙ্গে গ্রামে গ্রামে বসে জারি গান, সারি গান, কবিতাযুদ্ধের আসর। ধান কেটে নেয়া জমিতে শামিয়ানা টাঙিয়ে বসে যাত্রাপালা। সারা দেশে এই কয়েকটি মাস চষে বেড়ায় যাত্রা আর পালাগানের শিল্পীরা। এ সময় যা আয় করে তা দিয়েই তাদের সারাটা বছর চলতে হয়। অথচ ঠিক এখন দুরবিন, বায়নোকুলার, টেলিস্কোপ দিয়ে তন্ন তন্ন করে করে খুঁজেও একটি পালাগানের আসর দেখা যাবে না। বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই ‘অশ্লীলতা’র অজুহাতে, বিভিন্ন হুজুরদের প্রবল আপত্তিতে এবং তথাকথিত সামাজিক উন্নয়ন কমিটির (যে কমিটিতে ডিসি সাহেব বাইডিফল্ট থাকেন) সিদ্ধান্তে দেশের কোথাও যাত্রাপালা, কবিগান, জারি-সারি গান, নামকীর্তন, পদাবলি কীর্তন, বাউল গান, পীরের দরবারে জলসা, সার্কাস, ভ্যারাইটি শো বন্ধ হয়ে আছে। এই পেশাগুলোর লাখ লাখ মানুষ বেকার। এদের কেউ কেউ অন্য পেশা জুটিয়ে নিতে পারলেও অধিকাংশই জীবিকার অনিশ্চয়তায় ধুঁকছে…অন্য কিছু করতেও পারে না, খেয়ে-পরে বাঁচতেও পারছে না। আজকে যেমন অনেকেই আফগানিস্তানের ষাটের-সত্তরের দশকের জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির এবং সে সময়কার আধুনিক পোশাক-পরিচ্ছদের ছবি দিয়ে লেখেন- ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আফগানিস্তান…’ ঠিক সেভাবেই কয়েক বছরের মধ্যে এখানেও অনেকে লিখবেন- ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন বাংলাদেশ’!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেদিন সত্যিকারে কী ঘটেছিল? পত্র-পত্রিকার খবর অনুযায়ী জানা যায়, মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় মাদ্রাসাগুলোর পুরুষ শিক্ষার্থীরা শহরের একাংশের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেয়। একজন ছাত্রকে তার নিজের মাদ্রাসার ক্যাম্পাসে ঢুকে নির্যাতন, ধরে নিয়ে যাওয়া এবং নির্যাতনের এক পর্যায়ে ছেলেটির মৃত্যু। পুলিশ কর্তৃক এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে; যেমনটা এই রাষ্ট্রে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো প্রায় রোজই কোথাও না কোথাও ঘটিয়ে চলেছে। তবে এই ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়ায় মাদ্রাসাগুলোর ক্ষুব্ধ পুরুষ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসেন এবং শহরে ছড়িয়ে পড়েন। তারা রেলস্টেশনের দখল নেন, ব্যাপক ভাঙচুর করেন, ফিসপ্লেট উপড়ে ফেলেন। এ দেশে সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রীয় সম্পদের সঙ্গে সঙ্গে পাবলিক প্রোপার্টি ধ্বংস করে ক্ষোভ প্রদর্শন ও প্রশমনের উদাহরণ নতুন নয়, বরঞ্চ এটাই স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নেয়ার চল চালু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। এটাকে ঠিক জঙ্গি আক্রমণ কিংবা জঙ্গি হামলা বলা যাবে না। ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁর যে অমূল্য সম্পদ ধ্বংস হলো তা আর কোনো দিনও ফিরে পাওয়া যাবে না। এটা তারাও জানেন যারা ধ্বংস করেছেন। তাই এটাকে আইএসের সেই ঐতিহাসিক পালমার নগরীর সব ঐতিহাসিক স্থাপনা ভাস্কর্য ধ্বংস করার সঙ্গে মেলানো যায়। সেখানেও উগ্রবাদীরা শিল্পচর্চার নাম শুনলেই ধ্বংসের জন্য হামলে পড়েছিল এখানেও তাই করেছে। এর সঙ্গে কোনোভাবে মাদ্রাসা শিক্ষার বৈষম্য, দারিদ্র্য, কিংবা শ্রেণিঘৃণা প্রমাণ করা যাবে না। এটা স্রেফ শিল্পচর্চা আর শিল্প-সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার উদগ্র বাসনা।
এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নীতি দ্বিপক্ষীয়। একদিকে সরকার জঙ্গিদের প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’ বলে প্রতিহতের চেষ্টা করছে (ইন্টারনাল হ্যামারেজে যা অকার্যকর প্রতীয়মান হচ্ছে)। অন্য দিকে দেশের সংখ্যাগুরু মুসলিম সেন্টিমেন্ট এবং তাদের ভোট-সমর্থনের কথা মাথায় রেখে ‘ধীরে চল’ নীতি নিয়েছে। হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফার বিকল্প হিসেবে ‘মদিনা সনদ’ বলবৎকরণের অঙ্গীকার করে আপাতত ১৩ দফাকে ‘আন ইমপ্লিমেন্টেড’ রাখতে পারাকেও ‘সাফল্য’ ভাবছে। আবার ‘জঙ্গিবাদ স্বীকারে বাইরের প্রচণ্ড চাপ আছে’ বলে জঙ্গিবাদের পেছনে বিদেশি ‘ষড়যন্ত্র’ আছে বোঝাতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু জঙ্গি দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ পদক্ষেপ, জঙ্গিবাদ প্রতিহত প্রশ্নে ‘অপারক’, ‘অসম্ভব’ শব্দ ব্যবহার করে বোঝানোর চেষ্টা চলছে- এই মতাদর্শিক যুদ্ধে কার্যত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খুব বেশি কিছু করণীয় নেই। অন্যদিকে ভিন্ন ভিন্ন নামে দেশে যেসব বাহিনী রয়েছে তাদের নিম্নস্তরে প্রায় আশি ভাগ সদস্য জন্মগত, বেড়ে ওঠা এবং শিক্ষাগত কারণে জঙ্গিদের মতাদর্শের প্রতি ‘দুর্বল’। সেই মতাদর্শীক ‘দুর্বলতা’ বেশ ভালোভাবেই গেঁথে রয়েছে দেশের আশি থেকে নব্বই শতাংশ ধার্মিক মানুষদের মনে (তা তিনি যে দলই করুন না কেন) এ ক্ষেত্রে আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা দরকার। এক. বিভিন্ন নামের ধর্মভিত্তিক দলগুলো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দফা, শর্ত, নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি নেত্রী, সংসদের স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি (তারা নারী হওয়া সত্ত্বেও)। অথচ চাকরিজীবী নারীদের চাকরি ছাড়তে নির্দেশ দেয়া হয়েছে! দুই. সংবিধানে ‘রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম’ আর ‘বিসমিল্লাহ’ সংযোজন করেছে বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি। আর তা বলবত রেখেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব মহাজোট। সুতরাং ‘সাংবিধানিকভাবে ধর্মীয়করণ’ এবং তা সযতেœ রক্ষা করার জন্য বিএনপি-জামায়াত, জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগ কারোরই দ্বিমত নেই, বরং আগ্রহই রয়েছে বলা যায়। সুতরাং কার্যত যদি এই চারটি দলকে কোনো না কোনাভাবে ক্ষমতা বলয়ে রেখে দেশে ইসলামি বিপ্লব সংঘটিত হয় এবং ইসলামি হুকুমত কায়েম হয় তাহলে এদের চারটি দলের কারো দ্বিমত থাকার বা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সে ক্ষেত্রে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ এবং বাম প্রগতিশীলদের কিছু ক্ষুদ্র ফ্যাকশনের জঙ্গিবাদ বিরোধিতা হালে পানি পাবে না। সে বিচারে কি বাংলাদেশে ভিন্ন চেহারার জঙ্গিবাদ বা ইসলামি শাসন আসন্ন?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৭

