নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগে ছদ্মবেশীদের চিহ্নিত করুন

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৩



যেসব দেশ ও জাতি তাদের সমস্যাকে বা সমস্যাগুলোকে প্রায়োরিটাইজ করতে জানে, তারাই সার্থক হয়। সংক্ষিপ্ত তালিকা করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চিহ্নিত করা ও সমাধান দেয়া খুব কঠিন? মেধাবহুল দেশে মানুষের অযাচিত উপদেশ আর অপ্রত্যাশিত মন্তব্য কিংবা সবজান্তামীর পরও আমরা চোখে দেখি না। এ দেশ ও জাতির ইমিডিয়েট কিংবা আসন্ন বিপদ কি আসলে খালেদা জিয়া? রাজনীতি এমন এক ব্যামো, আমাদের তা এমনভাবে আচ্ছন্ন করে রেখেছে মূল সমস্যা ভাবতেই দেয় না। খালেদা জিয়া তিরিশ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার পর থেকে এক ধরনের উষ্মা ও ক্ষোভ কাজ করছে। খুব স্বাভাবিক। দফায় দফায় প্রান্তিক জনগণকে ভুল বুঝিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে জোট বেঁধে বিএনপি ক্ষমতায় গিয়েছে। সে সুবাদে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শহীদ সংখ্যা নিয়ে আবোল-তাবোল বলতে পারেন না। কিন্তু মোকাবেলাটা রাজনৈতিক হওয়াই বাঞ্ছনীয় নয় কি? এখন দেখছি আদাজল খেয়ে তাকে সাইজ করার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছেন একদল সরকারি নেতা। আদালত ঠিক করে দিলেও কি আসলে শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বিতর্কের অবসান ঘটবে? রায় দিয়ে দিলে সেটাই আজীবন মানবে সবাই? স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের প্রৌঢ়ত্বের শেষপ্রান্ত পর্যন্ত আইন-আদালত ও বিচার নিয়ে যেসব কাণ্ড-কারখানা দেখেছি তাতে এ বিশ্বাস রাখা অসম্ভব। এটি মানি আদালতই পারে অবমাননার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজা দিতে, কঠিন হতে। তাছাড়া কথায় কথায় আইন হাতে তুলে নেয়ার দেশে বা সমাজে সরকারি দলও আইনের কাছে যায় এটা দেখতে ভালোই লাগে। কিন্তু খালেদা জিয়া কি এই বিতর্ক নিজ মনগড়া কোনো কারণে তুলেছেন? তার কি আসলে শহীদ সংখ্যা বা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে সত্যি কোনো আবেগ আছে? না তা কাজ করে? মুশকিল হলো, আমরা কেউ সত্য বলি না, বলতে চাই না। বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার মৃত্যুর পর ভোল পাল্টানো কাদের সিদ্দিকী, আ স ম রব, শাজাহান সিরাজ বা মুক্তিযোদ্ধারাই যেখানে পথভ্রষ্ট সেখানে খালেদা জিয়া কেন অনুগত ও বিশ্বস্ত থাকবেন? একটা কথা বোঝা বা জানার জন্য রাজনীতিবিদ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না যে, এই তথ্য বিভ্রান্তি অযথা বিতর্ক বা মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অবমাননা আসলে শিখিয়ে দেয়া। যারা তাকে চালায়, তাদের হিসাব-নিকাশ, দেশে এক ধরনের বুদ্ধিজীবী ও গণতান্ত্রিক নামে পরিচিত সুশীলদের দিকে তাকালেই এর উত্তর পাবেন। খালেদা জিয়া এদের পরোক্ষ প্রতিনিধি। প্রত্যক্ষ নন কেন? প্রত্যক্ষ হলে এদের ভাগ-বাটোয়ারা ও হিসসায় টান পড়বে। তারা তো একশ্রেণির আওয়ামী বান্ধবও বটে। আওয়ামী লীগ তোয়াব খানকে বাদ দিয়ে এদের সাংবাদিকতার জন্য পুরস্কার দেয়। ট্রফি পদক ধরিয়ে দিয়ে হাতে রাখে। দলের সেরা ঝানু নেতারা নিজে কখনো একটি বাণী লিখতে বা অপরকে দিয়ে মেহেরবানী লিখাতে পারলে সেটা এসব সুশীলদের মিডিয়ায় পাঠিয়ে দেয়। তলে তলে লাইনবাজি আর মনের ভেতর সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে রাখা অনেকে খালেদা জিয়ার এই তত্ত্বের বিরোধিতা করলেও ভাবেন, সেটাই সঠিক। তিরিশ লাখ মৃত্যুর ব্যাপারটা ঠিক না। সেটাও সমস্যা না, সমস্যা কিন্তু