নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে আড়াল করা পাকিস্তান এবার বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়েও অপপ্রচারে নেমেছে। নিজের দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেনি তারা এবং এর কোনো ব্যাখ্যাও কখনো দেয়নি। এখন উল্টো বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টির জন্য সুপরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু করেছে পাকিস্তানিরা। এরই অংশ হিসেবে গত বুধবার ইসলামাবাদে পাকিস্তানের প্রভাবশালী একটি নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক আইন ও বাধ্যবাধকতা বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির নামে এক কর্মশালা আয়োজন করে। সেখানে নির্বাচিত আলোচকরা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, বাংলাদেশ’-এর কার্যক্রম পর্যালোচনা ও এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
রিসার্চ সোসাইটি অব ইন্টারন্যাশনাল ল (আরএসআইএল) নামে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান পাকিস্তানের জারদারি সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী আহমেদ বিলাল সুফি। কর্মশালায় তিনি ছাড়াও যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির ডেপুটি সেক্রেটারি ড. ফরিদ আহমাদ পারাচা। জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়কে ‘ঢাকার পতন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে কর্মশালায় বলা হয়, ওই ঘটনাটি ধোঁয়াটে, রহস্যপূর্ণ ও অতি কথায় ঘেরা। আহমেদ বিলাল সুফি ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রেক্ষাপট তাঁর মতো করে তুলে ধরে দাবি করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালে এটি আবার সচল করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ওই বিচারে ভারতের জোরালো প্রভাব রয়েছে এবং বিরোধী দল, বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীকে বেকায়দায় ফেলতে
বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি লঙ্ঘন করে ওই বিচার করছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, বিচারব্যবস্থায় বিবাদীদের সাংবিধানিক/মৌলিক অধিকার দেওয়া হচ্ছে না।
আহমেদ বিলাল সুফি বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাঠামো হিসেবেও অভিহিত করেন। কর্মশালায় উপস্থিত অতিথি ও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে জামায়াত নেতা ড. ফরিদ আহমাদ পারাচা সাবেক আইনমন্ত্রী আহমেদ বিলাল সুফির নেতৃত্বে একটি দলের বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে মূল্যায়নের প্রশংসা করেন। ওই জামায়াত নেতা দাবি করেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি ওই বিচারের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকারকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবশ্যই বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।
ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কেন্দ্রীয় তথ্যসচিব ও সংসদ সদস্য শিরিন মাজারি বলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার বেশ সময় ধরেই চলছে। পাকিস্তান সরকার কেন এ নিয়ে এত উদাসীনতা দেখাল এবং কেন কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিল না?
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সীমান্তে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধে অংশে নেওয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল তালাত মাসুদ বলেন, রাজনৈতিক বিষয়কে আইনি বিষয় থেকে আলাদা করা যায় না। দুটিই হাতে হাত রেখে চলে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, পাকিস্তানের পাঠ্যপুস্তকগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস আড়াল করে নতুন প্রজন্মকে নিজেদের বর্বরতার কথা জানতে দেওয়া হয় না। জাপানের মতো দেশ যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন নৃশংসতার জন্য অন্য দেশগুলোর কাছে ক্ষমা চাচ্ছে, সেখানে পাকিস্তান নিজের অতীত অপকর্ম আড়াল করে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তির ভুল ব্যাখ্যা করে ইসলামাবাদ যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধিতা করছে। অথচ ওই চুক্তিতে এমন কোনো কথা নেই। এমনকি পাকিস্তান নিজেই বিচারের আশ্বাস দিয়ে তার দেশের যুদ্ধাপরাধীদের ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দায়ের কথা সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানি দূতকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি এ দেশে জোরালো হচ্ছে। বিষয়টি অনুধাবন করে পাকিস্তান সুপরিকল্পিতভাবেই এর বিরুদ্ধে প্রচারণায় নেমেছে।
সুত্রঃ
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০২
তালপাতারসেপাই বলেছেন: দিলাম
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭
এরশাদ বাদশা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭
এরশাদ বাদশা বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। এহেন ঘৃণিত কান্ডের জন্য পাকিস্থানীদের লজ্জা (যদি সেরকম কিছু ওদের থেকে থাকে) হওয়া উচিত। তবে পোস্টের সাথে বেখাপ্পা ঠেকছে ''ফাকিস্থানের'' 3d পতাকা। ওটার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করছিনা। যদি একান্তই কোনো অসুবিধা না হয়, তাহলে ওটা সরিয়ে ফেলুন।