নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে নেই হুমকিতে!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৯


বিশিষ্টজনদের নানান কায়দায় হুমকি দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে এমন কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষ নেই যারা কোনো না কোনোভাবে হুমকি পাচ্ছেন না। ডাকযোগে, ই-মেইলে, মোবাইল ফোনে এসএমএস ও কল করে হুমকির ঘটনা ঘটছে। ডাকযোগে কাফনের কাপড়ও পাঠানো হচ্ছে। মুক্তমনা লেখক ও ব্লুগারদের হুমকির ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন অনেকেই। তবে বেশিরভাগ ঘটনা রহস্যই খোলাসা হচ্ছে না।
সম্প্রতি একাধিক কথিত জঙ্গি সংগঠনের নামে হুমকি পাঠিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। হুমকির ঘটনায় শুধু রাজধানীর শাহবাগ থানায় গত ৩ মাসে দুশতাধিক জিডি এন্ট্রি হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার নাটোরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ২১ জনকে চিঠি দিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে। প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে দেশজুড়ে। অধিকাংশ ঘটনা ক্লু-লেস থাকায় হুমকির ঘটনা বাড়ছে বলে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, হুমকিপ্রাপ্ত ব্যক্তি পুলিশকে জানানো ও জিডি করার পরও আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কিছুই করতে পারেনি। জননিরাপত্তা বিঘ্ন করার জন্য আতঙ্ক ছড়াতে বিশিষ্টজনদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এসব অপরাধীদের অপকৌশল। অপরাধ প্রতিকারে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি আনসারুল্লাহ বাংলা টিম-১৩ নামে কথিত জঙ্গি সংগঠনের নামে বর্র্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৭ জন বিশিষ্ট নাগরিককে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। হত্যার হুমকি দিয়ে ওই চিঠি পাঠানো হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরীকে। ওই ঘটনায় ওইদিনই ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী।
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও ডিআইজি প্রিজনকে দেয়া হয়েছে হুমকি। অ্যাটর্নি জেনারেলকে হুমকি দেয়ায় গত
সপ্তাহে সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা বাবুল আহমেদ রিমান্ডে রয়েছেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও ঢাবির ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ ১০ বিশিষ্ট নাগরিককে একই কায়দায় হুমকি দেয়া হয়। হুমকিপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট ড. অসীম সরকার, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাবেরী গায়েন, বিকাশ শাহা, সরকারদলীয় এমপি ইকবালুর রহিম, পলন সুতার এবং অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ড. অসীম সরকার।
একই বছরের ২০ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবালসহ ১০ জন বিশিষ্ট নাগরিককে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে আলকায়েদা ও বাংলা টিম-১৩ নামের একটি জঙ্গি সংগঠন। চিঠিতে লেখা হয় ‘মাস্ট উইল প্রিপেয়ার ফর ডেড’। তার পর ধারাবাহিকভাবে ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম রয়েছে এবং প্রত্যেকের নামের সঙ্গে কিছু লেখা রয়েছে।
এর পর ১৭ জুন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুমহ ২৫ জনকে চিঠির মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেয়। হুমকির তালিকায় থাকা অন্যদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও একুশে টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক ও টিভি উপস্থাপক শ্যামল দত্ত, দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক শাহীন রেজা নূর, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহরিয়ার কবির, মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, এটিএন নিউজের বার্তাপ্রধান মুন্নি সাহা, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সে সময়ের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু, ব্লুগার কানিজ আকলিমা সুলতানা, আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আরাফাত রহমান প্রমুখ। এ ছাড়া শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জাফর ইকবালসহ ১৯ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। হুমকি পেয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানও।
অন্যদিকে রাজশাহীতে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও কথাশিল্পী অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকসহ বিশিষ্ট ৮ ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। আনসার আলইসলাম (আলকায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ) নামের সংগঠনটির প্যাডে হত্যার এই হুমকি দেয়া হয়। হুমকির শিকার ব্যক্তিরা থানায় নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেন।
জঙ্গি সংগঠনের নাম ব্যবহার ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে লাল বাহিনী, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি, চরমপন্থী দল, সর্বহারা পার্টি, জঙ্গি সংগঠন আনসার আলইসলামসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্যসহ প্রায় ২১ শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়।
রাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৫ সালের পহেলা মার্চ রাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মু. এন্তাজুল হক এবং পরিবেশবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক আজিজুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়। দুজনকে একই নম্বর থেকে ফোন করে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়।
একই বছরের ৫ মার্চ চরমপন্থী গ্রুপ পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি ও হুমকি দেয়া হয় রাবির দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরমীন হামিদ ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীকে। দুজনকে যে নম্বর থেকে ফোন করে চাঁদা দাবি করা হয়, সেই একই নম্বর থেকে ৬ মার্চ ফোন করা হয় রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আখতার ফারুক ও একই বিভাগের অধ্যাপক আজাহার আলীকে।
এর পর ১৬ মার্চ লাল বাহিনীর কমান্ডার পরিচয়ে চাঁদা দাবি করা হয় দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আনিসুজ্জামানের কাছে। ২১ মার্চ হুমকি দেয়া হয় প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মজুমদারকে। ২২ মার্চ লাল বাহিনীর পরিচয়ে হুমকি দেয়া হয় ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর এ এইচ এম সেলিম রেজাকে।
গত ১০ জুলাই রাতে রাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের প্রশাসক ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদীকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়। ১৫ নভেম্বর রাবির দর্শন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। অপরিচিত একটি নম্বর থেকে তাকে ফোনে হুমকি দিয়ে বলা হয়, ‘যদি চেঞ্জ হতে না পারেন তাহলে প্রস্তুত থাকেন। হাসান আজিজুল হক নগরীর মতিহার থানায় তিনি সাধারণ ডায়েরি করেন।
‘সর্বহারা পার্টি’র সদস্য পরিচয়ে একই মোবাইল নম্বর থেকে চাঁদা চেয়ে ২৭ নভেম্বর হুমকি দেয়া হয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাশেম, ইতিহাস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোহাম্মদ শাফি ও অধ্যাপক মো. মাহবুবর রহমানকে। অধ্যাপক মাহবুবর রহমানের স্ত্রী তাহদিনা নাজনীনকেও হুমকি দেয়া হয়। মোবাইল ফোনে হুমকির শিকার হয়েছেন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক বিধান চন্দ্র দাস, রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনন্দ কুমার সাহা।
অপরদিকে গত ১২ জানুয়ারি আবারো ৪ শিক্ষকের কাছে চাঁদা দাবি করে হুমকি দেয়া হয়েছে। এরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. আজিজুল হক, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও শাহ্ মখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জাহাঙ্গীর আলম এবং অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি এন্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম কামরুজ্জামান।
পহেলা নভেম্বর রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রায় একই সময়ে ৪ ব্লুগারের ওপর হামলা চলায় দুর্বৃত্তরা। লালমাটিয়া ও শাহবাগে ঘটনা দুটি ঘটে। মুক্তমনা ব্লুগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। অভিজিতের বইয়ের আরেক প্রকাশক ‘শুদ্ধস্বর’র স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশিদ টুটুল, লেখক ও ব্লুগার রণদীপম বসু ও তারেক রহিমকে ৩ জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এদের অনেকেই হুমকি পেয়েছিলেন। ১১ নভেম্বর ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান ও ৩৪ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হুমকি দেয়া হয়।
এসব হুমকির বিষয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, এসব ঘটনা অবশ্যই উদ্বেগজনক। এসএমএস ও মোবাইল ফোনে কল করে হুমকি দেয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে ট্র্যাক করতে হবে। জড়িতদের শনাক্ত বা ধরা না পড়ায় হুমকির ঘটনা বাড়ছে। তিনি বলেন, থানায় জানালে কি হবে, পুলিশ কতজনকে নিরাপত্তা দেবে। পুলিশের অনেক কাজ রয়েছে। ঘটনাচক্রে দু’একজন আটক হলেও অধিকাংশ ঘটনা অজানা থেকে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে জঙ্গি সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অন্যরা আতঙ্ক ছড়ানোর সুযোগ নিচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমোনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. জিয়াউর রহমান বলেন, সমাজ এগুচ্ছে। সেইসঙ্গে পাল্টাচ্ছে অপরাধ ও অপরাধীদের কাজের ধরন। সাইবার ক্রাইম বিদেশে পুরানো হলেও আমাদের দেশে নতুন অপরাধ। এজন্য আইসিটি এ্যাক্ট হয়েছে। তিনি বলেন, হুমকির ঘটনা সহজভাবে দেখা ঠিক হবে না। অনেক সময় আতঙ্ক ছড়ানোর জন্যও হুমকি দেয়া হয়। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা এখন অনেকটা প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়েছে। তারা কৌশল বদল করে হুমকি দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এদের আয়ত্ত করতে হবে। হুমকিদাতারা চিহ্নিত এবং বিচারের মুখোমুখি না হলে এসব ঘটনা বেড়েই চলবে।
সূত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.