এদের প্রতিদিনকার আচার-আচরণ আর ঘটনা পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনার পর বলা নেই, কওয়া নেই, দেশের শীর্ষতম প্রচারিত পত্রিকার ভেতরের লোকেরা আজেবাজে কথা বলতে শুরু করলেন। ভাবছেন ক্ষোভ বা বেদনায়? মোটেই তা নয়। বি-বাড়িয়ার ঘটনায় আলাউদ্দীন খাঁর সরোদ, স্মৃতিচিহ্ন, ধীরেন দত্ত পাঠাগার লুণ্ঠনকে ধামাচাপা দেয়ার আধুনিক কৌশলে তারা হঠাৎ প্রশ্ন রাখলেন। জাতি কি কোনোদিন ভেবেছে রবিশংকর কেন পণ্ডিত আর আলাউদ্দীন খাঁ কেন ওস্তাদ? এ যেন চার্চে কেন পোপ আর রামকৃষ্ণ মিশনে কেন স্বামীজী টাইপের ভাবান প্রশ্ন। মূলত আমাদের কোমলমতি তারুণ্যের মনে হিংসা ও বিদ্বেষের আরেক ধরনের বীজ ঢুকিয়ে দেয়া। যাকে দিয়ে লেখানো বা বলানো হয়েছে, বিদ্যাবুদ্ধি থাকলেও এটা তার মগজে ক্লিক করার কথা না। এর পেছনে ছিল একদা সুমতিসম্পন্ন বামের দর্মতি। হঠাৎ তারা প্রমাণ করতে চাইলেন পণ্ডিত নাকি ওস্তাদের চেয়ে বড়। ফলে কোনো এক সময় হিন্দুস্তানিরা অন্যায় করেছে। সে কারণেই কি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাঙচুর? নাকি যারা লুটপাট করেছিল তারা ওস্তাদকে পেলে ছেড়ে দিত? ভয়ের কথা এরাই সমাজের বুদ্ধিজীবী, এদের কেউ কেউ বিশেষত বয়স্কজনরা কাফনের কাপড় পরে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে যান। বঙ্গভবনেও দেখি তাদের। মুখে ও মনে দোদেল বান্দারাই কিন্তু খালেদা জিয়ার ভরসা। এরা নিজেদের স্বার্থ জীবন ভোগ ও আয়েশের কারণে অন্য দল বা রাজনীতির ভান করলেও ভেতরে অন্ধ। তাদের প্ররোচনা আর উসকানিতেই বিএনপির এই মরণ দশা। খালেদা জিয়াকে আদালতে আনার চাইতেও জরুরি কারা এই তথ্য ও তত্ত্বের উসকানিদাতা সেটা জানা। এ জাতিকে স্বাধীনতার ঘোষক বিতর্ক চাপিয়ে হীনবল করা ও লড়াই জিইয়ে রাখার মানুষরা মরেনি। তারাও রক্তবীজের মতো। একদল গেলে আরেক দলের জন্ম হয়। আজ যারা সে দলে তারা চতুর। তারা খালেদা জিয়ার মতো মৃত ঘোড়াকে সামনে দিয়ে এদের মাঠ ও তৃণমূলের সমর্থকদের চাঙ্গা রাখার জন্য ভুল বলিয়ে নিচ্ছে। আদালত হয়তো কঠিনভাবে হস্তক্ষেপ করে এখন তা চাপিয়ে রাখবে। কিন্তু কখনো যদি সময় বা সুযোগ আসে এরা কি পাল্টা ছোবল মারবে না? ফলে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা ও উপযুক্ত জবাবদানের বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার কারণে সেটা না করলে বা তৈরি না থাকলে এই আপদ এ জাতীয় বিপদ জাতিকে ছেড়ে কথা বলবে না। জানা মতে মানুষ রাজনীতিবিমুখ। তাদের হাতে অনেক কাজ। অনেক উন্নয়ন ও প্রত্যাশার হাতছানি। তাদের সেদিকে রাখতে হলে মেধা ও পরিচর্যার রাজনীতি প্রয়োজন। কেউই তা করতে পারছে না। বয়স্কজনদের পাশাপাশি তারুণ্যকে সঙ্গে নিলে হয়তো একটা পথ বেরিয়ে আসতে পারে। সেও নিশ্চয়ই বলে দিতে হয় না। অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ না হওয়াই মঙ্গলের। সূত্র

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:১৬

রাফা বলেছেন: চমৎকার ও সত্যি কথাই লিখেছেন, অজয় দাস গুপ্ত।আদালতে যাওয়ার চাইতে রাজনৈতিক সচেতনতা বেশি জরুরী।খালেদা জিয়া আগেও যেমন অন্যের হাতের ক্রিড়নক ছিলেন বর্তমানেও ঠিক তাই আছেন।খালেদা জিয়া যাদের ইন্দনে এই কথাগুলো বলেন তাদেরকে সামনে নিয়ে আসতে হবে।সমাজের চোখে তাদের আসল রুপ খুলে দিতে হবে।

সামরিক বাহিনির ,ক্রিড়ানক থেকে জামাতের ক্রিড়ানকে আর এখন পুরোপুরি পাকিস্তানের দালালের ভুমিকায় দেখতে পাচ্ছি।কিন্তু মূল কারিগররা অন্তরালেই রয়ে গেছে,এখন সময় এসেছে তাদের পরিচয় বের করে মানুষকে সতর্ক করে দেওয়ার।

ধন্যবাদ,তালপাতার সেপাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.