আদমের ছেলে বলেছেন: তাহলে ইসলামী শাসন জঙ্গীবাদ?

একটা খুনের ঘটনার প্রতিক্রিয়া যদি জঙ্গীবাদের উত্থান হয়, তাহলে ছাত্রলীগ প্রতিনিয়ত যে সব খুন করে যাচ্ছে, সেগুলো কী?

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

এইচ তালুকদার বলেছেন: আমরা সবাই মনে হচ্ছে চোখে টিনের চশমা পরে আছি।

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪

সত্যের পথে আরিফ বলেছেন: ভ্যারাইটি সো তে আমরা আমাদের মা-বোন কে নাচা-কুদা করাতে পারতাম, তথাকথিত মোল্লারা সেই সৃষ্টিশীলতা প্র... বন্ধকরে দিলো!

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

আমি যাযাবর বলিছ বলেছেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পূর্ন ঘঠনা যদি আপনি সত্যিই জেনে থাকেন তবে আমার মনে হয় আপনি এমন কথা বলতে পারতেন না।মাদ্রাসার ঐ ছাত্র কিভাবে মারা গেল?পুলিশের সাথে মাদ্রাসা ছাত্রদের দমন করতে কেন ছাত্রলীগ অস্ত্র তুলে নিল?ছাত্রলীগ কর্মীদের এই দায়িত্ব কে দিল?আর অশ্লিল নাচ গান বন্ধ হওয়াতে আপনাদের মত এক শ্রেনির লোকের এত খারাপ লাগে কেন আমি বুঝতে পারছিনা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.